Jannatul Maua

Jannatul Maua কবিতা লেখার চেষ্টা করি, শিখি নিয়মিত। আবৃত্তি ও গান করি

আমাকে ছুঁয়ে দিনবাড়িয়ে দিন তৃষ্ণা একটু শুধু মধু চাইছিআপনার দেয়া বিষ না আমার কাঁধ - গলা ছুঁয়ে দিনদিন আমাকে রাঙিয়ে হৃদয় জুড়...
10/05/2025

আমাকে ছুঁয়ে দিন
বাড়িয়ে দিন তৃষ্ণা
একটু শুধু মধু চাইছি
আপনার দেয়া বিষ না

আমার কাঁধ - গলা ছুঁয়ে দিন
দিন আমাকে রাঙিয়ে
হৃদয় জুড়ে প্রেম লেপে দিন
আর অবেলার ঘুম দিন ভাঙিয়ে

আমার পিঠ - চোখ ছুঁয়ে দিন
আমাকে করুন একটু শান্ত
আমি কবিতা শুনবোনা
সেই গানটি গান তো

আমার ঠোঁট - চিবুক ছুঁয়ে দিন
দিন তুফান খুঁজে এনে
এই বাজারে কে দেবে আদর
সস্তার দামে জেনে!

চুমুতে চুমুতে অস্থির করে দিন
সমুদ্রে আসুক সাইক্লোন টাইফুন
আমিও হারাবো নেশায় মেতে
মাঝিরাও হারাবে নৌকার হাল গুন

একটি ঝড়
©️®️ জান্নাতুল মাওয়া

শোন হে যুবক! আমি তোমার মন্দিরে দেবী রূপে এসেছি প্রেম আর কাম দিয়ে আমাকে আরাধনা করঅবয়বে লেপে দাও চন্দন জললাল রঙ আছে? আলতা ...
10/05/2025

শোন হে যুবক!
আমি তোমার মন্দিরে দেবী রূপে এসেছি প্রেম আর কাম দিয়ে আমাকে আরাধনা কর

অবয়বে লেপে দাও চন্দন জল
লাল রঙ আছে?
আলতা পরাও ঠোঁটে।
আমার সৌন্দর্যে মনোযোগ দাও
প্রদীপের আগুনে ঘী ঢালো আরও
আরো আলো , আরো আলো জ্বালো এই ঘরে
কন্দপের তীর ছোঁড় আত্মায়
প্রাণ প্রতিষ্ঠা করো প্রতিটি পাথরে
তারা চলুক , ঝরুক চঞ্চল ঝর্ণার মতন।

শোন হে যুবক!
দেবীর সৌন্দর্যে মনোযোগ দাও
আরাধনা কর এই মূর্তির
সাদা ফুল ঝরাও দেবীর চরণে....।

আরাধনা
©️®️ জান্নাতুল মাওয়া
সময় : ৪.০০ ভোর
তাং : ০২/০৫/২৪

10/05/2025

চাঁদ ধোয়া জলে
চা বানিয়ে
বসি
তোমার চোখে পাপের অঙ্ক কষি

03/02/2025

রক্তে লেগেছে দোল
অন্ধ হাত , খাবে জাত।
ভগবান রক্ষে করো
কী এক যন্ত্রণা হয়েছে জড়ো!

02/12/2024

জমানো ক্ষোভ, কষ্ট, যন্ত্রণা
দু'শো বছর ধরে উদগীরণ করে যে আগ্নেয়গিরিটি এখন মৃত -
তার গল্প বলছি।
মনে পড়ছে?
সেই যে খটখটে গম্ভীর
গোমড়ামুখো পাহাড়টা-
মেঘকে ভালোবেসে হয়েছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরা!

মেঘকে বজ্র কেড়ে নেবার পর
পাহাড়টা-
আবার ভালোবেসেছিল
সেই কুয়াশা বালিকাকেও কেড়ে নিলো বখাটে রোদ!

