Qawmi Vision

Qawmi Vision সত্যের সঙ্গে সাহসিকতার সাথে সবসময়

20/10/2025
মাদরাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের দায়সারা বক্তব্য : ন্যায়বিচারের পথে একটি বিপজ্জনক উদাসীনতাগাজীপুর জেলার কালিয়াকৈ...
18/10/2025

মাদরাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের দায়সারা বক্তব্য : ন্যায়বিচারের পথে একটি বিপজ্জনক উদাসীনতা

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে ১৩ বছর বয়সী এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পুলিশের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যটি শুধু অসংবেদনশীল নয়, বরং আইনগতভাবে বিভ্রান্তিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। পুলিশ বলেছে, “মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, সে পূর্বে দুইবার পালিয়ে গিয়েছিল এবং সর্বশেষ স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে।” এই বক্তব্যে দুটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। একটি আইনি, আরেকটি নৈতিক ও সামাজিক।

প্রথমত, বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) অনুযায়ী, ১৬ বছরের নিচে কোনো শিশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তার সম্মতিতেও ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হয়। আইন অনুযায়ী ১৩ বছর বয়সী শিশুর 'সম্মতি' বলে কিছু নেই। অতএব, পুলিশের পক্ষ থেকে 'প্রেমের সম্পর্ক' কিংবা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে 'সম্মতিতে পালিয়ে যাওয়া' ধরনের ভাষা ব্যবহার করা আইনের অপব্যাখ্যা ও অপরাধের গুরুত্ব খাটো করার প্রচেষ্টা। এটি ভিকটিম-ব্লেমিংয়ের এক ধরনের কৌশল, এটি শিশুর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে এবং অপরাধীর পক্ষে অবচেতনে প্রশ্রয় সৃষ্টি করে।

দ্বিতীয়ত, পুলিশের বক্তব্যের ভাষা শুধু আইনি ভুল নয়, এতে একটি গভীর সামাজিক পক্ষপাত কাজ করছে। মাদরাসা শিক্ষার্থী হওয়ায় মেয়েটির প্রতি যে সংবেদনশীলতা থাকা দরকার ছিল, তা অনুপস্থিত। বরং 'প্রেমের সম্পর্ক' আখ্যা দিয়ে ঘটনাটিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই ধরনের মনোভাব কেবল মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সামাজিক নিরাপত্তা দুর্বল করে না, বরং গোটা আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে।

তৃতীয়ত, মেয়েটির বাবা-মায়ের বক্তব্যে পুলিশের বিবরণ আংশিক বা বিকৃত বলেই প্রতীয়মান হয়। আমরা ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, মেয়েটির আগে পালিয়ে যাওয়ার গল্প সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি ঘটনাটিকে গোপন করার একটি অংশ। তার উপর ঘটনাটির দুই মাস পর্যন্ত মামলা গ্রহণে গড়িমসি এবং ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এটি পুলিশের প্রাথমিক দায়িত্ব লঙ্ঘন এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের ১৫৪ নং ধারা অনুযায়ী ভিকটিমের ন্যায্য অধিকার লঙ্ঘন।

চতুর্থত, পুলিশের বক্তব্যে ঘটনাটির মানসিক ও সামাজিক মাত্রাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। একজন নাবালিকা মেয়েকে আটকে রেখে একাধিক ব্যক্তি মানসিক ও শারীরিক টর্চার করা, জোরপূর্বক আটকে রাখা কিংবা ভয়ভীতি দেখানো—এসবই পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৪০ ও ৫০৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমনকি 'প্রেমের সম্পর্কের' দোহাই দিলেও এসব অপরাধের বৈধতা তৈরি হয় না। এ ধরনের দায়সারা বক্তব্য শুধু ভিকটিম পরিবারকে অপমান করে না, বরং পুলিশের নৈতিক দায়িত্ববোধ ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

একবার ভেবে দেখুন, ১৩ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে ২ দিন আটকে রেখে হিন্দু যুবক যে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে, যা ঘটনার ২ মাস পরেও সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। এতেও কি ঘটনার পাশবিকতা উপলব্ধি করতে পারছেন না? এটি প্রেমের সম্পর্ক নাকি ফাঁদ?

মনে রাখা জরুরি, পুলিশ রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তাদের ভাষা, বয়ান ও আচরণ আদালতের আগেই ন্যায়বিচারের প্রথম মাপকাঠি। কিন্তু এখানে সেই দায়িত্বের জায়গায় দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবের প্রতি অতি-সংবেদনশীলতা আর ভিকটিমের প্রতি অবহেলা।

সাধারণ আলেম সমাজ মনে করে, এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া এখনই স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সময়সীমাবদ্ধ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা জরুরি। কারণ এটা শুধু একটি মাদরাসা শিক্ষার্থীর ন্যায়বিচারের প্রশ্ন নয়, এটি রাষ্ট্রের আইনের প্রতি আস্থার প্রশ্ন। মাদরাসা শিক্ষার্থী হওয়া কোনো নাগরিককে আইনি সহানুভূতি থেকে বঞ্চিত করার অজুহাত হতে পারে না।

পুলিশ প্রশাসনের এই ধরনের দায়সারা, গাফিলতিপূর্ণ ও অসংবেদনশীল বক্তব্য দেশের বিচারব্যবস্থা ও নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।

