সিভিল engineering বিষয়

সিভিল engineering বিষয় Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from সিভিল engineering বিষয়, Magazine, Jhenida.

~ রডের গায়ে B 500 CWR বা B 500 DWR কেন লেখা থাকে? 🤔আমরা সবাই জানি, রড কনস্ট্রাকশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু অ...
30/01/2025

~ রডের গায়ে B 500 CWR বা B 500 DWR কেন লেখা থাকে? 🤔

আমরা সবাই জানি, রড কনস্ট্রাকশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু অনেকেই খেয়াল করেন, রডের গায়ে B 500 CWR, B 500 DWR, B 600 DWR ইত্যাদি লেখা থাকে।

➡️ এই লেখাগুলোর মানে কী?
➡️ কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ?
➡️ এগুলো বুঝে না কিনলে কী সমস্যা হতে পারে?

আমি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সহজভাবে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি, যাতে আপনারা সবাই বুঝতে পারেন!

🔹 B 500 CWR / B 500 DWR / B 600 DWR এর ব্যাখ্যা

✅ B → বোঝায় এটি reinforcement bar (Rebar), যা কংক্রিটের সাথে ব্যবহার করা হয় ভবনের শক্তি বাড়ানোর জন্য।

✅ 500/600 → এটি রডের yield strength নির্দেশ করে, যা 500 বা 600 MPa (Megapascal)।
📌 অর্থাৎ, এই রডটি 500 বা 600 মেগাপ্যাসকেল পর্যন্ত টেনশন বা চাপ সহ্য করতে পারে।

✅ CWR (Cold Worked Ribbed) →
🔹 ঠান্ডা প্রক্রিয়াজাতকরণ করা রড
🔹 শক্তিশালী কিন্তু নমনীয়তা তুলনামূলক কম
🔹 সাধারণ কনস্ট্রাকশনের জন্য ভালো

✅ DWR (Ductile Worked Ribbed) →
🔹 বেশি নমনীয় ও বাঁকানো সহজ
🔹 ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় বেশি ব্যবহৃত হয়
🔹 বড় ব্রিজ, হাই-রাইজ বিল্ডিং ও নিরাপদ স্ট্রাকচারের জন্য উপযুক্ত

🔹 কোন রড কখন ব্যবহার করবেন?

✅ B 500 CWR → শক্তিশালী কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম নমনীয় রড।
✅ B 500 DWR → শক্তিশালী এবং বেশি নমনীয়, তাই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় বেশি ব্যবহার করা হয়।
✅ B 600 DWR → অতিরিক্ত শক্তিশালী, যা মেগা স্ট্রাকচার, ব্রিজ ও টানেলের জন্য উপযুক্ত।

⚠️ প্রকৌশলগতভাবে কোনটি ভালো?

✔️ যদি বেশি নমনীয়তা দরকার হয় (ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা, ব্রিজ, উঁচু ভবন ইত্যাদি) তাহলে B 500 DWR বা B 600 DWR বেছে নিন।

✔️ যদি সাধারণ কনস্ট্রাকশন হয় এবং অতিরিক্ত নমনীয়তার দরকার না হয় তাহলে B 500 CWR ব্যবহার করা যায়।

📌 ভুল রড মানে দুর্বল ভবন!
📌 সঠিক রড বেছে না নিলে ভবিষ্যতে বড় ক্ষতি হতে পারে!


কন্সট্রাকশন এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ-----------------------------------------------------------------------১। রিজার্ভর...
30/01/2025

