ইচ্ছে ঘুড়ি

ইচ্ছে ঘুড়ি 🥀🖤তোমার ইচ্ছে গুলো
ইচ্ছে হলেই
আমায় দিতে পারো। ❤️❤️
আমার ভাললাগা,
ভালবাসা,
তোমায় দেবো আরো।🥀🖤
(6)

 #ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’  মার্কিন রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থানদুদিন আগেও পৃথিবীর সেরা ধনী ইলন মাস্ক ছিলেন মার্কিন...
06/07/2025

#ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’
মার্কিন রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থান

দুদিন আগেও পৃথিবীর সেরা ধনী ইলন মাস্ক ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু, সহচর এবং সহকর্মী।

হঠাৎ করেই পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর সেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঝগড়া করে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে রাজপথে নেমে আসলেন পৃথিবীর সেরা ধনী ইলন মাস্ক।

‘ডেমোক্র্যাট’ আর ‘রিপাবলিকান’ পার্টির গোলামী ছেড়ে বের হয়ে আসার ডাক দিলেন আমেরিকার মানুষকে। ঘোষণা দিলেন আমেরিকার তৃতীয় রাজনৈতিক দল আমেরিকা পার্টির।

বাংলাদেশের মানুষের কাছে আগে থেকেই ইলন মাস্ক বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি বাংলাদেশে ইলন মাস্কের স্যাটেলােইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সার্ভিস ‘স্টারলিংক’-এর যাত্রা শুরু হওয়ায় ইলন মাস্ককে নিয়ে এদেশের মানুষের আগ্রহ আরো বেড়েছে।

আমেরিকার ১৬০ বছরের দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার ইতিহাস ভেঙ্গে তৃতীয় দল গড়ার এই চ্যালেঞ্জে পৃথিবীর সেরা ধনী ইলন মাস্ক কতটা সফল হবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দল, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টি দীর্ঘদিন ধরে একচ্ছত্র আধিপত্য করে আসছে। এই দ্বিদলীয় ব্যবস্থার মাঝে এর আগে তৃতীয় শক্তি হিসেবে কিছু দল কিংবা প্রার্থী আত্মপ্রকাশ করলেও, তারা কখনো স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। তবে এবার ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

প্রযুক্তি, ব্যবসা ও গণমাধ্যমের এই চৌকস ব্যক্তিত্ব রাজনীতিতে প্রবেশ করে যে আলোড়ন তুলেছেন, তা মার্কিন রাজনীতিতে বহুমাত্রিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দীর্ঘদিনের ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকান পার্টির ক্ষমতার পালাবদলের খেলায় এবার নিশ্চয় নতুন এক মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’।

নতুন এই দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক প্রথা আর রাজনৈতিক সংস্কৃতিকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইলন মাস্ক।

ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা নি:সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট এই দুই প্রধান দলের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের মাঝে তৃতীয় একটি শক্তি কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে সেটাই বিশ্লেষণ করার সময় এখন।

মার্কিন রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থানের যে চ্যালেঞ্জগুলো মাস্ককে মোকাবেলা করতে হবে তা এই প্রবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রথমত: মার্কিন রাজনীতিতে তৃতীয় দলের চ্যালেঞ্জ
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাস দ্বি-দলীয়তেই অভ্যস্ত। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দল প্রায় ১৬০ বছর ধরে ক্ষমতার পালাবদলে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। মাঝেমধ্যে তৃতীয় দলের উত্থান দেখা গেলেও তারা কখনোই জাতীয় পর্যায়ে টিকে থাকতে পারেনি।

রস পেরো ১৯৯২ সালে ‘রিফর্ম পার্টি’ গঠন করে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আলোড়ন তুলেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি তার দলের স্থায়ী ভিত্তি গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন।

‘গ্রীন পার্টি এবং ‘লিবারেল পার্টি’র মতো দলগুলোও কিছু নীতিগত জায়গায় প্রভাব বিস্তার করলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে সক্ষমতা অর্জনে অক্ষম হয়েছিল।

দ্বিতীয়ত: ইলন মাস্কের ব্যতিক্রমী অবস্থান
ইলন মাস্ক শুধুমাত্র একজন ধনী প্রযুক্তি উদ্যোক্তাই নন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক আলাপে প্রভাবশালী কণ্ঠস্বরও। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এখানে বিশ্লেষণ করলে পাঠক স্পষ্ট ধারণা পাবেন। যেমন-

