Krishak Radio

Krishak Radio KRISHAK RADIO is the first Online based Community Radio station of Bangladesh.

26/03/2025

স্বাধীনতা মানেই অধিকার, স্বাধীনতা মানেই এক পতাকার ছায়ায় একসঙ্গে পথচলা, আমাদের ঐক্যের প্রতীক। যাদের ত্যাগে পেয়েছি স্বাধীনতা সে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে PinkAsia Limited

08/03/2025

একজন নারী মা, মেয়ে, স্ত্রী, বোন তাই আসুন সবাই নারীদের সম্মান করি ।
বিশ্বের সকল নারীদের জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।

“Happy International Women’s Day”

21/02/2025

২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে এক গৌরবের দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাতৃভাষা রক্ষার জন্য রাজপথে নেমেছিল।

পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বাঙালিরাই সেই গৌরবময় জাতি,যারা ভাষার প্রাণ দিয়েছিল।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমর্থনে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কোর অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে পালনের সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

একুশের এই স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষারপক্ষে বাঙ্গালীদের ত্যাগেরই স্বীকৃতি। জাতি হিসেবে এ মর্যাদা যেমন আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের, তেমনি এ মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। আসুন আমরা সর্বদা সবজায়গায় বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করি। আজকের এই দিনে ইনসানিয়াত পরিবারের এর পক্ষ থেকে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

14/02/2025
01/01/2025

May Motherland Bangladesh and this world of ours move forward against all odds through eternal love, bonds of humanity and harmony and eternal settlement of benevolent good governance and social justice system. Let this be the only new arrangement. Stay away from all the other nonsense.

Happy New Year 2025 !!

সকল বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে জন্মভূমি বাংলাদেশ এবং আমাদের এই পৃথিবী এগিয়ে যাক অনন্ত ভালোবাসা, মানবিক ও সম্প্রীতির বন্ধন এবং কল্যাণকর সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ব্যবস্থার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে। এটাই হোক একমাত্র নতুন বন্দোবস্ত। বাকিসব বাকওয়াজ থেকে সবাই দূরে থাকি।

শুভ নববর্ষ - ২০২৫

19/11/2024

গ্রামীন চিত্রপট

19/11/2024

বারি গম ৩০

ভূমিকা: গম গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি গম ৩০ একটি উচ্চ ফলনশীল তাপ সহিষ্ণু গমের জাত। জাতটি ২০১৪ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক দেশের সকল অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়। বি এ ডব্লিউ ৬৭৭ এবং বিজয় গম জাতের মধ্যে শংকারয়নের মাধ্যমে এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। বিভিন্ন প্রজন্মে বাছাইয়ের পর এ জাতের কৌলিক সারিটি নির্বাচন করা হয়। কৌলিক সারিটি বিভিন্ন বিভিন্ন নার্সারীতে ও ফলন পরীক্ষায় উচ্চ ফলনশীল প্রমাণিত হওয়ায় বি এ ডব্লিউ ১১৬১ নামে সারিটি নির্বাচন করা হয়। বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে ও মাঠ পর্যায়ে ফলন পরীক্ষায় এ সারিটি ভাল বলে প্রমাণিত হয়। দেশের সকল অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য ২০১৪ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক বারি গম ৩০ নামে অবমুক্ত করা হয়।

প্রযুক্তির বিবরণ:

জাতের বৈশিষ্ট্য: জাতটি মাঝারি আকৃতির (৯৫-১০০ সে.মি.) এবং জীবনকাল ১০০-১০৫ দিন। প্রতি শীষে দানার সংখ্যা ৫-৫০টি। দানা সাদা ও চকচকে, হাজার দানার ওজন ৪৪-৪৬ গ্রাম। জাতটি পাতা ও কান্ডের মরিচা রোগ প্রতিরোধী এবং পাতার দাগ রোগ সহিষ্ণু। এছাড়া জাতটি গমের ব্লাস্ট রোগ সহনশীল।

প্রযুক্তি হতে ফলন: হেক্টর প্রতি ফলন ৪০০০-৫৫০০ কেজি।
প্রয়োগের স্থানঃ জাতটি কিছুটা তাপসহিষ্ণু এবং দেরিতে বপনেও ফলন দেয়। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সর্বত্র আবাদের জন্য উপযোগী।
উদ্ভাবনের বৎসর: ২০১৪

উৎপাদন কলাকৌশল:

বপনের সময়: বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ১৫-৩০ নভেম্বর (১-১৫ অগ্রহায়ণ) এবং বীজ হার ১২০ কেজি/হেক্টর।

সারের মাত্রা: ইউরিয়া ১৫০-১৭৫ কেজি/হে., টিএসপি ১৩৫-১৫০ কেজি/হে., এমওপি ১০০-১১০ কেজি/হে., জিপসাম ১১০-১২৫ কেজি/হে. এবং বরিক এসিড ৬.২৫-৭.৫০ কেজি/হে.। সার প্রয়োগ পদ্ধতি: ইউরিয়া সারের দুই তৃতীয়াংশ এবং অন্যান্য সার জমি তৈরির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। বীজ বপনের ১৭-২১ দিনের মধ্যে বাকি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। মাটির pH মান ৫.৫ এর কম হলে হেক্টরপ্রতি ১০০০ কেজি (শতাংশে ৪ কেজি) হারে ডলোচুন গম বীজ বপনের কমপক্ষে ৭ দিন আগে প্রয়োগ করতে হবে। তিন বছর পর পর মাটির ঢ়ঐ মান পরীক্ষা পূর্বক জমিতে ডলোচুন প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আগাছা দমন: চওড়া পাতা জাতীয় আগাছা দমনের জন্য বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ২৫ গ্রাম এফিনিটি পাউডার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে।

সেচ প্রয়োগ: মাটির প্রকার ভেদে ২-৩ টি সেচের প্রয়োজন হয়। প্রথম সেচ চারার তিন পাতার সময় (বপনের ১৭-২১ দিন পর) হালকা ভাবে, দ্বিতীয় সেচ শীষ বের হওয়ার পূর্বে (বপনের ৫০-৫৫ দিন পর) এবং তৃতীয় সেচ দানা গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে (বপনের ৭৫-৮০ দিন পর) হালকা ভাবে দিতে হবে।

অন্যান্য পরিচর্যা: বীজ বপনের পর ১০-১২ দিন পর্যন্ত পাখি তাড়াতে হবে যাতে জমিতে চারার সংখ্যা সঠিক থাকে। গম ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমন হলে ফাঁদ পেতে বা বিষটোপ (জিঙ্ক ফসফাইড বা ল্যানির‌্যাট) দিয়ে দমন করতে হবে।

রোগ-বালাই দমন: দেরিতে বপনকৃত গম ক্ষেতে পাতার দাগ রোগ দমনের জন্য শীষ বের হওয়ার সময় ৫ মিলি টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।

ফসল কর্তন: গম গাছ সম্পূর্নরূপে পেকে হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে কাটা ও মাড়াইয়ের উপযুক্ত হলে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে সকালের দিকে কেটে দূপুরে মাড়াই করা উত্তম। মাড়াই যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই গম মাড়াই করা যায়। মাড়াই করার পর ৩-৪ দিন হালকা রোদে শুকিয়ে বীজের আর্দ্রতা শতকরা ১২ ভাগ বা তার নীচে নামিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

19/11/2024

ব্রি ধান-১০৩

#কৃষিচিত্র

19/11/2024

‘লাভের ফসল’ সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ
কৃষিচিত্র ডেক্স | দৈনিক কৃষিচিত্র | প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

একসময় মীরসরাইয়ে সরিষা ক্ষেত চোখেই পড়তো না। এখন দিনে দিনে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে যাচ্ছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি ‘লাভের ফসল’ সরিষার বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মৌসুমে মীরসরাই উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে বেশি ফলনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও আগ্রহ নিয়ে কৃষকরা সরিষা চাষ করেছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও প্রত্যেক চাষি লাভের মুখ দেখবেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মীরসরাই উপজেলা সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে এবারও প্রায় ১২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা গতবারের চেয়ে ১শ হেক্টর বেশি। গত মৌসুমে চাষ হয়েছিল ১১ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-৯, বিনা-৯/১০, সরিষা-১৫, সোনালি সরিষা (এসএস-৭৫) ও স্থানীয় টরি-৭ আবাদ করে। বিশেষ করে উপজেলার জোরারগঞ্জ, হিঙ্গুলী, ওচমানপুর, হাইতকান্দি, ইছাখালী ও সাহেরখালী ইউনিয়নে সরিষা চাষ হয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর স্থানীয় জাত চাষ করে ফলন কম হওয়া ও উৎপাদনে সময় বেশি লাগার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে উপজেলা কৃষি বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বেশি ফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এ জাতের সরিষা মাত্র ৭৫-৮০ দিনে ঘরে তোলা যায়।

