07/05/2025
যারা ইন্ডিয়া-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে নানারকম ফ্যান্টাসিতে আছেন—কেউ ভারতের হামলায় উল্লসিত, কেউ পাকিস্তানের দাবিকৃত ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসে উল্লাস করছেন—আপনাদের দুই পক্ষের জন্যই কষ্ট হয়।
ভুলে যাবেন না, প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে তাপ কিন্তু আমার আপনার ঘরেও লাগবে। যুদ্ধ মানে মৃত্যু, ধ্বংস, অশ্রু আর অনিশ্চয়তা—তাতে আল্টিমেটলি কারোই জয় নেই। সবচেয়ে বড় কথা, দুইটা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ।
শান্তিই হোক আমাদের শক্তি।গতরাত থেকে ইতিহাসের আরেকটি অন্ধকার অধ্যায় শুরু হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে!
এই যুদ্ধ কোনো পক্ষের জন্যই সুফল বয়ে আনবে না। ইতিহাসের পাতায় যত যুদ্ধের বিবরণই থাকুক না কেন, প্রতিটি যুদ্ধের পরিণতিই ছিল মানবজাতির জন্য ধ্বংস, বেদনা এবং অনুশোচনায় ভরা। যুদ্ধ মানেই নিরীহ মানুষের মৃত্যু, পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়া, অর্থনৈতিক ধ্বংস, এবং সমাজে দীর্ঘস্থায়ী বিভাজন তৈরি হওয়া। যে পক্ষই বিজয়ী হোক না কেন, যুদ্ধ শেষে তারা হারায় অসংখ্য সৈনিক, সম্পদ ও শান্তির পরিবেশ। পরাজিত পক্ষের কথা তো বলাই বাহুল্য,তাদের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্দশা!আর এই আগুনের আঁচ শুধু।ভারত পাকিস্তানের সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা প্রভাব ফেলবে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের ওপরও।
ভৌগোলিক ও কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতার কারণে বাংলাদেশ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির বাইরেও থাকতে পারবে না। অর্থনীতি, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সব কিছুতেই এর প্রভাব পড়তে পারে!
যুদ্ধ কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিতে পারে না। বরং, যুদ্ধ নতুন নতুন সমস্যার জন্ম দেয়। একমাত্র শান্তিপূর্ণ সংলাপ, কূটনীতি এবং পারস্পরিক সম্মানই পারে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে। পৃথিবীর উন্নয়ন এবং মানবতার অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন শান্তি, সহমর্মিতা এবং সহযোগিতা।
পরিশেষে এইটুকুই বলবো রক্ত নয়, ভালোবাসার রঙেই রাঙুক এই পৃথিবী। শান্তিই হোক আমাদের চিরন্তন পথচলা।