ইলন মাস্কের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। শুধু ‘টেসলা’ কিংবা ‘স্পেস এক্স’ নয়, টুইটারের মালিকানার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব গণমাধ্যমকে নিজের মত করে ব্যবহার করতে পারেন। তাঁর বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমে বহুলভাবে আলোচনায় আসে।

ইলন মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থানও একেবারে নড়বড়ে নয়। মাস্ক মাঝে মাঝে ডানপন্থী এবং কখনো কখনো উদারপন্থী মতামত দেন। যা তাঁকে উভয় দলের সমর্থকদের একটি নির্দিষ্ট অংশের কাছে আগে থেকেই বেশ গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

মাস্ক নিজেকে কখনো মধ্যপন্থী, কখনো লিবার্টেরিয়ান, আবার কখনো রক্ষণশীল মূল্যবোধের সমর্থক হিসেবে প্রকাশ করেছেন। অতীতে তিনি ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন দিয়েছেন। বারাক ওবামারও ঘনিষ্ট হয়েছিলেন।

এই দ্বৈত অবস্থান তাঁকে মেইনস্ট্রিম রাজনীতিতে অসন্তুষ্ট জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। তাঁর দল সম্ভবত ‘ট্রাডিশনাল ভ্যালু প্লাস টেকনোক্র্যাটিক ভবিষ্যৎবাদ’ এই মিশ্র দর্শনের ওপর দাঁড়িয়ে যাবে।

টেকনোক্র্যাটিক নেতৃত্বের ধারণায় বিশ্বাসী মাস্ক ভবিষ্যতের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তিবিদদের ভূমিকা দেখতে চান, যা মূলধারার রাজনীতির বাইরে।

তৃত্বীয়ত: ইলন মাস্কের সক্ষমতা
নিজের বিপুল সম্পদ দিয়ে মাস্ক একটি সংগঠন তৈরি করতে পারেন, যা প্রচারে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের টেক্কা দিতেও সক্ষম।

প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের মাঝেও তাঁর একটি বিশাল অনুসারী গোষ্ঠী আছে। প্রতিদিন ১৮০ মিলিয়ন ফলোয়ারের সঙ্গে তিনি বিশাল এক জনমত গঠনকারী হিসেবে ব্যাপক প্রভাবশালীও। তরুণদের আকর্ষণ করার সক্ষমতায় অনেককেই টেক্কা দিতে পারবেন মাস্ক।

এআই, স্পেস, ক্লিন এনার্জি ইত্যাদি নিয়ে তাঁর কাজ তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলেছে। মাস্ক চাইলে পুরো নির্বাচনী প্রচার নিজের অর্থে আর নিজস্ব জনবলেই চালাতে পারবেন।

মাস্ক মনে করেন প্রযুক্তি ও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সরকার পরিচালিত হওয়া উচিত। কর হ্রাস, উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি এবং ছোট সরকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে তিনি।বাকস্বাধীনতা, অস্ত্র ধারণের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার প্রতি তাঁর ঝোঁকপ্রবনতা প্রবল।

আমেরিকান রাজনীতির প্রতি বিরক্ত বহু মানুষের কাছে ‘আমেরিকা পার্টি’ একটি ‘এন্টি-এস্টাবলিমন্টে’ হিসেবে জনপ্রিয় বিকল্প হতে পারে। প্রচলিত দুই দলের দুর্নীতি ও ভণ্ডামিকে চ্যালেঞ্জ জানানো মাস্ক তাই সহজেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।

চতূর্থত : ইলন মাস্কের দুর্বলতা
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট(এফপিটিপি) বা ‘সরল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জয়’ নির্বাচন পদ্ধতি তৃতীয় দলের বিজয়ের জন্য উপযোগী নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে এই রকম পদ্ধতির পরিবর্তে পিআর বা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি উঠেছে। এফপিটিপি পদ্ধতিতে, ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে একটি ভোট দেন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী বিজয়ী হন। নতুন দলের জন্য এটা একটা বড় সমস্যা।

এছাড়ার মার্কিন নির্বাচনে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ সিস্টেম তৃতীয় দলের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। অতীতেও বেশ কয়েকবার এর প্রমান পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট নির্বাচন পদ্ধতি এবং ইলেকটোরাল কলেজ সিস্টেমে প্রচুর অর্থ ও শক্তিশালী সংগঠনের প্রয়োজন। এসব কারণে তৃতীয় দলগুলোর জন্য টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

