Shoeb Ali

Shoeb Ali Entrepreneurship + Marketing = Smart Growth
আমি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য মার্কেটিং সহজ করে দিই।

এআই এর নতুন পৃথিবী​এআই (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক এগিয়ে গেছে। যা একসময় শুধু সাধারণ কিছু প্রোগ্রাম ছিল, এখন তা এমন...
23/09/2025

এআই এর নতুন পৃথিবী

​এআই (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক এগিয়ে গেছে। যা একসময় শুধু সাধারণ কিছু প্রোগ্রাম ছিল, এখন তা এমন এক সিস্টেমে পরিণত হয়েছে যা নিজে নিজেই ভালো কাজ করতে পারে এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
​এখানে ধাপে ধাপে দেখানো হলো কীভাবে এই পরিবর্তনটি এসেছে:

​আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এটি এআই-এর শুরুর দিক। তখন এআই শুধু যুক্তিতর্ক করা, ভাষা বোঝা, জিনিসপত্র চেনা এবং পরিকল্পনা করার মতো কাজগুলো করত।

​মেশিন লার্নিং: এই ধাপে এআই নিজে নিজেই কিছু শেখা শুরু করে। এটি বিভিন্ন ডেটা থেকে শিখে ক্লাস্টার তৈরি করত, ডেটা বিশ্লেষণ করত এবং ফলাফলকে আরও নিখুঁত করত।

​নিউরাল নেটওয়ার্কস: মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে এমন কিছু প্রোগ্রাম তৈরি হলো। যেমন - সিএনএন (CNNs), আরএনএন (RNNs), ট্রান্সফরমার (transformers)। এগুলো ছবি, লেখা এবং অন্যান্য ডেটা আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।

​ডিপ লার্নিং: এটি আরও উন্নত প্রোগ্রাম, যা অনেক বড় ডেটাসেট নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে আছে চ্যাটজিপিটি-এর মতো বড় ভাষার মডেল, যা মানুষের সাথে কথা বলতে পারে, বিভিন্ন ধরনের ডেটা ব্যবহার করতে পারে এবং সবকিছুকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে পারে।

​জেনারেটিভ এআই: এই এআই নিজেই নতুন কিছু তৈরি করতে পারে। যেমন - লেখা, ছবি, ভিডিও এবং কম্পিউটার কোড।

​এআই এজেন্ট: এগুলো হলো এমন এআই যারা নিজেদের স্মৃতি ব্যবহার করে, পরিকল্পনা করে এবং দলগতভাবে কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়। AutoGen এবং CrewAI-এর মতো কিছু প্রোগ্রামের মাধ্যমে এরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে পারে।

​এজেন্টিয়াল এআই: এটি এআই-এর সবচেয়ে নতুন এবং উন্নত রূপ। এরা নিজে নিজেই নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে, নির্দিষ্ট ভূমিকা অনুযায়ী কাজ করে, এবং নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে স্বাধীনভাবে ও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারে।


​এআই এখন শুধু শিখেই ক্ষান্ত হয় না, বরং এটি অন্যদের সাথে একসাথে কাজ করে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে।
​এআই-এর ভবিষ্যৎ শুধু আরও স্মার্ট হওয়া নয়। এর লক্ষ্য হলো এমন কিছু তৈরি করা যা বিশ্বস্ত হবে এবং মানুষের পাশে থেকে একসঙ্গে কাজ করবে।
​ক্রেডিট: (টুইটার/এক্স)











(Large Language Model)

My LinkedIn ID.All of my work is professional, from which everyone can gain small but valuable insights.
22/09/2025

My LinkedIn ID.
All of my work is professional, from which everyone can gain small but valuable insights.

I’m happy to share that I’ve started my BSS at Jashore City College !

