14/11/2024
তিনি আসলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর প্রতিশোধ নেবার জন্য এ দেশে ফিরে এসেছিলেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট তার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয় তখন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের অনেকের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্ত উনাকে বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে তো আসেই নাই, বরং তাকে হত্যার পর ২ দিন বঙ্গবন্ধুর লাশ সিঁড়ির উপর উল্টো হয়ে পড়ে থাকলেও আওয়ামী লীগের কেউ তার লাশটা পর্যন্ত তুলতেও এগিয়ে আসে নাই, বরং তার লাশ উদ্ধার বাদ দিয়ে অনেক আওয়ামী লীগের নেতারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথেই একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের সরকারে যোগদান করেছে। অন্যদিকে এক প্রকার মাটিচাপা দেয়ার মত কোন মতে কয়েকটি মানুষ বঙ্গবন্ধুকে কবরস্থ করেছিল। অথচ আওয়ামী লীগের ছিল কোটি কোটি নেতা কর্মী। কেউ একটা প্রতিবাদ মিছিল পর্যন্ত করেনি , বরং কোন কোন আওয়ামীলীগের নেতা বঙ্গবন্ধুর হত্যায় সমর্থন দিয়ে ফেরাউনের পতন বলে আখ্যায়িত করেছিল।
এটা শেখ হাসিনা ভুলে যান নাই। তাই তিনি প্রতিশোধ নিতেই বোন রেহানাকে নিয়ে ১৯৮১ সালে মিশন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন । এবং প্রতিশোধ নেবার জন্য এত বছর কাজ করে গেছেন। তিনি সচেতন ভাবেই এদেশের মানুষের কাছে হিংস্র শাসন আর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের জনগণের কাছে হায়ানা রুপে দাড় করিয়ে দিলেন । লাখ লাখ লীগের নেতা কর্মীর এমন হাল করে দিয়ে গেছেন যে তারা পালানোর পথও পাচ্ছে না। হাসানুল হক ইনুর ট্যাংকের লাফ কোর্টের লাথি খাওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেখছেন। অন্য দিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ কারী তাকে শেখ হাসিনা কৌশলে আওয়ামী লীগের বাহিরে রেখে উনাকে নিরাপদ রেখে গেছেন ।
শেখ হাসিনা যে ভারত থেকে বোনকে নিয়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন, বোনকে নিয়ে সেই ভারতেই পালালেন তিনি। তার পলায়নের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে অবসান ঘটলো শেখ পরিবারের নেতৃত্বের। দীর্ঘ ৪৩ বছরে শেখ পরিবারের হত্যাকারীদের বিচারসহ হাসিনা চরিতার্থ করেছেন তার সকল বিকৃত জিঘাংসা। স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় শাসন করেছেন বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন করে বংশের সব সদস্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিভিন্ন দেশে। পদত্যাগ করার শেষ মূহূর্তেও দম্ভ, অহমিকা ও ঔদ্ধত্য স্পষ্ট ছিলো তার আচরণে। “বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো পালায় না” এমন উক্তি তিনি করেছেন বহুবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পালিয়েছেন সবকিছু পেছনে ফেলে। পালিয়ে ওনার বহু পুরনো প্ল্যানের সারথক রুপ দিলেন ।
শেখ হাসিনা সফল ভাবেই তার পিতার হত্যার পূর্ণাঙ্গ প্রতিশোধ নিয়ে চলে গেলেন। কিন্ত লীগের অন্ধ ভক্তরা শেখ হাসিনার এই চাল বুঝতেই পারে নাই। এখনও এরা মনে করে শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবে । কর্মীদের কে ব্যবহার করে টাকা কামিয়ে এখন দেশ ছাড়া । আবার কর্মীদের ব্যবহার করতে চান। এ খেলায় কর্মীরা আর পা দিবে না । বাংলাদেশে 'হাসিনা আধ্যায়'-এর সমাপ্তি হলো। 'অত্যাচারী শাসক' তকমা গায়ে নিয়েই তাকে আগামীর বাংলাদেশ মনে রাখবে। পদ্মা সেতু থেকে মেট্রো রেল-চাপা পড়ে গেছে তার অপশাসন, গুম, দুরনিতি আর শত শত লাশের স্তূপের নীচে ।