Leonardo Raz

Leonardo Raz ♟️♣️🚡💠

16/10/2024

স্টারশিপ হেভি বুস্টারকে কিভাবে ল্যান্ড করানো হয়?

স্টারশিপ হেভি বুস্টার (Super Heavy Booster) স্পেসএক্স (SpaceX) দ্বারা উন্নত একটি রকেট যা স্টারশিপ সিস্টেমের প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করে। এই বুস্টারকে ল্যান্ড করানোর জন্য স্পেসএক্স তাদের ল্যান্ডিং টেকনোলজি এবং কৌশল ব্যবহার করেছে যা তারা পূর্বে ফ্যালকন ৯ রকেটে সফলভাবে প্রয়োগ করেছিলো। তবে, স্টারশিপের বুস্টার অনেক বড় এবং শক্তিশালী হওয়ায় ল্যান্ডিং প্রক্রিয়ায় কিছু নতুন উপাদান যোগ করা হয়েছে।স্টারশিপ হেভি বুস্টারের ল্যান্ডিং প্রক্রিয়া জটিল হলেও, এটি মূলত কয়েকটি ধাপে বিভক্ত থাকে—গ্রিড ফিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ, বুস্টব্যাক বার্ন, এন্ট্রি বার্ন, এবং ল্যান্ডিং বার্নের মাধ্যমে ধীরে ধীরে অবতরণ। বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত টাওয়ারের মাধ্যমে বুস্টারকে ধরে ফেলা হয় যাতে সেটি পুনরায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত থাকে।এইখানে কোন এলিয়েন টেকনোলজি নাই।সব ফিজিক্স এর খেলা । এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে নিরাপদে অবতরণের মাধ্যমে সফলভাবে ল্যান্ড করতে পারে। নিচে এই ল্যান্ডিং প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি:

১. গ্রিড ফিন ব্যবহার:

স্টারশিপ হেভি বুস্টারের ল্যান্ডিংয়ের সময় প্রথম যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো এর গ্রিড ফিন বা নিয়ন্ত্রণকারী ফিন। এই ফিনগুলো বুস্টারটির পুনঃপ্রবেশ এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এর অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করে। লঞ্চপ্যাডের কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য বুস্টারটির গতি এবং কোণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ফিনগুলি ব্যবহার করা হয়।

২. বুস্টব্যাক বার্ন:

বুস্টারটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসার পর, এটি বুস্টব্যাক বার্ন (boost-back burn) করে। এটি একটি রকেট ইঞ্জিন ফায়ারিং যা বুস্টারটির গতি কমিয়ে দেয় এবং তাকে নির্দিষ্ট ল্যান্ডিং অঞ্চলের দিকে ফেরত নিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করে যে বুস্টারটি সঠিক ল্যান্ডিং স্থানে ফিরে আসতে পারে।

৩. এন্ট্রি বার্ন:

এর পরবর্তী ধাপ হলো রি এন্ট্রি বার্ন যা বুস্টারটি যখন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন করা হয়। এটি বুস্টারটির গতি কমিয়ে দেয় এবং তাকে নিরাপদে পৃথিবীর পৃষ্ঠে প্রবেশ করতে সহায়তা করে। এই বার্নের ফলে বুস্টারটির তাপ কমে যায় এবং বাতাসের প্রতিরোধের কারণে তা ধীরে ধীরে নেমে আসে।

৪. ফাইনাল ডেসেন্ট এবং ল্যান্ডিং বার্ন:

বুস্টারটি মাটি থেকে কয়েকশ মিটার উপরে থাকার আগেই ল্যান্ডিং বার্ন চালানো হয়। এতে ইঞ্জিনগুলি চালু করা হয়, যাতে বুস্টারটি ধীরে ধীরে নামতে পারে। ল্যান্ডিংয়ের সময় বুস্টারটির নিচে থাকা ইঞ্জিনগুলো গতি কমিয়ে ধীরে ধীরে বুস্টারটিকে অবতরণ করতে সাহায্য করে।

৫. ল্যান্ডিং স্ট্রাকচার:

স্পেসএক্স স্টারশিপ হেভি বুস্টারের জন্য একটি বিশেষ ল্যান্ডিং স্ট্রাকচার তৈরি করেছে। ফ্যালকন ৯ এর মতো এতে ল্যান্ডিং লেগ নেই। পরিবর্তে, স্পেসএক্স একটি বৃহৎ ল্যান্ডিং টাওয়ার ব্যবহার করেছে, যাকে “Mechazilla” বলা হয়। এটি বুস্টারটি ল্যান্ডিংয়ের সময় দুই পাশে থেকে ধরে ফেলে, যাতে বুস্টারটি সরাসরি মাটিতে না পড়ে এবং সেটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য থাকে। এই টাওয়ারটি একধরনের বিশাল হাত বা আর্মের মতো কাজ করে যা বুস্টারটিকে ধরে সুরক্ষিতভাবে ধরে রাখে।