22/09/2025

আপনি যখন Ads চালাচ্ছেন, মনে হয় বাজেটটা শুধু ঝরে যাবে। Click আসে, কিন্তু Sales? শূন্য। আমি নিজেও প্রথমবার Campaign চালিয়েছিলাম, মনে হয়েছিলো—“ঠিক আছে, এবার হয়তো সেলস আসবে।” কিন্তু reality check? একটিও হয়নি। তখনই বুঝতে পারলাম, ROI বাড়ানো মানে শুধু Ads চালানো নয়, একটু স্ট্রাটেজি দরকার। প্রথম টিপস—Retargeting ব্যবহার করা। মানুষ একবার Product দেখে, কিন্তু তখন কেনা হয় না। Retargeting হলো সেই subtle reminder, যা বলে—“হ্যাঁ, মনে আছে? এটা এখনো তোমার প্রয়োজন।” আমি একবার নিজের Campaign এ Retargeting চালালাম, ফলাফল? Click আগের থেকে কম, কিন্তু Sales দ্বিগুণ। কারণ, যারা আগেই আগ্রহী ছিল, তাদের আবার সুযোগ দিলাম।

দ্বিতীয় টিপস—A/B Testing। অনেক মার্কেটর Copy, Creative বা Audience একবারে Final ধরে Campaign চালিয়ে দেন। ভুল। আমি একবার Campaign চালালাম, শুধু একটা Creative ব্যবহার করে। ফলাফল? বাজেট শেষ, Data নেই। এরপর A/B Testing শুরু করলাম। দুইটা Creative, দুইটা Copy, দুইটা CTA—সব টেস্ট। ধীরে ধীরে বুঝলাম কোনটা কার্যকর। এখন আমি Campaign শুরু করার আগে সবসময় ছোট ছোট Tests করি। এই ছোট পরীক্ষা পরে বড় সাফল্যে রূপান্তরিত হয়।

তৃতীয় টিপস—Lookalike Audience বানানো। প্রথমবারের Campaign এ আমরা Original Audience থেকে অনেক কিছু শিখি। যারা Click করছে, যারা Lead দিচ্ছে, তাদের Profile থেকে Lookalike Audience বানানো মানে নতুন Potential Customer খুঁজে পাওয়া। আমি নিজেও প্রথমবার Lookalike ব্যবহার করতে ভয় পেয়েছিলাম। ভাবলাম, “নাহ, এটা কি কাজ করবে?” কিন্তু, কাজ করল! নতুন Audience Click করছে, Lead দিচ্ছে, Sales আসছে। Lookalike Audience মানে আপনার Existing Customer কে সঠিকভাবে Expand করা।

আরো কিছু ছোট ছোট টিপস আছে, যেমন Budget Optimization, Frequency Control, Timing Adjust করা। তবে মূল কথা হলো, Campaign চালানো মানে শুধু Ads Publish করা নয়। Campaign এর মধ্যে একটা আকাঙ্খা থাকতে হবে—ROI বাড়ানোর আকাঙ্খা। আর সেই আকাঙ্খা শুধুমাত্র Data দেখে, Retargeting করে, A/B Testing করে এবং Lookalike Audience ব্যবহার করে পূরণ হয়। আমি নিজেও প্রথমবার Campaign চালানোর সময় অশক্ত, Confused, Budget নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু একবার এই টিপসগুলো Follow করতে শুরু করলে, Campaign জীবন্ত হয়ে ওঠে।

সবশেষে, মনে রাখুন—Marketing মানে যাদু নয়। এটি হলো মানুষের আচরণ বুঝে, Data পড়ে, ছোট ছোট পরীক্ষা করে ধীরে ধীরে ফলাফল পাওয়া। Retargeting, A/B Testing, Lookalike Audience—এই তিনটি গোপন টুল আপনার ROI কে শুধু বাড়াবে না, Campaign কে শক্তিশালীও করবে। আর সেই শক্তি আপনার বাজেট, সময় এবং প্রচেষ্টাকে সঠিক দিক দেখাবে। আপনি Campaign এর মাধ্যমে না শুধু Sales বাড়াবেন, বরং Customer এর সাথে সংযোগও গড়ে তুলবেন।

