Ullash DamruWala

Ullash DamruWala আনন্দে-পরমানন্দে-মহানন্দে ভাস,
একটুখানি হাস রে মন,
একটুখানি হাস🥰

হাসি থাক অবিচল😊

হারিয়ে যাচ্ছে সুরসম্রাট শচীন দেব বর্মণের বাড়িসুরসম্রাট শচীন দেব বর্মণের বহু  স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লা শহরের পূর্ব চর্থার বা...
04/05/2025

হারিয়ে যাচ্ছে সুরসম্রাট শচীন দেব বর্মণের বাড়ি

সুরসম্রাট শচীন দেব বর্মণের বহু স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লা শহরের পূর্ব চর্থার বাড়িটি হারিয়ে যেতে বসেছে। অযত্নে-অবহেলায় ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। উপমহাদেশের অন্যতম সঙ্গীত গুরু শচীন দেব বর্মণের বাড়িতে গড়ে উঠেছে হাঁস-মুরগির ফার্ম।

পরিত্যক্ত, ভগ্ন ও জঙ্গলাকীর্ণ এ বাড়িটির বহিঃদেয়ালে এখন শুধুমাত্র একটি স্মৃতিফলক শোভা পাচ্ছে। স্থানীয় নজরুল পরিষদ ১৯৮৩ সালে শচীন দেব বর্মণের স্মৃতিবিজড়িত এ বাড়িতে তার স্মৃতি অম্লান রাখার উদ্দেশ্যে এ ফলকটি স্থাপন করেছিল।

এ বাড়িতে কবি নজরুলের সঙ্গে শচীন দেব বর্মণের সঙ্গীত চর্চা এবং প্রাণবন্ত আড্ডার স্মৃতিকে জাগরুক করে রাখার জন্যই নজরুল পরিষদ এ উদ্যোগ নেয়। স্মৃতিফলকে লেখা রয়েছে, ‘শচীন দেব বর্মণের সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলাম এ বাড়িতে সঙ্গীত চর্চা করতেন।’

সুর-সঙ্গীতে সমৃদ্ধ তীর্থস্থান কুমিল্লা। এ জেলার এককালের বাঁশের বাঁশির সুরের মুর্ছনা, একতারা দোতারার ঝংকার, ঢোল-খোল ও তবলার প্রাণ মাতানো ধ্বনি, জারী- সারী গান, বাউল, কীর্তন, কবি গান, যাত্রা, লোক সঙ্গীতের মন মাতানো সুরের মুর্ছনা আজ বিলীন প্রায়।

এ জেলার বেশ ক’জন সঙ্গীতজ্ঞ দেশ-বিদেশে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার জায়গা জুড়ে রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণ।

সঙ্গীত জগতের সমুজ্জ্বল রত্ন শচীন দেব বর্মণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৫ সালে কুমিল্লা শহরে। বাবা নবদ্বীপ দেব বর্মণ ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সিংহাসনের দাবিদার। নবদ্বীপ বর্মণের সিংহাসনের এ দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা পদে অধিষ্ঠিত হন তার সৎ ভাই মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর। সিংহাসনের দাবিদার নবদ্বীপ কুমার দেব বর্মণকে হত্যা করার জন্য বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর ষড়যন্ত্র শুরু করলে রাজবাড়ির অধিকর্তা কৈলাস সিংহের পরামর্শে মহারাজ নবদ্বীপ কুমার বর্মণ সপরিবারে কুমিল্ল শহরে চলে আসেন।

কৈলাস সিংহ রচনা করেছিলেন বিখ্যাত রাজমালা গ্রন্থ। প্রখ্যাত এ লেখক কৈলাস সিংহের পরামর্শে নবদ্বীপ কুমার বর্মণ কুমিল্লা শহরে এসে পূর্ব চর্থায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। নির্মিত এ বাড়িটিতে রাজবাড়ির আদল না থাকলেও এর নির্মাণ শৈলী ছিল চমৎকার।

এ বাড়িতে সপরিবারে বসবাস শুরু করেন নবদ্বীপ কুমার দেব বর্মণ। সঙ্গীতের প্রতি তার ছেলেমেয়েদের ছিল প্রবল আগ্রহ এবং অনুরাগ। নবদ্বীপ কুমার দেব বর্মণের ছেলে কুমার শচীন দেব বর্মণ বাল্যকালেই সঙ্গীতের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন।

