muktikantha

muktikantha আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে
(1)

23/12/2024

মুক্তিকন্ঠ ডেস্ক : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু বীর প্রতীককে লাঞ.....

01/08/2024

জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আনন্দ মিছিল:

মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সন্ত্রাসী দল জামাত-শিবিরের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানিয়ে আজ ১লা আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শাহবাগ আনন্দ মিছিল কর্মসূচী পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সংগঠনের মুখপাত্র ড. জামাল উদ্দিন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন সিকদার, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সংসদের নির্বাহী মহাসচিব হিমু মাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি কানিজ ফাতেমা, মাকসুদ হাওলাদার, দপ্তর সম্পাদক নূর আলম সরদার, বংশাল থানার সভাপতি জনি মিয়াসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও জামায়াতকে আজও পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়নি। একাত্তরে গণহত্যা ও গণধর্ষণে জড়িত জামায়াত বিগত ২০০১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ছয় শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যকে হত্যা করেছিল। আহত হয়েছিল ৩০ হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, ১২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছিল। জামাত-শিবিরের সংঘবদ্ধভাবে হামলা, নির্যাতন, লুটতরাজে নিঃস্ব হয়েছিল লক্ষাধিক হিন্দু পরিবার। আবার এরা সন্ত্রাস ও নাশকতা শুরু করেছে। আর নয় প্রতিবাদ, এবার হবে প্রতিরোধ। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি জামাত-শিবিরের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।"

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "একাত্তরে গণহত্যা, গণধর্ষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের অপরাধে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সম্প্রতি কোটা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ, বিচক্ষণ ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র আবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা কখনোই এদেশের জনগণ মেনে নিবে না। এদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে রয়েছে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কোন অপশক্তি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে আর থামাতে পারবে না। দেশের উনয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে না পেরে বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ন্যায় আবার স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত ঢাকার বাহিরে থেকে কয়েক লক্ষ প্রশিক্ষিত শিবির-ছাত্রদলের সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা ও আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে বিএনপি-জামাত আবার কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছে। হামলাকারী শিবির-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দেশে-বিদেশে বসে যারা গুজব সন্ত্রাস করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাধে ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত চখা রাজাকারের পুত্র মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি-জামাতের সকল সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও জনগণের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বোমা ও ককটেল মজুদ করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিএনপির রাজনীতিও আইন করে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মেনে এদেশে সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত এখনও পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করার শামিল। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে মানবে না, তারা প্রকৃতপক্ষে দেশ ও জাতির শত্রু। এরা একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের পেত্মাত্মা ও রাজাকার-আলবদরদের দোসর। বাংলাদেশে এদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। পেট্রল বোমায় ঝলসানো বাংলাদেশ, বাতাসে মানুষ পোড়া গন্ধ, মানুষ হত্যার বীভৎস উৎসব বাংলার মানুষ আর দেখতে চায় না। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর-আলশামসদের সন্ত্রাসী দল জামায়াত শিবিরের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে এদেশের জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। স্বাধীন দেশের পবিত্র মাটি ৩০ লাখ শহীদের রক্তে সিক্ত। স্বাধীনতার দুশমন উগ্র সাম্পদায়িক জঙ্গিবাদী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের দোসর জামায়াত-শিবিরের একমাত্র উদ্দেশ্য ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়া ও বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করা। সরকারের নিকট দাবি, নিষিদ্ধ জামাত-শিবিরের সকল জঙ্গিবাদী অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের তালিকা তৈরী করে এদের সন্তান ও বংশধরদের নাগরিকত্ব বাতিলসহ সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জামাত সবসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। একাত্তরে ৩০ লক্ষ মানুষকে গণহত্যা ও ২ লক্ষ নারীকে গণধর্ষণের অপরাধ স্বীকার করে এরা আজও পর্যন্ত জনগণের নিকট ক্ষমা চায়নি। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরকে নামে-বেনামে রাজনীতি করার কোন সুযোগ দিলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"