প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। উপজেলার হিঙ্গুলী গ্রামের সরিষা চাষি রশিদুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ১০ কড়া জমিতে বারি-১৪ ও বিনা-৯/১০ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। এ জন্য খরচ হয়েছে মাত্র হাজার খানেক টাকা। ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন ১০ গুণ লাভ হবে।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এ সরিষা উঠিয়ে আবার বোরো আবাদ করতে পারেন বলে একে কৃষকরা ‘লাভের ফসল’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

19/11/2024

নেপিয়ার ঘাস চাষে সম্ভাবনার হাতছানি
কৃষি ডেক্স | দৈনিক কৃষিচিত্র | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

বগুড়ায় অনেকেই গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। ফলে গো-খাদ্য হিসেবে চাহিদা বেড়েছে ঘাসের। কিন্তু দিন দিন ফাঁকা জমি কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে ঘাসের উৎপাদন অনেক কমে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যিকভাবে ঘাসের চাষাবাদ হচ্ছে।

বগুড়া সদর ও গাবতলী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, নেপিয়ার (বিদেশি হাইব্রিড ঘাস) ও দেশীয় ঘাস নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। বগুড়ায় নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা এ ঘাসে অনেকেই নিজের গবাদি পশুর প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।

সেই সঙ্গে দেশীয় ঘাস সংগ্রহেও ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় অনেককে। চাষিরা নির্ধারিত সময়ে জমি থেকে ঘাস কেটে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যান। অনেকে জমির আইল, পুকুর-জলাশয় বা বাড়ির পাশের পতিত জমিতে ঘাস চাষ করছেন। অনেকে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা দেশি ঘাস কেটে পুকুর বা জলশয় থেকে ধুয়ে গবাদি পশুর জন্য বাড়ি নিয়ে যান, কেউ কেউ বিক্রিও করেন এসব ঘাস।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম ভারত থেকে নেপিয়ার ঘাস নিয়ে আসা হয়। পরে সেটি স্থানীয়ভাবে চাষাবাদের উপযোগী করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে এ ঘাসের চাষ ছড়াতে থাকে দেশে। নেপিয়ার ঘাসের চারা একবার জমিতে লাগালে তিন বছরের মধ্যে নতুন করে লাগানোর প্রয়োজন হয় না। নেপিয়ার ঘাসে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত ও পুষ্টিগুণ। গবাদি পশুরু প্রিয় খাদ্য হিসেবে এ ঘাসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের আফজাল হোসেন Krishicitra কে জানান, তিনি পেশায় একজন কৃষক। চাষাবাদ ও গরু পুষে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িতে তার পাঁচটি দুধের গাভী রয়েছে। তিনটি গাভী থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। সেই দুধ বিক্রি করে ও কৃষি কাজ করে তার সংসার খুব ভালোভাবেই চলে।

তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষে গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। বছরের সাধারণ সময়টাতে প্রতি আঁটি ঘাস ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করা হয় এবং কোরবানির ঈদের সময় একই পরিমাণ ঘাস বিক্রি হয় ২০-২৫ টাকায়। প্রতি ছয় সপ্তাহ পর পর ঘাস কাটার উপযোগী হয়।

গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস সামাদ কৃষিচিত্র কে জানান, কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়িতে গবাদি পশু পালন করেন তিনি। বিঘা খানেক জমিতে লাগিয়েছেন নেপিয়ার জাতের ঘাস। বেশ কয়েক বছর ধরে নেপিয়ার ঘাস চাষ করে আসছেন তিনি। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করছেন। এ ঘাস থেকে তার গবাদি পশুর খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বাজারে বিক্রি করা হয়।

তিনি বলেন, অনেকের বাড়িতে দুই থেকে তিনটি করে গবাদি পশু থাকে। তাদের কেউ কেউ প্রতিদিন জমির আইল ও বিভিন্ন ভিটা থেকে দেশীয় ঘাস তুলে সেগুলো পুকুর বা জলাশয়ে ধুয়ে বাড়ি নেন। সবমিলিয়ে বলা চলে, গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে সবুজ ঘাসের গুরুত্ব ও চাহিদা অপরিসীম।

সদর ও গাবতলী উপজেলার কৃষক নুরুল ইসলাম, খোকন মিয়া Krishicitra কে জানান, নেপিয়ার ঘাসে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। সহজ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায় এবং পরিশ্রম অনেক কম। মাঝে মধ্যে ক্ষেতের ভেতরে জন্মানো আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে এ জাতের ঘাস চাষ করে আসছেন। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর পরিমাণ ঘাস বাজারে বিক্রি করেন তারা।