কন্সট্রাকশন এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ-
----------------------------------------------------------------------
১। রিজার্ভরের (Water Tank) সাইজ কিসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তরঃ কতজন লোক বাস করে তার ভিত্তিতে আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারে ২ দিনের মজুদ এবং ওভারহেড রিজার্ভারে ১ দিনের মজুদ ধরে সাইজ নির্ণয় করা হয়।
২। Pvc/Upvc/Cpvc পাইপ কি ভাবে joint দিতে হয়?
উত্তরঃ Pvc/Upvc/Cpve পাইপ solution বা গাম দ্বারা joint দিতে হবে।
৩। PPR পাইপ কি ভাবে joint দিতে হয়?
উত্তরঃ PPR পাইপ হিট মেশিনের সাহায্যে তাপ দিয়ে joint দিতে হয়।
৪। পানির লাইন কত প্রেসারে চেক করতে হয়?
উত্তরঃ ফিটিং লাগানোর পূর্বে pressure machine-এর সাহায্যে 50 Psi প্রেসার দিয়ে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা করে প্রতিটি লাইন চেক দিতে হয়
৫। Sewerage কাকে বলে?
উত্তরঃ শহরের বাসিন্দাদের পরিত্যাক্ত তরল ময়লাকে Seweage বলে। ইহা নালা বা পাইপের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত করা হয়।
৬। Sewer কাকে বলে?
উত্তরঃ যে নর্দমা বা নালা Seweage পরিবহনের নিমিত্তে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাকে
Sewer বলে।
৭। ‘S' trap ও ‘P’ trap এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ Trap একটি বিশেষ ধরনের পাত্র বিশেষ, যেখানে পানি জমা থাকে এবং নিচ হতে কোন প্রকার গ্যাস উপরে আসতে পারে না। যে trap দেখতে ‘s’ আকৃতির তাকে ‘S’ trap বলে । ইহার hole vertical বিধায় ফ্লোরে ফিটিং করতে হয়। আবার যে trap দেখতে ‘P’ আকৃতির, তাকে ‘P’ trap বলে। ইহার hole horizontal বিধায় ওয়ালে ফিটিং করতে হয়।
৮। ফেয়ার ফেস কি?
উত্তরঃ Plaster ও রং বিহীন অবস্থায় RCC মসৃণ Surface-কে ফেয়ার ফেস বলে। অর্থাৎ, কোন প্রকার প্লাষ্টার ও রং করা যাবে না। ইহা প্রধানত R.C.C Surface-এর উপর হয়ে থাকে।
৯। Skirting কাকে বলে?
উত্তরঃ ঘরের ভিতরে ফ্লোর হতে উপরের দিকে ৩"-১২" পর্যন্ত টাইলস বা প্লাস্টার করার পর তার উপর NCF করা হয় তাকে Skirting বলে।
১০। ড্যাডো কাকে বলে?
উত্তরঃ রান্নাঘর বা টয়লেটের ওয়ালে ১'-৬" হতে ৪'-০" পর্যন্ত প্লাস্টার করে তার উপরে NCF হয়, তাকে ড্যাডো বলে।
১১। Paint-এর উপাদানের নাম লিখ?
উত্তরঃ Paint-এর মূল উপাদান 5 টি। যথা- (১) বেস, (২) ভিহিকেলস, (৩) ড্রাইয়ারস (৪) থিনার্স
(৫) পিগমেন্ট
১২। Paint-এ থিনার হিসাবে কি মিশানো হয়?
উত্তরঃ Plastic paint/Weather coat / Sika wall decor-এ থির্নার হিসাবে পানি ও Enamel paint-এ থির্নার হিসাবে T6 ব্যবহৃত হয়।
১৩। Paint করার পূর্বে plastering surface কে কত নম্বর পাথর দ্বারা ঘষতে হয়?
উত্তরঃ ৪০ নাম্বার দিয়ে ঘষতে হয়।
১৪। Putty তৈরি করাতে কি কি ব্যবহৃত হয়ে থাকে?
উত্তরঃ চক পাউডার- ২৫ কেজি ( ০১ ব্যাগ)
প্লাস্টিক পেইন্ট- ৩ লিটার
এনামেল পেইন্ট- ১ লিটার এবং পরিমিত পানি দিয়ে মিক্সিং করে Putty তৈরী করা হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ,

ম্যাট ফাউন্ডেশন কি? এবং লক্ষ্যনীয় বিষয় সমূহঃ------------------------------------------------------------------------ম্যা...
30/01/2025

ম্যাট ফাউন্ডেশন কি? এবং লক্ষ্যনীয় বিষয় সমূহঃ-
-----------------------------------------------------------------------
ম্যাট ফাউন্ডেশনঃ-

যখন বিল্ডিং এর সবগুলো কলাম কে একটি মাত্র ফুটিং দ্বারা সংযুক্ত করা হয় তখন তাকে ম্যাট বা র‍্যাফট ফাউন্ডেশন বলা হয়ে থাকে।
সাধারণত মাটির ভার বহন ক্ষমতা খুব কাছাকাছি না পাওয়া গেলে এবং সতন্ত্র ফুটিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে বিল্ডিং এরিয়ার সিংহভাগ জায়গা সতন্ত্র ফুটিং কর্তিক দখলের সম্ভাবনা থাকলে এ ফাউন্ডেশন ডিজাইন করা হয়।

কাজ চলাকালীন লক্ষ্যনীয়ঃ-

১। সর্ব প্রথম ড্রইং অনুযায়ী নির্দিষ্ট পুরুত্বের C.C. ঢালাই করতে হবে।

২। ৭-১০ দিন কিউরিং করতে হবে।

৩। রডের ডাবল জালি/নেট ব্যাবহার করা হলে, মাটির উর্দ্ধমূখী চাপের দরুন, নিচের নেটে লং বার নিচে শর্ট বার উপরে, উপরের নেটে শর্ট বার নিচে লং বার উপরে।

৪। দুইটি নেট ব্যাবহার করলে নেট দুটিকে পরস্পর পৃথক করার জন্য এদের মাঝে রিইনফোর্সমেন্ট চেয়ার ব্যাবহার করতে হবে।

৫। ল্যাপিং এর ক্ষেত্রে ড্রয়িং অনুসরন করতে হবে।

৬। প্রত্যেক পার্শ্বে ক্লিয়ার কভার ৩'' অথবা ড্রয়িং ফলো করতে হবে।

৭। বারগুলোর ডায়া এবং স্পেসিং চেক দিতে হবে।

৮। পাইলের রড বের হয়ে থাকলে তা কেটে দিতে হবে অথবা বেইজমেন্ট রডের সাথে বেকে দিয়ে কাস্টিং করা যেতে পারে।

৯। R.C.C. Wall থাকলে ওয়াল এর রড গুলো এবং রডের মাটাম ড্রয়িং অনুযায়ী চেক করতে হবে। ওয়াল এ দুইটি লেয়ার এ রড ব্যাবহার করার জন্য সেপারেটর দিতে হবে। অবশ্যই ফেসবার ব্যাবহার করতে হবে।

১০। ফাউন্ডেশন এবং কংক্রিট ওয়ালের জয়েন্টের স্থান সতর্কতার সাথে ঢালাই করতে হবে, যাতে কোনভাবে ভবিষ্যতে পানি চুয়ানোর সম্ভাবনা না থাকে।

