10/01/2024
ধর্ম
১ টা ৩৫ মিনিট, ১০জানুয়ারি ২০২৪
সালাম দেয়া কি ওয়াজিব?
ইসলাম সত্য ধর্ম। এ ধর্মের অভিবাদন জানানো হয় দোয়া করে। আর সে দোয়াটি হলো সালাম। একজন ভাই অন্যজনের সঙ্গে দেখা হলেই ইসলাম সালাম দেয়ার তাগিদ দেয়। আর এ সালামই হলো অপর ভাইয়ের জন্য দোয়া। আসসালামু আলাইকুম অর্থ আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
একজন ভাই অন্যজনের সঙ্গে দেখা হলেই ইসলাম সালাম দেয়ার তাগিদ দেয়। আর এ সালামই হলো অপর ভাইয়ের জন্য দোয়া।
একজন ভাই অন্যজনের সঙ্গে দেখা হলেই ইসলাম সালাম দেয়ার তাগিদ দেয়। আর এ সালামই হলো অপর ভাইয়ের জন্য দোয়া।
মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
৩ মিনিটে পড়ুন
হযরত আবু হুরাইরা রা থেকে বর্ণিত রসুলুল্লাহ সা. বলেন, তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর ঈমানদার হতে পারবে না পরস্পরে ভালোবাসা না হলে। তোমাদের কি এমন একটি বিষয়ের কথা বলব, যা করলে তোমাদের পরস্পরে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও। (তিরমিজি ২৬৮৮)
সালাম দেয়া কী
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত এক ব্যক্তি নবী করিম সা.-কে প্রশ্ন করলেন, ইসলামের কোন কাজ সবচেয়ে ভালো? তিনি বললেন, খাবার খাওয়ানো, পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেয়া। (বুখারি ১২)
আরও পড়ুন: কবর স্বপ্ন দেখলে কী হয়?
সালাম দিলে কত নেকি
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত রসুলুল্লাহ সা-এর কাছে একজন লোক এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। নবী করিম সা. বললেন, ১০ (নেকি)। তারপর অন্য এক লোক এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। নবী করিম সা. বললেন, ২০। অতঃপর আরেক লোক এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। নবী করিম সা. বললেন, ৩০। (তিরমিজি ২৬৮৯) আমাদের মাঝে অনেকেই সালামের জবাব সঠিকভাবে দিতে পারি না। অথচ এটা একটা দোয়া।
সালাম এর সঠিক উচ্চারণ
সালামের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ জবাব হলো, ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। নিয়ম হলো, কথা বলার আগেই সালাম দেয়া। প্রথমে সালাম না দিলে রাসূল সা. কথা বলার অনুমতি দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগে সালাম দেয় না তোমরা তাকে (কথা বলার) অনুমতি দিও না। (সিলসিলা সহিহা ৮১৭)
সালাম দেয়া সুন্নাত না ওয়াজিব
সালাম দেয়া সুন্নত, উত্তর দেয়া ওয়াজিব। যদি সালামের দ্বারা কোনো দলকে উদ্দেশ্য করা হয়, তাহলে তার উত্তর দেয়া ওয়াজিবে কেফায়া।