Bidhan Chandra Das

Bidhan Chandra Das Engineer

চৌকস হওয়ার জাপানি কৌশলজাপান শুধু প্রযুক্তি বা সৌজন্যর দেশ নয় , তাদের সংস্কৃতিতে লুকিয়ে আছে এমন কিছু বুদ্ধিদীপ্ত অনুশী...
19/05/2025

চৌকস হওয়ার জাপানি কৌশল

জাপান শুধু প্রযুক্তি বা সৌজন্যর দেশ নয় , তাদের সংস্কৃতিতে লুকিয়ে আছে এমন কিছু বুদ্ধিদীপ্ত অনুশীলন , যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ , সুন্দর ও সচেতন করতে পারে । বাড়াতে পারে মনোযোগ ও বুদ্ধিমত্তা । এখানে এমন পাঁচটি জাপানি কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

শিরিতরি কৌশল:

একদিন বিকেলে রিমি আর ওর ভাই খেলার ছলে শুরু করল শব্দখেলা । রিমি বলল ‘ চাঁদ ’ । ওর ভাই বলল ‘ দুধ ’ । এরপর রিমি বলল “ ধনুক ’ । এইভাবেই চলতে লাগল শব্দের পেছন ধরে নতুন শব্দ বলার খেলা । এটাই জাপানি ‘ শিরিতরি ’ — একটি জনপ্রিয় শব্দখেলা । এতে প্রথম ব্যক্তি একটি শব্দ বলেন এবং পরের ব্যক্তি সেই শব্দের শেষ অক্ষর দিয়ে আরেকটি শব্দ বলেন । এভাবে ঘুরে ঘুরে খেলা চলতে থাকে । যে মনে রাখতে পারে না বা ভুল করে , সে বাদ । আর যে ঠিক ঠিক মনে রেখে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শব্দ বলতে পারে , সে- ই জয়ী হয় । সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘ অরণ্যের দিনরাত্রি ' সিনেমায় একটি দৃশ্য আছে । সেখানে চরিত্ররা বনে বেড়াতে গিয়ে ‘ শিরিতরি ’ খেলে । এই খেলায় মজা যেমন আছে , তেমনি আছে মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর গুণ । পরিবারের সবাই মিলে সপ্তাহে এক দিন শিরিতরি খেলুন । সময় বেঁধে নিন যে কম সময়ে বেশি শব্দ বলবে , সে জিতবে । ছোটদের ভাষা শেখানোর জন্য এটি এক অসাধারণ কৌশল । কানজি ভিজ্যুয়ালাইজেশন তরুণ ছাত্র অর্ণব জাপানি ভাষা

শিখতে গিয়ে দেখল , অক্ষরগুলো মুখস্থ করতে কষ্ট হচ্ছে । একদিন শিক্ষক তাঁকে বললেন , ' তুমি প্রতিটি কানজি অক্ষরের ভেতর একটা ছবি কল্পনা করো । ” অর্ণব ‘ mori ’ শব্দটির মধ্যে তিনটি গাছ কল্পনা করল । বুঝল , এটা মানে ঘন বন । ‘ hazashi ' মানে দুটি গাছ । অর্থাৎ জঙ্গল । এভাবেই প্রতিটি প্রতীক ছবির রূপে রূপান্তর করে মনে রাখা হয় । এই কৌশলই হলো কানজি ভিজ্যুয়ালাইজেশন ।

মোজিতসুকি:

নতুন বছরে জাপানের একটি গ্রামে উৎসব হচ্ছে । সবাই মিলে তৈরি করছে মোচি - চালের কেক । একজন মুগুর দিয়ে চাল পেষণ করছে , আরেকজন সময়মতো হাত ঢুকিয়ে চালের ভেতর পানি ও ছন্দ দিচ্ছে । একটুও ভুল হলে হতে পারে আঘাত , তাই দুজনের ভেতর গড়ে ওঠে এক অদ্ভুত তালমেল । এটাই হলো মোজিতসুকি । শুধু রান্না নয় , এটি সম্মিলিত মনোযোগ ও ছন্দ শেখায় । দলগত

জাপানিরা ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঁচিয়ে রাখেন গল্পের ছলে । বাড়ির বয়স্করা ছোটদের পূর্বপুরুষদের গল্প শোনান । তাঁদের ইতিহাস বই , রান্নার বই , নৃতত্ত্বের বই — এ রকম নানা কিছু গল্পের মতো করে বলা বা লেখা হয় ।
কাজের মধ্যে কীভাবে আস্থা ও সময়জ্ঞান তৈরি হয় , এটি তার এক জীবন্ত উদাহরণ ।