১১। ঢালাইয়ের রেশিও ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ বা ড্রইং অনুযায়ী ফলো করতে হবে।

১২। কলামের সেন্টার লাইন যথাযথভাবে চেক করে নিতে হবে।

১৩। পুরুত্ব অনেক বেশি হলে কংক্রিট দুই লেয়ারে ঢালাই করতে হবে।

১৪। ২১-২৮ দিন পর্যন্ত কিউরিং করতে হবে।

OPC এবং PCC সিমেন্টের মধ্যে পার্থক্যঃ-এই বিষয়ে সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান থাকা উচিতঃ----------------------------------------...
30/01/2025

OPC এবং PCC সিমেন্টের মধ্যে পার্থক্যঃ-
এই বিষয়ে সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান থাকা উচিতঃ-
-----------------------------------------------------------------------
বাজারে সাধারনত দুই ধরনের সিমেন্ট দেখা যায়। একটা হচ্ছে
OPC: Ordinary Portland Cement.
অপরটি হচ্ছে, PCC: Portland Composite Cement.
OPC সিমেন্টে ক্লিংকারের পরিমান ৯৫ শতাংশ থেকে একশ ভাগ পর্যন্ত থাকে। আর জিপসাম থাকে সর্বোচ্চ ০-৫ শতাংশ। PCC সিমেন্টে ক্লিংকারের পরিমান ৬৫ শতাংশ থেকে ৭৯ শতাংশ। স্লাগ, ফ্লাই অ্যাশ ও লাইম স্টোনের পরিমান ২১ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ এবং জিপসামের পরিমান সর্বোচ্চ ০-৫ শতাংশ।

বাজারের সিমেন্টের ব্যাগে এই তথ্যগুলো দেখে খুব সহজেই বোঝা যায় কোনটি PCC আর কোনটি OPC সিমেন্ট।

OPC:-
1. OPC এর পূর্ণরূপ হলো ordinary portland cement.
2. OPC তে clinker এর পরিমান 95%- 100%.
3. পানি যোজিত এলাকায় কাঠামো নির্মাণে OPC cement ব্যবহার করা হয়।
4. জমাট বাধার সময় সময় প্রাথমিক 30 মিনিট এবং চুড়ান্ত 10 ঘন্টার কম।
5. OPC Cement এর শক্তি PCC Cement এর চেয়ে 100 psi বেশি।

PCC:-
1. PCC এর পূর্ণরূপ হলো Portland composite cement.
2. PCC তে clinker এর পরিমাণ 65%-79%.
3. সাধারণ কাঠামো নির্মাণে PCC Cement ব্যবহার করা হয়।
4. জমাট বাধার প্রথমিক সময় 30 মিনিট এবং চুড়ান্ত 10 ঘন্টা।
5. PCC Cement এর শক্তি OPC এর চেয়ে 100 Psi কম।

নির্মাণের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে পিসিসি এবং ওপিসি সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়।

যখন PCC সিমেন্ট ভালোঃ-
-----------------------------------------------------------------------
১। মাটির সার্বিক পরিস্থিতি সাধারণ পর্যায়ে থাকলে।
২। মাটিতে রাসায়নিক পদার্থ সংক্রান্ত কোন সমস্যা না থাকলে।
৩। কংক্রিট খুব দ্রুততার সাথে শক্ত হবার প্রয়োজন না হলে।
৪। কংক্রিটে ঢালাইয়ের সময় উৎপন্ন তাপমাত্রা হিসাবে ধরা না হলে।
৫। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে সব ধরনের পাইলিং, ফাউন্ডেশন, গাথুনী, ছাদ এবং প্লাস্টারের কাজে পিসিসি সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়।

যখন OPC সিমেন্ট ভালোঃ-
----------------------------------------------------------------------
১। বহুতল ভবন নির্মাণে।
২। উচ্চশক্তিসম্পন্ন শিল্পকারখানার কাঠামো নির্মাণে।
৩। পানির নিচে কংক্রিটের কাজে।
৪। ব্রিজ, কালভার্ট ও সেতু নির্মাণের কাজে।
৫। মাটি পরীক্ষায় (সয়েল টেস্ট) সালফারসহ কংক্রিটের জন্য।

সাইট ইঞ্জিনিয়ারের জন্য গুরুত্বপুর্ণ কয়েকটি তথ্য:১। 36 মিলি এর চাইতে মোটা রডে ল্যাপিং হবে না।২। চেয়ার এর স্পেসিং (এক চেয়ে...
30/01/2025