ঢাবি শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, "দেশবাসীর বিবেকের নিকট প্রশ্ন- জামাত-শিবির কি সত্যিই ইসলামের চর্চা করে? এরা প্রকৃতপক্ষে আবু জেহেলের অনুসারী অভিশপ্ত গোষ্ঠী। কারণ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামাত-শিবির ইসলাম ধর্মের লেবাশ লাগিয়ে প্রতিনিয়ত ইসলাম পরিপন্থী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে যাচ্ছে। এদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করেছিলেন। একাত্তরে পরাজিত পাকিস্তানি অপশক্তি স্বাধীনতা বিরোধীরা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাহাত্তরের সংবিধানকে কেটে ছিঁড়ে ধ্বংস করে আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। কোন নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ একা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেনি। একাত্তরে সকল ধর্মের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সকল ধর্মের মানুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়, সকল ধর্মের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। রাষ্ট্র ও ধর্ম দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ধর্মকে রাজনীতিতে নিয়ে আসলে সেই ধর্ম কলুষিত হয়। ধর্মকে পুঁজি করে ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবির ইসলাম ধর্মকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলোর সংবিধানে কোথাও রাষ্ট্র ধর্ম উল্লেখ নেই। এমনকি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়াতেও রাষ্ট্র ধর্মের কথা উল্লেখ নেই। তাদের সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি রয়েছে। রাষ্ট্র সকলকে সমান চোখে দেখবে। এটাই ইসলাম শিক্ষা দেয়। রাষ্ট্র কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে অন্য ধর্মের মানুষদের খাটো করার অধিকার রাখে না। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনী জিয়া অত্যন্ত সুকৌশলে সংবিধানে সাম্প্রদায়িক বিষ ঢুকিয়ে মানুষের মগজ ধোলাই করে দিয়েছিল। যার ফলাফল এখনো বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হতো।"

অধ্যাপক ড. আকম জামাল উদ্দিন বলেন,
"জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধিতা কারী জামাত-শিবিরীা দেশ ও জাতির শত্রু। অবৈধ সামরিক শাসক খুনি জিয়া কর্তৃক অবৈধভাবে সংশোধিত সংবিধানের পক্ষে যারা কথা বলে তারা প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের দোসর। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও গণধর্ষণ জড়িত জামাত-শিবিরকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এরপর নিষিদ্ধ জামাত-শিবির নামে বেনামে যেখানেই কর্মসূচী দিবে সেখানেই পাল্টা কর্মসূচী দিয়ে প্রতিহত করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"

হিমু মাইন বলেন, "বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা-এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। বাহাত্তরের সংবিধানের ১ম অনুচ্ছেদে এই রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধ সামরিক শাসক জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত সংবিধান কেটে ছিঁড়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবিরের বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়েছে। এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। কারণ জামাত-শিবির সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রকৃত শত্রু। এরা সন্ত্রাস করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এখন দেশের মানুষ অনেক সচেতন। ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবিরের প্রকৃত চরিত্র ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে। সামনে আরোও হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেই ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রতিনিয়ত জামাতের ধর্ম ব্যবসায়ীরা ষড়যন্ত্র করছে। এরা প্রকৃতপক্ষে ইসলামের শত্রু, মানবতার শত্রু। এদেরকে এখন সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে।"

01/08/2024

মুক্তিকন্ঠ ডেস্ক : মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সন্ত্রাসী দল জামাত-শিবিরের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের প্....

16/07/2024

মুক্তিকন্ঠ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিয...

শিবির-ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ
16/07/2024

শিবির-ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ

15/07/2024

ঢাবি শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা বলেন, "বৈষম্য দূর করার জন্য নারী কোটার অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মেয়ে না বুঝে নারী কোটার বিরোধিতা করে নিজেদের সুযোগ হারাচ্ছেন। বিগত বিসিএসে নারী কোটা না থাকার কারণে ছেলেরা সব ভালো ক্যাডার নিয়ে গেছেন। কিছু নারী শিক্ষা বা অন্য ক্যাডার হতে পারলেও সেটার সংখ্যা পূর্বের তুলনায় সামান্য। নারী কোটা না থাকার কারণে ঢাবির বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীরা আরো বঞ্চিত হচ্ছেন। বিগত বিসিএসে তাদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। ১০ শতাংশ নারী কোটা থাকা অবস্থায় বিসিএসে প্রতিটি ক্যাডারে শতকরা ১০ জন করে নারী নিশ্চিত তাদের কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পেয়ে যেতেন। নারী উচ্চ শিক্ষা ও অগ্রগতি বিরোধী মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। কারণ জামাত-শিবিরের পরিকল্পনা হচ্ছে নারীদেরকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করে গৃহদাসী করে রেখে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়া। এজন্যই জামাত-বিএনপি রাজনৈতিক মাঠে ব্যর্থ হয়ে এখন কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কে অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সকল কোটা পুনর্বহালের কোন বিকল্প নেই।"
#বঙ্গবন্ধু #মুক্তিযুদ্ধ #মুক্তিযোদ্ধা_কোটা #বীর_মুক্তিযোদ্ধা #বাংলাদেশ

