14/02/2025
শবে_বরাত ২০২৫
১৪৪৬ হিজরী ১৪ শাবান দিবাগত রাত-
জুমাবার
শবে_ বরাতের গুরুত্ব ও ফযীলত
নবীজি (সা.) বললেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন’
শবে বরাত অর্থাৎ পনেরো শা’বানের রজনীর ফযীলত সম্পর্কে সহীহ হাদীস রয়েছে। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে (শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহীহ ইবনে হিব্বান : ৫৬৬৫)।
হলো অর্ধ শা’বানের রাত। (শা’বানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।
- (শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩৮২,৩৮৩)।
উপরোক্ত হাদীস থেকে এ রাতের ফযীলত যেমন জানা যায় তদ্রুপ এ রাতের আমল কেমন হওয়া উচিত তাও বোঝা যায়। অর্থাৎ ফরয নামাযের সাথে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া, সেজদা দীর্ঘ হওয়া, দুআ, তাছবীহ ও ইস্তেগফার, তাওবা করা ইত্যাদি।
মোটকথা, সহীহ হাদীস থাকা অবস্থায় শবে বরাতের ফযীলত ও গুরুত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা এবং এ সংক্রান্ত সকল রেওয়ায়েতকে মওযূ বা যয়ীফ বলা যে কত বড় অন্যায়, তা তো বলাই বাহুল্য।
শা’বানের এক তারিখ থেকে সাতাইশ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার বিশেষ ফযীলতের কথা হাদীস শরীফে আছে। তাছাড়া আইয়ামে বীয তথা প্রতি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদীস শরীফে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সাথে যয়ীফ সনদে বর্ণিত একটি হাদীসে বিশেষভাবে পনেরো তারিখের রোজা রাখার নির্দেশনাও পাওয়া যায়।
হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, পনেরো শা’বানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৩৮৪)।
আগেই বলা হয়েছে যে, যেহেতু বিভিন্ন সহীহ হাদীসে শা’বান মাসের রোজার সাধারণ ফযীলত এবং আইয়ামে বীযের রোজার ফযীলত উল্লেখিত হয়েছে পাশাপাশি যয়ীফ সনদে উপরোক্ত হাদীসটিও বিদ্যমান রয়েছে তাই কেউ যদি এই সকল বিষয় বিবেচনায় রেখে পনেরো শা’বানের রোজা রাখেন তাহলে তিনি ছওয়াব পাবেন ইন শা আল্লাহ।
শবে বরাতের রাতে যথাযথ ফরয নামায শেষ করে বেশী বেশী নফল নামায, তাছবীহ, তাওবা ইস্তেগফার যে যত বেশী করবে তার গুনাহ মাফ হবে, নেকীর পাল্লা ভারী হবে, কবরে হাশরে নাজাত লাভ করবেন।
রোযা রাখলে রোযার সওয়াব পাবেন।
এ দিনে রোজা-ইফতার ও সারা রাত ইবাদত বন্দেগী, সেহরীকে কেন্দ্র করে