লেখকঃ- আহমেদ ইমতিয়াজ সোহেল
এরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি
ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড প্ল্যানেটারি সাইন্স

02/03/2024
বাংলা সালতানাতের উপর লেখা ঐতিহাসিক ফিকশন “শেষ উত্থান” উপন্যাসের অংশ বিশেষ। ঘোড়সওয়ার এগিয়ে এসে অভিবাদন করে দাউদ শাহের হাত...
22/10/2023

বাংলা সালতানাতের উপর লেখা ঐতিহাসিক ফিকশন “শেষ উত্থান” উপন্যাসের অংশ বিশেষ।

ঘোড়সওয়ার এগিয়ে এসে অভিবাদন করে দাউদ শাহের হাতে সিল করা খাপটা তুলে দিলো৷ সিল ও খাপ ছিঁড়ে সুলতান ভিতরের চিঠিটা বার করে পড়তেই আতঙ্কে তার মুখ রক্তশূণ্য হয়ে গেলো৷

- আহমেদ আমার ঘোড়া নিয়ে এসো৷ বেশি লোকের দরকার নেই শুধু তুমি আর দুজন সুবেদার আমার সাথে যাবে৷ জলদি করো আমরা এখনি বের হবো৷
- বাকিদের কি জানাবো?
- এখন দরকার নেই৷ আর মেহমেদেরও এখন যাওয়ার দরকার নেই৷ মেহমেদ তুমি যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারো৷ চাইলে ফিরোজাবাদে চলে যেতে পারো তবে এখন না৷ রাতে তোমার বের হওয়া ঠিক হবেনা আর সবসময় অস্ত্র সাথে রাখবে এই জঙ্গলে মারাত্মক সব জানোয়ারের অভাব নেই৷
- ঠিক আছে জাঁহাপনা।

সেদিন সারারাত ঘোড়া ছুটিয়ে সুলতান যখন ফিরোজাবাদ প্রাসাদে ঢুকলেন তখন পুবের আকাশে সোনার রং ধরতে শুরু করেছে। প্রাসাদের অর্ধেক মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। খাসমহলের ফটকে প্রধদান দ্বাররক্ষীর সঙ্গে দেখা হলো বাদশাহর।

- জাঁহাপনা আপনি হঠাৎ এখানে!
- হাসানের জ্বরের খবর শুনে ওখানে কি আর বসে থাকা যায়।
- শাহজাদার জ্বর! কই তিনি তো একটু আগেই বের হলেন ফজরের নামাজের জন্য।
- আমার কাছে তো প্রাসাদ থেকেই খবর এলো যে হাসানের প্রচণ্ড জ্বর হয়েছে আর হাঁপানি আরও বেড়ে গেছে৷
- জাঁহাপনা সম্পূর্ণ ভুল খবর৷ ওইতো শাহজাদা আসছেন৷ দেখুন।
জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন দাউদ শাহ। হাসান প্রাসাদে ঢুকেছে। খাসমহলের নিচের পাথরবাধানো পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বাগানের দিকে৷ বাগানে এসেছে তার পরিবারের সবাই৷ নিজের ছেলেমেয়েদের সুস্থ দেখে হাফ ছাড়লেন তিনি৷ হঠাৎ তাঁর খেয়াল হলো কি ভয়ানক এক ভুল তিনি করে ফেলেছেন।
- গাজী মিয়া তাহলে আমাকে কেন কেউ ভুল খবর দিবে। আমায় ভুল খবর দিয়ে কার কি লাভ।
হঠাৎ দরজা খুলে গেল। গাজী মিয়া পিছু হটে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন৷ আর সাথে সাথে উল্টোদিকের দরজা দিয়ে ঢুকলো হাসান ও এসমাহান। দুজনকেই কাছে টেনে নিয়ে বসলেন তিনি। সমস্ত চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলে ছেলেমেয়েকে আদর করতে করতে দরজায় দাঁড়ানো দাসীদের আদেশ দিলেন সকালের খাবার আনার৷ তার যে হিসেবের একটা বড়সড় গরমিল হয়েছে সেই চিন্তাটা হাসান আর এসমাহানের হাসির নিচে চাপা পড়ে গেলো৷



- সেলিম বুঝার চেষ্টা করো এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবেনা৷ মাত্র পাচঁ জন সিপাহিকে মেরে ফেললে মেহমেদ আমাদের হাতের মুঠোয়৷
- ওই পাঁচজনের একজনও যদি বেঁচে যায় তাহলে গর্দান যাবে আমাদের।
- নিজেকে সিংহাসনে বসাতে চাইছো আর পাঁচজন সাধারণ সিপাহিকে মারতে ভয় পাঁচ্ছো। মেহমেদ হলে এতক্ষণে পাঁচ জনের কাটা মাথা মাটিতে পড়ে যেতো।
- খবরদার আমার সাথে ওর তুলনা দিবেন না৷
- তুলনা দেওয়ার সুযোগ তুমিই করে দিচ্ছো ওকে বাচিয়ে রেখে।
- তাহলে আর সুযোগ দিবোনা৷ যা করার আজই করে ফেলুন৷
- সেজন্যই তো দাউদকে এখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারো মেহমেদ কাল সকালের সূর্য দেখতে পাবেনা৷
- তারপর?
- তারপর দাউদ, জুনাইদ আর হাসানের পালা।