জাজেন ফোকাস:

রাফি পড়ার টেবিলে বসে আছে , কিন্তু মন একদমই বসছে না । তখন সে শিখল ‘ জাজেন ’ । প্রতিদিন মাত্র পাঁচ

মিনিট সে চুপচাপ চোখ আধা বন্ধ করে বসে থাকে , শুধু শ্বাস গোনে । প্রথমে অস্থির লাগলেও ধীরে ধীরে রাফি দেখল , মনোযোগ বাড়ছে , অস্থিরতা কমছে । এভাবেই জাজেন বা জেন ধ্যান আমাদের শেখায় নিজেকে সামলানো , মনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া । জাপানিরা ধ্যানকে দৈনন্দিন কাজের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে । এই কাজটা নামাজের মাধ্যমেও হয় । তাই নামাজ পড়া বা ইবাদত করা যেতে পারে । অমুসলিম হলে ধ্যান বা ধর্মীয় প্রার্থনা করা যেতে পারে । প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ( যেমন ভোরবেলা বা রাতে ঘুমানোর আগে ) ৫ মিনিট জাজেন করুন ।

কোজিজি:

আকাশ প্রতিদিন সকালে এক কাপ চা বানায় । তিনি সেই চা বানানোতেই তার যত্ন , মনোযোগ , ধৈর্য — সব ঢেলে দেয় । আর এই ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়ে সে খুঁজে পায় শান্তি ও আনন্দ । এটাই হলো কোজিজি ছোট জিনিস , ছোট কাজ , ছোট শব্দ ; যেগুলোর মাঝে লুকিয়ে থাকে বড় উপলব্ধি । জাপানিরা মনে করে , জীবন শুধু বড় সিদ্ধান্তে নয় , ছোট অভ্যাসে তৈরি হয় । জাপানিরা ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঁচিয়ে রাখেন গল্পের ছলে । বাড়ির বয়স্করা ছোটদের পূর্বপুরুষদের গল্প শোনান । তাঁদের ইতিহাস বই , রান্নার বই , নৃতত্ত্বের বই — এ রকম নানা কিছু গল্পের মতো করে বলা বা লেখা হয় । ইতিহাসের নানা ঘটনা আশ্রয় করে বানিয়ে ফেলা হয় সিনেমাও । ফলে সেগুলো আর বিরক্তিকর লাগে না , বরং ‘ ইন্টারেস্টিং ’ লাগে । আবার মনে রাখাও সহজ হয় ।
-দৈনিক আজকের পত্রিকা

✍️এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
লেখক: ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি,
ব্যাংকার'স ভাইভা বোর্ড,
মুজাহিদ'স ভাইভা সাজেশন,
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার,
লেসন ফ্রম বুকস।

ধ্রুবজিৎ কর্মকার।সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে বলেছেন  "আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।"
19/05/2025

ধ্রুবজিৎ কর্মকার।

সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে বলেছেন "আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।"



হায়রে মা! তুমি মা রূপেই সেরা আর শ্বাশুড়ি রূপে জ*ঘন্য।🥺 সন্তানের ভালোর জন্য তুমি চুলপরিমাণও ছাড় দিতে পারোনা 🙂 অন্যের মেয়...
12/05/2025

হায়রে মা! তুমি মা রূপেই সেরা আর শ্বাশুড়ি রূপে জ*ঘন্য।🥺 সন্তানের ভালোর জন্য তুমি চুলপরিমাণও ছাড় দিতে পারোনা 🙂 অন্যের মেয়ে তোমাকে নিজের মা ভাবতে পারলে তুমি কেন তাকে সন্তানের মতো ভাবতে পারো না! তাও তুমি মা মহান 💔

#কালেক্টেড

07/05/2025

ক্যারিয়ার প্ল্যান বি, প্ল্যান সি...

আমি শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থীদের প্রায়ই একটা প্রশ্ন করি- চাকরি না পেলে কী করবেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তর পাইনা! তারা ভাবেই না সামনে কী অপেক্ষা করছে তাদের জন্য!