তারপর,
পাহাড়ের হাঁড় পাঁজরের খাঁদটি হলো জলন্ত আগ্নেয়গিরি।
সে কথা তো আগেই শুনেছ।

শতশত বছর ধরে সে লাভা বেয়ে বেয়ে সৃষ্টি হয়েছে কত অসহ্য সুন্দর দ্বীপ!
কিন্তু, পাহাড়টার বুকে তৈরী হলো এক প্রকাণ্ড আগ্নেয় হ্রদ!

এক চঞ্চল সন্ধ্যা বেলা -
কালো মেঘ কুণ্ডলী পাকিয়ে ঝরালো কয়েক পসলা বৃষ্টি
ভাবছো সেও বুঝি কিশোরী?
না না! শোনো বলি

বৃষ্টি ছিল এক পরিপূর্ণ নারী
রাগ, কষ্ট, যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে দিতে সে ছিল দক্ষ !
পাহাড়টার শূন্য বুক দেখে তার ভারি মায়া হলো
পাহাড়টাও যেন দুধের বালক
তার বুকটাতে আদর সেও চায়।
পাহাড়টা বৃষ্টিকে বললো -
"আমার বুকটা ভিষণ ফাঁকা
তাতে একটু আদর মাখা "

বৃষ্টি প্রেমে,আদরে,জলের চুম্বনে পাহাড়টাকে ছলছল করে দিলো

সেই বুকটা এখন আর শূন্য নয়
বিশ্বাস না হয় তো চিরে দেখতে পারো
কোথাও সঞ্চিত যন্ত্রণার অস্তিত্ব নেই
নেই নিঃসঙ্গতা
নেই আর কোনো অপূর্ণতা
বৃষ্টি আর পাহাড়ের সঙ্গম ধূসর বানানে লিখে নিল মহাকাল!

সেই শেষ না হওয়া গল্পটা
©️®️ জান্নাতুল মাওয়া

26/10/2024

হৃদয়কে অবহেলা!
তুমি জল খুঁজলে আর আমি দিলাম সমুদ্র...
- জান্নাতুল মাওয়া

26/10/2024

নাভিতে এঁকে দিও জলাবদ্ধ এক বিল যেখানে ফুটে আছে এক পদ্ম!
-জান্নাতুল মাওয়া

I've received 100 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
18/10/2024

I've received 100 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

I've just reached 600 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one...
18/10/2024

I've just reached 600 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉

27/09/2024

রক্তে লেগেছে দোল...
অন্ধ হাত খাবে জাত...
ভগবান!
রক্ষে করো
কী যে যন্ত্রণা
হয়েছে জড়ো!

27/09/2024

আমার সেই গল্পটা এখনও শেষ হয় নি -
আরেকটু শোন।
খটখটে পাহাড়টার-
হাঁড়,পাঁজরে থৈ থৈ ঝর্ণা -
এখন খরস্রোতা নদী।

কোনো এক মাঘের ভোরে,
পাহাড়টাকে দেখতে পেলো কুয়াশা বালিকা।
গম্ভীর গোমড়ামুখো পাহাড়টাকে দেখে ভারি কৌতুহল হলো তার!

কুয়াশা কন্যা রোজ অকারণেই পাহাড়কে ভিজিয়ে দিতে লাগলো।
সন্ধ্যা নামলেই, লুটোপুটি শুরু করে।
পাহাড়কে নিয়ে তার সে কী ন্যাকামি!

