Sawm Creator

Sawm Creator I am Bangladeshi. Know Thyself

05/09/2024

খুনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূরণ হলো আজ।

আপনার অনুভূতি কেমন?

☞কৃষি উদ্যোক্তা ভূমিকা: অর্থ বিনিয়ােগের মাধ্যমে এবং জনবল কাজে লাগিয়ে কোনাে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ উপার্জনের প্রত্যাশায...
28/10/2022

☞কৃষি উদ্যোক্তা ভূমিকা: অর্থ বিনিয়ােগের মাধ্যমে এবং জনবল কাজে লাগিয়ে কোনাে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ উপার্জনের প্রত্যাশায় যখন কোনাে কাজ করার পরিকল্পনা করে, তখন তাকে উদ্যোগ বলে। যারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করে তাদের বলে উদ্যোক্তা। প্রতিটি পেশাকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। একজন উদ্যোক্তা আত্মনির্ভরশীল হন। এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। কৃষিকে উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করার বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন। বিপুল জনসংখ্যা, কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস, বেকারত্ব – এ সবকিছুর ভিতরে একদল তরুণ কৃষিকে প্রধান অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করছেন। শিক্ষিত তরুণদের কৃষিক্ষেত্রে পরিকল্পিত উদ্যোগ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

☞কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা: কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য আছে। একজন কৃষক তার পণ্য বাজারে বিক্রির চেয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানােকে বেশি গুরুত্ব দেন অথবা কিছুটা বিক্রির জন্য এবং কিছুটা পরিবারের চাহিদা মেটাতে ব্যয় করেন। অন্যদিকে, একজন কৃষি উদ্যোক্তার মূল লক্ষ্য বাজারজাতকরণ ও মুনাফা তৈরি। তাই একজন কৃষি উদ্যোক্তাকে ব্যবসায়িক মনােবৃত্তির হতে হয় এবং তার কাজে প্রচুর ঝুঁকি থাকে।

☞কৃষি উদ্যোগের ক্ষেত্রসমূহ: শস্য, প্রাণীসম্পদসহ কৃষি ও কৃষিসংশ্লিষ্ট যে-কোনাে বিষয়কে কৃষি উদ্যোগের আওতায় আনা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে অবশ্যই মূলধন, জমির পরিমাণ, মাটির গুণাগুণ, অবকাঠামাে, বালাই ব্যবস্থাপনা, লােকবল, পরিবহণ ব্যবস্থা, বাজার ও চাহিদা, উৎপাদিত পণ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করতে হয়। ধান, গম, ডাল, আখ, পাট, ঘাস, শাকসবজি, ফুল, ফল, মসলা, মধু, মাশরুম, রেশম, মাছ প্রভৃতির চাষ ও উৎপাদন; গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি প্রাণীসম্পদের লালনপালন; গাছের চারা, জৈব সার, বায়ােগ্যাস, দুধ ও দুধজাত পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন ইত্যাদি কৃষি উদ্যোগের আওতাভুক্ত।

☞কৃষি উদ্যোক্তার করণীয়: একজন কৃষি উদ্যোক্তাকে নিম্নোক্ত করণীয় সম্বন্ধে অবগত থাকা উচিত:

ক, উদ্যোক্তাকে প্রথমেই তার পণ্যের বাজার সম্বন্ধে ভালাে ধারণা রাখতে হবে।
খ. প্রয়ােজনীয় অবকাঠামাে ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে অপচয় ও ব্যয় হ্রাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
গ, একজন কৃষি উদ্যোক্তাকে উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হয়। কারণ, তাঁর এই উদ্ভাবনী বুদ্ধি প্রতিযােগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে সাহায্য করবে।
ঘ. কৃষিখাতে উদ্যোক্তাকে অনেক রকমের ঝুঁকি নিতে হয়। এসব ক্ষেত্রে লাভ-ক্ষতি বিবেচনা করে | প্রয়ােজনীয় ঝুঁকি নিতে হবে এবং ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সম্ভাব্য প্রস্তুতি রাখতে হবে।
ঙ, উদ্যোক্তা যে ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবেন, সে বিষয়ে যাবতীয় তথ্যের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখা
জরুরি। উপযুক্ত খাবার, সার, কীটনাশক, আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ প্রযুক্তি সম্বন্ধে ধারণা থাকা দরকার।
সম্প্রতি স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার উদ্যোক্তাদের সাফল্যে ভূমিকা রাখছে।
চ, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কয়েকজন উদ্যোক্তা একসঙ্গে কাজ করতে পারেন। এতে বড় ধরনের কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হয় এবং ঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে অংশীদার নির্বাচন করা
উচিত।
ছ, পরিবর্তনশীল প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ, শ্রমিক ও পণ্য পরিবহণ, বাজার পরিস্থিতি ও
প্রতিযােগীদের কথা চিন্তা করে কাজে অগ্রসর হলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