প্রথম থেকেই বাংলার লোক সঙ্গীত ও পল্লী সঙ্গীতের প্রতি তার ঝোঁক ছিল বেশি। পরে অন্ধ গায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র দে (কানা কৃষ্ণ), শ্যাম লাল ক্ষেত্রী, হোসেন রায়, সুধীর চন্দ্র সান্ন্যাল ও ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিষ্ঠার সঙ্গে তালিম নেন সঙ্গীতে।

এ সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ১৯৩০ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে গানের সুর রচনা করা শুরু করেন। ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত সঙ্গীত এবং ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের সংমিশনে তিনি নিজস্ব ঘরানার সুর রচনা করেন। যা ছিল অভিনব। তিনি ভারতের গণনাট্য সমিতির বাংলা লোক সঙ্গীত বিভাগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

রাগ প্রধান বাংলা গানে কুমার শচীন দেব বর্মণের অবদান অবিস্মরণীয়। তার অসাধারণ সঙ্গীত সাধনায় খ্যাতি এ উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বোম্বে (মুম্বাই) চলচ্চিত্র জগতে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের মর্যাদা লাভ করেন। ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত করেন।

১৯৬৯ সালে ‘আরাধনা‘ হিন্দি ছবিতে শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক হিসেবে তিনি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার স্ত্রী মীরাদেবীও এ উপমহাদেশের অন্যতম সুগায়িকা এবং দক্ষ গীতিকার ছিলেন। স্ত্রীর রচিত বহুগান শচীন দেব বর্মণ গেয়েছেন।

শচীন দেব বর্মণের একমাত্র ছেলে রাহুল দেব বর্মণ মুম্বাই চলচিত্রে প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।
শচীন দেব বর্মণ মূলতঃ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের আগেই কলকাতা ও মুম্বাইয়ে একজন নিষ্ঠাবান গায়ক ও অনন্য সুরের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আপন অবস্থান সৃষ্টি করে নিয়েছিলেন।

উপমহাদেশ জুড়ে ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জনের পরও শচীন একাধিকবার কুমিল্লায় এসেছিলেন। মিলিত হয়েছিলেন কৈশরের বন্ধুদের সঙ্গে। সুরেন দাস, কুলেন্দু দাস, সুখেন্দু ক্ষেত্রী, দীলিপ সিংহ রায় প্রমুখ সঙ্গীত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছিল শচীনের ঘনিষ্ঠতা।

শচীন দেব বর্মণের স্মৃতিবিজড়িত পৈত্রিক ভিটা দেশ বিভাগের পর কিছুদিন মিলিটারি গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তারপর এ বাড়িটিতে স্থাপিত হয় পশু চিকিৎসা কেন্দ্র। পরবর্তীতে বাড়ির খালি জায়গায় স্থাপিত হয়েছে সরকারি হাঁস-মুরগির খামার।

বাড়িটির সামনে সরকারি হাঁস-মুরগির খামারের অফিস স্থাপিত হবার কারণে শচীন দেব বর্মণের বাড়িটি আড়ালে পড়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে ঝোঁপ-জঙ্গল। দিনের পর দিন এ বাড়িটির ইট-বালু খসে পড়ছে।

কালের বিবর্তনে আযত্ন-অবহেলায় কুমিল্লার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে শচীন বর্মণের এ স্মৃতিটিও। অথচ এ বাড়িটিকে যথাযথ সংরক্ষণ করে পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়। জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এ অমূল্য নিদর্শন রক্ষায় সরকারের কোন উদ্যোগ এ যাবত দেখা যায়নি বা এ বিষয়ে জেলার সংস্কৃতিসেবীরাও মাঠে নেমে আসেননি।

সঙ্গীতানুরাগী সবারই প্রত্যাশা- উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব কুমার শচীন দেব বর্মণের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটিকে ঘিরে একটি জাদুঘর ও সঙ্গীত গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার।

