লোমহর্ষক ভূতের গল্প

12/07/2025
30/06/2025

“আয়নার পিছনে”

🔮
রিমি নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছে। ঢাকায় একা একা থাকা, তাই একটা ছোট স্টুডিও ফ্ল্যাটেই ঘর ভাড়া নিয়েছে। ঘরটা বেশ পরিপাটি, কিন্তু একটাই অদ্ভুত ব্যাপার—বাথরুমের দেয়ালে বসানো একটা পুরনো আয়না।

জায়গাটা এত পরিষ্কার, কিন্তু আয়নাটা ধুয়ে-মুছেও ঝকঝকে হয় না। সবসময় একটু ঝাপসা। যেন ভেতরে ধোঁয়াশা জমে থাকে।

একদিন রাতে ব্রাশ করতে করতে রিমি হঠাৎ দেখে, তার পেছনে দাঁড়িয়ে কেউ।
সে ঘুরে তাকালো—কেউ নেই।

আবার আয়নায় তাকালো। এইবার পেছনে থাকা ছায়াটা ধীরে ধীরে মুখ তুললো।

সাদা মুখ, ফাঁকা চোখ, ঠোঁটের কোনায় টানা হাসি।
রিমি চিৎকার করতে গেল, কিন্তু গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিল না।

আয়নার মধ্যে সেই অবয়ব ধীরে ধীরে বললো,
"এইবার তুই আমার জায়গায় থাক..."

পালাতে গিয়ে রিমি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। আবার উঠে তাকালো—ঘর ফাঁকা। সব আগের মতো।
সে হেসে বললো, “ভয় পেয়ে গেছি... স্বপ্ন ছিল বুঝি।”
নিজেকে শান্ত করতে বাথরুমে গেল। আবার সেই আয়নার সামনে দাঁড়ালো।

কিন্তু এবার...
আয়নায় দেখা যাচ্ছে না ওর মুখ।

দাঁড়িয়ে আছে ঠিকই, কিন্তু আয়নায় কেউ নেই।

আর ওর পেছনে, আয়নার ভেতর থেকে দেখা যাচ্ছে এক মেয়ে—যার চেহারাটা অবিকল রিমির মতো, কিন্তু ঠোঁটের কোণায় সেই একই অদ্ভুত হাসি।

আসল রিমি কারা?
কে বাইরে, কে ভিতরে?

এখন আর বোঝা যায় না।

😨 শেষ? না, আয়নাগুলোর পেছনে সবসময় কিছু লুকানো থাকে।

30/06/2025

দিনের আলোতে যে যতবড় সাহসী'ই হোন না কেন; রাতের নির্জন আধারে একাকী হাঁটাচলা করার সময় মনের মধ্যে কখনো ভূতের ভয় আসেনি এমন মানুষ হয়তোবা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমি ছোটবেলায় ভূতেমশাইকে খুব ভয় পেতাম, কিন্তু তা সত্ত্বেও ভূত মশাই আমাকে একবার নির্জন রাস্তায় দেখা দিয়ে উনার প্রতি আমার ভয়টাকে আরো কিঞ্চিৎ খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল! বলে রাখা ভাল, আমার দেখা ভূতটাকে সরাসরি ভূত বলা যাবে কিনা তা নিয়ে আমার কিছুটা সংশয় আছে বরং সেটা ভূত মশাইয়েরই অন্য একটা ভার্সন পেত্নী হতে পারে।