☞কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি উদ্যোগ: কৃষির উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন:

ক. সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলাে কৃষির ধরন অনুযায়ী স্বল্প সুদে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ প্রদান করছে।
খ. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তর উদ্যোক্তাদের যে-কোনাে প্রয়ােজনে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
গ, বছরব্যাপী চাষ করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ‘ডিজিটাল শস্য ক্যালেন্ডার ও‘বালাইনাশক নির্দেশিকা দেওয়া আছে, যা ঠিক সময়ে ঠিক ফসল ফলাতে সাহায্য করে। ১৬১২৩ নম্বরে ফোন করে কৃষিসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষি প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানাতে কৃষি প্রযুক্তি ভান্ডার’ নামে একটি মােবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃদ্রিব্যাদির বাজারদর, কৃষকপ্রাপ্ত বাজারদর, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে প্রেরণ করে।

☞উপসংহার: একজন কৃষি উদ্যোক্তা সফল হলে একদিকে যেমন দারিদ্র্য দূরীভূত হয়, অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায়। তবে কৃষি উদ্যোক্তাকে অবশ্যই সততার সঙ্গে কাজ করা উচিত। কারণ তার পণ্য চূড়ান্ত বিচারে খাবারের চাহিদা মেটাবে।

 #এভাবেই তৈরি হবে শক্তিশালী গ্রামীণ ইকনমিক্স।   ahead Bangladesh.
12/06/2022

#এভাবেই তৈরি হবে শক্তিশালী গ্রামীণ ইকনমিক্স।
ahead Bangladesh.

11/06/2022

Beloved my Son

বাংলাদেশের চাষি সমাজ!!!
09/06/2022

বাংলাদেশের চাষি সমাজ!!!

