
02/05/2025
নারী সংস্কার কমিশনের কুরআন বিরোধী ধারাসমূহ
----------
❝
বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের গঠন করা ১২ টি সংস্কার কমিশনের অন্যতম একটি সংস্কার কমিশন হলো ‘নারী সংস্কার কমিশন’। গত ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ঈ. তারিখে তারা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবের কাছে ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যাতে মোট ১৭ টি অধ্যায় রয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে অনেক ধারা, উপধারা ও অনুচ্ছেদ রয়েছে। বিশাল এই সংস্কার প্রতিবেদনের কিছু অনুচ্ছেদ সরাসরি কুরআন-হাদীস বিরোধী। কিছু অনুচ্ছেদ আংশিক কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে আপনাদের সামনে তাদের প্রতিবেদনের যেসব ধারা কুরআন-হাদীস বিরোধী তার সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা পেশ করছি।
এক.
‘নারী সংস্কার কমিশন’ এর প্রতিবেদনের একাদশতম অধ্যায়ের ১১.৩.১ এর ‘ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নারীদের সম্পত্তির সমান উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে মুসলিম ও হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করা জরুরী। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে ‘সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার’ বিষয়টি সরাসরি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।
পবিত্র কুরআন থেকে দলিল:
للذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ.
অর্থ: একজন পুরুষের জন্য আছে দুই নারীর সমান অংশ।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১১)
দুই.
প্রতিবেদনের পঞ্চম অধ্যায়ের ৩.২.৩ এর ‘খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, তালাকের তথ্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও কাজী অফিসের মধ্যে যাচাইয়ের জন্য তথ্য বিনিময়ের (ডিজিটাল এক্সেস) ব্যবস্থা করা, যাতে কম বয়সে বিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ করা যায়। উল্লিখিত এই অনুচ্ছেদের ‘বহুবিবাহ রোধ’ অংশটি কুরআন ও হাদীসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
কুরআন থেকে দলীল:
فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ .
অর্থ: তবে তোমরা যেসব নারীকে পছন্দ করো, তাদের মধ্যে দুই, তিন বা চার জনকে বিয়ে করো। (সুরা নিসা, আয়াত: ৩)
উল্লিখিত আয়াতে সামর্থ থাকলে ও ন্যায়বিচার করার ক্ষেত্রে কোনো সংশয় না থাকলে একের অধিক বিবাহের কথা বলা হয়েছে। অথচ কমিশনের সংস্কার প্রতিবেদনে বহুবিবাহ রোধ করার কথা বলা হচ্ছে।
হাদীস থেকে দলীল:
عن ابني مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : يا معشر الشباب من استطع فليتزوج فإنه أغض للبصر واحصن للفرج، البخاري (٥٠٦٦)، ومسلم (١٤٠٠)
তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে।নারী সংস্কার কমিশনের কুরআন বিরোধী ধারাসমূহ
----------
❝
বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের গঠন করা ১২ টি সংস্কার কমিশনের অন্যতম একটি সংস্কার কমিশন হলো ‘নারী সংস্কার কমিশন’। গত ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ঈ. তারিখে তারা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবের কাছে ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যাতে মোট ১৭ টি অধ্যায় রয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে অনেক ধারা, উপধারা ও অনুচ্ছেদ রয়েছে। বিশাল এই সংস্কার প্রতিবেদনের কিছু অনুচ্ছেদ সরাসরি কুরআন-হাদীস বিরোধী। কিছু অনুচ্ছেদ আংশিক কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে আপনাদের সামনে তাদের প্রতিবেদনের যেসব ধারা কুরআন-হাদীস বিরোধী তার সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা পেশ করছি।
এক.
‘নারী সংস্কার কমিশন’ এর প্রতিবেদনের একাদশতম অধ্যায়ের ১১.৩.১ এর ‘ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নারীদের সম্পত্তির সমান উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে মুসলিম ও হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করা জরুরী। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে ‘সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার’ বিষয়টি সরাসরি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।
পবিত্র কুরআন থেকে দলিল:
للذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ.
অর্থ: একজন পুরুষের জন্য আছে দুই নারীর সমান অংশ।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১১)
দুই.
প্রতিবেদনের পঞ্চম অধ্যায়ের ৩.২.৩ এর ‘খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, তালাকের তথ্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও কাজী অফিসের মধ্যে যাচাইয়ের জন্য তথ্য বিনিময়ের (ডিজিটাল এক্সেস) ব্যবস্থা করা, যাতে কম বয়সে বিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ করা যায়। উল্লিখিত এই অনুচ্ছেদের ‘বহুবিবাহ রোধ’ অংশটি কুরআন ও হাদীসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
কুরআন থেকে দলীল:
فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ .
অর্থ: তবে তোমরা যেসব নারীকে পছন্দ করো, তাদের মধ্যে দুই, তিন বা চার জনকে বিয়ে করো। (সুরা নিসা, আয়াত: ৩)
উল্লিখিত আয়াতে সামর্থ থাকলে ও ন্যায়বিচার করার ক্ষেত্রে কোনো সংশয় না থাকলে একের অধিক বিবাহের কথা বলা হয়েছে। অথচ কমিশনের সংস্কার প্রতিবেদনে বহুবিবাহ রোধ করার কথা বলা হচ্ছে।
হাদীস থেকে দলীল:
عن ابني مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : يا معشر الشباب من استطع فليتزوج فإنه أغض للبصر واحصن للفرج، البخاري (٥٠٦٦)، ومسلم (١٤٠٠)
তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাজত করে এবং যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন সওম পালন করে। কেননা, সওম তার যৌনতাকে দমন করবে। (বুখারী শরীফ: ৫০৬৬, মুসলিম শরীফ: ১৪০০)
তিন.
বইয়ের দশম অধ্যায়ের শিরোনামে রয়েছে, ‘শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার’। উক্ত অংশটি সরাসরি কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।
পবিত্র কুরআন থেকে দলীল:
أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ .
অর্থ: ‘সতর্ক হও! সৃষ্টি ও আদেশ একমাত্র তাঁরই (আল্লাহর)।’ (সূরা আল-আ’রাফ, আয়াত ৫৪)।
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ
অর্থ: ‘ফায়সালার অধিকার কেবল আল্লাহরই’। (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০)
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ.
অর্থ: ‘যে কেউ আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা অনুযায়ী বিচার করে না, তারাই কাফির (অবিশ্বাসী)’। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৪)
চার.
দশম অধ্যায়ের ১০.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সমাজে প্রচলিত প্রথা কুসংস্কার ও মাসিক সম্পর্কে ভ্রান্ত ও নেতিবাচক ভ্রান্ত ধারণা নারী ও কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় বাধা’। সংস্কার প্রতিবেদনের এই অংশটি কুরআনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
পবিত্র কুরআন থেকে দ