ভাবুন তো, আপনি দারুণ কম্পিউটার চালাতে পারেন, এক্সেল শিটে নাচানাচি করাতে পারেন—এটাই হার্ড স্কিল। কিন্তু সেই এক্সেল ফাইল য...
22/09/2025

ভাবুন তো, আপনি দারুণ কম্পিউটার চালাতে পারেন, এক্সেল শিটে নাচানাচি করাতে পারেন—এটাই হার্ড স্কিল। কিন্তু সেই এক্সেল ফাইল যদি বসকে বুঝিয়ে বলতে গিয়ে আপনার গলা শুকিয়ে যায়, কথাই বের হয় না, তখনই বোঝা যায়—সফট স্কিলের অভাব কতটা কষ্টের।

হার্ড স্কিল হলো শেখা যায়—কোর্স করে, প্র্যাকটিস করে, টিউটোরিয়াল দেখে। এটা হলো অস্ত্র বানানো। আর সফট স্কিল? সেটা হলো অস্ত্র চালানো। আপনি যদি তলোয়ার বানাতে জানেন কিন্তু যুদ্ধে গিয়ে সেটি ধরতেই না পারেন, তবে লাভ কী?

জীবনে শুধু জ্ঞান থাকলেই হবে না, সেই জ্ঞান কিভাবে দেখাবেন—এটাই আসল খেলা।

অনেক সময় দেখা যায়, চাকরির জন্য প্রথমেই হার্ড স্কিল যাচাই করা হয়—ডিগ্রি, সার্টিফিকেট, টেস্ট। কিন্তু অফিসে ঢোকার পর টিকে থাকতে হয় সফট স্কিল দিয়ে—টিমওয়ার্ক, লিডারশিপ, কমিউনিকেশন। একা একা রোবটের মতো কাজ করলে চাকরি থাকে না, মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়াই সফলতার চাবিকাঠি।

আরেকটা মজার ব্যাপার হলো—হার্ড স্কিল পুরোনো হয়ে যায়। আজ যে সফটওয়্যার এক্সপার্ট, কাল নতুন ভার্সন এলেই আবার শেখার দরকার। কিন্তু সফট স্কিল? একবার গড়ে তুললে সারাজীবন কাজে লাগে।

হার্ড স্কিল আপনাকে দরজার সামনে নিয়ে যাবে, কিন্তু সফট স্কিল দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে দেবে।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণত হার্ড স্কিলের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। কিন্তু আসল যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা যায়, সফট স্কিলের ঘাটতি মানুষকে পিছিয়ে দেয়। তাই আসক্তির মতো চেষ্টা করতে হবে—জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি চরিত্র, আচরণ আর সম্পর্ক গড়ার দক্ষতা অর্জনে।

শেষকথা, সফট আর হার্ড—দুটোই প্রয়োজন। শুধু মাথা দিয়ে নয়, মন দিয়েও খেলতে জানতে হবে। জীবন নামক খেলায় এটাই আসল জেতার কৌশল।

একটি গবেষণায় (From Campus to Career) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে দেখা গেছে, দুই পক্ষই সফট স্কিলকে চাকরি পাওয়ার এবং কর্মক্ষেত্রে সফলতার জন্য অপরিহার্য বলে মনে করে।

শিক্ষাগত ফলাফলেও সফট স্কিলের প্রভাব স্পষ্ট। Keng ও তার সহকর্মীদের (২০২৩) গবেষণা অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থীর যোগাযোগ, সময় ব্যবস্থাপনা এবং সহযোগিতার মতো সফট স্কিল ভালো, তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্স অন্যদের তুলনায় উন্নত হয়। অর্থাৎ পড়ালেখায় শুধু জ্ঞান নয়, আচরণ এবং অভ্যাসও বড় ভূমিকা রাখে।

চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে আরও মজার তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সফট স্কিলের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নিয়োগদাতারা শুধু সফটওয়্যার এক্সপার্ট খুঁজছেন না, খুঁজছেন এমন মানুষ যারা টিমের সাথে কাজ করতে পারে, সমস্যা সমাধান করতে পারে এবং চাপের মুহূর্তে শান্ত থাকতে পারে। আবার Industry 5.0 এর প্রেক্ষাপটে করা এক গবেষণায় প্রায় ১৯,০০০ প্রতিষ্ঠানের জব পোস্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—ডিজিটাল স্কিলের পাশাপাশি সমস্যা সমাধান, সৃজনশীলতা এবং নমনীয়তা আজকের দিনে সমান গুরুত্বপূর্ণ।

তবে সবসময় সফট স্কিলকে সমানভাবে পুরস্কৃত করা হয় না। গবেষণায় (Responsible Team Players Wanted) দেখা গেছে, নিম্নবেতনভিত্তিক চাকরিগুলোতে সফট স্কিলের চাহিদা অনেক, কিন্তু বেতনের হার সেখানে তুলনামূলক কম থাকে। অন্যদিকে, বিশেষায়িত হার্ড স্কিল (যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রোগ্রামিং) অধিক বেতনের চাকরিতে বেশি প্রভাব ফেলে।

Shoeb Ali
Marketer( Copywriter, strategy, funnel creator)
ECONOMIC (honours)

, , , , ,

, , , , , ,

22/09/2025

Ad Campaign চালানোর আগে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করা জরুরি। হ্যাঁ, তিনটি প্রশ্ন, আর কোনো shortcut নেই। প্রথম প্রশ্ন—“আমি কাকে টার্গেট করছি?” অনেক নতুন মার্কেটর ভাবেন, সবাই তো Potential Customer। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, সবাই Customer নয়। আমি একবার নিজের বন্ধুদের বন্ধুদের বন্ধুদের টার্গেট করতে গিয়েছিলাম। ফলাফল? কোনো লিড আসলো না, শুধু বাজেটের আগুন! Target ঠিক করতে হলে বুঝতে হবে, আপনার প্রোডাক্ট কার জীবনের কোন সমস্যা সমাধান করছে। কার মানসিক অবস্থা, রুচি, বয়স, ইন্টারেস্ট—এগুলো জেনে তারপর Campaign শুরু করুন। মনে রাখবেন, Audience Research হলো Campaign এর foundation, যদি এটা দুর্বল হয়, পুরো Campaign ঢালুতে নৌকার মতো ভেসে যাবে।

দ্বিতীয় প্রশ্ন—“আমার লক্ষ্য কি?” Engagement, Lead নাকি Sales? অনেক সময় নতুন মার্কেটর শুধু “Click করুক, তারপর দেখি কি হয়” ভাবেন। কিন্তু লক্ষ্য স্পষ্ট না হলে Campaign কে সঠিক দিক দেখানো কঠিন। আমি একবার সবসময় Click চাই, কিন্তু Sales নেই, Engagement নেই—শেষে বাজেট শুধু ঝরে গেল। Campaign এর লক্ষ্য স্পষ্ট হলে আপনি Copy, Creative এবং CTA সবকিছু সঠিকভাবে সাজাতে পারবেন। Engagement চাইলে Storytelling, Poll, Comment Prompting—এগুলো কাজে লাগাতে হবে। Lead চাইলে Freebie বা Discount দিতে হবে। আর Sales চাইলে Direct Offer, Clear CTA আর Trust Signal দিতে হবে। লক্ষ্য না জানলে Campaign মানে Lottery!