সবশেষ সংবাদ

সংরক্ষিত হবে কুমিল্লায় শচীন দেববর্মণের বাড়ি, কোটি টাকা বরাদ্দ হাসিনার

কুমিল্লায় শচীন দেববর্মণের বাড়ি সাংস্কৃতিক পীঠস্থান করার সিদ্ধান্ত নিল হাসিনা সরকার। এই উদ্দেশ্যে কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ত্রিপুরা রাজপরিবারের সন্তা তিনি। বিশ্বজুড়ে তাঁর অংখ্য ভক্ত। তাঁর বাংলাদেশের বাড়িটির ভগ্ন দশা ছিল। শুধু তাই নয়, সেই বাড়িটির একটি অংশ দখল হয়ে যাচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এবার সেই বাড়িই রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।

কুমিল্লায় শচীন দেববর্মণের বাড়িটি সংরক্ষণ করা হবে।
ওই বাড়িটিকে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে পরিণত করা হবে।
ইতিমধ্যে ওই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে বাংলাদেশে সরকার।

ওই বাড়িটিকে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে পরিণত করা হবে। ইতিমধ্যে ওই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে বাংলাদেশে সরকার। ওই প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ( বাংলাদেশি টাকায়) বরাদ্দ করা হয়েছে। শচীন দেববর্মণের গানের সুরে মোহিত হয়েছে ভারতের মতই বাংলাদেশের মানুষ। ত্রিপুরা রাজপরিবারের সন্তান ‘শচীন কর্তার’ শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে কুমিল্লায়। তিনি যে বাড়িতে থাকতেন সেটি ভেঙে পড়ছিল। ওই বাড়ি এবং জমির একটি অংশ জবরদখল হয়ে যাচ্ছিল।

কুমিল্লার সাংসদ একেএম বাহাউদ্দিন বাহার জানান, জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ওই জমি খালি করা গিয়েছে। শচীন দেববর্মণের বাড়িটি সংস্কার করার জন্য ১.১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানান এখন ওই বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে। আধিকারিকরা জানান, ওই বাড়িটি দেখভাল করার জন্য লোক মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পাকিস্তানের শাসন আমলে গুদামঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত ওই বাড়িটি।

(✍️তুহিনা মন্ডল, এই সময় নিউজ ডেস্ক)
সংগ্রহ:- বাংলার দুষ্প্রাপ্য ছবি ও কথা

20/04/2025

জগৎ ভরা ভণ্ডামি🤟

20/04/2025

পিঞ্জর খুলে দিয়েছি❤️❤️

দুই বাংলার জনপ্রিয় লোক সংগীতশিল্পী ও গবেষক কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যের আজ অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।  প্রসঙ্গত কালিকাপ্রসাদ ...
07/03/2025

দুই বাংলার জনপ্রিয় লোক সংগীতশিল্পী ও গবেষক কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যের আজ অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।
প্রসঙ্গত কালিকাপ্রসাদ জনপ্রিয় লোকসংগীতের ব্যান্ড দল "‌দোঁহার " এর কর্ণধার ছিলেন। উল্লেখ্য বাংলা ছায়াছবি মনের মানুষ , জাতিস্মর এবং ভূবন মাঝির জন্য তার কাজের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। তিনি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও পাশাপাশি বাউল ও লোক সংগীত এর প্রসারে নিয়মিত চর্চা করে গিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ওপার বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন বাউল ও লোক সংগীত এর এলাকাভিত্তিক গান , সুরের মূর্ছনা ও লয় তুলে আনার জন্য। নতুন প্রজন্মকে তিনি মাটির শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন , আমি তোমারি -- আমি তোমারি গান গাই।
আজও তাঁর অভাব অনুভূত হয়।
সুর আলোকে ভালো থাকবেন কালিকা🙏🖤

এক দুপুর বেলায় বাউল সুরের আড্ডা❤️Rony nir রনি নীর
02/02/2025

এক দুপুর বেলায় বাউল সুরের আড্ডা❤️
Rony nir রনি নীর



সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা❤️
02/02/2025

সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা❤️

25/01/2025

💕💕💕

Address

Jhenida
7300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ullash DamruWala posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ullash DamruWala:

Share