আমরা, সাধারণ আলেম সমাজ আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনাকে 'প্রেমের সম্পর্ক' আখ্যা দিয়ে ঘটনাটি শিথিল অপচেষ্টাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। সেই সাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে হিন্দু যুবক জয়কুমার দাস ও লোকনাথ চন্দ্রসহ পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি করি। আমরা ধর্ষণের ঘটনায় ১ বিন্দু ছাড় দিতে রাজি নই।

মাদরাসা শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে হিন্দু যুবক কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটিকে কোনোভাবেই প্রেমের সম্পর্ক বলে দায় এড়ানো যায় না। যেখানে নারীবাদী ও সুশীল সমাজ বাল্যবিবাহকেই নাক সিঁটকানির চোখে দেখে, সেখানে এই ১৩ বছর বয়সী শিশু নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল ঘটনাতে তাদের নীরব ভূমিকা তাদের দ্বিচারিতাকেই স্পষ্ট করে।

আমরা মনে করি, সেক্যুলার রাষ্ট্র কেবল ধর্মীয় সমাজকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা করে না, বরং নতুন একটি সামাজিক শ্রেণি তৈরি করে। যেখানে তারা কখনও প্রান্তিক আবার কখনও অতিরিক্ত দৃশ্যমান। এই ঘটনায় অপরাধী যদি মাদরাসা পরিচয়ের হত, এতক্ষণে নারীবাদী ও সুশীলদের বিবৃতি ও যুগলবন্দী কলাম দেখতে পেতাম। তারা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বিষয়টিকে অতিরিক্ত দৃশ্যমান করে 'ধর্মীয় সমাজের কলঙ্ক' হিসেবে প্রচার করত৷ অথচ এখন ভিকটিম হওয়ার কারণে মাদরাসা শিক্ষার্থীর নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তাও পাচ্ছে না। উল্টো প্রেমের সম্পর্ক বলে শিশুর মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে এবং শিশু নির্যাতনের মতো একটি ভয়াবহ জঘন্য অপরাধকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

—সাধারণ আলেম সমাজ

সরকারি উদ্যোগে শাপলার শহিদ পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান। উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে...
18/10/2025

সরকারি উদ্যোগে শাপলার শহিদ পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান। উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে প্রতিটি পরিবারকে ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

একসাথে অনেকগুলো অপরাধ সংগঠিত হলেও নীরব কথিত নাগরিক সমাজ ও মিডিয়া। অথচ এর বিপরীতে কোনো মুসলিম কিংবা আলেমের বিরুদ্ধে নূন্য...
17/10/2025

একসাথে অনেকগুলো অপরাধ সংগঠিত হলেও নীরব কথিত নাগরিক সমাজ ও মিডিয়া। অথচ এর বিপরীতে কোনো মুসলিম কিংবা আলেমের বিরুদ্ধে নূন্যতম ইস্যু পেলেও এরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদের নামে নোংরামি করে।

16/10/2025

হিন্দু যুবক কর্তৃক টানা তিন দিন ধরে ধর্ষিত ১০ বছরের শিশু মাদ্রাসার শিক্ষার্থী

উলামা জনতা ঐক্য পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি
15/10/2025

উলামা জনতা ঐক্য পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

15/10/2025

ফের পাক-আফগান সীমান্তে লড়াইয়ে ১২ জন নিহত

আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের প্রধানের ইনতিকালে সংস্থার গভীর শোক প্রকাশঅফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বার্তায় ব...
12/10/2025

আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের প্রধানের ইনতিকালে সংস্থার গভীর শোক প্রকাশ

অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়,
আমরা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও দাওয়াতি অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. আবদুল্লাহ ওমর নাসিফ (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে আল মানাহিল পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মানিত চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

ড. আবদুল্লাহ ওমর নাসিফ (রহ.) ছিলেন রাবেতাতুল আলমিল ইসলামী (Muslim World League)-এর সাবেক মহাসচিব, সৌদি আরবের শূরা কাউন্সিলের সাবেক উপ-সভাপতি, এবং কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, জেদ্দা-র সাবেক পরিচালক। তিনি ১৯৯১ সালে ইসলামের খেদমতের জন্য কিং ফয়সল পুরস্কার লাভ করেন, এছাড়াও আরও বহু পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি আমাদের দাতব্য সংস্থা আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-এর উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ইসলামের দাওয়াত, শিক্ষা ও মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর অবদান অনন্য ও অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর কর্মের মাধ্যমে পৃথিবীবাসী যুগ যুগ ধরে তাঁকে স্মরণ করবে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি দ্বীন ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। তাঁর মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ থেকে রাষ্ট্র, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।

আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে।
আমরা মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর যাবতীয় নেক আমল কবুল করুন, গুনাহসমূহ মাফ করে তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মর্যাদা দান করুন, এবং তাঁর পরিবার ও প্রিয়জনদের ধৈর্য ও সান্ত্বনা দান করুন।

Address

Qawmi Vision কওমি ভিশন, Zaheda Building, 1st Floor, Eidgah Residential Area, Chittagong/Khagrachhari Road, Hathazari
Jobra
4217

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Qawmi Vision posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Qawmi Vision:

Share