Lx.Sakib

Lx.Sakib Digital cretor
(1)

13/05/2025

Good morning 🥰
How are yoy?

09/05/2025

আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছো সাবাই?

সাকিব, তামিম, ইয়াসিন আর হাসিবএকটা ঝকঝকে সকাল। সাকিব, তামিম, ইয়াসিন আর হাসিব ঠিক করল, শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে গিয়ে...
08/05/2025

সাকিব, তামিম, ইয়াসিন আর হাসিব

একটা ঝকঝকে সকাল। সাকিব, তামিম, ইয়াসিন আর হাসিব ঠিক করল, শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাবে। গন্তব্য? সুন্দরবনের কাছাকাছি একটা ছোট্ট জঙ্গল, যেখানে সবুজের সমারোহ আর পাখির কিচিরমিচির মন ভালো করে দেয়।

সাকিব, সবসময়ের মতো দলের নেতা। সে একটা ব্যাকপ্যাক ভরে নিয়েছে—খাবার, পানি, ফার্স্ট এইড কিট, এমনকি একটা ব্লুটুথ স্পিকারও! তামিম অবশ্য তার স্টাইল বজায় রেখেছে। সানগ্লাস, ক্যাপ আর একটা ক্যামেরা হাতে, সে বলল, “এই ট্রিপের সেরা ছবি আমিই তুলব, দেখে নিস!” ইয়াসিন, যে সবসময় একটু শান্ত, তার কাঁধে একটা বই আর বাইনোকুলার। আর হাসিব? সে তো পুরো মুড মেকার! পথে যেতে যেতে গান গাইছে, মাঝে মাঝে সাকিবের সঙ্গে ঠাট্টা করছে।

জঙ্গলে পৌঁছে তারা একটা ছোট্ট নদীর ধারে বসল। সাকিব বলল, “চল, একটা ছোট্ট ক্যাম্পিং করি। আমি আগুন জ্বালাই, তামিম তুই খাবারের দায়িত্ব নে।” তামিম হেসে বলল, “আমি শুধু ছবি তুলব, রান্না ইয়াসিনের ওপর ছাড়!” ইয়াসিন চোখ বড় বড় করে বলল, “আমি তো বই পড়তে এসেছি, রান্না কীভাবে?” হাসিব তখন হাসতে হাসতে বলল, “ঠিক আছে, আমি সব সামলাব, তবে তোরা পরে আমাকে ধন্যবাদ দিবি!”

আগুন জ্বালানোর সময় সাকিব আর হাসিবের মধ্যে একটা মজার তর্ক শুরু হলো—কে বেশি দ্রুত আগুন জ্বালাতে পারে। তামিম সেটার ভিডিও করতে লাগল, আর ইয়াসিন দূর থেকে পাখি দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে হাসছে। শেষে হাসিব জিতল, আর সাকিব মুখ ভেংচে বলল, “ঠিক আছে, তুই জিতলি, কিন্তু খাবারের টেস্ট খারাপ হলে তোকে ছাড়ব না!”

রাত নামতেই তারা আগুনের পাশে গোল হয়ে বসল। হাসিব একটা গিটার বের করল (কে জানত, তার এই প্রতিভা আছে!) আর গান ধরল। তামিম কিছু পুরোনো ক্রিকেট ম্যাচের গল্প শুরু করল—কীভাবে সাকিব একবার ম্যাচ বাঁচিয়েছিল, আর সে নিজে একটা সেঞ্চুরি মেরেছিল। ইয়াসিন, যে সাধারণত চুপচাপ, এবার বলল, “তোরা যুদ্ধের গল্প করিস, আমি বলি, গত সপ্তাহে আমি একটা বিরল পাখি দেখেছি!” সবাই হেসে উঠল।

হঠাৎ, জঙ্গল থেকে একটা অদ্ভুত শব্দ ভেসে এলো। হাসিব চুপ করে গেল, তামিম ক্যামেরা ফেলে বলল, “এটা কী ছিল?” সাকিব, সাহসী গলায় বলল, “কিছু না, হয়তো কোনো পশু। আমি দেখছি।” কিন্তু ইয়াসিন হেসে বলল, “আরে, ওটা শুধু একটা পেঁচা! আমি বাইনোকুলারে দেখেছি।” সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল, আর হাসিব বলল, “ইয়াসিন, তুই তো আমাদের হিরো!”