নতুন দলের সংগঠনিক দুর্বলতাও এখানে বড় ফ্রাক্টর হিসেবে কাজ করবে। রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটদের মতো শক্তিশালী ও স্থায়ী রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলা মাস্কের জন্য বেশ কঠিন হবে।

ট্রাম্প এখন আর কোন কিছুতেই ইলন মাস্ককে ছাড় দিবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ইলন মাস্কের ব্যবসার বারোটা বাজিয়ে দিতে চাইবে।

মাস্কের বিতর্কিত অবস্থানও একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাঁর অতিরিক্ত স্বাধীনচেতা মনোভাব এবং সবসময় ‘বৃত্তের বাইরে’ যাওয়ার প্রবনতা নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

পঞ্চমত : ইলন মাস্কের সম্ভাবনা
মধ্যবর্তী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রিপাবলিকান ও মধ্যমপন্থী ডেমোক্র্যাট ভোটার আমেরিকা পার্টির দিকে ঝুঁকতেও পারেন। ইলন মাস্ক হয়তো সেরকম ইঙ্গিত পেয়েই নতুন দল গড়ার সাহস কেরেছেন।

ইলন মাস্কের এই পদক্ষেপকে কেবল একটি ব্যক্তি বা দলের অভ্যুত্থান হিসেবে না দেখে বৃহত্তর মার্কিন রাজনৈতিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক সংস্কার ও টেকনো-রাজনীতির উত্থান হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

‘আমেরিকা পার্টি’ হয়তো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি বিজয়ী হতে পারবে না, কিন্তু এটি মার্কিন রাজনীতিতে বহুল প্রচলিত বয়ানের ধারা বদলেও দিতে পারে।

ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করতে পারবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যদিও প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর তুলনায় এটি একটি নবীন উদ্যোগ এবং নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা এর সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, তবুও মাস্কের প্রযুক্তি-অর্থ-জনপ্রিয়তা এই দলকে অন্তত “রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে পারবে।

ভবিষ্যতে ‘আমেরিকা পার্টি’ যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে কিনা, তা নির্ভর করবে দলের কাঠামো, আদর্শিক ভিত্তি, নেতৃত্ব এবং জনসম্পৃক্ততার দক্ষতার ওপর।......................................
৬ জুলাই ২০২৫......................................

🕊️ নেলসন ম্যান্ডেলা (Nelson Mandela)জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯১৮ — মৃত্যু: ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩দেশ: দক্ষিণ আফ্রিকাপরিচিতি: বর্ণবাদের...
06/07/2025

🕊️ নেলসন ম্যান্ডেলা (Nelson Mandela)

জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯১৮ — মৃত্যু: ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩
দেশ: দক্ষিণ আফ্রিকা
পরিচিতি: বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামী, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি, শান্তির প্রতীক



🔹 শৈশব ও শিক্ষা

নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সকেই অঞ্চলের একটি থেম্বু রাজপরিবারে। তাঁর আসল নাম ছিল Rolihlahla Mandela, যার অর্থ “দাঙ্গাবাজ”। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন আত্মবিশ্বাসী এবং ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা তার স্বভাব ছিল।

তিনি হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষে হীল্ডটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, কিন্তু ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি জোহানেসবার্গে এসে আইন পড়া শুরু করেন।



🔹 রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম

১৯৪৪ সালে ম্যান্ডেলা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (ANC)-এ যোগ দেন। শুরুতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও পরবর্তীতে সরকারের দমন-পীড়নে তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নেন।

তার নেতৃত্বে বহু আন্দোলন গড়ে ওঠে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। ১৯৬২ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি ২৭ বছর বন্দী ছিলেন, যার মধ্যে বেশিরভাগ সময় কাটে রবিন আইল্যান্ডে।



🔹 মুক্তি ও রাষ্ট্রপতি হওয়া

১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক চাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ম্যান্ডেলাকে মুক্তি দেয়। তিনি রাজনীতিতে ফিরে এসে শান্তি ও মিলনের প্রতীক হিসেবে উঠে আসেন।
১৯৯৪ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

তার সরকার বর্ণবাদের অবসান ঘটিয়ে একটি বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের ভিত্তি রাখে।



🔹 অবদান ও উত্তরাধিকার

নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্বজুড়ে শান্তি, সহনশীলতা ও মানবাধিকারের প্রতীক হিসেবে গণ্য হন।
তিনি ১৯৯৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

