13/03/2024
সুখের ঠিকানা tv:
যশোরের চৌগাছায় ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য এক স্কুল শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্রীর অনৈতিক এ কাজের বিষয়টি জানাজানি হলে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে। ১১ মার্চ (সোমবার) উপজেলার শহীদ মসিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত শিক্ষকের চাকরিচ্যুত এবং বিচার দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবীতে এ ঘটনায় ১২মার্চ (মঙ্গলবার) স্কুল ম্যানেজিং কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। একই সঙ্গে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, সিংহঝুলী শহীদ মসিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম গত সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কমনরুমের ওয়াশরুমে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুরে দীর্ঘ সময় ধরে স্যার ও তাদের বান্ধবী ওয়াশরুমে অবস্থান করছে। এতে তাদের সন্দেহ হয়। তারা ওয়াশরুমে প্রবেশ করে দেখে তারা দু্জনই অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। এঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ চরম ক্ষুব্ধ হয়। তাদের দাবি চরিত্রহীন কোনো ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারে না। এ কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সবাই। ওই শিক্ষকের বহিষ্কারসহ সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানায় তারা। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায় এই শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকান্ড পুরাতন সভাব। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল। কিন্তু কেউ মুখ খোলেনি। এবার ধরা পড়েছে।
সিংহঝুলী গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, একজন ভাল শিক্ষক হিসেবে আমি কিছু মানুষের রোষানলের শিকার হয়েছি। এঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র বিশ্বাস বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অবহিত করেন। সভাপতি ১২ মার্চ বিকেলে পরিচালনা কমিটির এক জরুরী সভা আহবান করতে বলেন। সভায় ওই শিক্ষককে ২ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রধান শিক্ষক মহাসিন আলীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য দুই জন্য সদস্যরা হলেন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন ও রুবিনা খাতুন। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র বলেন, আমি পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করছি। যে কারনে স্কুলে সময় দিতে পারছিনা। মোবাইলে খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরে কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তখন সত্য প্রমাণিত হলে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি সত্য প্রমাণিত না হয় তা হলে তা বিদ্যালয়ে ফিরে আসতে কোনো বাধা নেই।