তৃতীয় প্রশ্ন—“আমার অফার কি যথেষ্ট আকর্ষণীয়?” হ্যাঁ, Product ভালো হতে হবে, কিন্তু শুধু ভালো হওয়া যথেষ্ট নয়। Customer কে বলতেই হবে, “দেখো, এটা না পেলে তোমার জীবন কেমন হবে।” আমি একবার Product নিয়ে Campaign চালালাম, কিন্তু অফার Generic ছিল। মানুষ Click করলো না, কারণ মনে হল—“ওহ, এটা আরেকটা সাধারণ জিনিস।” Offer এমন হওয়া উচিত যে Customer মনে বলুক—“আমাকে এটা আজই নিতে হবে।” Discount, Bonus, Urgency—এই সব Small Tactics কাজে লাগান, তবে সত্যি ও Transparent হতে হবে।

এই তিনটি প্রশ্নের মধ্যে একটা আকাঙ্খা, একটা অশক্তি এবং একটা শিখন প্রক্রিয়া আছে। আমরা চাই Campaign সফল হোক, কিন্তু শুরুতেই সব ঠিক হবে না। Audience ভুল হবে, লক্ষ্য অস্পষ্ট হবে, Offer দুর্বল হবে—সবই স্বাভাবিক। কিন্তু এই তিনটি প্রশ্ন বারবার নিজেকে করলে, Campaign ধীরে ধীরে জীবন্ত হয়ে ওঠে। আপনি বোঝবেন কোথায় Click আসছে, কোথায় Engagement হচ্ছে, কোথায় Sales হচ্ছে।

আমি নিজে যখন নতুন মার্কেটিং শুরু করেছি, প্রথম Campaign ফেইল হয়েছে। Data Analysis, Audience Feedback, Creative Iteration—সবকিছু দিয়েও ঠিক করেছি। এখন ভাবি, যদি সেই সময় আমি এই তিনটি প্রশ্ন করতাম, বাজেটের আগুন এতটা ঝরতো না। Campaign মানে শুধু Ads চালানো নয়, এটা হলো মানুষের জীবনের সঙ্গে সংযোগ করার চেষ্টা। Audience বুঝে, লক্ষ্য ঠিক করে, Offer আকর্ষণীয় করলে Campaign সফল হয়। আর এই সাফল্য আসে ধীরে ধীরে, একটুখানি আক্ষেপ, একটুখানি আনন্দ, একটুখানি আকাঙ্খার সঙ্গে।

22/09/2025

আপনি যখন প্রথমবারের মতো Facebook এ Ad Campaign চালাতে বসেন, মনে হয় সবকিছু সহজ—একটা ছবি, একটু লেখা, বাজেট সেট করলেই সেলস বা লিড। কিন্তু সত্যি কথা বলি, প্রথমবারের প্রচারণা প্রায়শই… হ্যা, কিছুই আসে না। কেন? আসলে এটা কোনো জাদু নয়, এটা বিজ্ঞান। প্রথম ধাপ হলো Audience Research। আপনি যদি ঠিক কাস্টমার চিনতে না পারেন, আপনার Ad ঠিক যেন অন্ধ পথে ফেলে দেওয়া নৌকা—হেলে গেলে ডানদিকে যাবে, না হলে বালিতে আটকে থাকবে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গেলে, আমি একবার নিজের বন্ধুদের বন্ধুদের বন্ধুদের টার্গেট করতে গিয়েছিলাম। ফলাফল? একটিও সেলস নয়, শুধু বাজেটের আগুন!

দ্বিতীয় ধাপ হলো Copywriting। মানুষ কেবল ছবিই দেখে না, তারা কথার ভেতর থাকা অনুভূতি খুঁজে। যদি আপনার Copy লেখা হয় “সবচেয়ে ভালো ড্রেস কিনুন”, তাহলে সেটা Generic, কেউ পড়ে না। কিন্তু যদি বলেন, “এই ড্রেস পরে আপনি যে মানুষটি হতে চাইছেন, ঠিক সেই মানুষ দেখবেন”—হয়তো কেউ থামবে, পড়ে, ক্লিক করবে। Copywriting হলো সেই জায়গা যেখানে আপনি গল্প বলতে পারেন, কিন্তু গল্প শুধু মজার না, ফলপ্রসূও হতে হবে।