ম্যান্ডেলা বিশ্বাস করতেন ক্ষমা ও সংলাপের শক্তিতে — এবং নিজ জীবনে সেই শিক্ষাই বাস্তবায়ন করেছিলেন।



🔹 মৃত্যুর পর

২০১৩ সালে ম্যান্ডেলা মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্বের নেতারা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান, এবং আজও তাকে “আফ্রিকার জনক” হিসেবে স্মরণ করা হয়।

⸻⸻

উক্তি:
“It always seems impossible until it’s done.”
(কাজটা অসম্ভবই মনে হয়— যতক্ষণ না সেটা শেষ হয়।)



🧠 আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)জন্ম: ১৪ মার্চ, ১৮৭৯ — মৃত্যু: ১৮ এপ্রিল, ১৯৫৫দেশ: জার্মানি (পরবর্তীতে মার্কিন যুক্...
06/07/2025

🧠 আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)

জন্ম: ১৪ মার্চ, ১৮৭৯ — মৃত্যু: ১৮ এপ্রিল, ১৯৫৫
দেশ: জার্মানি (পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
পরিচিতি: বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী, আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জনক

🔹 শৈশব ও শিক্ষা

আলবার্ট আইনস্টাইন জন্মগ্রহণ করেন জার্মানির উল্‌ম শহরে, একটি মধ্যবিত্ত ইহুদি পরিবারে। ছোটবেলায় তিনি খুব শান্ত এবং কিছুটা ধীর প্রকৃতির ছিলেন, এমনকি অনেকেই ভাবত তিনি “বুদ্ধি কম”। তবে তাঁর মধ্যে চিন্তাশক্তির গভীরতা ছিল অসাধারণ।

তিনি স্কুলে খুব ভালো ছাত্র না হলেও, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে ছিল তার অসাধারণ দক্ষতা। পরে তিনি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ পলিটেকনিক থেকে শিক্ষালাভ করেন।

🔹 কর্মজীবন ও বৈজ্ঞানিক অবদান

আইনস্টাইন কর্মজীবনের শুরুতে একটি পেটেন্ট অফিসে চাকরি নেন। সেই সময়েই তিনি লিখে ফেলেন তার জীবনের সবচেয়ে বিপ্লবী গবেষণা:
• আপেক্ষিকতা তত্ত্ব (Theory of Relativity)
• বিখ্যাত সমীকরণ: E = mc², যা দেখায় ভর ও শক্তির সমতুল্যতা।

১৯২১ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন “ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট” আবিষ্কারের জন্য, যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভিত্তি গড়ে দেয়।

🔹 রাজনৈতিক ও সামাজিক ভূমিকা

তিনি নাৎসি শাসনের সময় জার্মানি ত্যাগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা চালিয়ে যান। তিনি শান্তিপ্রেমী, মানবতাবাদী এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিরোধী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন, তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

🔹 মৃত্যুর পর

১৯৫৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তার মস্তিষ্ক গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হয়। আজও বিজ্ঞান জগতে তিনি কিংবদন্তি হয়ে আছেন।



উক্তি:

“Imagination is more important than knowledge.”
(কল্পনা জ্ঞান অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।)

আসলেই 🤔🤔🤔 ゚
05/07/2025

আসলেই 🤔🤔🤔

সত্যি বলতে এই ছেলাটার খেলা যতো দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। তার চেয়ে বড় কথা হলো ইসলামিক মন মানসিকতা দেখে আরও বেশি ভালো লাগে। য...
05/07/2025

সত্যি বলতে এই ছেলাটার খেলা যতো দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। তার চেয়ে বড় কথা হলো ইসলামিক মন মানসিকতা দেখে আরও বেশি ভালো লাগে। যদি চেষ্টা করা হয় তাহলে এই ছেলাটাকে দিয়ে ভালো ব্যাটিং ও করানো যাবে।

আজকেই তামজিদ হাসান সাকিবের ইনিংসটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আমি মনে করি হৃদয়ের চেয়ে অনেক অনেক ভালো খেলেছে। টুনটুনি মার্কা রান করে হৃদয় ও ওর নিজের দোষে আউট হয়েছে শুধু শুধু সাকিবের উপর রাগ দেখিয়েছে।

আমার কাছে মনে হয় তাওহিদ হৃদয়ের টুনটুনি মার্কা রানের চেয়ে তামজিদ হাসান সাকিবের ইনিংসটাই বেশি কার্যকরী....আমার সাথে আপনারা...
05/07/2025

আমার কাছে মনে হয় তাওহিদ হৃদয়ের টুনটুনি মার্কা রানের চেয়ে তামজিদ হাসান সাকিবের ইনিংসটাই বেশি কার্যকরী....
আমার সাথে আপনারা কে কে একমত?