রাত গভীর হলো। তারা আগুনের পাশে শুয়ে তারা দেখতে লাগল। সাকিব বলল, “জীবনটা মাঠের মতোই, কখনো হার, কখনো জিত, কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সব মজার।” তামিম মাথা নেড়ে বলল, “এই মুহূর্তগুলোই জীবনের সুন্দর মুহুর্তে।

সাকিব, তামিম, হাসিব আর ইয়াসিন ছিল চার বন্ধু, একেবারে অভিন্ন হৃদয়ের। তারা চারজনই ছিল দুষ্টুমির রাজা। একদিন রাতে তারা ঠিক...
07/05/2025

সাকিব, তামিম, হাসিব আর ইয়াসিন ছিল চার বন্ধু, একেবারে অভিন্ন হৃদয়ের। তারা চারজনই ছিল দুষ্টুমির রাজা। একদিন রাতে তারা ঠিক করল, গ্রামের কাছাকাছি একটা পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পিকনিক করবে। কিন্তু সমস্যা হলো, তাদের কাছে খাবারের কিছুই ছিল না। তখন সাকিব বলল, “আরে, আমরা তো পিকনিক করব, কিন্তু খাবার ছাড়া কীভাবে? চল, কিছু একটা ব্যবস্থা করি!”

তামিম হঠাৎ হেসে বলল, “জানিস, পাশের গ্রামে রহিম চাচার খামারে অনেক মোরগ আছে। আমরা যদি একটা মোরগ চুরি করে নিয়ে আসি, তাহলে রাতের খাবারের জন্য মোরগ ভুনা বানিয়ে ফেলতে পারি!” সবাই হাসতে হাসতে রাজি হয়ে গেল।

রাত তখন প্রায় ১০টা। চার বন্ধু মিলে চুপিচুপি রহিম চাচার খামারের কাছে গেল। খামারের চারপাশে একটা বেড়া ছিল, আর মোরগগুলো ঘুমিয়ে ছিল। হাসিব ফিসফিস করে বলল, “আমি বেড়ার ওপর দিয়ে ঝাঁপ দেব, আর ইয়াসিন তুই আমাকে ধরবি। সাকিব আর তামিম, তোরা পাহারা দে, যদি কেউ আসে তাহলে ইশারা দিস।”

হাসিব বেড়া টপকে ভেতরে ঢুকল। মোরগের ঘরে গিয়ে দেখল, একটা মোটা তাজা মোরগ ঘুমিয়ে আছে। সে চট করে মোরগটাকে ধরে ফেলল, কিন্তু মোরগটা হঠাৎ জেগে গিয়ে “কক কক কক” করে চিৎকার শুরু করল! শব্দ শুনে রহিম চাচার কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে উঠল। সাকিব আর তামিম ভয়ে চিৎকার করে বলল, “হাসিব, তাড়াতাড়ি পালা!”

হাসিব মোরগটা বগলের নিচে চেপে ধরে দৌড় দিল। ইয়াসিন তাকে বেড়ার ওপর দিয়ে টেনে তুলল। চার বন্ধু মিলে দৌড়ে পাহাড়ের দিকে চলে গেল। পিছনে রহিম চাচার কুকুর আর চাচার চিৎকার শুনতে শুনতে তারা হাসতে লাগল।

পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে তারা একটা সমতল জায়গা পেল। সেখানে তারা একটা ছোট আগুন জ্বালাল। মোরগটা কেটে পরিষ্কার করে তারা মশলা মাখিয়ে ভুনতে শুরু করল। ইয়াসিন বলল, “এই দুষ্টুমি না করলে জীবনটা কি এত মজার হতো?” সাকিব হেসে বলল, “ঠিক বলেছিস, তবে রহিম চাচা যদি আমাদের ধরে ফেলে, তাহলে আমাদের কিন্তু পিটুনি খেতে হবে!”