চাকরি পাওয়া-না পাওয়া অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আল্লাহর ইচ্ছা, নিজের চেষ্টা, পরিবেশ-পরিস্থিতি সবকিছু অনুকূলে থাকতে হয়। সেজন্য সবার চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি কিছু বিকল্প চিন্তা বা পরিকল্পনা থাকা উচিত।

চাকরি না পেলে কী কী করতে পারেন তা সম্পর্কে আমার কিছু ধারণা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি..

১. প্ল্যান এ বা চাকরির জন্য ইতোমধ্যে অনেক বিনিয়োগ করেছেন। এটা কোনভাবেই হুট করে ছেড়ে দিবেন না। শেষ চেষ্টা করুন। নিয়মিত পড়ুন, সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করুন।

২. কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পেলেও কাছাকাছি কোন চাকরি পেয়ে থাকলে শুকরিয়া করুন। সাধ্যমতো চেষ্টা করুন, কিন্তু না হলে মনে করুন এটাই আপনার জন্য সর্বোত্তম।

প্ল্যান বি, প্ল্যান সি..

৩. চাকরি ছাড়া আপনার আগ্রহ কিসে, আপনি দক্ষ কিসে, কী করতে ভালো লাগে, কিসের চাহিদা ভবিষ্যতে ভালো থাকবে ভাবুন। ধরুন আপনি কোন একটা টেকনিক্যাল বিষয়ে মোটামুটি দক্ষ, আরেকটু প্রশিক্ষণ বা চেষ্টা আপনাকে পুরো দক্ষ করে তুলবে। সুযোগটি কাজে লাগান।

৪. পরিবার, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে বসুন মাঝে মাঝে। তাদের কোন ভালো পরামর্শ থাকলে গ্রহণ করুন। দিনশেষে তারাই আপনার পাশে থাকবে। নিজের সীমাবদ্ধতার কথা ও বাস্তবতা তাঁদের জানান।

৫. এবার সিদ্ধান্ত নিন কী করবেন। ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, শিক্ষকতা, বিদেশে যাবেন, কৃষি খামার করবেন, একেবারে নতুন কিছু করবেন।

৬. ব্যবসা যদি ভালো লাগে তাহলে অনলাইন বা অফলাইন যেকোন ব্যবসা করতে পারেন। অনলাইন ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রসিদ্ধ জিনিস সংগ্রহ করে তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করলে আস্তে আস্তে ভালো অবস্থান তৈরি করা সম্ভব। মনে রাখবেন অনলাইন ব্যবসায় আপনার গ্রাহকই আপনার গুডউইল এম্বাসেডর। অনলাইন বিজনেসেও শেখার আছে অনেক কিছু। নিরাপত্তা, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জেনে শুরু করে দিতে পারেন।

৭. ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর আকর্ষণীয় কর্মসংস্থান ক্ষেত্র।‌ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সবচেয়ে ভুল ধারণা হলো এখানে জয়েন করলেই কাড়ি কাড়ি টাকা! আসলে তা একেবারেই ভুল ধারণা, অন্যান্য পেশার মতো এটিও খুব চ্যালেঞ্জিং। আপনাকে সারা বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। দরকার ধৈর্য, একাগ্রতা ও শেখার আগ্রহ। আস্তে আস্তে আয় বাড়বে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন, অন্যদিকে দেশের জন্য বয়ে আনতে পারবেন গৌরব। আপনার ভালো কাজ বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ভালো ইমেজ তৈরি করবে আর আপনার আয়ও দিন দিন বাড়বে।

৮. এছাড়া অনলাইনে ব্লগিং, ইউটিউব মনিটাইজিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইভেন্ট প্ল্যানিং, অনলাইন ওয়েবিনারসহ আধুনিক অনেক পেশায় যুক্ত হতে পারেন। আপনারা অনেকেই জানেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালের বহু নাগরিক এদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি করছে। তারা মূলত গার্মেন্টস, আইটি ও দামি রেস্টুরেন্টে জব করে। বেশিরভাগ কারিগরি দক্ষতার কাজ। এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে আপনিও জায়গা করে নিতে পারেন চমৎকার পারিশ্রমিকের এসব পেশায়।

