Abdur Rahman

Abdur Rahman "Always try to do my best work."

03/03/2025

৩০ দিন রোজা রাখার পর যদি জানতে পারেন আপনার একটা রোজাও কবুল হয়নি!
প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টার বেশি না খেয়ে রোজা রাখলেন। লুকিয়েও কিছু খাননি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কষ্ট করেছেন, তবুও রোজা ভাঙ্গেননি।
কিন্তু, মাস শেষে যদি জানার সুযোগ থাকতো, আর আপনি জানতে পারলেন আপনার একটা রোজাও হয়নি, তখন কেমন লাগবে? রোজা রেখেছেন, সওয়াব পাননি। বিনিময়ে শুধু ক্ষুধার্তই থেকেছেন! আমাদের সমাজের অনেকেরই এমন হয়!
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “কত রোজাদার আছে যাদের রোজার বিনিময়ে ক্ষুধা ছাড়া আর কিছুই জোটে না!” [সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬৯০]
তারা কারা? রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।” [সহিহ বুখারী: ১৯০৩]
অর্থাৎ, রমাদান মাস শুধুমাত্র উপোষ থাকার মাস না। কেবল না খেয়ে থাকলেই রোজা হবে না। রোজার সওয়াব পেতে হলে আপনাকে চরিত্রবান হতে হবে। মিথ্যা বলা ত্যাগ করতে হবে, আমানত রক্ষা করতে হবে, কাউকে গালি দেয়া যাবে না, গীবত করা যাবে না।
অথচ আমরা অহরহই এমন করি।
বাইরে কাজকর্ম করে বাসায় এসে কোনো কিছু এলোমেলো দেখলে স্বামী রাগারাগি করে, স্ত্রীকে বকা দেয়, গালি দেয়। রিক্সা ভাড়া ঠিক না করে রিক্সায় চড়ে নামার সময় ঝগড়া করে। সময় কাটানোর জন্য বন্ধুদের সাথে বসে বসে গীবত করে। রোজা রেখে মিথ্যা বলে, ঘুষ খায়।
আপনি হয়তো ভাবছেন রোজা রাখছেন। কিন্তু, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলছেন- এগুলো রোজা না, এমন রোজার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। আল্লাহ এমন রোজা কবুল করেন না। তাহলে কীভাবে পরিপূর্ণভাবে রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে? নিজের চরিত্রকে উন্নত করা। সচ্চরিত্রবান হওয়া।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে, আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে একটি ঘরের জিম্মাদার।” [সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০০]

(সংগৃহীত)

 ゚
18/10/2024

15/10/2024

04/10/2024

🖤🖤🖤

02/10/2024
পর্ব-৩ বিস্ময়কর যাদুময়তায় সাধারণ মানুষের কাছে সজ্জন হিসেবে আসন গেড়ে নেয় তার বাহিনী। অন্তর্ঘাত সৃষ্টি করে সেনাবাহিনী...
02/10/2024

পর্ব-৩
বিস্ময়কর যাদুময়তায় সাধারণ মানুষের কাছে সজ্জন হিসেবে আসন গেড়ে নেয় তার বাহিনী। অন্তর্ঘাত সৃষ্টি করে সেনাবাহিনীর মধ্যে। সাধারণ মানুষের মধ্যে জন্ম দেয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাস।

হাসান ইবনে সাব্বাহর গুপ্ত বাহিনীতে রয়েছে চৌকস নারী ইউনিট। ওরা যেমন সুন্দরী, তেমনি বুদ্ধিমতী ও বিচক্ষণ। প্রাঞ্জল ভাষা ও বাকপটুতায় দক্ষ তারা। তাদের সংস্পর্শে গেলে যে কোন কঠিন মনের অধিকারী আর আদর্শিক পুরুষও মোমের মত গলে যায়। চক্রান্ত বাস্তবায়নে মাদক, নেশা, আফিম, হাশীশ, নাচ-গান ও ম্যাজিকের আশ্রয় নেয় তারা। এমনকি উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে হাসান বাহিনীর নারী গোয়েন্দারা নিজেদের দেহ বিলিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। দীর্ঘ কঠোর প্রশিক্ষণ—অনুশীলনের মাধ্যমে উপযুক্ত হওয়ার পর শুরু হয় তাদের মূল কাজ। হাসান বাহিনী তাদের প্রতিপক্ষ ইসলামী খেলাফতকে নির্মূল করতে এমন একটি ঘাতক বাহিনীর জন্ম দেয় যে, এই বাহিনীর প্রশিক্ষিত গোয়েন্দারা বেশ-ভূষা ও ভাষা বদল করে কৌশলী আচার ব্যবহার দ্বারা ফাতেমী খেলাফতের শীর্ষ ব্যক্তিদের একান্ত বডিগার্ডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও হাত করে নেয়। এর ফলে বড় বড় সামরিক কর্মকর্তারা গুপ্ত হত্যার শিকার হতে থাকেন। কিন্তু ঘাতকের কোন নাম-নিশানা খুঁজে পাওয়া যায় না।