সবার অলক্ষ্যে তাঁবুর বাইরে একজোড়া পা টলতে টলতে টেনে নিয়ে চলেছিলো ১০ বছরের এক শিশুর শরীরকে ৷ মেহমেদের চারপাশের পৃথিবীটা ভেঙে পড়ছিলো চুরমার হয়ে। এতদিন ধরে কতলু খাঁর স্বভাব যে অস্বস্তিটা সে লক্ষ্য করেছে তার কারণ এটা৷ সেলিম আর কতলু খাঁ এতো বড় বিশ্বাসঘাতক। তারা এই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারলো তাও খোদ নিজের ভাইয়ের সাথে, বাবার সাথে এমনকি স্বয়ং বাদশাহর সাথে৷

দুপুর গড়িয়ে গেলো। মেহমেদ এখনও টলছে, বারবার সে নিজেকে বোঝাতে চাইছে সে যা শুনেছে তা ভুল৷ কিন্তু সূর্য যত পশ্চিমে ঢলতে লাগলো মেহমেদের মনে আতঙ্ক ততই বাড়তে লাগলো। সন্ধ্যার কিছু পরে মেহমেদ নিজের তাঁবুতে বসে ছিলো। তলোয়ারটা বারবার বের করে দেখছে সে৷ কোমরের পিস্তলটায় গুলি সত্যিই আছে কিনা দেখসে সে৷ হঠাৎ দুটো তীর ছুটে এলো তাকেই লক্ষ্য করে৷ কোনো রকমে নিজেকে বাচিঁয়ে ঘুরে দাড়াতেই কতলু খাঁ ও সেলিম তার সামনে এসে দাঁড়াল। দুজনের হাতের তলোয়ার রক্তে ভেসে যাচ্ছে। হাতের বন্দুক তুলতে গিয়ে ঘোড়ার উপর চাপ পড়তেই কানফাটানো শব্দে গুলি বেড়িয়ে এলো৷ আর সেটা লাগলো সেলিমের বুকে কতলু খাঁ তার দিকে ছুটে যেতেই মেহমেদ তলোয়ারের কোপ বসালো তার কাধে৷ তারপর তীরবেগে ছুটে গেলো বাইরে৷ কোনোরকমে ঘোড়ার পিঠে উঠে পড়লো সে কিন্তু ঘোড়া। ছোটানোমাত্র পিছন থেকে ধেয়ে এলো কয়েকটি তীর আর গুলি৷ একটা গুলি তার কাঁধের চামড়া ছিঁড়ে বেরিয়ে যেতেই সে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলো নদীর পানিতে৷ স্রোতের দিকে আহত অবস্থাতেই প্রাণপণে সাতার কাটতে লাগলো সে৷ কোনোক্রমে পাড়ে উঠে আবারও প্রাণপনে ছুটতে শুরু করলো মেহমেদ৷ কিন্তু গুলিতে আহত এক দশ বছরের বালকের শরীর কতক্ষণই বা লড়াই করতে পারে৷ কিছুক্ষন পরই টলতে টলতে নদীর পানিতে পড়ে গেলো সে। অতল স্রোতে ডুবে যাওয়ার ঠিক আগে একটা ভাসমান কাঠের টুকরো আঁকড়ে ধরলো সে৷ স্রোতের তীব্র টানে সে ভেসে চললো। এভাবে কতক্ষন কেটেছে সে জানেনা৷ বারবার জ্ঞান হারিয়েছে সে৷ আবার জ্ঞান ফিরে এলেই স্রোতের দিকে সাতার কেটেছে। আকাশের অন্ধকার আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে। হঠাৎ হাত ফসকে কাঠের টুকরোটা ভেসে যেতেই নদীই তার কবর। এসব ভাবতে ভাবতেই আবার সে ঘুমিয়ে পড়েছে৷...

বইটই অ্যাপে উপন্যাসের বাকি অংশ পড়ুন ই-বই "শেষ উত্থান"
https://link.boitoi.com.bd/Yx6T

𝑨𝒏 𝒊𝒎𝒑𝒐𝒓𝒕𝒂𝒏𝒕 𝒄𝒂𝒍𝒍𝒊𝒏𝒈 𝒇𝒐𝒓 𝒕𝒉𝒆 𝑩𝒂𝒏𝒈𝒍𝒂𝒅𝒆𝒔𝒉𝒊 𝒑𝒆𝒐𝒑𝒍𝒆আমাদের কিছু করার নাই এমন কিছু বলা অনুচিত। সোশ্যাল মিডিয়া, সাইবার জগত/ইন্ট...
13/10/2023

𝑨𝒏 𝒊𝒎𝒑𝒐𝒓𝒕𝒂𝒏𝒕 𝒄𝒂𝒍𝒍𝒊𝒏𝒈 𝒇𝒐𝒓 𝒕𝒉𝒆 𝑩𝒂𝒏𝒈𝒍𝒂𝒅𝒆𝒔𝒉𝒊 𝒑𝒆𝒐𝒑𝒍𝒆

আমাদের কিছু করার নাই এমন কিছু বলা অনুচিত। সোশ্যাল মিডিয়া, সাইবার জগত/ইন্টারনেটে বর্তমানে আমরা এখন যে কাজগুলো করতে পারি..