৯. আপনার যদি টার্গেট হয় বিদেশে যাবেন তাহলে আপনার পরিবার, আত্মীয় কেউ প্রবাসী থাকলে তাদের সাথে কথা বলুন। প্রথমেই একটা বিষয় নিশ্চিত করবেন, অবৈধ পথে বিদেশ যাবেন না। জীবন একটাই, ভূমধ্যসাগরে বা ইউক্রেনের জঙ্গলে মরার কোন মানে হয়না। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আছে। সেগুলোতে প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ইত্যাদি দেশে যেতে পারেন।‌ মধ্যপ্রাচ্যে মেতে চাইলে ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভালোভাবে চেক করে যাবেন। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া যাওয়া তুলনামূলক কঠিন। আত্মীয় বা পরিচিত কেউ থাকলে চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়া দূতাবাসের মাধ্যমেও বৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার কিছু সুযোগ থাকে সময়ে সময়ে। ভালো ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে চেষ্টা করতে পারেন।

ইউরোপ বা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে আবেদন করতে পারেন। মাস্টার্স করার জন্য মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টার্গেট করতে পারেন। তবে যা কিছুই করেন অন্ধকারে ঢিল না মেরে জেনে বুঝে করবেন। যে দেশে যাবেন সেদেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও আইন কানুন সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন। বিদেশে টেকনিক্যাল কাজের সুযোগ বেশি। যেখানেই যেতে চান কিছু একটা শিখে যান।

১০. কৃষি/খামার: খাদ্য, বস্রের চাহিদা কখনোই শেষ হবে না। কৃষি একটি অপরিহার্য সেক্টর। নতুন, নতুন কৃষির ধারণা দিন দিন বিকশিত হচ্ছে। গরুর খামার এখন একটি জনপ্রিয় সেক্টর। গরু এবং দুধ, দুগ্ধজাত খাবারের দাম অনেক। কেউ চাইলে গরুর খামার করতে পারেন। পাশাপাশি দুগ্ধজাত পন্যের একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন। সিলেটে আমি এরকম দেখেছি। বাড়ির ভিতরে মিস্টি, দই, পনির, ঘি তৈরি করছে। মান ভালো হওয়ায় মানুষ বাড়ি থেকে কিনে নিচ্ছে। আপনারা এরকম উত্পাদন করলে এলাকার দোকানগুলোতেও সাপ্লাই দিতে পারবেন। নিজ এলাকার মানুষদের ফেসবুকে এড করে মার্কেটিং করতে পারেন।

মুরগির খামার, হাঁসের খামার, কোয়েল পাখির খামার, কবুতরের খামার, মাছ চাষ এসব তো আছেই। ছোট্ট কিছু দিয়ে শুরু করে একদিন বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখুন। যে কাজটি ই করবেন একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, সঞ্চয় করতে হবে। আপনার আয় যদি ১০০০ হয় ১০০ টাকা আলাদা করে সঞ্চয় করুন। ৫০০০ হলে ৫০০ টাকা এরকম কিছু কিছু সঞ্চয় আপনাকে বড় করে তুলবে। ধনী আর গরীবের প্রধান তফাৎ ধনীরা সঞ্চয় করে। তাই অল্প হলেও সঞ্চয় করবেন।

১১. অনেকেই শিক্ষকতা করবেন (প্রাইভেট)। ভালো শিক্ষকের অনেক সংকট আমাদের। এর দায় শিক্ষকদের না, সমাজের। যাই হোক, শিক্ষক হতে চাইলে নিজে পড়ুন, ভালো ভাবে বুঝুন। এটা নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার তেমন বেশি কিছু নেই।

১২. ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে সামনে। কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে অনেক কারখানা চালু হয়েছে। প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কারিগরী কাজের চাহিদা অনেক বেশি থাকবে সেখানে। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় হোটেল, পর্যটন, লিংকেজ অনেক ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। খোঁজ খবর রাখুন। যেকোন কাজে দক্ষতা অর্জন করুন।

১৩. আমার সাথে অনেক প্রবাসীর কথা হয়। বিদেশে তাঁরা সব ধরণের কাজ করেন। কিন্তু বাংলাদেশে ইগোর সমস্যার কারণে সব কাজ করতে পারেননা। এর দায় আমাদের সবার। তবু এর থেকে বের না হওয়ার উপায় নেই। জীবন একটাই, সুতরাং চাকরি হয়নি, এই জীবনের মানে নেই, এটা বলে আসলে কোন লাভ নেই।

শুরুর কথাটা আমার বলে শেষ করছি, প্ল্যান এ বা চাকরির জন্য ইতোমধ্যে অনেক বিনিয়োগ করে ফেলেছেন। হুট করে এটা ছেড়ে দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু যখন আর কোন সুযোগ থাকবে না তখনকার জন্য কিছু হোমওয়ার্ক করে রাখতে পারেন। আপনাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।