15/07/2024

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "গতকাল মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার স্লোগান দেওয়ার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। এধরনের স্লোগানধারীদেরকে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। নিজেকে রাজাকার, রাজাকার স্লোগান দেয়ার অর্থ হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এই ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। কারণ এটি জাতির সংহতি এবং মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকারদের সমর্থনকারী কার্যকলাপ আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উচিত এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জাতীয় সংহতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বেশ কিছুদিন যাবত কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা গোষ্ঠী মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদেরকে পরিবারকে নানা ভাবে অপমান অপদস্থ করা হচ্ছে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনিও এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বক্তব্য অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে খণ্ডিত আকারে অপপ্রচার চালিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ছাত্রদল-শিবির নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় থেকে রাতের আধারে পরিত্যক্ত ও প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক গোষ্ঠী শিবির-ছাত্রদলের ছত্রচ্ছায়ায় কতিপয় বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বিরোধী বালখিল্য কর্মকাণ্ড এবং রাজাকার রাজাকার স্লোগান দেয়া আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এরা সময়ে অসময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভক্ত করছে। ঐতিহাসিক ভাবে মীমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চেষ্টা করছে। এখানে আমরা দেশের বিরুদ্ধে রাজাকারদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি। রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন করে এদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি ও বেসরকারি সকল চাকুরীতে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে রাজাকার শ্লোগানধারীদেরকে চিহ্নিত করে ছাত্রত্ব বাতিলসহ গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মেধা কোটার নাম পরিবর্তন করে সাধারণ কোটা নামে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন। কারণ কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তরা কখনোই অমেধাবী নয়। তারাও মেধাবী। তাদেরকেও প্রিলি, লিখিত ও ভাইভায় পাশ করার পর কোটা সুবিধা পেতে হয়। বৈষম্যমূলক মেধা শব্দ পরিবর্তন করে সাধারণ শব্দ সংযোজন করে সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের অবৈধ পরিপত্র বাতিলের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে এদেশের তরুণ সমাজ স্বাগত জানিয়েছে। উচ্চ আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণাঙ্গ আস্থা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করি, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবাররা সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে ন্যায়বিচার পাবেন। ইতিমধ্যে আপীল বিভাগে চার সপ্তাহের স্টে অর্ডার দেয়া হয়েছে। আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। চূড়ান্ত শুনানির জন্য অপেক্ষা করছি। আদালতে আইনী লড়াই চালানোর পাশাপাশি ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল ও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশসহ এদের তিন প্রজন্মকে সরকারি চাকরিতে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে সক্রিয় থাকবো।"

#বঙ্গবন্ধু #বীর_মুক্তিযোদ্ধা #মুক্তিযুদ্ধ #বাংলাদেশ

15/07/2024

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "এই রাজাকাররা যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ গণহত্যা চালিয়েছিল, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের রাজাকারদের সহায়তায় হত্যা করা হয়েছিল, ধর্ষিত হয়েছিলো রোকেয়া হলে ছাত্রীবোনেরা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছেলেমেয়েরা নিজেদেরকে রাজাকার বলে স্লোগান দেয়। কতোটা দেশদ্রোহী ও বেহায়া হলে এরা এধরণের ন্যাক্কারজনক শ্লোগান দিতে পারে। এদেরকে চিহ্নিত করে ছাত্রত্ব বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে।"

#বঙ্গবন্ধু #মুক্তিযুদ্ধ #মুক্তিযোদ্ধা_কোটা #বীর_মুক্তিযোদ্ধা #বাংলাদেশ

Address

Kalabaga

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when muktikantha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share