সাইট ইঞ্জিনিয়ারের জন্য গুরুত্বপুর্ণ কয়েকটি তথ্য:
১। 36 মিলি এর চাইতে মোটা রডে ল্যাপিং হবে না।
২। চেয়ার এর স্পেসিং (এক চেয়ের থেকে আর এক চেয়ার, উভয়দিকে) সর্বোচ্চ এক মিটার।
৩। ডাওয়েল বারের সাইজ সর্বনিম্ন 12 মিলি
৪। চেয়ারের রড 12 মিলি এর নিচে হবে না
৫। লংবার 0.8% এর কম এবং 6% এর বেশি হবে না ক্রস সেকশনের
৬। চারকোনা কলামের রড কমপক্ষে 4 টি এবং সার্কুলার কলামে কম্পক্ষে 6 টি থাকতে হবে
৭। স্ল্যাবের মেইন রড 8 মিলি এর নিচে হবে না। তবে প্লেইন রড 10 মিলি এর নিচে হবে না। ডিস্ট্রিবিউশন রড 8 মিলি এর নিচে হবে না। রড স্লাবের পুরুত্বের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে বড় হবে না। অর্থাৎ স্ল্যাবের থিকনেস 160 মিলি হলে রডের সাইজ 20 মিলি এর বেশি হতে পারবে না
৮। 125 মিলি এর নিচে স্ল্যাব থিকনেস না হওয়াই ভাল
৯। কিউবের সাইজ টলারেন্স +2 মিলি। অর্থাৎ কোন দিকেই সাইজ স্ট্যান্ডার্ড থেকে +2 এর বেশি হতে পারবে না
১০। 1.5 মিটারের বেশি উচ্চতা থেকে কংক্রিট ফেলা যাবে না
১১। ইটের পানি শোষণ ক্ষমতা 15% এর বেশি হতে পারবে না
১২। PH এর মান 6 এর নিচে হতে পারবে না
১৩। ইটের কম্প্রেসিভ স্ট্রেন্থ 3.5 N/mm2 কম হতে পারবে না
১৪। প্রতি মেট্রিক টন রডে 8 কেজা গুণা তার প্রয়োজন
১৫। কংক্রিট ঢালাইয়ের সময় 100 মিটারের জন্য কমপক্ষে এক সেট সিলিন্ডার টেষ্টের জন্য নিতে হবে।

 #পাইলিং_শুরুর_পূর্বে_করনীয়ঃ🔸চিজেলের ডায়াঃ চিজেলের ডায়া পাইলের ডায়া থেকে ২" কম হতে হবে সে অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা তা চ...
30/01/2025

#পাইলিং_শুরুর_পূর্বে_করনীয়ঃ
🔸চিজেলের ডায়াঃ চিজেলের ডায়া পাইলের ডায়া থেকে ২" কম হতে হবে সে অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে ।
🔸বোরিং পাইপের দৈর্ঘ্যঃ বোরিং পাইপের দৈর্ঘ্য পাইলের গভীরতার সমান বা বড় আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে ।
🔸ট্রিমী পাইপের দৈর্ঘ্যঃ পাইলের দৈর্ঘ্যের চেয়ে ট্রিমী পাইপের দৈর্ঘ্য ৬"-৯" ছোট রাখা হয় বা রডের খাঁচার দৈঘ্যেরে চেয়ে ৩" বড় রাখা হয় যেন পাইলের ক্লিয়ার কভার বজায় থাকে ।
🔸পাইলের পয়েন্ট সেন্টার করাঃ প্রথমে তে-পায়া দাড় করাতে হবে, তারপর চিজেল উঠিয়ে পাইলের পয়েন্ট ও চিজেলের মাঝখানের দাঁত একই লেভেলে আনতে হবে। এবং চিজেলের মাঝখানের দাঁতে পানি দিয়ে দেখতে হবে । পানি পাইল পয়েন্টের ঠিক রডের মাথার উপর পড়ে কিনা । যদি রডের মাথার উপর পানি পড়ে তাহলে পাইলিং করার অনুমতি দিতে হবে ।
🔸বোরিং ওয়াশ করাঃ কমপক্ষে আধা ঘন্টা বোরিং ওয়াশ করতে হবে । তবে যতক্ষন পার্যন্ত ময়লা পানি বের হয় ততক্ষন পর্যন্ত ওয়াশ করতে হবে । ওয়াশ করার জন্য অবশ্যই পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে ।
🔸রডের খাঁচা তৈরি এবং ভাল ভাবে ওয়েল্ডিং করাঃ ড্রয়িং অনুযায়ী রডের খাঁচা তৈরি করে নিতে হবে । খাঁচার সাথে অবশ্যই কনক্রিটের তৈরি হুইলাকৃতির ব্লগ বা ১০মিমি রড দিয়ে চেয়ার লাগাতে হবে । চেয়ারের গায়ে কস্টেপ পেচিয়ে দিতে হবে যাতে মরিচা না ধরে । খাঁচার মেইন রড এবং বাইন্ডার রড এর প্রত্যোটা পয়েন্ট একটার পর একটা ভাল ভাবে ওয়েল্ডিং করতে হবে । অর্থাৎ একটা পয়েন্ট গুনা তার দিয়ে এবং পরের পয়েন্ট ওয়েল্ডিং করতে হবে ।
🔸কাস্টিং করাঃ বোরিং ওয়াশ করা হয়ে গেলে রডের খাঁচা বোরিং এর মধ্যে ঢুকাতে হবে । কাট-অফ লেভেল ঠিক রাখার জন্য খাঁচার মাথায় রডের হুক তৈরি করে ক্যাসিং পাইপের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে।ট্রিমী পাইপ ঢুকানোর পর ঢালাইয়ের কাজ শুরু করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ট্রিমী পাইপ এর নিচের মাথা যেন ঢালাইয়ের ভেতর থেকে বের হয়ে না আসে । কারন ঢালাইয়ের ভেতর বের হয়ে আসলে ট্রিমি পাইপের মধ্যে কাদা ঢুকে যাবে ফলে পাইলিং এর কাঙ্খিত উদ্দেশ্য ব্যহত হবে ।
মিস্ত্রীরা তাদের সময় বাচানোর জন্য দুইটা ট্রিমী পাইপ এক সাথে খুলতে চায় এ ধরনের কাজ মারাত্তক ক্ষতিকর । ঢালাই শেষের দিকে আসলে ক্যাসিং পাইপ কাট-অফ লেভেল থেকে ৪-৫ ফুট উপরে উঠায়ে দিয়ে মসলা দ্বারা সম্পুর্ন ভরে দিয়ে অর্থাৎ ঢালাইয়ের মসলা চোখে দেখে ক্যাসিং পাইপ উঠিয়ে ফেলতে হবে ।
#বি:দ্রঃ পাইলের মধ্যে যদি কাদা ঢোকে অথবা ফাঁকা থাকে তাহলে বিল্ডিং এর লোড পড়ার ফলে দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । এরুপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে লোড টেস্ট করে নিতে হবে । অনেক সময় হুক ছুটে খাঁচা কাট-অফ লেভেলের নিচে নেমে যায়।এমন হলে মাটি কেটে পাইলের মাথা ভেঙ্গে রডের সাথে রড ওয়েল্ডিং করে পুনরায় ঢালাই করে তার উপর পাইল ক্যাপ করতে হবে।