রাতের বেলা তারা মোরগ ভুনা খেয়ে, গল্প করে, হাসি-ঠাট্টা করে অনেক মজা করল। তারা ঠিক করল, এই দুষ্টুমির কথা কাউকে বলবে না, কিন্তু এই পিকনিকের স্মৃতি তাদের জীবনে সবচেয়ে মজার রাত হিসেবে থেকে যাবে।

সকাল হতেই তারা পাহাড় থেকে নেমে এল, কিন্তু রহিম চাচার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল! চাচা রেগে বললেন, “তোরা আমার মোরগ চুরি করেছিস, তাই না?” চারজনই ভয়ে ভয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল। কিন্তু রহিম চাচা হঠাৎ হেসে বললেন, “ঠিক আছে, এবারের মতো মাফ করে দিলাম। তবে পরের বার যদি এমন করিস, তাহলে কিন্তু আমি তোদের ছাড়ব না!” চার বন্ধু হাঁফ ছেড়ে বাঁচল, আর মনে মনে ঠিক করল, এবার থেকে পিকনিকের খাবার তারা নিজেরাই ব্যবস্থা করবে।

বনের রাজা সিংহ একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, তার রাজ্যে আর কোনো অশিক্ষিত প্রাণি থাকবে না। তিনি বনের মাঝখানে একটি বড় পাঠশালা তৈ...
06/05/2025

বনের রাজা সিংহ একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, তার রাজ্যে আর কোনো অশিক্ষিত প্রাণি থাকবে না। তিনি বনের মাঝখানে একটি বড় পাঠশালা তৈরি করলেন। তারপর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সবাইকে ডেকে ঘোষণা করলেন, "শোনো, আমার বনের সকল প্রাণি ও পাখি! এখন থেকে সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। আমি পাঠশালা খুলেছি, সবাই এখানে আসবে এবং পড়াশোনা করবে!"

প্রথম দিন পাঠশালায় হাজির হলো সবাই—খরগোশ, হরিণ, শিয়াল, বানর, কাক, টিয়া, এমনকি কচ্ছপও ধীরে ধীরে এসে পৌঁছাল। সিংহ নিজে শিক্ষক হয়ে প্রথম পাঠ শুরু করলেন। তিনি বললেন, "আজ আমরা শিখব কীভাবে বনের নিয়ম মেনে একসঙ্গে বসবাস করতে হয়।"

কিন্তু সমস্যা শুরু হলো তখনই। বানর পড়তে পড়তে গাছে উঠে দোল খেতে লাগল। শিয়াল বুদ্ধি খাটিয়ে খরগোশের খাতা নিয়ে নিজের কাজ দেখিয়ে দিল। কাক আর টিয়া কিচিরমিচির করে ক্লাসের শান্তি নষ্ট করল। কচ্ছপ তো এত ধীরে লিখছিল যে একটা বাক্য শেষ করতে বেলা গড়িয়ে গেল।

সিংহ গর্জন করে বললেন, "শান্ত হও সবাই! শিক্ষা মানে শৃঙ্খলা। তোমরা যদি এভাবে দুষ্টুমি করো, তাহলে কীভাবে শিখবে?" তখন হরিণ ভয়ে ভয়ে বলল, "মহারাজ, আমরা তো সবাই আলাদা। আমাদের শেখার ধরনও আলাদা। আমাদের একটু সময় দিন।"

সিংহ ভাবলেন, হরিণের কথা ঠিক। তিনি সবাইকে আলাদা আলাদা দলে ভাগ করে দিলেন। বানরদের গাছে উঠে গণিত শেখার কাজ দিলেন—কতগুলো ফল আছে, তা গুনতে হবে। শিয়ালকে বুদ্ধির খেলা শেখানো হলো। কাক আর টিয়াকে গানের মাধ্যমে বনের ইতিহাস শেখানো হলো। কচ্ছপকে ধীরে ধীরে লিখতে দেওয়া হলো, কারণ তার ধৈর্য ছিল অসাধারণ।

