Unrelesed Islamic Media

Unrelesed Islamic Media Digital Creator

কিছু আমল আমরা সবাই মিলে করি।।।।
09/08/2025

কিছু আমল আমরা সবাই মিলে করি।।।।

09/08/2025

ইসমে আযমের উসীলায় মুনাজাত করা

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ بِاَنَّ لَكَ الْحَمْدَ، لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَ نْتَ الْمَنَّانُ، بَدِيْعُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ اَسْئَلُكَ.

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি এবং জানি যে, তোমারই জন্য প্রশংসা। তুমি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই; তুমি অতি দয়ালু, বড় দাতা, আসমান ও যমীনের অপূর্ব স্রষ্টা। হে মহত্ত্ব ও সম্মানের অধিকারী! হে চিরঞ্জীব, হে প্রতিষ্ঠাতা! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি।

ফায়দা: হযরত আনাছ রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট বসা ছিলেন তখন পাশে এক ব্যক্তি নামাযরত ছিল। নামাযান্তে লোকটি এই দু‘আটি পড়ে দু‘আ করেছিল। আল্লাহর রাসূল তা শুনে বললেন, সে ঐ ইসমে আযম দ্বারা আল্লাহর নিকট দু‘আ করল যে ইসমে আযম দ্বারা আল্লাহর নিকট দু‘আ করলে আল্লাহ কবুল করেন। (সুনানে আবি দাঊদ:১৪৯৫)

اَللّٰهُمَّ اِنِّـيْ اَسْئَلُكَ بِاَنِّـيْ اَشْهَدُ اَنَّـكَ اَنْتَ اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে একথার সাক্ষ্য দেওয়ার উসীলায় প্রার্থনা করছি যে, তুমিই আল্লাহ, তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তুমি এমন একক ও অমুখাপেক্ষি সত্তা, যে কাউকে জন্ম দেয়নি এবং যাকে কেউ জন্ম দেয় নি এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই।

ফায়দা: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে উপরোক্ত ভাষায় দু‘আ করতে শুনে বললেন, ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার জীবন, নিশ্চয় সে আল্লাহর এমন নামের উসীলায় দু‘আ করেছে, যে নামের উসীলায় দু‘আ করলে আল্লাহ কবুল করেন এবং প্রার্থনা করলে দান করেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস:৩৪৭৫)

وَاِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ

(সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৬৩)

অর্থ: তোমাদের উপাস্য (মা‘বূদ) কেবলমাত্র এক উপাস্য। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি সীমাহীন দয়ালু ও অতি মেহেরবান।

الٓمۤ. اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ

(সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১-২)

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।

ফযীলত: হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহ তা‘আলার ‘ইসমে আ‘যম’ উপরোল্লেখিত দুই আয়াতের মধ্যে রয়েছে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ১৪৯৬)

08/08/2025

দু‘আ কবুলের বাধাসমূহ

১। শিরকে লিপ্ত হওয়া।

২। কোনো মুসলমানের সাথে কলহ বিবাদে লিপ্ত থাকা।

৩। মদ্যপানে অভ্যস্ত থাকা।

৪। পিতা-মাতার নাফরমানিতে লিপ্ত থাকা।

৫। খাদ্য ও লেবাস-পোশাক হারাম হওয়া।

৬। কোন গুনাহের বিষয়ে দু‘আ করা।

৭। দু‘আ করে কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা। অর্থাৎ একথা বলা যে, আমি অনেক দু‘আ করলাম কিন্তু কবুল হতে দেখলাম না।

হাদীস শরীফে এসেছে, বান্দার দু‘আ সর্বদা কবুল হতে থাকে যতক্ষণ সে কোন গুনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দু‘আ না করে বা তাড়াহুড়া না করে। (মুসলিম, হাদীস: ২৭৩৫)

বি.দ্র. দু‘আ কবুল হওয়ার অর্থ হচ্ছে, দুনিয়াতেই প্রার্থিত বিষয় লাভ করা বা দু‘আর সওয়াব কিয়ামত দিবসের জন্য সঞ্চিত রাখা অথবা কোনো মুসীবত দূর করা অথবা গুনাহ মাফ করে দেওয়া। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস:৩৩৮১, ৩৬৭