লেখনীতে- Ariyan Parves

 িস্থিতি(১)আপনি আপনার মুল্যবান সময় থেকে যদি ১০ মিনিট কোনো  #মাতালের সাথে সঙ্গ দেন,তাহলে দেখবেন আপনার জীবনে কোনো টেনশননেই...
05/05/2025

িস্থিতি

(১)আপনি আপনার মুল্যবান সময় থেকে যদি ১০ মিনিট কোনো #মাতালের সাথে সঙ্গ দেন,তাহলে দেখবেন আপনার জীবনে কোনো টেনশন
নেই,টেন করা উচিতও না। সব শান্তি যেন মাতালের।

(২)১০ মিনিট কোনো #সাধুর সাথে সঙ্গ দিলে যেন মনে হবে ধর্মকর্মই যেন সব, বাকি সব ভুয়া,মায়ায় পড়ে আছেন।সব ছেড়ে ধর্মকর্মেই মন দেওয়া উচিত।

(৩)১০ মিনিট কোনো #দানশীল ব্যক্তির সাথে সঙ্গ দিলে মনে হবে যেন দান করার মাঝেই পৃথীবীর সকল সুখ বিদ্যমান।আর কোনো কিছুতেই কোনো সুখ নেই।সেই পৃথিবীর সেরা আর সুখী মানুষ।

(৪)১০ মিনিট কোনো #নেতার সাথে সঙ্গ দিলে মনে হবে, আপনি জীবনে সব চেয়ে বড় ভুল করেছেন পড়াশুনা করে।সব কিছুই যেন নেতার জন্য। সমাজে যেন নেতাই সব কিছু। আপনারও নেতা হতে ইচ্ছে করবে।

(৫) ১০ মিনিট কোনো #ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে মনে হবে যেন সব টাকা ব্যবসায়ের দ্বারা আয় করা সম্ভব।অন্য কোনো উপায় নেই থাকলেও সেটা তার কাছে নগন্য।অতএব কিছু ভুলে নতুন করে ব্যবসায়ে মনোযোগী হওয়া উচিত।

(৬) ১০ মিনিট কোনো #শিক্ষকের সাথে বসলে মনে হবে যেন শিক্ষক পেশাটাই পৃথিবীর সেরা পেশা।মানুষ গড়ার কারিগর।আপনি যা করছেন সব কিছুই বৃথা। নতুন করে ছাত্র হতে ইচ্ছে করবে।

(৭) কিছু সময় যদি কোনো #কৃষকের সাথে বসেন তাহলে বুঝবেন কত কষ্ট করে ফসল তারা ফলায়।আপনি যে কষ্ট করে তার তুলনাই এটা কিছুই না।আপনার কৃষক হতে ইচ্ছে করবে। তাদের অবদানই সেরা অবদান।নতুন করে কৃষকের মুল্য বুঝবেন।

(৮) কিছু সময় যদি #সৈনিক বা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বসেন তাহলে বুঝবেন তাদের দেশপ্রেমই সেরা।তারা তাদের জীবন বাজি রেখে আমাদের চলার পথ সহজ করেছে।তাদের অবদানই সেরা।তাদের ত্যাগই সেরা।আপনি এত বছর ধরে যা যা ত্যাগ করেছেন উনাদের কাছে তা কিছুই না।

(০৯) কিছু সময় যদি আপনার কোনো #বন্ধুর কাছে বসেন তাহলে বুঝবেন জীবনটা কত সুন্দর, ছোটবেলা কত সুন্দর ছিল,মন চাইবে আবার ছোট বেলায় ফিরে যেতে, মন চাইবে ছেলেমানুষী করতে।

১০) কিছু সময় যদি কোনো #চিকিৎসকের সাথে বসেন তাহলে মনে হবে যেন এটাই সর্বোত্তম পেশা।উনাদের অবদানই সেরা অবদান।

আমরা মানুষরা #আকর্ষিত হই কথায়,কাজে,অনুপ্রেরণা য়।যার ফল শ্রুতিতে যখন যার সাথে বসি তাকেই যেন অনুপ্রেরনার উৎস বানিয়ে ফেলি।আমরা এটা চিন্তা করি না তাদের এই অবস্থান তৈরি করতে কত সময়,শ্রম ব্যয় করেছেন।দিন শেষে তারা প্রত্যকে প্রত্যেকের জায়গায় সফল।আমাদেরও উচিত সময় ও পরিস্থিতি বুঝে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া তাহলে কেবল পরবর্তী প্রজন্ম উন্নত জীবন পাবে।