গাধাকে সৃষ্টি করার পর সৃষ্টিকর্তা বললেন, তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি। তোর মাথায় কোনো বুদ্ধি থ...
05/07/2025

গাধাকে সৃষ্টি করার পর সৃষ্টিকর্তা বললেন, তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি। তোর মাথায় কোনো বুদ্ধি থাকবে না। তোকে আয়ু দিলাম ৪০ বছর।

গাধা মিনতি করে বলল, সে কি হুজুর! এমন কষ্টের জীবন নিয়ে আমি এত বছর বাঁচতে চাই না। দয়া করে আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দিন।

সৃষ্টিকর্তা তাই দিলেন।

এরপর সৃষ্টিকর্তা কুকুরকে বললেন, তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু লোকজনের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি। তোর আয়ু হবে ৩০ বছর।

একথা শুনে কুকুর মাথা নিচু করে বলল, প্রভু, দয়া করে একটু কমিয়ে করে ওটা ১৫ করে দিন। এতদিন বেঁচে আমার হবে কি?

সৃষ্টিকর্তা এতেও রাজি হয়ে গেলেন।

এরপর উনি বানরকে বললেন, তোর একমাত্র কাজ হবে লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়া, আর রং তামাশা দেখিয়ে মানুষকে বিনোদন দেওয়া। তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর।

বানর আবেগে কেঁদে ফেলে বলল, দিবেনই যখন ১০ বছর দিন! এত বড় জীবন দিয়ে আমি কি করব?

সৃষ্টিকর্তা তাতেও আপত্তি করলেন না।

সবশেষে তিনি মানুষকে বললেন, তুমি হবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ। তোমার আয়ুও হবে ২৫ বছর।

মানুষ তো খুশিতে পাগল হয়ে গেল। কিন্তু এত মহৎ জীবন নিয়ে আয়ু মাত্র ২৫ বছর? সে হাতজোড় করে বলল, একটা কাজ করা যায় না? আপনি আমাকে গাধার ফেরত দেওয়া ২০ বছর, কুকুরের ১৫ বছর, বানরের ১০ বছর দিয়ে দিন।

সৃষ্টিকর্তা বললেন, নিজের ভালো পাগলেও বোঝে, তুই বুঝলি না। যাহ্, দিলাম!

সেই থেকে মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচে ২৫ বছর, পরের ২০ বছর গাধার মতো সংসারের বোঝা টানে, তার পরের ১৫ বছর ছেলেমেয়ে যা দেয় তাই খেয়েপড়ে কুকুরের মতো বেঁচে থাকে, আর তার পরের ১০ বছর বানরের মতো আজ এক সন্তানের বাসা তো কাল আরেক সন্তানের বাসায় ঘুরে বেড়ায় আর নেচেকুঁদে নাতি নাতনিদের বিনোদন দেওয়াই হয় তার প্রধান কাজ!

🕊️ মাদার তেরেসা (Mother Teresa)জন্ম: ২৬ আগস্ট, ১৯১০ — মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭দেশ: অটোমান সাম্রাজ্যের স্কোপিয়ে (বর্তমা...
05/07/2025

🕊️ মাদার তেরেসা (Mother Teresa)

জন্ম: ২৬ আগস্ট, ১৯১০ — মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭
দেশ: অটোমান সাম্রাজ্যের স্কোপিয়ে (বর্তমান উত্তর মেসিডোনিয়া), পরে ভারত
পরিচিতি: মানবসেবায় নিবেদিত, ‘সন্ত’ উপাধিতে ভূষিত, শান্তির নোবেল বিজয়ী



🔹 শৈশব ও শিক্ষা
মাদার তেরেসার আসল নাম ছিল আগ্নেস গঞ্জা বয়াজিউ। তাঁর পরিবার ছিল অতি ধর্মপরায়ণ ক্যাথলিক খ্রিস্টান। ছোটবেলা থেকেই তিনি দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ধর্মীয় জীবন গ্রহণ করে আয়ারল্যান্ডের একটি ধর্মীয় সংগঠনে যোগ দেন, পরে ভারতবর্ষে আসেন।



