10/10/2025
মগের মুল্লুক ছাড়া আর কোথাও এধরনের কান্ড ঘটে বলে মনে হয়না।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, তার নিজের ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ আয়কর বর্ষের রিটার্নের তথ্যে যে সকল অসত্য তথ্য প্রদান করেছেন, তা আমি ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছি। তবে এতে রাষ্ট্রের কোন বিকার বোধ জাগ্রত হতে দেখা যায়নি।
এর প্রেক্ষিতে যা হয়েছে তা হলো, অজ্ঞাত যেসকল ব্যক্তি আব্দুর রহমান খানের আয়কর বর্ষের তথ্য ফাঁস করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে রমনা থানায়।
তাহলে বিষয়টা হইলো এমন, যে খোদ রাজস্ব বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিরা তাদের আয়কর বর্ষের নথিতে অসত্য তথ্য দিতেই পারে — এবং সেটা ফাঁস হইলে, যে বা যারা ফাঁস করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে, আর যেই ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিলো, তার কিছুই হবেনা!
বাহ! বাহ!
এই ঘটনাটা আমার একেবারেই অপরিচিত নয়। শেখ হাসিনার একজন ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন, যার নাম আবদুস সোবহান গোলাপ, তিনি হাসিনার বিভিন্ন ফুটফরমাশ খাটতেন, এবং এসব করে ব্যাপক সম্পদও গড়ে তুলেছিলেন। আমি গোলাপের এসব কান্ড নিয়ে, ওসিসিআরপি (অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করপশান রিপোর্টিং প্রজেক্ট) তে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করলাম, তখন সেটা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেখা যায়, শেখ হাসিনা গোলাপকে নিয়ে বেশি বেশি করে ঘোরাফেরা করতে শুরু করলেন, আগে যেই গোলাপকে কোনায় বসিয়ে রাখা হতো, তখন সে একেবারে সামনে সামনে হাঁটা শুরু করলো।
৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে অবশ্য গোলাপকে ওই প্রতিবেদনের সুত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
আব্দুর রহমান সাহেব বিষয়ক আগের পোস্টগুলো সংযুক্ত টুইটে আছে, পড়তে পারেন।