04/11/2025
বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সরকার জারি করেছে আরপিও সংশোধনী অধ্যাদেশ। এই নতুন বিধানে নির্বাচনী আচরণবিধি ও প্রার্থিতা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও ক্ষমতা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নিচে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো তুলে ধরা হলো।
🔹জোট নয়, দলীয় প্রতীকেই ভোট:
এখন থেকে জোটভুক্ত প্রার্থীকেও ভোটে অংশ নিতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে। জোটের নামে প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না।
🔹শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি থেকে পদত্যাগ বাধ্যতামূলক:
গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো প্রশাসনিক পদে থাকা ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রার্থিতা ঘোষণার আগে এসব পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
🔹পলাতক আসামিরা অযোগ্য:
আদালত ঘোষিত ফেরারি বা পলাতক আসামিরা কোনোভাবেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
🔹সেনাবাহিনীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ভূমিকা:
প্রয়োজনে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যাবে এবং তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
🔹‘না’ ভোট বাধ্যতামূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া যাবে না। প্রার্থীকে ‘না’ ভোটের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
🔹ইসির পূর্ণাঙ্গ বাতিলের ক্ষমতা:
কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম, সহিংসতা বা ভোট কারচুপির প্রমাণ মিললে নির্বাচন কমিশন চাইলে পুরো আসনের ভোট বাতিল ঘোষণা করতে পারবে।
🔹হলফনামায় মিথ্যা তথ্যের শাস্তি:
প্রার্থীর হলফনামায় প্রদত্ত কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে নির্বাচিত হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
এই সংশোধনী অধ্যাদেশের ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরও কঠোর, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হওয়ার প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।