কয়েক মাস পর বনের সব প্রাণি শিক্ষিত হয়ে গেল। তারা বনের নিয়ম মেনে একসঙ্গে থাকতে শিখল, পরস্পরকে সাহায্য করতে শিখল। সিংহ গর্বের সঙ্গে বললেন, "এখন আমার বন শুধু শক্তিমান নয়, জ্ঞানীও হলো!" আর তখন থেকে সেই বন হয়ে উঠল পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ও শান্তির বন।

শেষ।

06/05/2025

আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছো বন্ধুরা

একদিন রায়হান আর আয়শা ঠিক করলেন যে তারা একটি ছোট্ট ছুটি কাটাতে সমুদ্র সৈকতে যাবে। তারা ব্যাগ গুছিয়ে নিলেন—রায়হান নিল ক্যা...
04/05/2025

একদিন রায়হান আর আয়শা ঠিক করলেন যে তারা একটি ছোট্ট ছুটি কাটাতে সমুদ্র সৈকতে যাবে। তারা ব্যাগ গুছিয়ে নিলেন—রায়হান নিল ক্যামেরা আর আয়শা নিল তার পছন্দের বই। সকালবেলা তারা ট্রেন ধরে একটি সুন্দর সমুদ্রতীরে পৌঁছাল। হাওয়ায় বাতাসের মিষ্টি ঝাপটা আর ঢেউয়ের শব্দে মন ভরে গেল।

তারা পাশাপাশি বসে সমুদ্রের দিকে তাকাল। রায়হান ক্যামেরায় ছবি তুলতে শুরু করল, আর আয়শা বই পড়তে। হঠাৎ একটা ছোট্ট ঢেউ তাদের পায়ে ঠেকল, আর তারা হেসে উঠল। দুপুরে তারা বালিতে খাবার পিকনিক করল—স্যান্ডউইচ আর ফল। সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখতে তারা একটি পাম গাছের নিচে বসল। আকাশ লাল-কমলা রঙে রাঙা হতে দেখে রায়হান বলল, "এই মুহূর্তটা চিরকাল মনে থাকবে।" আয়শা হেসে মাথা নাড়ল।

ফিরতে ফিরতে তারা স্মৃতির ঝোলায় আরও একটি সুন্দর দিন জমা করে নিল।

একবার গ্রামের কিশোর ছেলেরা মিলে ডাব চুরি করার পরিকল্পনা করল। তাদের দলের নাম ছিল "ডাবদস্যু বাহিনী"। গ্রামের এক কোণে হরিপদ...
03/05/2025

একবার গ্রামের কিশোর ছেলেরা মিলে ডাব চুরি করার পরিকল্পনা করল। তাদের দলের নাম ছিল "ডাবদস্যু বাহিনী"। গ্রামের এক কোণে হরিপদ কাকার বিশাল নারকেল বাগান ছিল, যেখানে সারা বছর ডাব ঝুলত। হরিপদ কাকা খুব কড়া মানুষ, তিনি কাউকে বাগানে ঢুকতে দিতেন না।

একদিন দুপুরে, যখন হরিপদ কাকা ঘুমাচ্ছিলেন, ডাবদস্যু বাহিনীর পাঁচ সদস্য—রাজু, বাপ্পা, তপন, শুভ আর কানাই—চুপিচুপি বাগানে ঢুকে পড়ল। রাজু ছিল দলের সবচেয়ে লম্বা, তাই সে গাছে উঠে ডাব পাড়ার দায়িত্ব নিল। বাকিরা নিচে দাঁড়িয়ে চারপাশে নজর রাখতে লাগল।

রাজু গাছে উঠে দুটো ডাব পেড়ে ফেলল। কিন্তু তৃতীয় ডাবটা পাড়তে গিয়ে হঠাৎ একটা বড় ডাল ভেঙে পড়ল, আর তার শব্দে হরিপদ কাকার ঘুম ভেঙে গেল! কাকা চিৎকার করে উঠলেন, "কে ওখানে? চোর এসেছে নাকি?" তিনি লাঠি হাতে বাগানের দিকে ছুটে এলেন।

