14/07/2025
আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলির সাথে দুশমনি করে আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেই। আমি আমার বান্দার উপর যা ফরজ করেছি আমার কাছে তার চেয়ে বেশি প্রিয় এমন কোন কাজ নেই, যা দ্বারা বান্দা আমার নৈকট্য লাভ করতে পারে।বান্দা নফল আমল দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আর আমি যখন তাকে ভালোবেসে ফেলি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে। তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে। তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলে।তখন সে যদি আমার কাছে কিছু চায় আমি তাকে দান করি এবং সে যদি আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে তাকে অবশ্যই আশ্রয় দান করি।
সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৫০২সূত্র : রিয়াযুস সালেহীন, ২য় খণ্ড, মাকতাবাতুল আশরাফ কর্তৃক প্রকাশিত, হাদীস নং ৯৫
পাদটীকা:
এ হাদীসে আল্লাহ তাআলা জানান যে, বান্দা যখন ফরয ইবাদতের পাশাপাশি নফল অমলে রত থাকে, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে ভালোবেসে ফেলেন। এভাবে বান্দা আল্লাহর ওলী ও বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়। আর যখন সে তাঁর ওলী হয়ে যায় এবং তিনি তাকে ভালোবেসে ফেলেন, তখন তিনি তার কান, চোখ, হাত ও পায়ে পরিণত হয়ে যান।এর অর্থ আল্লাহ তাআলার মানবরূপ ধারণ করা নয়। তিনি মানুষে পরিণত হয়ে যান এমন নয়; বরং মানুষ যাতে এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক ব্যবহার করতে পারে সে ব্যাপারে তিনি তাকে সাহায্য করেন।মানুষ বেশিরভাগ গুনাহ এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্বারাই করে থাকে। মানুষ যখন আল্লাহর ওলী ও বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়, তখন আল্লাহর সাহায্যে গুনাহ থেকে বাঁচতে সক্ষম হয় এবং এসব অঙ্গকে নেক কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পায়। সে তার কান দিয়ে কোনও অবৈধ ও অহেতুক কথা শোনে না। এমন কথাই শোনে, যাতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। সে তার চোখ দিয়ে কোনও অবৈধ বস্তু দেখে না। বরং এমন জিনিস দেখে, যাতে পুণ্য অর্জিত হয়। সে তার হাত দিয়ে কোনও হারাম বস্তু স্পর্শ করে না; বরং এমন কাজ করে, যাতে আখিরাতের সঞ্চয় হয়। এবং সে তার পা দিয়ে কোনও অবৈধ পথে চলে না; বরং এমন পথে চলে, যাতে দুনিয়া ও আখিরাতের প্রভৃত কল্যাণ সাধিত হয়।