তৃতীয় ধাপ Creative Design। হ্যাঁ, ছবি বা ভিডিও। কিন্তু শুধু সুন্দর ছবি নয়, ছবির গল্প থাকতে হবে। আমি একবার এক সুন্দরী ফ্রেমে Product দেখিয়েছিলাম, কিন্তু সবাই বললো, “এটা কি বিক্রি হবে?” কারণ ছবিটা কোনো গল্প বলে নি। Creative Design হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আপনি মানুষের চোখে চোখ রেখে বলেন—“দেখুন, এটা আপনার জন্য।”

চতুর্থ ধাপ Budget Setup। বাজেট শুধু সংখ্যা নয়, স্ট্রাটেজি। অনেক নতুন মার্কেটর ভুলে যায়, বাজেটের সব টাকা একবারে খরচ করলে Campaign শেষ হওয়ার আগে কোনো Data পাবেন না। ছোট ছোট বাজেট দিয়ে পরীক্ষা করুন, কোন Audience ক্লিক করছে, কোন Creative কাজ করছে। ছোট বৃত্ত, বড় ফল।

পঞ্চম ধাপ হলো Analysis & Optimization। Campaign চালু করার পর শুধু বসে থাকবেন না। Data দেখুন, বুঝুন, পরিবর্তন আনুন। কোন Ad ভালো করছে, কোন Audience ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছে। আপনার Campaign তখনই সফল হবে, যখন আপনি এটাকে জীবন্ত মনে করবেন—মৃত নয়। আমি একবার Campaign Analysis না করে বসে থাকলাম, শেষ পর্যন্ত বাজেট শুধু ঝরলো, কোনো সেলস হয়নি।

তাই, আপনার প্রথম Ad Campaign কাজ করছে না মানে আপনি কিছু ভুল করছেন, কিন্তু সেটা ঠিক করা যায়। Audience ভুল, Copy অস্পষ্ট, Creative গল্পহীন, Budget অযৌক্তিক, Analysis অনুপস্থিত—এই পাঁচটি জায়গা ঠিক করুন। প্রতিটি ধাপের মধ্যে একটা আকাঙ্খা থাকবে, একটা চেষ্টা থাকবে, এবং হ্যা, একটু অশক্তি—কারণ আমরা সবাই শিখছি। আপনার Campaign সফল হবে ঠিক তখনই, যখন আপনি মানুষের চোখে চোখ রাখবেন, গল্প বলবেন, বাজেট ঠিক রাখবেন, এবং ডেটার ভাষা শুনবেন।

22/09/2025

কেন আপনার প্রথম Ad Campaign কাজ করছে না?

শুনুন, আমি জানি কী অনুভূতি—আপনি বসেছেন, নিজের প্রথম Ad Campaign চালালেন, বাজেটও ঠিক রেখেছেন, মনেও আশা ভরে গেছে। কিন্তু কয়েকদিন পরে ফলাফল দেখলেন… টের পেলেন, লাইক আছে, কমেন্ট আছে, কিন্তু বিক্রি? নেই। তখন মনটা একটু কেমন অশক্ত লাগে, ভাবেন—“সব কি আমি ভুল করেছি?” হ্যাঁ, হয়তো কিছুটা ভুল হয়েছে, কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ নেই, এটা প্রথমবারের শিক্ষণ।

প্রথম ভুল: ভুল টার্গেটিং। অনেক সময় আমরা ভাবি, “যতো বেশি মানুষ বিজ্ঞাপন দেখুক, ততো ভালো।” তাই সব ধরনের মানুষকে টার্গেট করি। ফল? বিজ্ঞাপন অনেকের সামনে গেলো, কিন্তু তারা আপনার কাস্টমার নয়। ধরুন, আপনি মেয়েদের পোশাক বিক্রি করছেন, আর বিজ্ঞাপন পৌঁছে গেছে এমন ছেলেদের কাছে যারা কোনোদিন ক্রয় করবে না। দেখলেন, লাইক এসেছে, কিন্তু বিক্রি নেই।