07/08/2025

মুনাজাতের সুন্নাত ও আদবসমূহ

১। আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরূদের মাধ্যমে দু‘আ শুরু করা। যেমন: এভাবে দু‘আ শুরু করা-

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰ لِه وَصَحْبِه اَجْمَعِيْنَ

অর্থ: সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য এবং রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং সকল সাথীবর্গের উপর।

এ হলো হামদ (প্রশংসা) ও সালাতের (দুরূদের) সংক্ষিপ্ত বাক্য। আরো বিস্তারিত ও অনেক ফজীলতপূর্ণ হামদ ও সালাত রয়েছে। যখন সময় বেশি থাকে তখন সেগুলো পড়া উত্তম হবে।

হযরত ফাজালা ইবনে উবায়দ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন বসা ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামায পড়ে দু‘আ করতে লাগল। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো। আমার প্রতি দয়া করো। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, হে মুসল্লী! তুমি তাড়াহুড়া করেছ। তুমি যখন নামায পড়ে বসবে তখন প্রথমে আল্লাহ তা‘আলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করবে অতঃপর আমার প্রতি দুরূদ পড়বে তারপর দু‘আ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আরেকজন লোক এসে নামায পড়ল। আল্লাহর প্রশংসা করল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দুরূদ পড়ল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, হে মুসল্লী! তুমি দু‘আ করো, তোমার দু‘আ কবুল করা হবে। (তিরমিযী, হাদীস:৩৪৭৬)

অন্য হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-

كُلُّ دُعَاءٍ مَحْجُوْبٌ حَتّٰى يُصَلّٰى عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দুরূদ না পড়া পর্যন্ত সকল দু‘আ আটকে থাকে। (ত্ববারানী আউসাত, হাদীস: ৪৩৯৯)

এ ছাড়া আসমায়ে হুসনা ও ইসমে আ‘যমের মাধ্যমে দু‘আ করলেও দু‘আ কবুল হয়। যার বিবরণ মূল কিতাবে বর্ণিত হবে ইনশাআল্লাহ।

২। উযুর সাথে কিবলামুখী হয়ে দু‘আ করা। (মুসলিম, হাদীস: ১৭৬৩)

৩। উভয় হাত সিনা বরাবর সামনে রাখা। হাতের তালু আসমানের দিকে প্রশস্ত করে রাখা। (আবু দাউদ, হাদীস: ১৩১৮,১৪৮৮)

রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নিশ্চয় তোমাদের রব লজ্জাশীল, মহান দাতা। তাঁর বান্দা যখন তাঁর কাছে দু’হাত উঠায় (দু‘আ করার জন্য) তখন তিনি তা শূন্য ফেরৎ দিতে লজ্জাবোধ করেন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস: ৮৭৬; সুনানে আবু দাউদ হাদীস: ১৪৮৮)

৪। হাতের আঙ্গুলসমূহের মাঝে স্বাভাবিক ফাঁকা রাখা।

৫। দু‘হাতের মাঝে সামান্য ফাঁকা রাখা।

৬। মন দিয়ে কাকুতি মিনতি করে দু‘আ করা।

৭। প্রার্থিত বিষয়টি আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে দৃঢ়তার সাথে বারবার চাওয়া।

৮। ইখলাসের সাথে নিঃশব্দে দু‘আ করা মুস্তাহাব। তবে দু‘আ সম্মিলিত হলে এবং কারো নামাযে বা ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হলে স্বশব্দে করাও জায়েয।

৯। দু‘আর শেষে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরূদ পাঠ করে ‘আমীন’ বলা। যেমন:

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ . اَللّٰهُمَّ اٰمِيْنْ

অর্থ: তারা যা দোষারোপ করে তা হতে আপনার প্রতিপালক মহা পবিত্র, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলগণের প্রতি এবং সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য। হে আল্লাহ! তুমি কবুল করো। (সূরা সফফাত,আয়াত: ১৮০-১৮২)

১০। মুনাজাতের পর উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল মুছে নেওয়া।

