23/09/2025
এআই এর নতুন পৃথিবী
এআই (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক এগিয়ে গেছে। যা একসময় শুধু সাধারণ কিছু প্রোগ্রাম ছিল, এখন তা এমন এক সিস্টেমে পরিণত হয়েছে যা নিজে নিজেই ভালো কাজ করতে পারে এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এখানে ধাপে ধাপে দেখানো হলো কীভাবে এই পরিবর্তনটি এসেছে:
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এটি এআই-এর শুরুর দিক। তখন এআই শুধু যুক্তিতর্ক করা, ভাষা বোঝা, জিনিসপত্র চেনা এবং পরিকল্পনা করার মতো কাজগুলো করত।
মেশিন লার্নিং: এই ধাপে এআই নিজে নিজেই কিছু শেখা শুরু করে। এটি বিভিন্ন ডেটা থেকে শিখে ক্লাস্টার তৈরি করত, ডেটা বিশ্লেষণ করত এবং ফলাফলকে আরও নিখুঁত করত।
নিউরাল নেটওয়ার্কস: মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে এমন কিছু প্রোগ্রাম তৈরি হলো। যেমন - সিএনএন (CNNs), আরএনএন (RNNs), ট্রান্সফরমার (transformers)। এগুলো ছবি, লেখা এবং অন্যান্য ডেটা আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
ডিপ লার্নিং: এটি আরও উন্নত প্রোগ্রাম, যা অনেক বড় ডেটাসেট নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে আছে চ্যাটজিপিটি-এর মতো বড় ভাষার মডেল, যা মানুষের সাথে কথা বলতে পারে, বিভিন্ন ধরনের ডেটা ব্যবহার করতে পারে এবং সবকিছুকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে পারে।
জেনারেটিভ এআই: এই এআই নিজেই নতুন কিছু তৈরি করতে পারে। যেমন - লেখা, ছবি, ভিডিও এবং কম্পিউটার কোড।
এআই এজেন্ট: এগুলো হলো এমন এআই যারা নিজেদের স্মৃতি ব্যবহার করে, পরিকল্পনা করে এবং দলগতভাবে কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়। AutoGen এবং CrewAI-এর মতো কিছু প্রোগ্রামের মাধ্যমে এরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
এজেন্টিয়াল এআই: এটি এআই-এর সবচেয়ে নতুন এবং উন্নত রূপ। এরা নিজে নিজেই নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে, নির্দিষ্ট ভূমিকা অনুযায়ী কাজ করে, এবং নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে স্বাধীনভাবে ও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারে।
এআই এখন শুধু শিখেই ক্ষান্ত হয় না, বরং এটি অন্যদের সাথে একসাথে কাজ করে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে।
এআই-এর ভবিষ্যৎ শুধু আরও স্মার্ট হওয়া নয়। এর লক্ষ্য হলো এমন কিছু তৈরি করা যা বিশ্বস্ত হবে এবং মানুষের পাশে থেকে একসঙ্গে কাজ করবে।
ক্রেডিট: (টুইটার/এক্স)
(Large Language Model)