কৃষকরা জানান, নেপিয়ার ঘাস চাষের জন্য জমিতে মই দিয়ে আগাছামুক্ত করার পর চার-পাঁচটি করে ঘাস একসঙ্গে রোপণ করতে হয়। দুই চোখ (অঙ্কুর) বিশিষ্ট মূল চারার জন্য ব্যবহৃত হয়। সারা বর্ষা মৌসুমেই এ ঘাস লাগানো যায়। তবে বর্ষার শুরু রোপণের উৎকৃষ্ট সময়। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রথম বৃষ্টির পর জমিতে রোপণ করা হলে প্রথম বছরেই তিন-চার বার ঘাস কাটা যেতে পারে। এক সারি থেকে অন্য লাইনের দূরত্ব দুই-তিন ফুট হবে এবং এক চারা থেকে অন্য চারার দূরত্ব হতে হবে দেড় ফুট। মাটিতে রস না থাকলে চারা লাগানোর পর পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। সাধারণত প্রতি একর জমিতে রোপণের জন্য সাত-আট হাজার চারা বা কাটিংয়ের প্রয়োজন হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বগুড়ার ১২টি উপজেলার প্রতিটিতে গড়ে তিনশ কৃষক-পরিবার ২৫ থেকে ৪০ একর করে জমিতে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করছেন। তাদের মধ্যে অনেক কৃষক এ জাতের ঘাস চাষের আওতায় এনেছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গেল বছর জেলার মোট ১২টি উপজেলার ৪৬ হাজার ১৫ জন খামারি চার লাখ ২৭ হাজার ২৯৫টি গবাদি পশু লালন-পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এর বাইরেও দুধের গাভী রয়েছে।

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম কৃষিচিত্র কে জানান, গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য ঘাস। পুষ্টিকর ঘাসে দেহ গঠনকারী আমিষসহ প্রায় সব ধরনের উপাদান মজুদ থাকে। উন্নতজাতের অধিক ফলনশীল ঘাসের মধ্যে নেপিয়ার উল্লেখযোগ্য। খাদ্যগুণ বেশি থাকায় গবাদি পশুর জন্য এ ঘাস বেশ উপাদেয় ও পুষ্টিকর। চাহিদা বেশি থাকায় অন্য ফসলের তুলনায় নেপিয়ার ঘাস বেশ লাভজনক।

তিনি বলেন, স্বল্প খরচে বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয় নেপিয়ার ঘাস চাষে। চারণভূমি কমে যাওয়ায় খামারিদের যত ঘাসের প্রয়োজন হয়, তা পূরণে উন্নতজাতের ঘাস চাষের বিকল্প নেই। এ বাস্তবতায় আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে উন্নতজাতের ঘাসের কাটিং দিয়ে থাকি।

আমাদের দেশে বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য পতিত জমিও আস্তে আস্তে খাদ্যশস্য চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে গবাদিপশু আজ চরম খাদ্য সংকটের সম্মুখীন। এ সংকট সমাধানের জন্য অল্প জমিতে গো-খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উন্নতজাতের ঘাস চাষ করা আবশ্যক। উন্নতমানের ঘাস চাষ করা হলে গবাদি পশুর খাদ্য সমস্যা অনেক কমে যাবে। ফলে মানুষের খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যও বাধাপ্রাপ্ত হবে না। নেপিয়ার উন্নতজাতের ঘাস। এ ঘাসের চাষ পদ্ধতি ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানলে অনেকেই চাষ করতে উৎসাহিত হবেন।

#কৃষিচিত্র

19/11/2024

দেড় দশকে কৃষিতে ভর্তুকি দেড় লাখ কোটি, সিংহভাগই হয়েছে লুটপাট
কৃষি ডেক্স | দৈনিক কৃষিচিত্র | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

২০২৩ সালের আগ পর্যন্ত আমদানি করা সারের সরবরাহ ও পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছে পোটন ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক কামরুল আশরাফ খান পোটন। একই সঙ্গে তিনি সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) চেয়ারম্যান ও নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের তদন্তে উঠে এসেছে, পোটন ট্রেডার্স ২০২১ সালেই প্রায় আড়াই লাখ টন সার গায়েব করে দিয়েছে।