05/08/2025

মুনাজাতের গুরুত্ব ও ফজীলত

মুমিন বান্দার জীবনে দু‘আ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দুনিয়া ও আখিরাতে সকল আশা আকাংখা পূরণ হওয়া, সব ধরণের কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করা এবং সর্বপ্রকার বালাামুসীবত ও অকল্যাণ-অমঙ্গল থেকে নিরাপদ থাকার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দু‘আ। বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহর কাছে দু‘আ করে আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন। তার দু‘আ কবুল করেন। তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। তার গুনাহ ক্ষমা করেন। তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-

اُدْعُوْنـِيْ اَسْتَجِبْ لَكُمْ اِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دَاخِرِيْنَ.

অর্থ: তোমরা আমার কাছে দু‘আ করো, আমি তোমাদের দু‘আ কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকবে (অর্থাৎ, আমার কাছে দু‘আ করার ব্যাপারে অহংকার করবে) তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মু’মিন, আয়াত: ৬০)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-

وَاِذَا سَاَلَكَ عِبَادِيْ عَنِّيْ فَاِنِّيْ قَرِيْبٌ اُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ اِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيْبُوْا لِيْ وَلْيُؤْمِنُوْا بِيْ لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُوْنَ.

অর্থ: যখন আপনার কাছে আমার বান্দারা আমার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে তখন তাদেরকে বলুন নিশ্চয় আমি তাদের নিকটে আছি। দু‘আকারী যখন আমার কাছে দু‘আ করে তখন আমি তার দু‘আ কবুল করি,সুতরাং তারাও (আমার বান্দারাও) যেন আমার কথায় সাড়া দেয়। (আমার আদেশ-নিষেধ মেনে নেয়) আমার প্রতি ঈমান রাখে,তাহলে তারা সঠিক পথ প্রাপ্ত হবে। (সূরা বাকারা, আয়াত:১৮৬)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

اَلدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ

অর্থ: দু‘আই হচ্ছে ইবাদত। (তিরমিযী, হাদীস:২৯৬৯)

তিনি আরো বলেন-

اَلدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ

দু‘আ হচ্ছে ইবাদতের মগজ। (তিরমিযী, হাদীস:৩৩৭১)

তিনি আরো বলেন-

لَيْسَ شَيْءٌ اَكْرَمَ عَلَى اللهِ تَعَالٰى مِنَ الدُّعَاءِ

অর্থ: আল্লাহর নিকট দু‘আর চেয়ে অধিক প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ কোনো জিনিস নেই। (তিরমিযী, হাদীস:৩৩৭০)

তিনি আরো ইরশাদ করেন-

مَنْ لَمْ يَسْاَلِ اللهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ

অর্থ: যে আল্লাহর কাছে চায়না আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। (তিরমিযী, হাদীস:৩৩৭৩)

তিনি আরো বলেন,

اَلدُّعَاءُ سِلاَحُ الْمُؤْمِنِ، وَعِمَادُ الدِّيْنِ، وَنُوْرُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ.

অর্থ: দু‘আ মুমিনের অস্ত্র, দীনের স্তম্ভ, আসমান ও যমীনের নূর। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস:১৮১২)

রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন,

اِنَّ الرَّجُلَ لَيُحْرَمُ الرِّزْقَ بِالذَّنْبِ يُصِيْبُهُ وَلَا يَرُدُّ الْقَدَرَ اِلَّا الدُّعَاءُ وَلَا يَزِيْدُ فِي الْعُمُرِ اِلَّا الْبِرُّ.