• 𝐒𝐡𝐚𝐩𝐢𝐧𝐠 𝐏𝐮𝐛𝐥𝐢𝐜 𝐎𝐩𝐢𝐧𝐢𝐨𝐧:

বেশিরভাগ বাংলাদেশি এখনোও মনে করছে চলমান যুদ্ধ বরাবরের মতোই সামান্য কোন সংঘর্ষ। কিন্তু অস্তিত্ব রক্ষার শেষ লড়াই যে শুরু হয়েছে সেটা তারা এখনোও অনুধাবন করতে পারেননি। অনেক অশিক্ষিত মানুষ আবার 𝐇𝟒𝐌𝟒𝐒 কে দোষারোপ করছে। আন্তর্জাতিক জনমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেকোন যুদ্ধে। শত্রুর প্রকৃত রুপ দেখিয়ে পাবলিকের শক্তি কাজে লাগানো আবাশ্যক। "𝑾𝒂𝒓 𝒐𝒇 𝑾𝒐𝒓𝒅𝒔" নতুন কিছুনা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফিল্ম, পোস্টার কবিতা কাজে লেগেছে। নাজি প্রপাগাণ্ডা, কোল্ডওয়্যার ও গাল্ফ ওয়্যারে এর ব্যাপক প্রয়োগ দেখা গিয়েছে। সাইকোলজিক্যাল ও সাইবার ওয়্যারফেয়ারে আমাদের যোগদানের সুযোগ আছে।ওদের সমর্থকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে নমনীয় করতে হবে যেভাবেই হোক।

• 𝐃𝐞𝐡𝐮𝐦𝐚𝐧𝐢𝐳𝐢𝐧𝐠 𝐭𝐡𝐞 𝐄𝐧𝐞𝐦𝐲:

𝐅𝟏𝐋𝟏𝐒𝐓𝟏𝐍 এর 𝐑𝟑𝐒𝟏𝐒𝐓𝟒𝐍𝐂𝟑 অনেকে দোষের চোখে দেখছেন কারণ আসল সিনারিও তারা জানেন না। ফলাফল স্বরুপ দখলদার 𝟏𝐒𝐑𝟒𝟑𝐋তাদের ওয়্যার ক্রাইমকে জাস্টিফাই করার সুযোগ পেয়েছে। এসব বর্বর আক্রমণ জনসম্মুখে তুলে ধরা অত্যাবশ্যক। ওদের মানসিকচাপে রাখতে হবে৷ শেয়ার বাজার থেকে শুরু করে কূটনীতিক চাপে রাখার কোন বিকল্প নেই। সোজা ভাষায় মনোবল ভেঙ্গে ফেলতে হবে। 𝟏𝐒𝐑𝟒𝟑𝐋 এর কোম্পানি গুলোকে লোকে লসের সম্মুখীন করতে হবে।

• 𝐁𝐨𝐨𝐬𝐭𝐢𝐧𝐠 𝐌𝐨𝐫𝐚𝐥𝐞:

যুদ্ধ করতে অস্ত্রের মতো মনোবল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাযার নিপীড়িত মানুষেরা জানে যে, আরবরা এগিয়ে আসবে না। ইয়েমেন গান রচনা ও সামরিক মার্চের ভিডিও প্রকাশ করে মনোবল বৃদ্ধি করছে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ২২ টা সংগঠন 𝐅𝟏𝐋𝟏𝐒𝐓𝟏𝐍 এর পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে। পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী জোটের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানু্ষদের মোর‍্যাল বৃদ্ধির এতটুকু কাজ আমরা করতেই পারি।

• 𝐑𝐞𝐜𝐫𝐮𝐢𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭:

সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা রিক্রুটমেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 𝐆𝟒𝐙𝟒 এর ভয়াবহতা দেখার পর লেবানন ও জর্ডানের সাধারণ মানুষ বর্ডার পার হয়ে আমাদের পক্ষে যোগ দিচ্ছে। যুদ্ধ দীর্ঘতর হবে। আমাদের প্রচারণা বৃদ্ধি করা উচিত যাতে সামরিক প্রশিক্ষণ থাকা মানুষেরা / মার্সেনারিরা যোগ দেয়। অতীতে জাপান ও বাংলাদেশ থেকে মানুষেরা লেবানন হয়ে নিপীড়িত 𝐆𝟒𝐙𝟒 স্ট্রিপের মানুষের পক্ষে যোগ দিয়েছে।