Bidhan Chandra Das

04/05/2025

কোম্পানিতে যারা চাকুরী করছেন তাদের জন্যঃ

১. কখনো রাগের মাথায় জব ছাড়বেন না, তাতে আল্টিমেট ক্ষতি আপনার হবে। এমন সিচুয়েশন হলে যে কোন একটা অজুহাতে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেড় হয়ে যান, নিজেকে সময় দিন, নিজের সাথে কথা বলুন, একা থাকুন। পার্কে বা কোন নিরিবিলি জায়গায় বসেন আর ভাবুন এই জবের টাকায় আপনি বা আপনার ফ্যামিলি চলে।

বন্ধু-বান্ধব যতই থাকুক মাস শেষে বেতনের টাকাটা তারা আপনাকে দেবে না। আশা করি আপনার মাথা ঠান্ডা হবে। না হলে খুব তিতা সত্যি একটা কথা বলি? শূন্যস্থান পূরন হয়ে যায় দ্রুত, কারন ভাত ছিটালে কাকের অভাব নেই এই শহরে।

২. কখনো নিজের সামান্য সুবিধার/লাভের জন্য অন্য কলিগের পিছে লাগবেন না, ক্ষতি করবেন না। মনে রাখবেন আজ যার জন্য আপনি গর্ত খুড়ছেন, কাল তার চাইতেও বড় গর্তে আপনি পড়বেন।

সংগৃহীত

শান্ত সমুদ্রে শক্তিশালী নাবিক তৈরি হয় না।চ্যালেঞ্জ, সাহস,আত্মবিশ্বাস নতুন করে বাঁচতে শেখায়,নতুন আশায় বুক বাধতে শেখায়।কঠি...
03/05/2025

শান্ত সমুদ্রে শক্তিশালী নাবিক তৈরি হয় না।
চ্যালেঞ্জ, সাহস,আত্মবিশ্বাস নতুন করে বাঁচতে শেখায়,নতুন আশায় বুক বাধতে শেখায়।

কঠিন সময় শক্তিশালী মানুষ তৈরি করে আর শক্তিশালী মানুষ সময়কে সহজ করে ঠিক তেমনি সহজ সময় দুর্বল মানুষ তৈরি করে আর সময় কে কঠিন করে তোলে।


Bidhan Chandra Das

27/04/2025

#শত্রু

জীবনে শত্রুরও প্রয়োজনীয়তা আছে। কারন শত্রুর কারনেই হয়ত আপনি আপনার সঠিক লক্ষ্য নির্ধারন করতে পারেন,সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন।শত্রুর কারনেই আপনি সাবধান থাকেন,তাই ভুল কম হয়।

05/03/2025

আকাশে মেঘের ঘনঘটা

02/03/2025

আমরা নিজেরাই তো নিজেদের কথা গোপন রাখতে পারি না।অন্য কেউ কিভাবে আমাদের কথা গোপন রাখবে???

এটা সহজ স্বভাবজাত। কারন আপনি যাকে খুব কাছের আপন ভেবে আপনার কথা গুলো বলে দিচ্ছেন তারও খুব কাছের আপন বলে কেউ না কেউ আছেই।আপনি যখন তাকে আপনার কথা বলে শান্তি পাচ্ছেন ঠিক তেমনি অন্য জন ও আপনার অন্য কাউকে না কাউকে বলে শান্তি পাচ্ছে। আপনার প্রিয় মানুষ সে, আর তার প্রিয় মানুষ আপনি সহ অন্য কে কেউ থাকতে পারে।আপনার হয়ত একজন প্রিয় মানুষ তার হয়ত একের অধিক প্রিয় মানুষ থাকতেই পারে স্বাভাবিক। যার কারনে শত চেষ্টা করেও গোপন কথা গোপন থাকে না। তবে এটা সবার ক্ষেত্রে না কিছু ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে। যারা আপনার কথা গুলো অবশ্যই সযত্নে গোপন রাখবে।

তাই বন্ধু বলেন আর প্রিয় মানুষ বলেন নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।

ধন্যবাদ

ফিলোসোফি

Address

Jessore

Telephone

+8801608616925

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bidhan Chandra Das posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bidhan Chandra Das:

Share