অল্পদিনের মধ্যেই হাসান বাহিনীর গুপ্তদল ফেদায়ী নামে সারা মুসলিম খেলাফতে ভয়ংকররূপে আবির্ভূত হয়। এদের প্রধান কাজ রাজনৈতিক হত্যা। এ কাজে এরা বেশী ব্যবহার করে সুন্দরী যুবতী আর মদ। শরাবে উচ্চমানের বিষ মিশিয়ে আসর গরম করার পর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে তারা। কিন্তু তাদের মদ-নারী সালাহুদ্দীন আইউবীর বেলায় অকার্যকর। অবৈধ নারী সম্ভোগ আর হারাম মদ-সুরায় সালাহুদ্দীনের আজন্ম ঘৃণা। সালাহুদ্দীনকে হত্যা করার একমাত্র উপায় অতর্কিত আক্রমণ। কিন্তু এটা মোটেও সহজসাধ্য নয়। সুলতান সালাহুদ্দীন সবসময় থাকেন প্রহরী-পরিবেষ্টিত। তাছাড়া তিনি নিজেও খুব সতর্ক।

দু দুটি আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ার পর সালাহুদ্দীন আইউবী ভেবেছিলেন, আমীর সালেহ ও গভর্নর সাইফুদ্দীন হয়ত তাঁর চিঠি পেয়ে তওবা করেছে। ওরা হয়ত আর তার সাথে দুশমনি করবে না। কিন্তু না, ওরা প্রতিশোধের আগুনে অন্ধ হয়ে আছে। নতুন করে তৈরী করল সালাহুদ্দীনকে খতম করার সুগভীর চক্রান্তের ফাঁদ।.....

পর্ব-২ দু’ দুইবার আমাকে হত্যা করার জন্যে লোক পাঠিয়েছ; কিন্তু সফল হতে পারনি। আবার চেষ্টা করে দেখ, হয়ত সফল হবে। তোমরা যদ...
02/10/2024

পর্ব-২
দু’ দুইবার আমাকে হত্যা করার জন্যে লোক পাঠিয়েছ; কিন্তু সফল হতে পারনি। আবার চেষ্টা করে দেখ, হয়ত সফল হবে। তোমরা যদি আমাকে এ নিশ্চয়তা দাও যে, আমার মৃত্যুতে ইসলামের উন্নতি হবে, মুসলমানদের কল্যাণ হবে, তাহলে কাবার প্রভুর কসম করে বলছি, আমি তোমাদের তরবারী দিয়ে আমার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করিয়ে তোমাদের পদতলে উৎসর্গ করতে অসিয়ত করে যাব। আমি তোমাদের শুধু একটি কথাই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কাফের-বেঈমানরা কখনও মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না। ইতিহাস তোমাদের চোখের সামনে। আমাদের সোনালী অতীতের দিকে একবার ফিরে দেখ। আশ্চর্য, রাজা ফ্রাংক-রেমণ্ডের মত প্রচণ্ড ইসলাম বিদ্বেষী অমুসলিম শাসকরা তোমাদের সাথে একটু বন্ধুত্বের অভিনয় করল, আর অমনি তোমরা তাদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহস যুগিয়েছ! ওরা যদি সফল হত, তাহলে ওদের পরবর্তী প্রথম শিকার হতে তোমরাই। এরপর হয়ত দুনিয়া থেকে ইসলামী খেলাফত মুছে ফেলার কাজটিও সমাধান হত।

তোমরা তো যোদ্ধা জাতির সন্তান। সৈন্য ও যুদ্ধ পরিচালনা তোমাদের ঐতিহ্যের অংশ। অবশ্য প্রত্যেক মুসলমানই আল্লাহর সৈনিক আর আল্লাহর সৈনিক হওয়ার পূর্বশর্ত ঈমান ও কার্যকর ভূমিকা।

তোমরা খাঁচার পাখি নিয়ে ফুর্তি কর। মদ-নারীর প্রতি যাদের এত আসক্তি, সৈনিক জীবন ও যুদ্ধ পরিচালনা তাদের জন্যে খুবই বেমানান। আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা আমাকে সহযোগিতা কর। আমার সাথে জিহাদে শরীক হও। যদি না পার, অন্তত আমার বিরুদ্ধাচারণ থেকে বিরত থাক। আমি তোমাদের অপরাধের কোন প্রতিশোধ নেব না। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন। আমীন।

—সালাহুদ্দীন আইউবী

গভর্নর সাইফুদ্দীন গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে নতুন চক্রান্তে মেতে উঠল। সুলতান সালাহুদ্দীন আইউবীর চিঠি পড়ে তার মধ্যে দ্বিগুণ প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠল। যোগ দিল ইহুদী হাসান ইবনে সাব্বাহর ঘাতক স্কোয়াডের সাথে। শুরু হল নতুন চক্রান্ত। হাসান ইবনে সাব্বাহর স্কোয়াড দীর্ঘ দিন ধরে ফাতেমী খেলাফতের আস্তিনের নীচে কেউটে সাপের মত বিরাজ করছিল।