• 𝐏𝐫𝐨𝐦𝐨𝐭𝐢𝐧𝐠 𝐔𝐧𝐢𝐭𝐲:

এই লড়াইটা শুধু মুসলিমদের জন্য না। পৃথিবীর শান্তি ও স্বাধীনতাকামী মানুষদের জন্য। শিয়া-সুন্নি, জিউ, ক্রিশ্চিয়ান সব ভেদাভেদ ত্যাগ করে আমাদের
এই একটা ইস্যুতে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে যেভাবেই হোক।

• 𝐂𝐞𝐧𝐬𝐨𝐫𝐬𝐡𝐢𝐩 𝐚𝐧𝐝 𝐂𝐨𝐧𝐭𝐫𝐨𝐥: শক্তিশালী জনমত গঠন করতে পারলে আমরা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম হব। নেগোসিয়েশন থেকে শুরু করে ক্লিনিকাল এইড পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা গভমেন্টের ওপর প্রভাব রাখতে সক্ষম হব।

চুপচাপ বসে থাকার চাইতে কিছু করা হাজার গুণে অনেক ভালো।

অনেকে প্রায়ই টাইম ট্রাভেল, টাইম ডায়ালেশন নিয়ে কথা বলে। আসলে টাইম ট্রাভেল প্রমাণিত নয় তবে টাইম ডায়ালেশন সত্য। গতিশীল ঘড়ি ...
19/09/2023

অনেকে প্রায়ই টাইম ট্রাভেল, টাইম ডায়ালেশন নিয়ে কথা বলে। আসলে টাইম ট্রাভেল প্রমাণিত নয় তবে টাইম ডায়ালেশন সত্য। গতিশীল ঘড়ি যে স্থির অবস্থায় থাকা ঘড়ির চেয়ে ধীরে চলে এটাই মূলত টাইম ডায়ালেশন যা বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত।

তো এই টাইম ডায়ালেশনের কথা আসলে একটা সূত্র সামনে আসে। তা হলোঃ** t = t0/√(1-v^2/c^2)**
সূত্রটি অনেকের জানা থাকলেও কিভাবে সূত্রটি আসে তা আমরা অনেকেই জানি না। আজকে আমরা এর প্রতিপাদন দেখব। সূত্রটি মূলত লরেঞ্জ ট্রান্সফরমেশন থেকে আসে। তবে অনেকে হয়তো লরেঞ্জ ট্রান্সফরমেশন জানি না। তাই ভিন্নভাবে সহজ একটা উপায়ে প্রমাণ করবো। এরজন্য শুধু পিথাগোরাসের সূত্রটি জানা থাকতে হবে।

প্রথমে আমরা একটা ট্রেনের কথা চিন্তা করি। ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি ট্রেনের বাইরে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর আপনার এক বন্ধু ট্রেনের ভিতরে আছে। আপনার বন্ধুর কাছে একটা লেজার লাইট ও দুটো আয়না আছে। ছবির প্রথম সিনারিওতে দেখানো হয়েছে ট্রেনটি স্থির অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। আয়নাদ্বয় দুটো কালো সমান্তরাল রেখা দ্বারা বোঝানো হয়েছে। ধরি নিচের আয়নায় লেজার লাইট বসানো আছে। এখন আপনার বন্ধু এক আয়না থেকে আরেক আয়নায় লেজার মারলো। আলো সরাসরি উপরের আয়নায় আঘাত করে আবার নিচের আয়নায় ফিরে আসবে। ধরি দুটো আয়নার মধ্যবর্তী দূরত্ব **d**। আলোর বেগ **c** আর আলো গিয়ে ফিরে আসতে **t0** সময় লাগলে, **d = ct0**। [ দূরত্ব = বেগ × সময় ]।
বাইরে থেকে আপনি আপনার ঘড়ি দিয়ে সময় মাপলে ঠিক একই সময়ই পাবেন। যেহেতু দুজনেই একে অপরের সাপেক্ষে স্থির অবস্থায় আছেন।

এখন ট্রেনটি **v** বেগে চলা শুরু করলো। এখনও কি আপনি একই দৃশ্যই দেখবেন? ট্রেন যেহেতু এখন আপনার সাপেক্ষে গতিশীল, এখন কিন্তু আপনি লেজার থেকে নিক্ষিপ্ত আলোকে উপরের আয়নায় আঘাত করে আবার ঠিক নিচে একই জায়গায় ফিরে আসতে দেখবেন না। ছবির দ্বিতীয় সিনারিওর দিকে লক্ষ্য করুন। নিচের আয়না থেকে আলো যখন বের হয়ে উপরের আয়নায় যাবে ততক্ষণে আয়না দুটো কিন্তু সামনের দিকে সরে আসবে যেহেতু ট্রেনটি সামনের দিকে চলছে। তখন আপনি দেখবেন আলো বাউন্স খেয়ে সামনের অন্য কোনো জায়গায় নিচের আয়নায় ফিরে আসছে। অর্থাৎ পিংপং বলের মতো লাফিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা আপনার সাপেক্ষে। আপনার বন্ধু কিন্তু এরকমটা দেখবে না। সে দেখবে আলো উপরে আঘাত করে সরাসরি নিচে ফিরে আসছে৷ আয়নার কোনো স্থান পরিবর্তন হচ্ছে না। কারণ সে ট্রেনের ভিতরেই আছে। ট্রেনের সাপেক্ষে সে, আয়না স্থির।

