05/10/2025
"আমার জিনিস আমাকে দিয়ে দাও" বলে অপুর্ব নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে তার কাছে থাকা কোরআন শরীফ নিয়ে আবার সেটায় লাথি দিতে থাকে। উদ্ধতভাবে গালি দিয়ে বলতে থাকে কী করবি কর। এই ঘটনা অনেক সময় ধরে চলে।
কোরআন শরীফ কারো বাপের না, এইটা সমগ্র মানবজাতির সম্পদ। সমগ্র মানবজাতির সন্মান আর শ্রদ্ধার বিষয়। আমার বাবার ছবি এভাবে লাথি দিলে আমি চুপ করে থাকতাম? আমি কেড়ে নিতাম। দেখতে থাকা ছাত্ররা কেন কোরআন শরিফ কেড়ে নিলোনা না সেই উন্মাদটার কাছে থেকে? নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এতো নির্বীর্য হলো কবে থেকে?
তারা বসে বসে দেখলো কেন? কারণ এই পঞ্চান্ন বছর ধরে বাংলাদেশের মিডিলক্লাস মুসলমানদের নিজের ধর্মকে নিয়ে লজ্জিত হতে শেখানো হয়েছে। নিজের ধর্মকে ইন্টেলেকচুয়ালি, ফিজিক্যালি ডিফেন্ড করা ভুলিয়ে দিয়েছে।
যেকোন ধর্মগ্রন্থের অসন্মান সারা পৃথিবীর কালেক্টিভ স্পিরিচুয়ালিটির বিরুদ্ধে অসন্মান। কেউ ধর্ম না মানতে পারে। কিন্তু ধর্মের অসন্মান একটা রেড লাইন। এইটা ক্রস করতে দেয়া যাবেনা। কেউ আমাকে অপছন্দ করতে পারে, কিন্তু ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আমাকে অসন্মান করা যাবেনা।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল প্রাইভেট আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বলতে হবে ধর্মগ্রন্থের অসন্মানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিসি কী? এটা লিখিত থাকতে হবে। প্রচারিত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধিতে উল্লেখ থাকতে হবে। সকল ছাত্র ছাত্রীকে সেটায় সাক্ষর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে।
১৯৪৭ এ জমিদারি হারানোর বেদনার প্রতিশোধ এভাবেই নিতে থাকবে তারা। একবার মিলিট্যান্ট নাস্তিকতা আরেকবার পোগতিশিলতা আরেকবার ধর্ম নিরপেক্ষতা দিয়ে আপনার মুসলমান পরিচয়কে আঘাত করা আর ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা আরো অনেকদিন চলমান থাকবে।
ইসলামোফোবদের সোশ্যালমিডিয়াসহ সকল সামাজিক পরিমন্ডল থেকে বয়কট করুন। নইলে সুস্থ স্বাভাবিক বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারবো না।