* * *

হাসান ইবনে সাব্বাহ্ একজন স্বভাব-কুচক্রী। ফাতেমী খেলাফতের শুভাকাঙ্ক্ষী সেজে সে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তৎপর। শুভাকাঙ্ক্ষীর পোশাকে সর্বনাশী ষড়যন্ত্রের হোতা সে। অতি সংগোপনে ইসলামী খেলাফতকে ধ্বংস করতে গোপনে গড়ে তোলে ঘাতক বাহিনী।

১১৭৫ সালের এপ্রিল মাস। সুলতান সালাহুদ্দীন আইউবী আপন চাচাতো ভাই খলীফা সালেহের গভর্নর সাইফুদ্দীনকে লিখলেন—‘তোমরা খাঁচায় ব...
02/10/2024

১১৭৫ সালের এপ্রিল মাস। সুলতান সালাহুদ্দীন আইউবী আপন চাচাতো ভাই খলীফা সালেহের গভর্নর সাইফুদ্দীনকে লিখলেন—

‘তোমরা খাঁচায় বন্দী রঙ-বেরঙের পাখি নিয়ে ফুর্তি কর। নারী আর সুরার প্রতি যাদের এত আসক্তি, তাদের জন্য সৈনিক জীবন খুবই বেমানান।’

খলীফা সালেহ আর তার বংশজ গভর্নর সাইফুদ্দীন গোপনে মুসলিম খেলাফতের চিরশত্রু ক্রুসেডারদের চক্রান্তে ফেঁসে গেলেন। খেলাফতের রাজভাণ্ডার—মণি-মুক্তা, হীরা-জহরত, দিনার-দিহরাম দিয়ে এই দুই শাসক ক্রুসেডারদের প্ররোচিত ও সহযোগিতা করতে লাগলেন সালাহুদ্দীন আইউবীর বিরুদ্ধে। সুলতান সালাহুদ্দীন আইউবীকে হত্যা করার চক্রান্ত আঁটা হল।

একদিন ঠিক কাঙ্ক্ষিত সুযোগটি এসে গেল ক্রুসেডারদের হাতে। তাঁরা মুসলিম শাসকদের মধ্যেই তালাশ করছিল দোসর। খলীফা সালেহ স্বেচ্ছায় ক্রুসেডারদের সেই ভয়ানক চক্রান্তে পা দিলেন। খলীফা ও ক্রুসেডারদের সমন্বিত চক্রান্তে দু’ দুবার হত্যার উদ্দেশ্যে সালাহুদ্দীনের উপর আঘাত হানা হল। দুবারই সৌভাগ্যবশত বেঁচে গেলেন সুলতান সালাহুদ্দীন। তছনছ করে দিলেন ঘাতকদের সব চক্রান্ত। আঘাতে-প্রত্যাঘাতে পরাস্ত করলেন শত্রুদের। ফাঁস হয়ে গেল গভর্নর সাইফুদ্দীনের চক্রান্তের খবর।

গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ক্রুসেডারদের দোসর গাদ্দার সাইফুদ্দীন ঘর-বাড়ি, বিত্ত-বৈভব ফেলে পালিয়ে গেল। গভর্নরের আবাস থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, বিলাস-ব্যসন। গভর্নরের বাড়িতে পাওয়া গেল দেশী-বিদেশী অনিন্দ্যসুন্দরী যুবতী, তরুণী, রক্ষিতা। এদের কেউ ছিল নর্তকী, কেউ গায়িকা, কেউ বিউটিশিয়ান, কেউ ম্যাসেঞ্জার। সবই ছিল সাইফুদ্দীনের মনোরঞ্জনের সামগ্রী ও ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের জঘন্য উপাদান।

সাইফুদ্দীনের বাড়িতে আরও পাওয়া গেল নানা রঙের নানা প্রজাতির অসংখ্য পাখি। দেওয়ালে দেওয়ালে ঝুলানো ছিল বিভিন্ন ভঙ্গিমার নগ্ন, অর্ধনগ্ন নারীদের উত্তেজক অশ্লীল ছবি। সুরাভর্তি অসংখ্য পিপা।

সালাহুদ্দীন খাঁচার বন্দী পাখিদের মুক্ত করে দিলেন। গভর্নরের বাড়িতে বন্দী সেবিকা, নর্তকী, বিউটিশিয়ান ও শিল্পী-তরুণীদের আপনজনদের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। তারপর সাইফুদ্দীনকে লিখলেন—

‘তোমরা দুজনে কাফের-বেঈমানদের দ্বারা আমাকে হত্যা করাবার অপচেষ্টায় মেতেছ। কিন্তু একবারও ভেবে দেখনি, তোমাদের এই চক্রান্ত মুসলিম খেলাফতের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তোমরা আমাকে হিংসা কর। তাই আমাকে তোমরা ধ্বংস করে দিতে চাও।

Address

Jesssore, Khulna
Jessore
7400

Opening Hours

Monday 05:00 - 12:00
Tuesday 05:00 - 12:00
Wednesday 05:00 - 12:00
Thursday 05:00 - 12:00
Friday 05:00 - 12:00
Saturday 05:00 - 12:00
Sunday 05:00 - 12:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdur Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share