দ্বিতীয় ভুল: বাজেট প্ল্যানিং না থাকা। অনেকেই বিজ্ঞাপন চালায়, কিন্তু খরচ এবং রিটার্নের হিসাব রাখে না। ফল? টাকা চলে গেছে, কিন্তু ব্যবসায় কোনো ফলাফল নেই। এটা অনেকটা ঢাকার রাস্তায় টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো—কেউ পায় না, শুধু বাতাসে উড়ে যায়। বিজ্ঞাপন মানে শুধু টাকা ঢালা নয়, বরং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করা।

তৃতীয় ভুল: কন্টেন্ট দুর্বলতা। ছবি বা ভিডিও যদি মানুষের চোখে না লাগে, কপি যদি সাধারণ বা বিরক্তিকর হয়, তাহলে মানুষ স্ক্রল করে চলে যাবে। বিজ্ঞাপন শুধু চোখে পড়ার খেলা নয়, হৃদয়ে ছুঁয়ে দেওয়া খেলা। আপনার কনটেন্টে যদি সেই আবেগ বা আকাঙ্খা না থাকে, মানুষ ক্লিক করবে কেন?

চতুর্থ ভুল: CTA (Call To Action) ভুল বা অনুপস্থিত। অনেক সময় বিজ্ঞাপন শুধু তথ্য দেয়, কিন্তু মানুষকে বলে না—“এখনই কিনুন” বা “রেজিস্টার করুন।” মনে করুন, আপনি দোকানে ঢুকলেন, দোকানদার হাসছে, কিন্তু বলেন না—“কি চাইবেন?” আপনি কিনবেন? একদম না। CTA হল সেই পথ দেখানো, যা না থাকলে মানুষ কোথায় যাবে, কেউ জানে না।

সবশেষে, প্রথম Ad Campaign ব্যর্থ হওয়া স্বাভাবিক। এটা শেষ নয়, এটা শেখার প্রক্রিয়া। ভুলগুলো ধরুন, শিখুন, ঠিক করুন, তারপর আবার চেষ্টা করুন। মনে রাখুন, বিজ্ঞাপন হলো শুধু টাকা খরচের খেলা নয়, এটি আপনার কল্পনা, আকাঙ্খা আর চেষ্টা একসাথে দিয়ে মানুষকে টানে। একবার ভালো Campaign চালালে, দেখবেন—ফলাফল আসবে, বিক্রি বাড়বে, এবং সেই ছোট ছোট অশক্ত অনুভূতিগুলো হারিয়ে যাবে।

Ad Campaign vs Boosted Post – কোনটা বেশি কার্যকর?ধরুন, আপনি ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করলেন। ছবিটা সুন্দর, ক্যাপশনও জম্পেশ।...
22/09/2025

Ad Campaign vs Boosted Post – কোনটা বেশি কার্যকর?

ধরুন, আপনি ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করলেন। ছবিটা সুন্দর, ক্যাপশনও জম্পেশ। কিছু লাইক, কিছু কমেন্ট পড়ল। আপনি ভাবলেন—“আচ্ছা, একে বুস্ট দিলে আরও বেশি মানুষ দেখবে।” হ্যাঁ, বুস্ট দিলে দেখা বাড়বে, লাইকও বাড়বে, কেউ কেউ হয়তো শেয়ারও করবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এই লাইক-কমেন্ট কি আসলেই আপনার ব্যবসার জন্য কাজে লাগবে, নাকি শুধু মানুষের চোখে এক মুহূর্তের জন্য ধরা দেওয়াতেই শেষ হয়ে যাবে?