তাহলে এবার ক্যালকুলেশনে আসা যাক। আয়না দুটো দূরত্ব হলো **d**। এখন আপনার বন্ধুর ঘড়ির হিসাব অনুযায়ী **t0** সময়ে আলো উপরে আঘাত করে আবার ফিরে আসে। তাহলে শুধু উপরের আয়নায় যেতে সময় লাগে **t0/2**। তাহলে **BD = d = ct0/2** ।

আবার আপনার সাপেক্ষে আলো **A** থেকে **B **তে প্রতিফলিত হয়ে আবার **C** তে ফিরে আসবে। আপনার ঘড়ি অনুযায়ী প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসতে যদি t সময় লাগে তাহলে শুধু **A** থেকে **B** তে যেতে সময় লাগবে **t/2** । তাহলে **AB = ct/2** । আবার আপনার সাপেক্ষে ট্রেনের বেগ ছিলো **v** । সেই t সময়ে ট্রেনটি অতিক্রম করে **AC** দূরত্ব। তাহলে **t/2 **সময়ে ট্রেনটি যাবে **AD** দূরত্ব পর্যন্ত। তাহলে **AD = vt/2** ।

তাহলে আমরা পাই,
**AB = ct/2
AD = vt/2
BD = ct0/2**
যেহেতু **ABD** একটি সমকোণী ত্রিভুজ সেহেতু পিথাগোরাসের উপপাদ্য অনুসারে,
***AB^2 = AD^2 + BD^2
> BD^2 = AB^2 - AD^2
> (c^2.t0^2) / 4 = (c^2.t^2) / 4 - (v^2.t^2) / 4
> c^2.t0^2 = c^2.t^2 - v^2.t^2
> c^2.t0^2 = (c^2 - v^2)t^2
> t0^2 = (1-v^2 / c^2)t^2
> t^2 = t0^2 / (1-v^2/c^2)**

> **t = t0 / (1-v^2 / c^2) ( Proved )***

তো এটাই হচ্ছে আমাদের সেই বহুল কাঙ্খিত টাইম ডায়ালেশনের সূত্র। এখানে **t0** হচ্ছে কোনো একটা ঘটনার সাপেক্ষে যে প্রসঙ্গ কাঠামো স্থির থাকে বা যে ব্যক্তি, বস্তু স্থির থাকে৷ একে ***Proper Time*** বা ***Personal Time*** বলে। উপরে উল্লেখিত ঘটনায় আপনার বন্ধুর সাপেক্ষে লেজার, আয়না স্থির ছিলো৷ তাই তার পরিমাপকৃত সময় হলো **t0** । আর **t** হলো অন্য যে কাঠামো থেকে পরিমাপ করা হয়। এখানে আপনার পরিমাপকৃত সময় হলো** t** । আর **c **হলো আলোর বেগ ও **v **দুই কাঠামোর আপেক্ষিক বেগ ( এখানে ট্রেনের বেগ )। আর ***1 / (1-v^2/c^2)*** এই অংশকে লরেঞ্জ ফ্যাক্টর বলে।

সূত্রটিতে লক্ষ্য করেন, v সবসময় c এর চেয়ে ছোট হবে। তাই ***(1-v^2/c^2)*** এটিও সবসময় ১ এর চেয়ে ছোট হবে। তাই ***1/(1-v^2/c^2)*** সবসময় ১ এর চেয়ে বড় হবে। অর্থাৎ **t** সবসময় **t0** এর চেয়ে বড় হবে। মানে স্থির ঘড়িতে গতিশীল ঘড়ির চেয়ে বেশি সময় অতিক্রম হবে। ঠিক একারণেই আপনার বন্ধুর সময় আপনার চেয়ে ধীরে চলবে। তার ১ মিনিটে আপনার ৫ মিনিট, তার ১ বছরে আপনার ৭ বছর। এরকম।

যাইহোক, বিস্তারিত বোঝাতে গিয়ে পোস্টটি অনেক বড় হয়ে গেছে। তবে ধৈর্য সহকারে পড়লে আশা করি বুঝতে পারবেন। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন।


বাংলাদেশ থেকে আজ রাতের আকাশে খালি চোখে দেখা যাবে শনি গ্রহ।🪐🌌
27/08/2023

বাংলাদেশ থেকে আজ রাতের আকাশে খালি চোখে দেখা যাবে শনি গ্রহ।🪐🌌


মাসুদ রানা ফ্রাঞ্চাইজির প্রথম মুভি “MR9: Do or Die” এর বাজেট ছিল ৮৩ কোটি যার ৬০% চলে গেছে হলিউড cast এর জন্য। প্রোডাকশনে...
18/08/2023

