01/08/2023
★★★বীজ সম্পর্কিত মৌলিক বিষয়াবলী★★★
ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের
প্রথমটিই হলো বীজ। এই বীজের গুনাগুন সাফল্যজনকভাবে ফসল উৎপাদনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে কেবলমাত্র উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করেই শস্যের উৎপাদন ১৫-২৫% বাড়ানো সম্ভব। তবে অনেক ফসলের ক্ষেত্রে তা আরো বেশী। তাই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার সুনিশ্চিত করা আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। মান সম্পন্ন বীজ পেতে হলে বীজের জাত নির্বাচন, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ক প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ প্রয়োজন। তাই উক্ত বিষয়গুলো আলোচনার পূর্বে বীজ সম্পর্কে প্রাথমিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
বীজঃ সাধারণত গাছের যে অংশ বংশ বিস্তারে ব্যবহৃত
হয় তাই বীজ।
বীজ দু'প্রকার যথা-
(ক) অংগজ বীজ ও (খ) যৌন বীজ।
(ক) অংগজ বীজ : গাছের যে কোন অংশ বিশেষ যা একই রকম গাছের বংশ বিস্তারের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাই বীজ। যেমন আখ গাছের কান্ড, আলুর টিউবার, মিষ্টি আলুর লতা ইত্যাদি। এটি কৃষিতাত্বিক সংজ্ঞা।
খ) যৌন বীজ : পরিপক্ক ও নিষিক্ত ডিম্বককে যৌন বীজ বলে। যেমন- ধান, গম (স্বপরাগায়ন), পেঁপে বীজ (পরপরাগায়ন) ইত্যাদি। এটি উদ্ভিদতাত্বিক সংজ্ঞা।
ভাল বীজের বৈশিষ্ট্যঃ ভাল বীজের নিম্নোক্ত গুনাবলী থাকতে হবে।
(১) কৌলিতাত্বিক বিশুদ্ধতা বীজ যে জাতের সেই
জাতের নির্দিষ্ট গুনাবলী থাকতে হবে।
(২) মিশ্রণমুক্ততা জড় পদার্থ, আগাছার বীজ বা অন্য
জাতের মিশ্রণ থাকা চলবে না।
(৩) রোগ ও কীটমুক্ততা-বিশুদ্ধ বীজ অবশ্যই রোগের
জীবাণু ও কীটদৃষ্টতা থেকে মুক্ত থাকবে।
(৪) অংকুরোদগমক্ষমতা-উচ্চ অংকুরোদগম
ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে, অংকুরোদগম ক্ষমতা ৮৫%
কিংবা তার উপরে, কিন্তু ৮০% এর নীচে নয়।
(৫) ভাল বীজের আর্দ্রতা ধান ও গমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ
১২% ও অন্যান্য ফসলের বেলায় সর্বোচ্চ ১০%।
(৬) বীজ সব প্রায় একই আকারের এবং পরিপক্ক ও
পুষ্ট হতে হবে।
(৭) বীজের জীবনীশক্তি থাকতে হবে।
(৮) বীজের স্বাভাবিক রং থাকতে হবে।