এসব সারের ক্রয়মূল্য এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। কৃষি খাতে ওই সময় ভর্তুকি ছিল ছয় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ফলে মোট ভর্তুকির প্রায় ২০ শতাংশ পরিমাণ অর্থ দুর্নীতি করেছে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নানা পর্যায়ে সারের দুর্নীতি ও অপচয়ে প্রকৃত সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন কৃষক।

জানা গেছে, দুই দশক আগেও কৃষিতে ভর্তুকি ছিল দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা। সেই ভর্তুকির অর্থ গত অর্থবছরে ২৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। এমনকি গত ১৬ অর্থবছরে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, যার বেশির ভাগই মেরে দেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ কৃষক সরকারের এই ভর্তুকি সুবিধা পাননি।

গত দেড় দশকের সার নিয়ে নানা কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির কারণে কৃষি খাতে ভর্তুকির পুরো অর্থ কৃষকের কাছে পৌঁছায়নি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে কৃষকের ভর্তুকির টাকা গায়েব ও দুর্নীতি করা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই কাজে নিয়োজিত ছিল। যারা দুর্নীতি করেছে সেই সময় তাদের ঠিকভাবে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ফলে কৃষিতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে কৃষকদের কাছে পৌঁছায়নি। কিন্তু সারের দাম কমাতে এই ভর্তুকির কোনো বিকল্প নেই। গত ১৬ বছরে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে কৃষক আরো কম দামে সার পেতেন। শস্য উৎপাদন আরো বাড়ানো যেত। তাই সামনের দিনে ভর্তুকির অর্থ নিয়ে যারা দুর্নীতি করবে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে নতুন করে এ খাতে দুর্নীতিবাজদের পুনর্জন্ম হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে সাধারণত প্রধান চারটি সার ব্যবহৃত হয়। এগুলো হলো—ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি (পটাশ)। ইউরিয়া সার আমদানি করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। বাকি সার আমদানি করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। গত বছর প্রায় ৬৫ লাখ টন সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২৬ লাখ টন ইউরিয়া, সাড়ে সাত লাখ টন টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট), সাড়ে ১৬ লাখ টন ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং সাড়ে আট লাখ টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া অনান্য সারের চাহিদা প্রায় আট লাখ টন। এর মধ্যে দেশে ইউরিয়া সার উৎপাদন হয় ৯ থেকে ১০ লাখ টন। সব মিলিয়ে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দিতে হয়েছে।

আবার ভর্তুকি সারের দুর্নীতির বড় ক্ষেত্র পরিবহন খাত। বাফার গুদামের জায়গা স্বল্পতার কারণে কম-বেশি তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টন সার সব সময় পরিবহন ঠিকাদারদের কাছে গুদামের বাইরে ট্রানজিটে থাকে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সমাপনী ট্রানজিট সার ছিল দুই লাখ ৭৯ হাজার টন। পরিবহন ঠিকাদারদের পত্র অনুযায়ী, বিল পরিশোধের জন্য প্রভিশনে রাখা সারের পরিমাণ ৯ লাখ ৪৬ হাজার টন। বাকি সারের কোনো উল্লেখ ছিল না। এভাবেই পরিবহন ঠিকাদাররা সার উত্তোলনের পর বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন বাফার গুদামে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি থাকলেও নির্ধারিত সময়ে এসব সার পৌঁছানো হয়নি। এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছে পোটন ট্রেডার্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সার আত্মসাৎ-দুর্নীতির মাধ্যমে ভর্তুকির বড় একটি অংশ লণ্ঠন করেছেন ডিলার, সার ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। গত ১৬ অর্থবছরে এক লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা কৃষিখাতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। যার ৯৮ শতাংশ গেছে সার খাতে। আর সেই সার খাতেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘দেশে সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। ভর্তুকির অর্থ সঠিকভাবে কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের সার পেতে যাতে কোনো ধরনের হয়রান হতে না হয় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আগের সরকারের আমলে সারের দাম বেশি দেওয়ার বিষয়টিও বাতিল করা হয়েছে। প্রতি টন সার আমদানিতে প্রায় ১০০ ডলার বেশি দাম চাওয়া হয়েছিল। আমরা সেই চুক্তি বাতিল করে দাম কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছি। এ ছাড়া সারের ব্যবহার বিধিতে আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করার উদ্যোগ নিচ্ছি।’

#কৃষিচিত্র

Address

Jessore

Telephone

+8801812471070

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Krishak Radio posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category