মাসুদ রানা ফ্রাঞ্চাইজির প্রথম মুভি “MR9: Do or Die” এর বাজেট ছিল ৮৩ কোটি যার ৬০% চলে গেছে হলিউড cast এর জন্য। প্রোডাকশনে খুব বেশি খরচ করতে না পারলেও মুভিটা বাংলাদেশের যেকোনো মুভির চেয়ে সেরা৷ কারণ মুভিটার ৯০% প্রোডাকশন হলিউডের এবং ১০% বাংলাদেশের।
মাসুদ রানার ২য় সেকুয়্যাল “MR9: Sky Dance” এর বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি। পুরোটাই গ্লোবাল অডিয়েন্স এর কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হবে এর চেয়েও আরো উন্নত কোয়ালিটিতে। মাসুদ রানা হচ্ছে বাংলার জেমস বন্ড, গ্লোবাল অডিয়েন্সে মাসুদ রানা বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করবে যা সত্যিই গর্বের বিষয়।

Perfect Planetary AlignmentPhotographed by Picabuzz
01/08/2023

Perfect Planetary Alignment
Photographed by Picabuzz

ভয়েজার-১ নামক স্পেসক্রাফটটি পৃথিবী ত্যাগ করে ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরে। ৪০ বছর কেটে গেছে। ৮২৫ কিলোগ্রাম ওজনের ভয়েজার-১ আর প...
29/07/2023

ভয়েজার-১ নামক স্পেসক্রাফটটি পৃথিবী ত্যাগ করে ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরে।

৪০ বছর কেটে গেছে। ৮২৫ কিলোগ্রাম ওজনের ভয়েজার-১ আর পৃথিবীর মধ্যকার দুরত্ব এখন প্রায় ১৪ বিলিওন মাইল!
'লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ'এর সবচেয়ে বড় উদাহারণ হয়ে ভয়েজার-১ এখনো পৃথিবীর মানুষের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে!

ভয়েজার বৃহষ্পতি গ্রহকে অতিক্রম করেছে ১৯৭৯ সালে। যাত্রাপথে সে আমাদেরকে পাঠিয়েছে বৃহষ্পতির ছবি। আমরা দেখেছি দানবগ্রহ বৃহষ্পতির বুকে ১৮৮ বছর ধরে বয়ে চলেছে এক দানবঝড় - দ্যা গ্রেট রেড স্পট। এই ঝড়ের আয়তন তিনটা পৃথিবীর সমান!

ভয়েজার-১ শনি গ্রহ অতিক্রম করে ১৯৮০ সালে। ভয়েজার আমাদেরকে জানিয়েছে শনিকে প্রদক্ষিণ করছে আরো অনেকগুলো বরফের তৈরী চাঁদ!

ভয়েজার তাঁর সর্বশেষ ছবিটি তুলেছিলো ১৯৯০ সালের ভালোবাসার দিবসে। অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারিতে। সর্বশেষ এই ছবিটি ভয়েজার তুলেছিলো কার্ল স্যাগান নামক একজন খেয়ালী বিজ্ঞানীর অনুরোধে।

'কার্ল স্যাগান' নামটি ভয়েজার-১এর সাথে মিশে আছে একটু ভিন্নভাবে। সংক্ষেপে বলা যাক।

ভয়েজার ১ তৈরির কাজ তখন প্রায় শেষ। নাসা দ্রুত ভয়েজারকে অনন্ত মহাশূণ্যের উদ্দেশ্যে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৪০ বছর বয়েসী কার্ল স্যাগান তখন ভাবলেন একটা ভিন্ন ব্যাপার। তিনি ভাবলেন, এই স্পেসক্রাফটটি তো চলতেই থাকবে। এর গতি কমবে না, বরং বাড়বে। এক সময় এটা আমাদের সৌর জগতকে ছেড়ে চলে যাবে। হয়তো ছেড়ে যাবে আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথকেও। এমনও সময় আসবে যখন ভয়েজার থেকে আমাদের দূরত্ব হবে কয়েক হাজার আলোকবর্ষ। এই দূরতম বন্ধুর সাথে আমাদের আর কোনো যোগাযোগই তখন থাকবেনা। কে বলতে পারে এই ভয়েজার কোনোদিন কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর দেখা পাবে না!
কী হবে যদি কয়েক কোটি আলোকবর্ষ দূরের কোনো স্বজনের সাথে দেখা হয় ভয়েজারের!
কার্ল স্যাগান দূরতম সেই স্বজনদের জন্য বার্তা এবং উপহার পাঠাতে চাইলেন।

নাসায় কমিটি তৈরী করা হলো। স্যাগান হলেন কমিটির প্রধান। এক বছর ধরে চললো ভীনগ্রহের স্বজনদের জন্য বার্তা সংগ্রহের কাজ।
৫৫ টি ভাষায় 'হাই' জানানো হলো দূরতম স্বজনদের।
প্রথম জানালেন, তৎকালিন জাতিসংঘের মহাসচিব কার্ট ওয়াল্ডহেইম। তিনি বললেন, "I send greetings on behalf of the people of our planet. We step out of our solar system into the universe seeking only peace and friendship, to teach if we are called upon, to be taught if we are fortunate."