🔹 কর্মজীবন ও মানবসেবা
ভারতের কলকাতায় এসে তিনি Loreto Convent স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিন্তু ১৯৪৬ সালে এক ট্রেন ভ্রমণের সময় তিনি “ঈশ্বরের ডাক” পান — গরিব, অসহায় ও মরতে থাকা মানুষদের সেবা করার জন্য। এরপর তিনি “Missionaries of Charity” প্রতিষ্ঠা করেন।

এই সংগঠন শত শত আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, অনাথ আশ্রম ও লেপ্রসি কলোনি গড়ে তোলে। তিনি কুষ্ঠরোগী, রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ ব্যক্তি, পথশিশু ও অসহায় নারীদের সেবা করতেন স্বহস্তে।



🔹 পুরস্কার ও স্বীকৃতি
• ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার
• ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারত রত্ন
• বিশ্বের বহু দেশের সর্বোচ্চ পদক ও স্বীকৃতি
• ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে “সন্ত তেরেসা” ঘোষণা করেন



🔹 ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ
মাদার তেরেসা বিশ্বাস করতেন, “প্রেম দিয়েই দুনিয়া জয় করা যায়।” তিনি কোনো রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না, বরং ধর্ম-বর্ণ-জাতপাত নির্বিশেষে সবার সেবা করেছেন। তাঁর জীবন ছিল বিনয়, ত্যাগ ও সহানুভূতির প্রতীক।



🔹 মৃত্যুর পর
১৯৯৭ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। আজও তার স্মৃতি ও সেবা বিশ্বজুড়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর জীবন পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অন্যতম দৃষ্টান্ত।



উক্তি:

“Not all of us can do great things. But we can do small things with great love.”
(“আমরা সবাই হয়তো বড় কিছু করতে পারি না, কিন্তু আমরা ছোট ছোট কাজ করতে পারি, অনেক ভালোবাসা দিয়ে।”)

কে ছিলেন এই ইভা ব্রাউন ইভা ব্রাউন (ফেব্রুয়ারি ৬, ১৯১২ – এপ্রিল ৩০, ১৯৪৫) ছিলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির রাষ্ট্রনায়ক অ...
04/07/2025

কে ছিলেন এই ইভা ব্রাউন
ইভা ব্রাউন (ফেব্রুয়ারি ৬, ১৯১২ – এপ্রিল ৩০, ১৯৪৫) ছিলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির রাষ্ট্রনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের স্ত্রী এবং সবচেয়ে অন্তরঙ্গ সহচরী। ১৭ বছর বয়সে মিউনিখে কাজ করার সময় তার সাথে হিটলারের প্রথম দেখা হয়। ১৯৪৫ সালে আত্মহত্যার পুর্বেও তিনি ১৯৩৬ সালে আর একবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। হিটলারের রাজনীতিতে তার কোন প্রভাব পড়েনি তবে এ বিষয়ে ঐতিহাসিকদের বিতর্ক রয়েছে। তার ধূমপান, প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবহার এবং ছোট কাপড় পরে রোদ পোহানো হিটলার পছন্দ করতেন না। তিনি ফটোগ্রাফি খুবই ভালবাসতেন। তার তোলা হিটলারের একটি রঙ্গিন ছবি পাওয়া যায়। ১৯৪৪ সালে তার বোনের সাথে হিটলারের এক সহকারীর বিয়ের আগে তাকে লোকজনের সাথে বিশেষ মিশতে দেখা যায়নি। ১৯৪৫ সালে হিটলারের শেষ ভরসা স্তেইন এর সেনাবাহিনী বিধ্স্ত হয়ে যায় এবং তার অধিকাংশ সঙ্গী মিত্রবাহিনীর কাছে ধরা দেয়। এর ফলে হিটলার তার জীবনের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন এবং ইভাকে পালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ইভা পালিয়ে না গিয়ে সেখানে থেকে যান এবং হিটলারের সাথেই ৩০শে এপ্রিল আত্মহত্ম্যা করেন।

03/07/2025

এই পৃথিবীতে আরও কতো কি যে দেখবো?

🎉 Facebook recognised me as a top rising creator this week!
30/06/2025

🎉 Facebook recognised me as a top rising creator this week!

30/06/2025

Address

Joydebpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইচ্ছে ঘুড়ি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share