26/06/2025
১। প্রিয়জনের কাছে মূল্যহীন হয়ে গেলে নিজে থেকেই সরে আসুন। ভিতরে সাময়িক যন্ত্রণা হলেও এটা অনেক সম্মানের।
২। যদি বুঝতে পারেন, কেউ হতাশায় ভুগছে, তাকে জ্ঞান বা উপদেশ দিতে যাবেন না। সে কী বলতে চায়, সেটা শুনুন। এই সময় মানুষ উপদেশ শুনতে চায় না, সে চায় আগে তার ভেতরের কথাগুলো কেউ মন দিয়ে শুনুক।
৩। কাউকে অকারণে কষ্ট দেবেন না। এই মুহূর্তে আপনি যার সাথে ইচ্ছাকৃত অন্যায় করে নিজেকে জয়ী ভেবে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন—সে হয়তো প্রতিবাদ করবে না। কিন্তু তার নীরবতা, কষ্ট থেকে উঠে আসা দীর্ঘশ্বাস আপনার সঙ্গে বোঝাপড়াটা সঠিক সময়ে করে নেবে।
৪। অন্যের চোখে ভালো সাজার জন্য নিজের ভালো লাগাগুলো বিসর্জন দেবেন না। যে আপনাকে আপনার মতো করে গ্রহণ করতে পারে না, তার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার চেয়ে একা থাকাই ভালো।
৫। যা হাতছাড়া হয়ে গেছে, তা নিয়ে কখনো আফসোস করবেন না।
৬। বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবির দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কাউকে ছোট করে দেখবেন না। তাহলে আপনি-ই ছোট হয়ে যাবেন।
৭। নিজের অবস্থান নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের আত্মবিশ্বাসী বা অহংকারী হবেন না। কারণ, সময় যখন বদলায়, উত্তাল সাগরও শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যায়।
৮। সমালোচনাকারীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিজের সময় ও শক্তির অপচয় করবেন না। নিজেকে উন্নত করুন—তারা এমনিতেই চুপ হয়ে যাবে।
৯। গাধার সঙ্গে তর্ক করতে বা গাধাকে কিছু শেখাতে যাবেন না। গাধার পিঠে ধর্মগ্রন্থের বোঝা চাপালেও গাধা গাধাই থাকে।
১০। ভুল জায়গায় আত্মত্যাগ (sacrifice) আর ভুল মানুষের সঙ্গে সমঝোতা (compromise) আপনাকে না দেবে সুখ, না দেবে সফলতা।
১১। আপনাকে ডোবানোর ইচ্ছা নিয়ে কিছু লোক বসে আছে—যাদেরকে সাঁতারটা আপনিই শিখিয়েছিলেন।
১২। মানুষ সিংহের প্রশংসা করে, কিন্তু আসলে গাধাকেই পছন্দ করে।
১৩। পরের ক্ষতি করার নেশা যদি কাউকে একবার পেয়ে বসে, নিজের অস্তিত্ব ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তার হুঁশ ফেরে না।
১৪। জীবন মানেই গাড়ি, বাড়ি বা ভালো বেতনের চাকরি নয়। আপনি জানাশোনা অনেককেই পাবেন, যাদের জীবন সম্পর্কে জ্ঞান অসম্পূর্ণ—কিন্তু ঠিকই ভালো বেতনের চাকরি পেয়ে গেছে।
১৫। সন্তানের জন্য বেশি বেশি সম্পদ জমা না করে, সন্তানকেই সম্পদ বানিয়ে ফেলুন। একজন আদর্শ সন্তান আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
১৬। পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো—আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। আপনি কার কাছে কতদিন গুরুত্ব পাবেন? মূলত এটা নির্ভর করে, আপনি তাদের প্রয়োজন কতদিন পর্যন্ত মেটাতে পারবেন। যতদিন তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবেন, ঠিক ততদিনই আপনি তাদের কাছে গুরুত্ব পাবেন। অর্থাৎ, যদিও অপ্রিয়, তবুও সত্য—“প্রয়োজনেই প্রিয়জন।”
তাই মানুষ চিনতে শিখুন। প্রয়োজনে একা বাঁচুন, তবুও নিজে ভালো থাকুন। মনে রাখবেন, একা থাকলে হয়তো মানুষের কষ্ট হয়—কিন্তু কেউ মরে যায় না।