অর্থ: নিশ্চয় মানুষ রিযিক থেকে বঞ্চিত হয় তার কৃত গুনাহের কারণে, দু‘আই কেবলমাত্র তাকদীরকে পরিবর্তন করতে পারে আর নেক কাজই একমাত্র হায়াত বৃদ্ধি করতে পারে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ২২৩৮৬)

مَنْ اُعْطِىَ الدُّعَاءَ لَمْ يُحْرَمِ الْاِجَابَةَ

যাকে দু‘আ করার তাওফীক দেয়া হয়, কবুল হওয়ার নেয়ামত থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয় না। (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস: ৪৫২৮)

আরবীর বাংলা উচ্চারণ পড়ার নিয়মباسمه تعاليঅনেকেই আরবীর উচ্চারন বাংলায় লিখে দিতে বলেন। তাদের এই আবদার সহী না। আরবী উচ্চারণ ...
04/08/2025

আরবীর বাংলা উচ্চারণ পড়ার নিয়ম

باسمه تعالي

অনেকেই আরবীর উচ্চারন বাংলায় লিখে দিতে বলেন। তাদের এই আবদার সহী না। আরবী উচ্চারণ বাংলা অক্ষর দিয়ে লিখা সম্ভব না। কেননা, আরবী উচ্চারন বাংলায় লিখে পড়তে চাইলে কখনো সহীহভাবে পড়া সম্ভব না। তাই মুফতীয়ানেকেরাম বাংলা উচ্চারণ লিখা, পড়া, বাংলা উচ্চারণ লিখে কিতাব ছাপানো, ঐ কিতাব বিক্রি করা বা ক্রয় করাকে নাজায়েয ফাতওয়া দিয়েছেন। তাই আমরা নিজেকে এবং অন্যকে উক্ত গুনাহ থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে আরবীর উচ্চারণ দেই নি।

বয়স যতই হোক না কেন সহীহভাবে তিলাওয়াত শিক্ষা করা সবার জন্য জরুরী। শিখা অবস্থায় কোন ভুল হলে আল্লাহ তা মাফ করে দেন। তাই আমরা নূরানী ট্রেনিং এর মাধ্যমে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা শুরু করি। মৃত্যু পর্যন্ত চেষ্টা করতে থাকি। আল্লাহ অবশ্যই আমাদের ভুল ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তবু আরবীর উচ্চারণ অন্য ভাষায় পড়বো না।

* মুনাজাতে মাকবুল-এ যে অর্থ দেয়া আছে তা নিজের মতো করে পড়লেও দু‘আ হয়ে যাবে। আমরা সকলের দিকে লক্ষ্য করেই, যতটুকু সম্ভব সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেছি।

سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا اِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا اِنَّكَ اَنْتَ الْعَلِيْمُ الْحَكِيْمُ

অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তুমি আমাদেরকে যে ইলম (জ্ঞান) শিখিয়েছ তা ছাড়া আমাদের কোনো ইলম নেই। নিশ্চয় তুমি সমস্ত ইলম ও হিকমতের অধিকারী। (সূরা বাক্বারা, আয়াত: ৩২)

رَبِّ يَسِّرْ وَلَا تُعَسِّرْ وَتَمِّمْ بِالْخَيْرِ

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! তুমি সহজ করো, কঠিন করো না এবং সুন্দরভাবে পরিপূর্ণ ও সমাপ্ত কর।

হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালাম সেই সম্প্রদায়কে শিরক ও মূর্তিপূজা ত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদত করতে এবং অত্যাচার-অনাচার ত্যাগ করে ...
03/08/2025

হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালাম সেই সম্প্রদায়কে শিরক ও মূর্তিপূজা ত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদত করতে এবং অত্যাচার-অনাচার ত্যাগ করে ন্যায় ও সত্যের পথ ধরার দাওয়াত দিলেন। কুরআনুল কারীমের নিম্নোক্ত আয়াতে এ কথাই ব্যক্ত হয়েছে,فَقَالَ یٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللهَ مَا لَكُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَیْرُهٗঅর্থঃ তিনি বললেন, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। (সূরা আ‘রাফ, আয়াত: ৫৯)এখানে প্রথম বাক্যে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। এটাই মূলনীতি। দ্বিতীয় বাক্যে শিরক ও কুফর থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এটি এই সম্প্রদায়ের মধ্যে মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল।হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালাম দীর্ঘ সাড়ে নয়শত বছর তাদের মাঝে অবস্থান করেছিলেন এবং তাদের সৎপথে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক লোকই কেবল ঈমান এনেছিল। কোন কোন বর্ণনামতে, মাত্র চল্লিশজন পুরুষ ও চল্লিশজন মহিলা তার দাওয়াতে সাড়া দিয়ে ঈমান এনেছিল।হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালাম তার কওমকে দাওয়াত দিতে গিয়ে বললেন, তোমরা ঈমান এনে বিগত গুনাহর জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো। যদি তোমরা ঈমান এনে খাঁটি দিলে তাওবা করো তা হলে এর বিনিময়ে তোমরা পরকালে তো মুক্তি পাবেই আবার দুনিয়ার যিন্দেগীতেও তোমাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিয়ামত ও অনুগ্রহের দরজা খুলে দেয়া হবে। কিন্তু হতভাগার দল নবীর এ কথার প্রতি কর্ণপাত করলো না। বরং ক্রমশ তারা নাফরমানীর দিকেই ধাবিত থেকে থাকল।হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালাম তাদের এক পুরুষের ঈমানের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে দ্বিতীয় পুরুষের ঈমানের ব্যাপারে আশাবাদী হতেন। দ্বিতীয় পুরুষের পর তৃতীয় পুরুষের ব্যাপারেও এমনি আশাবাদী হয়ে তিনি কর্তব্যপালনে লিপ্ত থাকতেন। কারণ, তাদের পুরুষানুক্রমিক বয়স হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালামের বয়সের মতো এতটা লম্বা ছিল না। মুজিযা হিসাবে তিনি লম্বা হায়াত পেয়েছিলেন।কিন্তু যখন সেই সম্প্রদায়ের একের পর এক পুরুষ অতিক্রান্ত হতে থাকে এবং প্রত্যেক ভবিষ্যৎ পুরুষ বিগত পুরুষ অপেক্ষা আরো বেশী অপরাধী প্রমাণিত হতে থাকে, তখন হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালাম সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা‘আলার দরবারে অভিযোগ করে বললেন,قَالَ رَبِّ اِنِّیْ دَعَوْتُ قَوْمِیْ لَیْلًا وَّ نَهَارًا ○ فَلَمْ یَزِدْهُمْ دُعَآءِیْۤ اِلَّا فِرَارًا○অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা, আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবা-রাত্রি দাওয়াত দিয়েছি। কিন্তু আমার দাওয়াত তাদের পলায়নকেই বাড়িয়েছে। (সূরা নূহ, আয়াত: ৫-৬)হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালাম আরো বললেন, হে পরওয়ারদিগার, দলবদ্ধভাবে ও পৃথক পৃথকভাবে, প্রকাশ্যে ও সংগোপনে সর্বোতভাবে তাদের দীনের পথে আনার চেষ্টা করেছি। কখনও আযাবের ভয় দেখিয়েছি, কখনও জান্নাতের নিয়ামতরাজির লোভ দেখিয়েছি। আরো বলেছি, ঈমান ও সৎকর্মের বরকতে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দুনিয়াতেও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন। আর পরকালে জান্নাতের মহানিয়ামত তো রয়েছেই। কখনও তাদের আপনার (আল্লাহ তা‘আলার) কুদরতের নিদর্শনাবলী পেশ করে বুঝিয়েছি। কিন্তু তারা কিছুতেই কর্ণপাত করলো না। বরং তারা আমাকে পথভ্রষ্ট মনে করলো।এ সম্পর্কে এক আয়াতে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে,قَالَ الْمَلَاُ مِنْ قَوْمِهٖۤ اِنَّا لَنَرٰىکَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ○অর্থঃ তার সম্প্রদায়ের সরদাররা বললো, আমরা আপনাকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতার মাঝে দেখতে পাচ্ছি। (সূরাআ‘রাফ, আয়াত: ৬০)

23/06/2024

- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরাফাতের দিন
জাহান্নাম থেকে যতো অধিক
সংখ্যক বান্দাকে নাজাত দেন,
অন্য কোন দিন এতো অধিক বান্দাকে
নাজাত দেন না ।
- হযরত আয়েশা (রাঃ)

23/06/2024

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

03/06/2024

Address

Jhikorgachha
Jessore

Telephone

+8801925193453

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Unrelesed Islamic Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share