ছাদ ঢালাইয়ের সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখা উচিত?====================================•    ছাদ বা ফ্লোরের শাটারিং কোনোভাবেই ধা...
21/12/2024

ছাদ ঢালাইয়ের সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখা উচিত?
====================================
• ছাদ বা ফ্লোরের শাটারিং কোনোভাবেই ধাপে ধাপে করা যাবে না। একটি ফ্লোর বা ছাদ ঢালাই করার সময় পুরো ছাদের শাটারিং একবারে করা অত্যাবশ্যক। এর সাথে সম্পূর্ণ ফর্মা সমতল হয়েছে কিনা তা-ও একবারেই যাচাই করে নিতে হবে।

• ছাদ ও বীম ঢালাইয়ের কাজও করতে হবে একসাথেই। যদিও ছাদের লোড বীমের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তবুও তৈরির ক্ষেত্রে এদের একসাথে তৈরি করা অত্যাবশ্যক। ছাদ ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি পুরু হতে পারে।

• সাধারণত ২১ দিন পর থেকেই ফর্মা খোলা হয়। তবে ২৮ দিন ফর্মা খোলাই ভালো। অবশ্যই ঢালাইয়ের একদিন পরই ছাদের উপরিভাগে পানি ধরে রেখে কিউরিং করতে হবে।

• ঢালাইয়ের জন্য যে কাঠের কাজ করা হয়, তাকে বলা হয় সেন্টারিং। এর জন্য যে তক্তা বা প্লেট ব্যবহার করা হয়, তাতে ছিদ্র থাকা চলবে না এবং তক্তার উপরে কোনো তৈলাক্ত পদার্থ (যেমন- ডিজেল বা গ্রিজ) লাগানো থাকলে তা সুন্দর হয়। তবে বর্তমানে পাতলা পলিথিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব প্রক্রিয়া মেনে চললে সর্বনিম্ন সময়ে শাটার খোলা সম্ভব।

• মর্টার মেশাতে যদি মেশিন ব্যবহার করা হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে দুটি ব্যাপারে-
১. কমপক্ষে ২ মিনিট ধরে মেশাতে হবে।
২. মেশানোর সময় সম্পূর্ণ পানির সাথে মিক্সচার গুলে যাওয়া যাবে না।

• হাতে মিক্সচার তৈরি না করাই উচিত। এতে করে গুণগত মানের ধারাবাহিকতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। মানসম্পন্ন কংক্রিট অনেকদিন স্থায়ী ছাদ তৈরিতে খুবই দরকারি।

• ছাদ ঢালাইয়ের সময় সেটিং শুরু হবার আগেই প্রক্রিয়া শেষ করা উচিত। আধা ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা সময় নেওয়াটা ভালো মানের পরিচায়ক। দেরি হয়ে গেলে ঢালাই আবার নতুন করে তৈরি করা উচিত। অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করলে তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

• পিলারের শাটার তৈরির পরে তার মধ্যে ঢালাই ঢালার নিয়ম হচ্ছে, ঢালাই ১.৫ মিটারের বেশি উপর থেকে না ঢালা। এতে মিক্সচারের উপাদান আলাদা হয়ে যাবার ঝুঁকি থাকে।

• ঢালাই করার পর যাচাই করে দেখতে হবে ঢালাই যেন নিরেট হয় ও তাতে কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। এক্ষেত্রে নিডল ভাইব্রেটর বা লোহার রড দিয়ে ঠাসাই করা উচিত।

ছাদ ঢালাই করার নিয়মঃ
==============
উপাদান – সিমেন্ট, বালি এবং খোয়া।
উপাদানের অনুপাত – সিমেন্টঃ বালিঃ খোয়া – ১ঃ২ঃ৪।
এই মিশ্রণ প্রতি ৫০ কেজির সিমেন্টের বস্তার ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে এবং পানির পরিমাণ হবে স

বড় বড় সেতু বাঁকা হয় কেনো? =================== বড় বড় সেতু বাঁকা হওয়ার কারণ মূলত প্রকৌশলগত নকশা এবং কার্যকারিতা সংক্রান...
21/12/2024

বড় বড় সেতু বাঁকা হয় কেনো?
===================
বড় বড় সেতু বাঁকা হওয়ার কারণ মূলত প্রকৌশলগত নকশা এবং কার্যকারিতা সংক্রান্ত। এটি সেতুর স্থায়িত্ব, ভারবহন ক্ষমতা এবং নির্মাণের সুবিধার জন্য করা হয়। নিচে এর কয়েকটি কারণ ব্যাখ্যা করা হলো:

১. ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা এড়ানো
সরাসরি সেতু নির্মাণ সবসময় সম্ভব হয় না, বিশেষ করে নদী, পাহাড় বা শহরের মধ্যে যেখানে সরাসরি রাস্তা বা স্থানীয় কাঠামোর জন্য বাধা থাকে। বাঁকা নকশা এই ধরনের জায়গাগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।

২. প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ
বাঁকা সেতু ভূমিকম্প বা তীব্র বাতাসের সময় আরও স্থিতিশীল থাকে। বাঁকা নকশা সেতুর বিভিন্ন অংশে চাপ সমানভাবে বিতরণ করতে সাহায্য করে, ফলে এটি শক্তিশালী হয়।

৩. চাপ ও ভারসাম্য বণ্টন
বাঁকা সেতুর মাধ্যমে গাড়ির ওজন বা অন্য চাপ সমানভাবে সেতুর উপর ছড়িয়ে পড়ে। এটি সেতুর বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ পড়া থেকে রক্ষা করে এবং সেতুর আয়ুষ্কাল বাড়ায়।

৪. স্থাপত্য নান্দনিকতা
বাঁকা সেতু দেখতে সুন্দর এবং আধুনিক নকশার উদাহরণ হতে পারে। শহর বা এলাকার নান্দনিক চাহিদা মেটানোর জন্য অনেক সময় সেতুকে বাঁকা করে ডিজাইন করা হয়।

৫. যান চলাচলের সুবিধা
বাঁকা সেতু কখনো কখনো পথের দিক পরিবর্তনের জন্য তৈরি করা হয়। এটি যানবাহনের চলাচলকে সহজ এবং নিরাপদ করে তোলে।

উদাহরণ:
পদ্মা সেতু এবং সিডনি হারবার ব্রিজের মতো বড় সেতুগুলোতেও এই ধরনের বাঁকা নকশা দেখা যায়।
পৃথিবীর অনেক জায়গায় নদী, সমুদ্র এবং পার্বত্য এলাকায় বাঁকা সেতু দেখা যায় এর কার্যকারিতার কারণে।

10/12/2024
10/12/2024
১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ  ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশ্ন আশা করি উপকৃত হবেন। টাইম লাইনে রেখে দিতে পারেন...(১ )Shuttering-এর উচ্চতা ১২"-এর...
10/12/2024

১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশ্ন আশা করি উপকৃত হবেন। টাইম লাইনে রেখে দিতে পারেন...
(১ )Shuttering-এর উচ্চতা ১২"-এর উপরে হলে কি করতে হবে?
------ Shuttering-এর উচ্চতা 12" এর উপরে হলে অবশ্যই horizontal ব্রেশিং দিতে হবে props হিসাবে এম.এস পাইপ অথবা শালবল্লি ব্যবহার করতে হবে।
(২) সানসেড-এর binder rod, main rod-এর কোন দিকে দিতে হয়?
----- Main rod-এর নিচে দিতে হয়।
(৩) ফ্রগ মার্ক কি?
----- ইটের এক পিঠে প্রস্তুত কারকের নাম লিখা থাকে, তাকে ফ্রগ মার্ক বলে। যা bonding এ key হিসাবে কাজ করে।
(৪) ১০০ cft. Khoa বানাতে কতগুলো ইট লাগবে?
-----১০৫০ টি (প্রায়)
(৫) ১০০ বর্গফুট সলিং-এর জন্য কতগুলো ইট লাগবে?
----- ৩০০ হইতে ৩৩৬ টি।
(৬) একটি গাছের বয়স কিভাবে বুঝা যাবে?
----- কাঠের ক্রস সেকশনের রিং গণনা করে গাছের বয়স বুঝা যাবে।
(৭) ১০০ ফুট এইজিং-এর জন্য কতগুলো ইট লাগবে?
----- ২৫০ হতে ২৭০ টি।
(৮) ১০০ বর্গফুট হেরিং বোন বন্ড-এর জন্য কতগুলো ইট লাগবে?
----- ৫০০ হতে ৫৫০ টি।
(৯) Cantilever Beam-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মোমেন্ট কোথায় উৎপন্ন হয়?
----- Cantilever Beam-এ সর্বোচ্চ moment হয় সার্পোটে।
(১০) ১০০ sft ৫ ইঞ্চি ওয়ালের জন্য কতগুলো ইট লাগবে?
----- ৪৮০ হইতে ৫০০টি।
(১১) ১০০ cft ১০ ইঞ্চি ওয়ালের জন্য কতগুলো ইট লাগবে?
----- ১০৮০ টি।
(১২) 0১ ঘনফুট সিমেন্টের ওজন কত পাউন্ড?
----- ৯০ পাউন্ড।
(১৩) ০১ মন চুনের আয়তন কত?
----- ২.২৫ ঘনফুট।
(১৪) জলছাদে ব্যবহৃত উপাদান সমূহের নাম ও ইহার অনুপাত কত?
----- জলছাদে ব্যবহৃত উপাদান সমূহের নাম হলো Slaked Lime, Surki, Khoa, Molasses, Tamarine (এখন ব্যবহার করা হয় না) ও Grey Cement. জলছাদে ব্যবহৃত উপাদান সমূহের অনুপাত ২ : ২: ৭। এখানে ২ ভাগ সুরকীর সাথে ২ ভাগ চুনও ৭ ভাগ খোয়া মিশাতে হবে।
(১৫) জলছাদ এবং প্যারাপেট ওয়ালের সংযোগ স্থলের বাঁকা অংশকে কি বলে?
----- ঘুন্ডী বলে ।
(১৬) ০১ cft (ঘনফুট) লোহার ওজন কত?
----- ৪৯০ পাউন্ড।
ধন্যবাদ,