আছে বাংলা ভাষাও। কন্ঠ দিয়েছেন সুব্রত মূখার্জি। তিনি বলেছেন 'নমস্কার, বিশ্বের শান্তি হোক।'

পাঠানো হলো বৃষ্টির শব্দ, বাতাসের শব্দ, হাসির শব্দ। হেসেছিলেন কার্ল স্যাগান নিজেই।
পাঠানো হলো পাখির ডাক, ঝিঝি পোকার ডাক।

ভয়েজারের সাথে পাঠানো হলো ৯০ মিনিট দীর্ঘ গান এবং সুর। এর মধ্যে ছিলো সাড়ে তিন মিনিটের একটি ভারতীয় সুরও।

অচেনা স্বজনদের জন্য ছবি পাঠানো হলো ১১৬টি। এর মধ্যে আছে আমাদের ডিএনএর ছবি, হাঁড়ের ছবি,পাখির ছবি, সূর্যদয়ের ছবি, সূর্যাস্তের ছবি, নারী পুরুষের জননাঙ্গের ছবি, মিলনের ছবি! খাওয়ার ছবি, পান করার ছবি, শিশুকে স্তন পান করানোর ছবি!
যুদ্ধ আর অস্ত্রের ছবি পাঠানোর কথা থাকলেও পরে আর পাঠানো হয়নি।

কার্ল স্যাগান তখন ভয়েজার-১ এর জন্য 'গোল্ডেন রেকর্ড' তৈরীর কাজে দিনরাত ব্যাস্ত এবং ভীষণ উত্তেজিত।
একদিন ভোরবেলা তিনি তার সুন্দরী সহকর্মী অ্যান ড্রুয়ানকে ফোন করলেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফোন রেখে দিলেন।
ফোন রাখার পর স্যাগান আবিষ্কার করলেন তিনি ড্রুয়ানের প্রেমে পড়েছেন! স্যাগান মনের কথা জানালেন ড্রুয়ানকে। ড্রুয়ান জানালেন, তিনিও...।

এরপর কার্ল স্যাগান করলেন আরেক ছেলেমানুষী কাজ। তিনি তাঁর প্রেমিকাকে এক ঘন্টা চুপচাপ শুয়ে থেকে পৃথিবীর কথা, মানব সভ্যতার কথা এবং স্যাগানের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা ভাবতে বললেন।
বেচারী ড্রুয়ান এক ঘন্টা চোখ বন্ধ করে এসব ভাবলেন। এই সময় তাঁর ব্রেইনওয়েভ রেকর্ড করা হলো।
এই ব্রেইনওয়েভও জুড়ে দেয়া হলো ভয়েজার ওয়ানের সাথে!

ভয়েজার ওয়ান ৪০ বছর থেকে ছুটছে।

যাত্রার ১৩ বছর পর ভয়েজার-১ তখন পৃথিবী থেকে ৬ বিলিওন কিলোমিটার দূরে। আমাদের সৌরজগতকে শুভ বিদায় জানাচ্ছে এই স্পেসক্রাফট।
কার্ল স্যাগান তখন তাঁর শেষ পাগলামীটা করলেন। নাসার বিজ্ঞানীদের তিনি অনুরোধ করলেন এত দূরত্ব থেকে ভয়েজার-১ পৃথিবী নামক গ্রহের একটা ছবি তুলে পাঠাক।
অনেক বিজ্ঞানীদের আপত্তি ছিলো। তারা বলেছিলেন ভয়েজারের ক্যামেরা পৃথিবীর দিকে ঘুরালে সূর্যের আলোতে সেটার ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু স্যাগানের অনুরোধে শেষবারের মতো পৃথিবীর ছবি তুলেছিলো ভয়েজার-১। একটা বিন্দুর চেয়েও ছোট দেখাচ্ছিলো আমাদের প্রিয় পৃথিবীকে!

কার্ল স্যাগান মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে।
ভয়েজার -১ আমাদের সৌরজগতকে চির বিদায় বলেছে ১৯৯০ সালেই। হেলিওশিথকে বিদায় বলেছে ২০১২ সালে। ভয়েজার -১ এখন আছে ইন্টারস্টেলার স্পেসে। নিঃসীম শীতল অন্ধকারে ঘন্টায় ৬২ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে ভয়েজার-১।
আর কয়েকটা বছর মাত্র। তারপর আমরা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলবো আমাদের দূরতম এই বন্ধুটির সাথে। ... এবং তারপর কোথায় যাবে ভয়েজার-১, কোথায় থাকবে আমাদের প্রিয় গ্রহের কয়েক কিলোবাইট স্মৃতি আমরা জানতে পারবো না কোনোদিনও!

Address

Jessore
7407

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Leonardo Raz posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share