25/11/2024
ইবলিশ শয়তান যেহেতু একজন জ্বীন। তাহলে অন্যান্য জ্বীনেরা কি ইবলিশকে দেখতে পায়?
সকল দেশের টাকার উপরে, বিভিন্ন ভাষায় এই কথাটি লেখা থাকে - (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কি দিতে বাধ্য থাকিবে? কেন দিতে বাধ্য থাকিবে? এই বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন আছে - অন্য কোনকিছু ছিঁড়ে গেলে বা নস্ট হয়ে গেলে, নতুন আরেকটা পাওয়া যায় না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছেঁড়া টাকার পরিবর্তে নতুন টাকা দেয় কেন?
টাকা বিষয়ক এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর হলো - কাগজের টাকাটা একটি সার্টিফিকেট। হ্যাঁ, ওই সার্টিফিকেট প্রমান করে, আপনি ১০০০ টাকার (সম্পদের) মালিক। ওই সার্টিফিকেট (টাকার নোট) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে নিয়ে গেলে, ওরা আপনাকে ১০০০ টাকা দিতে বাধ্য থাকবে। তার মানে, আপনি ১০০০ টাকার সম্পদের মালিক, সেটা প্রমান করার জন্য, আপনার কাছে সার্টিফিকেট আছে। ওই সার্টিফিকেট (টাকার নোট) ছিড়ে গেলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আরেকটা নতুন সার্টিফিকেট দেয়।
বিষয়টা চিন্তা করে দেখুন - আপনার কাছে সার্টিফিকেট আছে। তাহলে সম্পদটা কোথায়? সম্পদ আছে ব্যাংকে।
এটাই হলো ব্যাংক, এটাই হলো কাগজের নোট এর পদ্ধতি। আপনাকে শুধুমাত্র কাগজের সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে, আপনার মুল সম্পদ ব্যাংক নিয়ে নিয়েছে। ব্যাংক আবিস্কার হবার আগে, কাগজের নোট ছিলো না। তখন ধাতুর মুদ্রা ছিলো। ধাতব মুদ্রার মূল্যমান ঐ ধাতুর ভেতরেই ছিলো। ধাতব মুদ্রা হলে, আপনার কাছেই আপনার সম্পদ থাকতো।
ব্যাংক বানিয়ে, কাগজের মুদ্রা বানিয়ে, কৌশলে সকল সম্পদ হাতিয়ে নেবার এই পদ্ধতি কোন ভীনগ্রহবাসীর আবিস্কার নয়। এটা মানুষেরই আবিস্কার, মানুষ এই পদ্ধতি বানিয়েছে। তাদেরকে কি আপনারা চেনেন? তারা কি অদৃশ্য?
ওখানেই শেষ নয় - ক্রেডিট কার্ড বানিয়ে, বাকী কেনার ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। বাকী কেনার সুযোগ পেয়ে, সাধারন মানুষ অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ঋনের বোঝা ভারী করে। সেই ঋন সুদে-আসলে পরিশোধ করতে গিয়ে, প্রতিমাসের আয়, প্রায় পুরোটাই চলে যায়। এভাবে ক্রেডিট কার্ডের ফাদে, সারা বিশ্বের মানুষের সম্পদ চলে যাচ্ছে গুটিকয়েক মানুষের কাছে। এই পদ্ধতিও কোন ভীনগ্রহবাসীর আবিস্কার নয়। এই পদ্ধতি মানুষের আবিস্কার। তাদেরকে কি আপনারা চেনেন? তারা কি অদৃশ্য?
না, এরা কেউই অদৃশ্য নয় ; তাদের সাথে আপনার পরিচয় বা দেখা-সাক্ষাৎ নেই। তবুও, আপনি এদের ফাঁদে পড়ে রয়েছেন। ঠিক একইভাবে - ইবলিশ জ্বীনদের কাছে অদৃশ্য নয় ; জ্বিনদের সাথে ইবলিশের পরিচয় বা দেখা-সাক্ষাৎ নেই। তবুও, জ্বীনরা ইবলিশের ফাঁদে পড়ে আছে।