Engi. Imdadul Haque Milon
LGED

07/11/2024
চলছে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক শক্তিশালী ও প্রসস্থকরণ কাজ।
02/11/2024

চলছে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক শক্তিশালী ও প্রসস্থকরণ কাজ।

ইদানিং অনেক পোস্ট দেখতেছি যে গরমে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে আসলে কি ৪০ বা ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পিস গলে যেতে পারে? না, ৪০ ড...
27/04/2024

ইদানিং অনেক পোস্ট দেখতেছি যে গরমে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে আসলে কি ৪০ বা ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পিস গলে যেতে পারে?
না, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পিস গোলে না।

দুর্নীতির জন্য সড়ক গলছে, তাপমাত্রার জন্য নয়।বিটুমিনের রাস্তা ৯০ ডিগ্রী সেলসিয়াসেও গলবে না। মুলত বিটুমিনের পরিবর্তে কমদামী টার ব্যবহার করলে; গরমে রাস্তার পিচ গলে যায়। কারণ টারের গলনাংক মাত্র ৪০ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু বিটুমিনের গলনাংক ১০০ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাই বায়ুর তাপমাত্রা যতই হোক; বিটুমিন রাস্তার পিচ গলবে না, পিচ গলে যায় কমদামী টার ব্যবহারের কারণে।

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম ৷...
14/08/2020

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ৷ ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় ৷

অনেকেই অন্যের জীবনবৃত্তান্ত প্রায় হুবহু অনুকরণ করে নিজের সিভি তৈরি করেন। এটা একেবারেই ঠিক নয়। চাকরিদাতারা কিন্তু সিভিতে চোখ বুলিয়েই ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। অন্য কাউকে দিয়ে সিভি তৈরি করালেও সেটা ধরা পড়ে যায়। যে নিজের সিভি নিজে তৈরি করতে পারে না, একজন চাকরিদাতা কোন ভরসায় তাঁকে দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ দেবেন? তাই নিজের সিভি নিজেকেই তৈরি করতে হবে। ইন্টারনেট ঘেঁটে দারুণ কিছু সিভির নমুনা পাওয়া যাবে। সেগুলো দেখে একটা ধারণা নিতে পারেন। তারপর নিজের সিভি নিজেই লিখুন।

১। নামঃ

সিভির প্রথম অংশে পুরো নাম লিখতে হবে। কোনোভাবেই ডাকনাম বা ছদ্মনাম লেখা যাবে না। নামের আগে মিস্টার বা মিসেস ব্যবহার করা যাবে না।

ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে চিঠিতে যোগাযোগ করা যায়, এমন ঠিকানা স্পষ্ট কিন্তু সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে হবে। যোগাযোগের জন্য দিতে হবে মুঠোফোন নম্বর।

আর বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে ই-মেইল ঠিকানার ক্ষেত্রে। [email protected] বা [email protected]—এ ধরনের হাস্যকর ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করা যাবে না। নিজের নামের সঙ্গে মেলে এমন সংক্ষিপ্ত ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করে সিভিতে ব্যবহার করতে হবে।

লিংকড–ইন প্রোফাইলের আইডি ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজন না হলে ফেসবুক আইডি যুক্ত না করাই শ্রেয়। তবে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট কিংবা নিজ কাজের পোর্টফোলিও প্রকাশিত হয়েছে এমন ওয়েবসাইটের নাম লেখা যেতে পারে।

২।ছবি

সিভিতে যে ছবি যুক্ত করবেন তা যেন সাম্প্রতিক সময়ে তোলা হয়। চুল কিংবা দাড়ি পরিপাটি থাকতে হবে ছবিতে। চেহারা বোঝা যায় এমন যেকোনো ছবি ব্যবহার করতে পারেন।

৩।পেশাগত লক্ষ্য/Objective

সিভিতে অবশ্যই আপনার পেশাগত লক্ষ্য লিখতে হবে। ভাষা হবে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল, গোছানো ভাষায়। যদি ইংরেজিতে লেখেন, বানান বা ব্যাকরণ যেন ভুল না হয়। যে পদে আবেদন করবেন তার সঙ্গে সম্পৃক্ত লক্ষ্য লিখতে হবে। আজগুবি, অপ্রাসঙ্গিক কিংবা কাল্পনিক কোনো বাক্য লেখা যাবে না।

৪। পেশাগত অভিজ্ঞতা

সাধারণত সদ্য উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সরাসরি পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকে না। কিন্তু যে পদের চাকরির জন্য সিভি তৈরি করছেন, সেই সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তা যুক্ত করুন। যেমন কোনো মেলায় বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করলে তা লিখুন বা কোনো কল সেন্টারে কাজ করে থাকলে তা-ও লিখতে পারেন। কোন পদে কাজ করেছেন, কত দিন করেছেন তা উল্লেখ করুন। কোনো সম্মেলন বা অনুষ্ঠানে আয়োজক হিসেবে কাজ করে থাকলে তা-ও লিখুন।