09/06/2022

কৃষিই ছিল বাংলার আদি পেশা। এ অঞ্চলের মাটি, পানি তথা জলবায়ু ছিল কৃষির জন্য আদর্শ হিমালয়ের অববাহিকায় ভাটি অঞ্চলে বাংলার অবস্থান বিধায় অধিকাংশ নদী বাংলার উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। চীন, তিব্বত, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সীমানায় অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালার অসংখ্য হিমবাহের গলিত রূপ নদ ও নদীরূপে বাংলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এ অঞ্চলকে করেছে সুজলা, শ্যামলা ও নদীমাতৃক। জীবন ও জীবিকাকে করেছে সহজ-সরল। মানুষকে করেছে কোমল। সংস্কৃতিকে করেছে বহুমাত্রিক। খাদ্যাভ্যাসও ছিল স্বতন্ত্র।
ফসল উৎপাদনের ধরন ছিল বহুমুখী। প্রতিটি কৃষি পরিবার তার প্রয়োজনের প্রায় সব শস্য ও মসলা উৎপাদন করত। সে সময়ে গম, কাউন, মটরশুঁটি, ডাল (মুগ, মসুর, মাসকালাই), ধনিয়া, পেঁয়াজ, রসুন, গোলআলু, মিষ্টি আলু প্রভৃতি ফসল উৎপাদন হতো। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সবজি চাষ মূলত বাড়ির আশপাশে, ঘরের আঙ্গিনায়, ঘরের চালে মহিলারাই উৎপাদন করত। মাচা দিয়ে লাউ, বাঁশের কঞ্চিতে শিম আর ঘরের চালের উপর পাটখড়ির মাচায় চালকুমড়া ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ হতো। বাড়ির উঠানের এক পাশে ডাঁটা, ঢেঁড়স ও অন্যান্য শাক উৎপাদিত হতো। টমেটো, মুলা, ধনিয়া পাতা বাড়ির আশেপাশে বিদ্যমান ছোট জমিতে চাষ হতো। আর বড় বড় জমিতে ধান, পাট, গমসহ প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদন করা হতো। সে সময়কার আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মহিলাদের কাজকর্ম বাড়ির ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। অপরদিকে পুরুষেরা নিয়োজিত ছিল মাঠের কাজে, ফসল উৎপাদনে এবং অযান্ত্রিক পানি সেচে, খাদ্যশস্য পরিবহণ ও বাজারজাতকরণে। সত্তরের দশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়া কৃষিতে লাগেনি। তাই কৃষির সাথে সম্পর্কিত সকল কাজ, মূলত কায়িক শ্রম এবং গবাদিপশুর উপরই নির্ভর করতে হতো। জমি তৈরির একমাত্র অবলম্বন যাদের গরু কমছিল তারা অন্যান্য পরিবারের সাথে একত্র হয়ে সকলের গরু ও জোয়াল একত্র করে পালাক্রমে একে অপরের জমি তৈরি করত। সে সময়ে জমি চাষ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনার জন্য লাঙ্গল, জোয়াল, মই, আঁচড়া, কাঁচি, নিড়ানি পাতলা (রোদ ও বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মাথায় দেওয়ার উপকরণ) প্রভৃতি ব্যবহার করা হতো এবং খাল-বিল, পুকুর ও ডোবা হতে সেচের পানি জমিতে দেয়ার জন্য কাঠের তৈরি দোরণ এবং বাঁশের তৈরি ওড়া ব্যবহৃত হতো।
গ্রামীণ সমাজে কৃষিসহ প্রায় সকল কাজই শুরু হতো সেই ভোর হতে এবং চলতো সকাল ৮-৯ ঘটিকা পর্যন্ত । এর পর সকালের খাবার এবং কিছুটা সময় বিশ্রাম নিত। সকালের খাবারে রাতের রান্না করা শুকনো/ পানি দেওয়া পান্তা ভাত এবং তার সাথে শুঁটকি ও অন্যান্য সবজি, ভর্তা, ভাজি ইত্যাদি থাকত।
ভোরে কাজ শুরু মূল লক্ষ্যই ছিল রোদ্রের প্রখরতা গায়ে লাগার আগেই যেন জমি তৈরির মতো পরিশ্রমের কাজ অনেকটা সম্পন্ন করা যায়। নাশতা ও বিশ্রামের পরে আবার কৃষকেরা মাঠে নেমে পড়তেন এবং চলতো দুপুর অবধি। একান্ত প্রয়োজন না হলে কৃষকদেরকে (বদলি) দুপুরের খাবারের জন্য বাড়িতে আনা হতো না। তাদের দুপুরের খাবার মাঠেই পৌঁছে দেওয়া হতো। যাতে করে সময়ের অপচয় না ঘটে এবং অধিক কাজ করা সম্ভব হয়। জমি তৈরি, ফসল উৎপাদন, কাটা, বাড়িতে আনা, শস্যের স্তূপ (গাদা), মাড়াই, সিদ্ধ, শুকানো, ঢেঁকিতে ছাঁটাই করে মটকা (মাটির বড় পাত্র), ডোল এবং গোলায় (পাটখড়ি বা বাঁশ দ্বারা নির্মিত) শস্য রাখা হতো। এ কাজগুলো মূলত পুরুষেরা করলেও ধান সিদ্ধ, শুকানো ও ঢেঁকিতে ভাঙ্গার কাজে মহিলারাই অংশগ্রহণ করত। গ্রামের কৃষকেরা সাধারণত একত্র হয়ে পর্যায়ক্রমে অবস্থাপন্ন পরিবারের জমির ফসল মাঠ থেকে কেটে এনে দিত। একাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে সচ্ছল পরিবারসমূহ পৃথক পৃথকভাবে পর্যায়ক্রমে কৃষকদের জন্য একবেলা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করত। যা কৃষকদের মাঝে আনন্দ ঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করত। ধান কাটা শেষ হলে খেয়াঘাটের মাঝি, নাপিত ও অন্যান্য গরিব ও নিম্নবর্ণের মানুষেরা তাদের সেবার বিনিময়স্বরূপ বার্ষিক মজুরি হিসেবে সচ্ছল পরিবার হতে ধান সংগ্রহ করত।
