27/09/2024
আমার সেই গল্পটা এখনও শেষ হয় নি -
আরেকটু শোন।
খটখটে পাহাড়টার-
হাঁড়,পাঁজরে থৈ থৈ ঝর্ণা -
এখন খরস্রোতা নদী।
কোনো এক মাঘের ভোরে,
পাহাড়টাকে দেখতে পেলো কুয়াশা বালিকা।
গম্ভীর গোমড়ামুখো পাহাড়টাকে দেখে ভারি কৌতুহল হলো তার!
কুয়াশা কন্যা রোজ অকারণেই পাহাড়কে ভিজিয়ে দিতে লাগলো।
সন্ধ্যা নামলেই, লুটোপুটি শুরু করে।
পাহাড়কে নিয়ে তার সে কী ন্যাকামি!
পাহাড়ের বুক জুড়ে খুব গোপনে এক হিমেল হাওয়া বয়ে যায়।
পাহাড়ের রুক্ষতাকে অল্প অল্প করে ভিজিয়ে তোলে কুয়াশা বালিকা।
কোন ফাঁকে যেন,
পাহাড়টাকে ভালোবেসে ফেললোনকুয়াশা কন্যা।
সতেরো বছরের কিশোরী হয়ে গেল পরিপূর্ণ রমনী!
পাহাড়টার মধ্যেও প্রেম আছে, তা বলে সেও বদমাইশ কম নয়!
মুখে সে কিছুই বলে না।
আস্তে আস্তে সে তার গভীরের ঝর্ণার ঢল খুঁজে পায়।
সেদিন ছিল তার আরেকটা জন্মদিন।
পাহাড়টা লাজ-লজ্জা, লোক-লৌকিকতা ভুলে গিয়ে কুয়াশাকে বললো -
তুই কি মোর বধূ হইবি?
আর কুয়াশা বালিকা হেসে কুটিকুটি হয়ে বললো -
চলো, নাচি! গান গাই!
এবার আর দেরি নয়...
পাহাড়টার খুব ভয়!
কুয়াশা তার সাত রাজার ধন!
ওর বুকে সরিষা ফুলের গন্ধ!
ভোরের দিকে ওদের আনন্দে যোগ দিতে এলো নরম রোদ।
কুয়াশা বালিকার হুটোপুটি তার ভারি নজরে পড়লো!
দুপুর গড়াতে না গড়াতে,
সব তেজ্ব, শক্তি নিয়ে মাথা চাড়া দিয়ে রোদ এসে কুয়াশাকে বললো -
" ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে "!
কুয়াশা বালিকাকে রোদ বিয়ে করে নিয়ে গেল ।
পাহাড় এখন একদম একা। নিঃসঙ্গ।
তার হাঁড় পাঁজরে গভীর খাঁদ।
ক্ষোভে, কষ্টে, যন্ত্রণা জমে জমে তা হয়ে উঠেছে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি!
গল্পটা শেষ হবার নয়
©️®️ জান্নাতুল মাওয়া
(বি: দ্র: পূর্ণেন্দু পত্রীর " সেই গল্পটা " কবিতার পরবর্তী অংশ লিখবার চেষ্টা করেছি।)