19/03/2025
পৃথিবীতে মুসলমানরা মার খাচ্ছে তার কারণ তারা নিজেদেরকে জঙ্গি ডাক শুনতে লজ্জা ও ঘৃণাবোধ করে। যেদিন এই জঙ্গি মৌলবাদ,জিহাদী নাম নিয়ে রাজপথে চিৎকার করতে পারবে সেদিন মুসলমানরা গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা যোদ্ধা এবং সর্বচ্চ ক্ষমতায় অধিকারি হবেন । পৃথিবীর সকল শয়তানের পূজারিরা সে দিন এই জঙ্গি নাম শুনলে ভয়ে পালাতে শুরু করবে। সব সময়ের জন্য মুসলিমদেরকে পৃথিবীর সকল ভালো কাজের পক্ষে এই শয়তানের পক্ষের অনুসারীরা বাঁধা সৃষ্টি করবেন। মুসলমানদের সাথে মিশে মুসলমানদেরকে ধ্বংস করার নকশা তৈরি করবেন। মুসলমানদের সাথে এই শয়তানের পূজারিরা কোনদিন সম্মুখ যুদ্ধে বিজয় লাভ করতে পারেন নি। এ জন্য মুসলিমদের ধ্বংস করার কৌশল হিসাবে তাদের হাতিয়ার হলো এই সমস্ত উপাধি। বর্তমানে পৃথিবীতে মুসলমানদের সম্মানিত নেতা ও সত্য পক্ষের শক্তিকে ধ্বংস করবার জন্য শয়তান পক্ষ মুসলমানদের কিছু উপাধি দিয়েছেন যেমন জঙ্গি, তালেবান, মৌলবাদী, জিহাদি ইত্যাদি। এই নাম দিয়ে এখন বিশ্বে তারা মুসলমান হত্যা করছেন অন্যদেশের ভূখণ্ডে বসে। শয়তানের এই বিচক্ষণ চাল আমাদের মুসলমানদেরকেও প্রভাবিত করেছে। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজদেশের সোনার মানুষগুলোকে হত্য করছেন বিভিন্ন দেশের সরকার। মুসলমানরা আজ অন্যদেশের সংবিধান অনুসরণে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। তারা এখনো তাদের কোরআন কে সংবিধান হিসাবে মেনে নিতে নারাজ। এই জন্যই পৃথিবীর জুড়ে তাদের অধঃপতন দৃশ্যমান। পৃথিবীর ভোগ বিলাসিতার জন্য মুসলমানদের ঐতিহ্য ভুলে গেছে তারা। শয়তানদের বিপক্ষে যুদ্ধ যদি খারাপ কিছু বয়ে আনতো তাহলে, নবী ও সাহাবীদের যুদ্ধ করার দরকার পরত না। যোদ্ধারা সবসময় সম্মানিত হয় যেটা হোক পৃথিবী বা আখিরাতে। পৃথিবীতেও পক্ষ দুইটি, আর যোদ্ধাদেরও পক্ষ দুইটি, একটি ন্যায়ের পক্ষের যোদ্ধারা অপরটি অন্যায়ের সমর্থনকারীরা। পৃথিবীর জন্ম আজ না এখানে লক্ষধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে গেছে। কিন্তু পরিশেষে সত্য পক্ষের জয় সুনিশ্চিত হয়েছে। শয়তান সবসময় পালিয়ে যান কিন্তু শয়তান খুবি নিকটে থাকে মুসলমানদের সেটা বুঝতে হবে। যুদ্ধের মূল শক্তি দুইটি একটি মানুষ অপরটিও মানুষ। আর একটি সত্য পক্ষ অপরটি শয়তান দ্বারা প্রভাবিত।
গণতন্ত্র কখনো নীতি আর্দশবান কাউকে নির্বাচিত করেন না বরং গণতন্ত্র সমাজের সামর্থবান বেক্তিদেরকে উদ্ভুদ্ধ করে। গনতন্ত্রের আর এক নাম ‘অমানবিক সিদ্ধান্ত’ যেটা মানুষের সাথে জুলুমের সামিল। এই গনতন্ত্র চর্চার জন্য মানুষ আজ মরিয়া গোটা বিশ্ব যেটা ওই শয়তান পক্ষের দ্বারা সৃষ্টি এবং এর কর্মকান্ড চলমান। এই গনতন্ত্র বাঙ্গালীকে কি উপহার দিয়েছেন যুগের পর যুগ? শুধু লাশ আর রক্তের হলি খেলা, চোরের দেশ হিসাবে, দুর্নীতি ও ঘুষখোর তৈরিতে উৎসাহ যোগানো,নারী ধর্ষণ ও মাদকের ব্যবহারে সমাজকে পঙ্গু করে দেওয়া । একটা সরকারের পালাবদলে গোটা সংবিধানের সকল সদস্য শয়তানের মতো পালিয়ে যাওয়া শেখায় আমাদের গনতন্ত্র। এই বাঙালি মুসলিমদের আল্লাহ যথেষ্ট সমার্থন দিয়েছেন তাদের ভিতরে দিয়েছেন প্রবাল ইচ্ছা শক্তি, কর্মদক্ষতা,অন্যদের দের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষিপ্রতাসম্পন্ন মনোভাবের অধিকারী হিসাবে। এই ক্ষিপ্রভাবাপন্ন মনোভাব ভবিষ্যতের জন্য এই জাতির সেরা ১০ তম শক্তিধর দেশ বির্নিমাণে জন্য ভূমিকা পালন করবেন। যদিও এ অর্জন হবে বাঙালির জন্য খুবি ভয়াবহ ও কঠিন। দুই দিকের শত্রুপক্ষের অমানবিক নিষ্ঠুর কর্মকান্ড বাঙালির হৃদয়েকে সংকুচিত করতে থাকবে।
একদল সত্য পক্ষের মুজাহিদগণ সবসময় বাঙালি মুসলমানদের হৃদয়কে প্রজ্বলিত করে রাখতে সক্ষম হবেন। এই মহাযুদ্ধে বাঙালির কোটি প্রাণ ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি হবে এক নতুন বাংলা রাষ্ট্র যেটার আয়াতন ৪ গুণ বৃদ্ধি পাবে। অবসান ঘটবে ‘আমানবিক তন্ত্রের’। শুরু হবে ইসলামি বিপ্লব। অচিরেই সেই যুদ্ধের সুঘ্রাণ পাচ্ছি। সামনে পাশ্ববর্তী দেশ ও বিশ্বের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। ‘বঙ্গভূমি জিন্দাবাদ’ ।