Boosted Post আসলে একটু শর্টকাটের মতো। অনেকটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইক হাতে চিৎকার করার মতো—“এইদিকে আসেন! আমার দোকান আছে!” মানুষ শুনবে, পাশ দিয়ে হেঁটে যাবে, কেউ কেউ হয়তো উঁকি দিয়ে দেখবে। এর সুবিধা হলো, ব্যবহার সহজ। এক ক্লিকে সেটআপ হয়ে যায়। কিন্তু এর অসুবিধা হলো, এখানে আপনার নিয়ন্ত্রণ কম। কাকে বিজ্ঞাপন দেখাবেন, কোন উদ্দেশ্যে চালাবেন—এই স্বাধীনতা সীমিত।

অন্যদিকে Ad Campaign হলো একেবারে সিরিয়াস খেলার মতো। ধরুন, আপনি ফুটবল খেলতে নামলেন। শুধু বল লাথি দিলেই তো হবে না, স্ট্রাটেজি থাকতে হবে, কোন খেলোয়াড় কোথায় দাঁড়াবে, কিভাবে গোল হবে—সবকিছুই প্ল্যানমাফিক চলতে হবে। Ad Campaign-ও সেরকম। এখানে আপনি টার্গেট অডিয়েন্স খুব নির্দিষ্টভাবে বেছে নিতে পারবেন—বয়স, অবস্থান, আগ্রহ, এমনকি তাদের অনলাইন আচরণ পর্যন্ত। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি ঠিক করতে পারবেন বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য কী হবে। আপনার লক্ষ্য যদি লিড পাওয়া হয়, বিক্রি বাড়ানো হয়, বা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনা হয়—সবই আলাদা আলাদা সেটআপে করা সম্ভব।

এবার ধরুন, Boosted Post হলো এক প্লেট ফুচকা। ঝাল-মিষ্টি-মজা আছে, খাওয়ার আনন্দও আছে, কিন্তু খিদে মেটে না। আর Ad Campaign হলো এক থালা বিরিয়ানি—সময়ে খেতে হয়, কিছুটা পরিশ্রমও আছে, কিন্তু খিদে মেটে পুরোপুরি এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে থাকে।

তাহলে কি Boosted Post একেবারেই অকার্যকর? না, মোটেও না। যদি আপনার উদ্দেশ্য হয় শুধু ব্র্যান্ডের উপস্থিতি দেখানো, নতুন কোনো অফার ঘোষণা করা, কিংবা ফলোয়ারদের সঙ্গে একটু এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানো—তাহলে Boosted Post কাজে আসবে। কিন্তু যদি আপনার লক্ষ্য হয় ব্যবসা বাড়ানো, সেলস আনা বা লিড জেনারেট করা—তাহলে Ad Campaign-ই হবে সঠিক পথ।

শেষকথা হলো, Boosted Post দিয়ে মানুষকে শুধু চোখে ধরা যায়। কিন্তু Ad Campaign দিয়ে আপনি তাদের হৃদয়ে পৌঁছাতে পারবেন, আর সেখান থেকেই শুরু হবে আসল ব্যবসার যাত্রা। তাই সিদ্ধান্ত আপনার—আপনি কি শুধু চোখে ধরা দিতে চান, নাকি গ্রোথের পথে হাঁটতে চান?

18/09/2025

Alex Hormozi

12/09/2025

আপনি রাতে ঘুমানোর আগে কোনটা বেশি করেন?
(a) নতুন প্রোডাক্ট আইডিয়া ভাবা
(b) কাস্টমারের মেসেজ রেপ্লাই
(c) মোবাইল চার্জ দিতে ভুলে যাওয়া

Address

Jessore

Opening Hours

Monday 08:00 - 21:00
Tuesday 08:00 - 21:00
Wednesday 08:00 - 21:00
Thursday 08:00 - 21:00
Saturday 08:00 - 21:00
Sunday 08:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shoeb Ali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share