বাজার ছিল সপ্তাহে দুই দিন। মানুষের প্রাত্যহিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য সাপ্তাহিক বাজার ব্যতীত নিকটবর্তী তেমন কোন দোকান-পাট ছিল না। তবে প্রতিদিন সকালে উক্ত বাজারসমূহে সকালে তাজা মাছ, সবজি, দুধ ও অন্যান্য উপকরণ স্বল্প সময়ের জন্য স্বল্প পরিসরে ক্রয়-বিক্রয় হতো। সকালের এই সংক্ষিপ্ত বাজার ব্যবস্থাপনা ‘আড়ং’ হিসেবে প্রচলিত ছিল। সে সময় শিল্পের প্রসার ছিল না বললেই চলে। সরকারি চাকরিজীবীও গুটি কয়েক সরকারি ব্যাংকের মধ্যেই মূল অর্থনৈতিক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল। সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যাংকার ভিন্ন অন্যদের হাতে নগদ টাকা ছিল না বললেই চলে। তাই অধিকাংশ মানুষ তার উদ্বৃত্তপণ্য বাজারে বিক্রয় করে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতো। সেসময়ে প্রাত্যহিক বাজারে প্রতিটি পরিবারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ছিল লবণ ও কেরোসিন তেল। কারণ, এ দুটি পণ্য পারিবারিকভাবে উৎপাদনের সুযোগ ছিল না। তাই, রান্নার জন্য লবণ এবং প্রতিদিনের সাঁঝের আলোর জন্য কুপি ও হারিকেনে ব্যবহৃত হতো কেরোসিন তেল। কুপি ও হারিকেনের এ জ্বালানী সাশ্রয়ীর জন্য গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই সান্ধ্যকালীন কাজকর্ম, খাওয়া-দাওয়া, শিশুদের পড়াশোনা এবং এশার নামায আদায় করে দ্রæত ঘুমিয়ে পড়ত। চিনি ছিল না বললেই চলে, তবে আখের গুড়ের প্রাপ্যতা ছিল পর্যাপ্ত। খাবার তেল বলতে সরিষার তেল ছিল প্রথম স্থানে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে তিলের তেল ও ব্যবহৃত হতো। এসবই ছিল বিশুদ্ধ। তেল ভাঙ্গানোর (তৈরি) জন্য কাঠের ঘানি ছিল; যা গরু দ্বারা চালানো হতো। ঘানি হতে উৎপাদিত তেল তেলবীজের মালিক পেতেন। অপর দিকে খৈল (তেল বের হওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকত) ঘানিওয়ালা পেত। এ বার্টার ব্যবস্থা মূলত নগদ টাকার স্বল্পতার কারণেই প্রচলিত ছিল।
বাজার ব্যবস্থাপনা ছিল পণ্য বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম। অনেকগুলো গ্রামের জন্য ছিল এক একটি বাজার। তাই প্রতিটি পরিবারকে হাট দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হতো এবং প্রয়োজনের তাগিদে পরিবারের কোন না কোন পুরুষ সদস্যকে হাটে যেতে হতো। পুরুষ সদস্য না থাকলে প্রতিবেশীর নিকট পণ্য আনার জন্য অনুরোধ করতে হতো। সে সময়ে বর্ষায় মাঠঘাট পানিতে টইট¤ু^র থাকত। রাস্তাঘাট ছিল না। নৌকাই ছিল একমাত্র বাহন। তাই বাড়ির সকল পরিবার মিলে এক বা একাধিক নৌকায় বাজারে যেত।
টাকার তারল্যতা কম থাকায় প্রায় সকলেই উদ্বৃত্ত শস্য বাজারে নিত আবার ক্রয়কৃত পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরত। এমনকি শ্রমিকের মজুরি দেওয়া হতো হাটে পণ্য বিক্রি করে। অনেক ক্ষেত্রে সবজি জাতীয় পণ্যের দাম খুব কম বা চাহিদা না থাকলে তা বাজারেই ফেলে আসতে হতো। এসব সবজির মধ্যে ছিল টমেটো, খিরা, মুলা ইত্যাদি। সবজির ওজন বেশি হওয়ায় বিক্রি না হলে বাজারে ফেলে আসা ছাড়া উপায় ছিল না।
বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মাঠঘাট ছিল ধান ও পাটের সমারোহ। সেসময় পাটের চাহিদাও উৎপাদন ছিল ব্যাপক। অনুক‚ল পরিবেশ, বিশেষ করে স্বচ্ছ ও অথৈই পানি এবং সস্তা শ্রমিকের প্রাচুর্যের কারণে পাট উৎপাদন, কর্তন, জাগ দেওয়া, পাটখড়ি থেকে পাটকে পৃথককরণ, পাট ধোয়া এবং বাঁশের উপর পাট শুকানো ছিল গ্রামীণ বর্ষার অন্যতম চিত্র। সে সময়ে ধান ও পাট পৃথক জমিতে উৎপাদন করা হলেও কোন কোন কৃষক আউশ ধানের সাথে পাট একত্রে ফলাতেন। তৎকালীন সময়ে রাসায়নিক সারের প্রচলন ছিল না; তাই পাটের গোড়া জমিতে মিশে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পেত।

Address

Jhenida

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sawm Creator posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sawm Creator:

Share