৫। শিক্ষা

সদ্য যে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, সেটা লিখতে হবে প্রথমে। কোন বিষয়ে, কোন অনুষদে পড়েছেন, কত সালে পরীক্ষা দিয়েছেন, গ্রেড পয়েন্ট বা ফলাফল কী ছিল, এসবও উল্লেখ করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে ক্রমানুসারে মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত ফলাফলের তথ্য লিখতে হবে।

৬। একাডেমিক প্রকাশনা বা প্রকল্প

শিক্ষাজীবনে কোনো গবেষণা বা রিপোর্ট প্রকাশিত হলে তা লিখুন। প্রকৌশল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নিজের কোনো প্রকল্পের নাম যুক্ত করতে পারেন। কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিলে তার সংক্ষিপ্ত তথ্য যুক্ত করুন।

৭। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ

আপনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যে কাজ বা সংগঠনে যুক্ত তার তথ্য লিখতে হবে। কত দিন ধরে কাজ করছেন, কোন পদে কাজ করছেন তা লিখুন। প্রয়োজন হলে, প্রতিটি কাজের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত করে কাজের বর্ণনা দিন।

৮। প্রশিক্ষণ

শিক্ষাজীবনে যেসব প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন তার তালিকা যুক্ত করতে হবে। আপনার প্রশিক্ষণই নিয়োগ কর্তার কাছে আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা প্রদান করবে। তাই চাকরির পদের সঙ্গে গুরুত্ব বুঝে প্রশিক্ষণের তথ্য যোগ করুন। ধরুন, আপনি Drafting/Detailing এর জন্য আবেদন করবেন। তাহলে আপনি AutoCAD, Tekla Structure, Revit ইত্যাদি তথ্য দিতে পারেন। ট্রেইনিং নেওয়া না থাকলে অবশ্যই ২/৩ টি ট্রেইনিং করে নিন।

৯। ভাষা দক্ষতা

সাধারণভাবে বাংলাদেশে চাকরির আবেদনের জন্য বাংলা ও ইংরেজি জানা আবশ্যিক। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা-সংশ্লিষ্ট কোনো পরীক্ষা—যেমন আইইএলটিএস বা টোয়েফলে অংশ নিলে তার স্কোর লিখুন। অন্য কোনো ভাষা জানলে সেটিও উল্লেখ করুন।

১০। কম্পিউটার-দক্ষতা

যে পদের জন্য সিভি তৈরি করছেন, সেই পদের কথা মাথায় রেখে কম্পিউটার–দক্ষতা লিখতে হবে। এখন সব পর্যায়ের চাকরির জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্ট জানাকে সাধারণ দক্ষতা হিসেবে ভাবা হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্টের কাজ খুব ভালো জানলে তা অবশ্যই সিভিতে যুক্ত করবেন।

১১। রেফারেন্স

নতুন দের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই ভালো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষককে জানিয়ে তাঁর নাম ও পদবি ব্যবহার করুন। এছাড়াও আপনার পরিচিত উচ্চ পদস্থ বা বর্তমান কর্মক্ষেত্রের সিনিয়রের কারো রেফারেন্স ব্যবহার করতে পারেন। কখনো কখনো চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে রেফারেন্সে যাঁর নাম থাকে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাই সঠিক পদ ও পরিচয় ব্যবহার করুন।

১২। অঙ্গীকারনামা

সিভিতে যুক্ত আপনার সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুল তা লিখতে হবে। লেখার নিচে আপনার স্পষ্ট স্বাক্ষর থাকতে হবে। চাকরিদাতা আপনার তথ্য যাচাই করার আইনগত অধিকার রাখেন, তাই কোনো ভুল তথ্য দেবেন না।

মনে রাখা জরুরি

■ প্রথম সিভি তৈরির পর তা অভিজ্ঞ দু-একজনকে দেখিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক বা বিভাগের কোনো সিনিয়রের মতামত নেওয়া যেতে পারে।

■ সিভিতে কোনোভাবেই বানান ভুল করা যাবে না। বারবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে, সম্পাদনা করতে হবে। সিভি যেন কোনোভাবেই দুই পৃষ্ঠার বেশি না হয়।

■ একই সিভি অনেক জায়গায় জমা দেওয়া বা ই-মেইল করা ঠিক হবে না। চাকরি ও পদভেদে সিভির ভাষা পরিবর্তন করতে হবে। পেশাগত লক্ষ্য কিন্তু একেক পদের জন্য একেক রকম হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

■ এ-ফোর আকারের কাগজের মাপে সিভি তৈরি করতে হবে। চারপাশে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ‘মার্জিন’ রাখতে হবে। সাদা কাগজে কালো কালিতে তথ্যগুলো লেখা থাকবে।

■ শুধু সিভি কোথাও জমা দেবেন না বা ইমেইল করবেন না। সিভির সঙ্গে ‘কভার লেটার’ যুক্ত করতে হবে। আপনি কেন চাকরির জন্য আবেদন করছেন, আপনি কেন যোগ্য, তা সংক্ষিপ্ত আকারে কভার লেটারে লিখতে হবে।

*স্যাম্পল সিভি টি আমার নিজেরই তবে অনেক পুরনো। এটি অনলাইনে বানানো।

সংগৃ‌হিত

Address

Jhenida
7320

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সিভিল engineering বিষয় posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সিভিল engineering বিষয়:

Share

Category