ঘটানাটি ২০০০ সালের দিকের, তখন আমার বয়স ১০ বছরের মত হবে হয়তো। গ্রামগন্জের চায়ের দোকানগুলোতে তখন সিডি টিভির বেশ প্রচলন ছিল। চায়ের দোকানগুলোতে বসে সিডিতে একটা মুভি দেখতে হলে মোটামুটি দুই কাপ চা খাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। তাও আবার তিন টাকার চা পাঁচ টাকায়! তো একদিন বিকেলে মুভি দেখতে দেখতে চায়ের দোকানে বসে সিডির দ্বিতীয় ডিস্ক চলাকালে শর্তানুযায়ী দ্বিতীয় চা-টাও খেয়ে নিয়েছিলাম, এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসছিল যা ছিল আমার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক, কেননা বাজার থেকে এক একা সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা আমার জন্য খুবই চ্যালেন্জিং ছিল। যদি সাথে হাঁটার জন্য পরিচিত কাউকে না পাই, একাকী বাড়িতে যেতে হয় তাহলে যে পথে আবার ভূতমশাইের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে; অন্যদিকে বাজার থেকে আমার বাড়িও প্রায় এক-দেড় কিলোমিটারের রাস্তা!

যাই হোক সিনেমার শেষ দৃশ্য দেখার আগে কোনভাবেই সিডির দোকান থেকে বের হতে ইচ্ছে হলনা। সিনেমা শেষ হতে হতে বাজারেই মাগরিবের আযান দিয়ে দিল, ভাগ্যটাও সেদিন সহায় হলনা তাই বাড়ির আশেপাশের পরিচিত কাউকে পেলাম না। দোকান থেকে বের হয়ে দ্রুত বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলাম। কিছুটা পথ ছোট একটা নদীর পাড় ঘেঁষে হেঁটে তারপর ছোটখাটো একটা হাওর পেরিয়ে আমার বাড়ি। নদীর দুই পাড়েই বাড়িঘর আছে তাই মানুষের আনাগোনা প্রচুর কিন্তু হাওরটা অনেকটাই শূন্য ময়দান। অবশ্য হাওরের মাঝখানেও একটা বড় পুকুরওয়ালা বাড়ি ছিল। পুকুরের একটা পাড় ঘেঁষে আমার বাড়ি ফেরার রাস্তা তার ঠিক অন্য পাড়েই পুকুর মালিকের বাড়ি। পুকুরের পাড়ে রাস্তার কাছ ঘেঁষেই একটা তুলা গাছ ছিল। আপনাদের অনেকেই জানেন যে, ভুত পেত্নীরা তুলাগাছ, বটগাছ, হিজলগাছের মত গাছগুলোতেই তাদের আস্তানা গেড়ে থাকে, এগুলোই তাদের বসবাসের জন্য উতকৃষ্ট বাসস্থান!

আমি হাঁটতে হাঁটতে যেইনা পুকুর পাড়ের তুলাগাছটার কাছে এলাম হঠাৎ করেই লক্ষ করলাম পুকুরের ঠিক মাঝখানে একটা মহিলা দাড়িয়ে আছে! কিন্তু অবাক করা বিষয় হল মহিলাটি পানির উপড় দাঁড়িয়ে ছিল! আমরা শুকনো মাটিতে যেভাবে দাড়িয়ে থাকি ঠিক সেভাবে! আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে এটা মানুষ নয়! আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম এটা পেত্নী! নিশ্চয়ই পুকুর থেকে মাছ ধরে ধরে খাচ্ছে! একটু পড়েই হয়তোবা আমার ঘাড়টা মটকাবে! কোন কিছু চিন্তা ভাবনা করার মত অত সময় তখন আর আমার হাতে নেই! ডানে বামে না তাকিয়ে দিলাম একটা ভৌ-দোড়। দৌড়াচ্ছি তো দৌড়াচ্ছি……

আমি ইতিপূর্বে লোকমুখে শুনেছি এসব ক্ষেত্রে পেত্নী আবার পিছু ধাওয়া করে, নাম ধরে ডাকে! পিছন ফিরে তাকালেই সর্বনাশ। সুতরাং আমি সতর্ক হলে গেলাম যেকোন অবস্থাতেই পেত্নী আমাকে পেছন থেকে ডাকলেও পিছনে ফিরে তাকানো যাবেনা। একদৌড়ে কোন রকমভাবে বাড়িতে ফিরে আমি প্রায় অজ্ঞান হই হই অবস্থা। আমার এ অবস্থা দেখে মা-চাচি আমাকে ভয় কাটানোর প্রচলিত চিকিৎসা প্রদান করেছিল। সেদিন সে যাত্রায় কোন রকম বেঁচে ফিরলাম!