ছেলেরা ভয়ে দৌড়াতে শুরু করল। বাপ্পা একটা ডাব হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছিল, কিন্তু পড়ে গিয়ে ডাবটা ছিটকে গেল। শুভ আর কানাই বাগানের পিছনের ঝোপে লুকিয়ে পড়ল। রাজু গাছ থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেল, আর তপন তাকে ধরে টেনে নিয়ে দৌড় দিল।

হরিপদ কাকা এসে দেখলেন কেউ নেই, শুধু একটা ডাব মাটিতে পড়ে আছে। তিনি হেসে বললেন, "এই ছেলেগুলো! পালিয়েছে তো ভালো, না হলে আজ লাঠির বাড়ি খেত!" পরদিন ছেলেরা আবার দল বেঁধে বাগানের কাছে এল, কিন্তু এবার চুরি করতে নয়—হরিপদ কাকার কাছে ক্ষমা চাইতে। কাকা তাদের দেখে হেসে বললেন, "চুরি করার দরকার নেই, বললেই তো দিতাম!" তিনি নিজে গাছে উঠে পাঁচটা ডাব পেড়ে ছেলেদের হাতে দিলেন।

সেদিন থেকে ডাবদস্যু বাহিনী আর চুরি করার কথা ভাবল না। তারা বুঝল, সৎভাবে চাইলে জীবনে সবই পাওয়া যায়।

একদা এক গ্রামে ইয়াছিন নামে এক যুবক বসবাস করত। তার বয়স ছিল ১৭ বছর, এবং সে আম জামাতে অত্যন্ত ভালোবাসত। গ্রামের মাঝখানে একট...
02/05/2025

একদা এক গ্রামে ইয়াছিন নামে এক যুবক বসবাস করত। তার বয়স ছিল ১৭ বছর, এবং সে আম জামাতে অত্যন্ত ভালোবাসত। গ্রামের মাঝখানে একটি প্রকাণ্ড আম গাছ ছিল, যার ডালে সবুজ ও হলুদ আমগুলো ঝুলত। ইয়াছিন প্রতিদিন সকালে গাছটির নিচে গিয়ে দাঁড়াত এবং মনে মনে ভাবত, “আজ একটা আম পেড়ে খাব!”

একদিন সে সিদ্ধান্ত নিল যে সে নিজেই গাছে উঠবে। সে একটি লাঠি হাতে নিয়ে গাছের নিচে গেল। লাঠি দিয়ে একটি আম আঘাত করতেই সেটি পড়ে গেল মাটিতে। ইয়াছিন খুশিতে লাফিয়ে উঠল এবং আমটা তুলে নিল। কিন্তু এমন সময় গ্রামের একজন প্রহরী তাকে দেখতে পেল। প্রহরীটি চিৎকার করে বলল, “ইয়াছিন, এই গাছের আম কাউকে ছাড়া পেড়া যায় না! গ্রামের নিয়ম ভাঙছিস কেন?”

ইয়াছিন ভয় পেয়ে গেল। সে বুঝতে পারল তার ভুল হয়েছে। সে প্রহরীর কাছে ক্ষমা চাইল এবং বলল, “মামা, আমি আর এমন করব না। আমি আম খেতে এত ভালোবাসি যে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারিনি।” প্রহরী তার সততা দেখে দয়া করল এবং বলল, “ঠিক আছে, কিন্তু পরবর্তী বার গ্রামের প্রধানের অনুমতি নিও।”

ইয়াছিন শিক্ষা নিল এবং সেইদিন থেকে সে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আম দেখতে গিয়ে মনে মনে ভাবত, “একদিন আমি সঠিকভাবে আম খাব!” এরপর থেকে সে নিয়ম মেনে চলল এবং গ্রামের প্রধানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আম পেড়ে খেত। তার ভালোবাসা এবং শৃঙ্খলা সবাইকে প্রভাবিত করল।

02/05/2025

আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন?

Address

Jessore
1200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lx.Sakib posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share