23/02/2024
স্বামী পর"কীয়া করে।রোজকার অত্যচার সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসলাম।
আমায় দেখে পরিবারের সবাই আশ্বাস দিলো।বাবা বললো " একদম ভাববে না।আমার ঘরের রাজকন্যা ছিলে,রাজকন্যাই থাকবে "
ছোট ভাই বললো " দিদি,তোর কিছু লাগলে আমায় বলবি।আমরা আছি তোর সাথে "
জীবনের এই চরম অন্ধকার সময়ে পরিবারের সাপোর্ট পেয়ে চোখে জল চলে আসলো।
কে'টে গেলো কয়েকমাস।ইদানীং সবার আচরণে এতটুকু বুঝতে বাকি রইলো না,আমি পরিবারের বোঝা।বাবা কিছু কঠিন কথা বলতে চান হয়তো, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারেনা।
বাবার মুখের দিকে তাকিয়েই ছোট ভাই ও কিছু বলার সাহস করে উঠতে পারছে না।তবে আচরনে বুঝিয়ে দেয় আমাকে তাদের আর সহ্য হচ্ছে না।ডিভোর্সি মেয়েকে নিয়ে সমাজের লোকের কটু কথা,অপমান পরিবারের আর সহ্য হচ্ছে না।
এককালে এই পরিবারের রাজকন্যা আমি এখন নিজেকে ভিখারিনি মনে হচ্ছে!
তার কিছুদিনের মধ্যেই বাবা চিন্তায়, দুঃচিন্তায় শয্যাশায়ী হয়ে গেলেন।ছোট ভাই একরাতে খেতে বসে বললো
" দিদি একটা কথা বলি,তুমি মন খারাপ করিও না।তোমার জন্যই কিন্তু বাবা আজ ম"রতে বসেছে।কেন আমাদের বোঝা হয়ে আছো বলতো? শেষ বয়সে বাবাকে শান্তিতে থাকতে দিলে না "
এই কথা শুনে তিনদিন অনবরত কাঁদলাম।সাহসের অভাবে দে"হত্যা"গটাই শুধু করতে পারলাম না।তেরোদিন শয্যাশায়ী থেকে বাবা মা"রা গেলেন।
ছোট ভাই সরাসরি বললো " আমি আর তোমার দায়িত্ব নিতে পারবো না দিদি।এতোদিন বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারিনি।তুমি কি করবে করো,আমার নিজেরো পরিবার আছে,বাড়তি ঝামেলা নিতে চাচ্ছি না "
এই কথা শোনার পরে ওই বাড়িতে আর থাকা চলে না।মনের দুঃখে সেই রাতেই বাড়ি ছাড়লাম।
গল্প #আত্নব্যথা
লেখক মাসুম বিল্লাহ
সামাজিক রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।এইটা লেখকের নিজস্ব পেজ 🤍