পাহাড়ের বুক জুড়ে খুব গোপনে এক হিমেল হাওয়া বয়ে যায়।
পাহাড়ের রুক্ষতাকে অল্প অল্প করে ভিজিয়ে তোলে কুয়াশা বালিকা।

কোন ফাঁকে যেন,
পাহাড়টাকে ভালোবেসে ফেললোনকুয়াশা কন্যা।
সতেরো বছরের কিশোরী হয়ে গেল পরিপূর্ণ রমনী!
পাহাড়টার মধ্যেও প্রেম আছে, তা বলে সেও বদমাইশ কম নয়!
মুখে সে কিছুই বলে না।
আস্তে আস্তে সে তার গভীরের ঝর্ণার ঢল খুঁজে পায়।

সেদিন ছিল তার আরেকটা জন্মদিন।
পাহাড়টা লাজ-লজ্জা, লোক-লৌকিকতা ভুলে গিয়ে কুয়াশাকে বললো -
তুই কি মোর বধূ হইবি?
আর কুয়াশা বালিকা হেসে কুটিকুটি হয়ে বললো -
চলো, নাচি! গান গাই!

এবার আর দেরি নয়...
পাহাড়টার খুব ভয়!
কুয়াশা তার সাত রাজার ধন!
ওর বুকে সরিষা ফুলের গন্ধ!

ভোরের দিকে ওদের আনন্দে যোগ দিতে এলো নরম রোদ।
কুয়াশা বালিকার হুটোপুটি তার ভারি নজরে পড়লো!
দুপুর গড়াতে না গড়াতে,
সব তেজ্ব, শক্তি নিয়ে মাথা চাড়া দিয়ে রোদ এসে কুয়াশাকে বললো -
" ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে "!

কুয়াশা বালিকাকে রোদ বিয়ে করে নিয়ে গেল ।
পাহাড় এখন একদম একা। নিঃসঙ্গ।
তার হাঁড় পাঁজরে গভীর খাঁদ।
ক্ষোভে, কষ্টে, যন্ত্রণা জমে জমে তা হয়ে উঠেছে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি!

গল্পটা শেষ হবার নয়
©️®️ জান্নাতুল মাওয়া

(বি: দ্র: পূর্ণেন্দু পত্রীর " সেই গল্পটা " কবিতার পরবর্তী অংশ লিখবার চেষ্টা করেছি।)

27/09/2024

মা থাকিতেও জোটেনা আদর যে মেয়ের কপালেতে
মরিতে যদি চাহে সে তবে আটকাস নে দিবি যেতে

জরাজীর্ণ শরীর তবু পায় না কারো সেবা
মরে যাক সে বাঁচিয়াই তারে দেখিবে বল কে বা!

মা আছে যার যত্ন মেলে এমন কথা শুনে
মাথা ঠুকে ঠুকে নিজেরে মারে অজস্র গুনে গুনে

একটু দরদ জোটে না তাহার মা আছে তবু হাই!
বুক ফোটে তবু মুখ ফোটে না বল কোথায় সে পালায়?

মমতা দিয়া হাত বুলাইয়া মাথাতে করিবে চুম
এমন মা যদি সে পেত দিত শান্তির এক ঘুম।

আছে মা তবু সে পাই না আদর কপাল পোড়া এমন
বাঁচিয়া বাঁচিয়া সহ্য করা যন্ত্রণা বুকে যেমন।

দূর থেকে শুধু কুশল জানা এও না কি মায়ে করে
এ পাড়া থেকে ও পাড়া যাইতেও মরে যায় গায়ে জ্বরে!

বৈষম্যের ঘৃণিত আগুনে পুড়ে ছায় ভালোবাসা
সবার মাঝে খুঁজিয়া নিয়া নিজেকে বাঁচানোর আশা!

সেই মেয়েটি নিজেকে নিজে যত্ন নাহি করে
মনেতে লুকাইয়া মায়ের নামে শুধু অভিমান ভরে।

সব ছেড়ে দিয়ে সেই মেয়েটি কোনভাবে বেঁচে আছে
দেখাইয়া দেবে বেশ আছে শুধু মা কে পায়নি কাছে।

মা
©️®️ জান্নাতুল মাওয়া
২৩ - ১২ - ২৩

Address

Jhenida
7300

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jannatul Maua posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share