ঘটনাটি এখানেই শেষ হতে পারত তবে শেষ হয়েও হয়নি! আপনি যদি ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন, ঘটনাটির বাকি অংশ আপনাকে কিছুটা হতাশ করতে পারে!

এই ঘটনার পরদিন স্কুলে যাবার পথে অনেক দূর থেকেই পুকুরটার দিকে তাকালাম, (উল্লেখ্য আমার স্কুলটা বাজারের পাশেই ছিল, কাজেই স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা ও এটাই ছিল) তখন আর আমার ভেতরে ভূতমশাইয়ের ভয়টা ছিলনা কারন এখন তো দিন, আর দিনের বেলা তো ভূত-পেত্নীরা কাউকে দেখা দেয়না। কিন্তু ওমা আমি একি দেখছি! পেত্নীটা যে এখনো পুকুরের মাঝখানটাতেই দাঁড়িয়ে আছে! কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম আসলে এটা একটা কাকতাড়ুয়া! পুকুর থেকে ভোঁদড় [2]কতৃক মাছ চুরি ঠেকাতে পুকুরের মালিক পুকুরটিতে কাকতাড়ুয়াটি স্থাপন করেছেন। যা দেখেই গত সন্ধ্যায় আমি ভয়ে অজ্ঞান হই হই অবস্থা!

পুরনো একটি বোরখা জড়িয়ে এমন ভাবে কাকতাড়ুয়াটি বানানো হয়েছিল যে, দিনের বেলাতেও যে কেউ এটিকে দেখে মানুষ ভেবে ভুল করতে পারত! আর আমিতো এটিকে এমন একটি সময়ে দেখেছিলাম যখন আমার মনের ভেতর ভূতের ভয়টা উগ্রভাবে কাজ করছিল। ফলে সহজেই আমি ওটাকে ভূত ভেবে ভয় পেয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার সচক্ষে ভূত দেখার ঘটনা!

সত্যি বলতে কী আমি যদি আর কোনদিন ওই রাস্তা দিয়ে না যেতাম, তাহলে কেউ কোনদিন; কোন যুক্তি দিয়ে আমাকে এটা বিশ্বাস করাতে পারতনা যে, আমি সেদিন ভূত দেখিনি। আমার নিজের চোঁখে স্পষ্ট দেখা জিনিসটাকে তো অন্য কারও অস্পষ্ট ব্যাখ্যায় মেনে নেওয়া সম্ভব নয়! জীবনে আরো কিছুবার এমন বা তার কাছাকাছি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তবে তার সাথে সাথেই বা পরবর্তীতে সেগুলোর ব্যাখ্যা আমি খুঁজে পেয়েছিলাম, প্রায় সবগুলো ঘটনাতেই আমার দেখার মধ্যে সুক্ষ কিছু ভুল ছিল। তাই সবমিলিয়ে কথা হল আমি ভূতে বিশ্বাস করিনা।

তবে কোন প্রকার দ্বিধা-দ্বন্দ ব্যতীতই জ্বীন আছে বলে মনে প্রানে বিশ্বাস করি। কারন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন কারিমের অসংখ্য আয়াতে জ্বীন সৃষ্টির কথা, [3]জ্বীনের অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করেছেন।

এ উত্তরটিতে সম্মানিত পাঠকের সাথে বোধহয় আমি কিছুটা প্রতারণা করলাম। যদি আপনার তেমনটি মনে হয় তবে আশা রাখি নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন। ইচ্ছে হলে কমেন্ট বক্সে সমালোচনাও করতে পারেন।

"ঘড়ির কাঁটা থেমে গেছে"🕯️রাত ১টা ৪৪ মিনিট।নাভিদের চোখ আচমকা খুলে গেল।অদ্ভুত ব্যাপার হলো—ঘুম ভাঙার কোনো কারণ ছিল না। ঘর ন...
29/06/2025

"ঘড়ির কাঁটা থেমে গেছে"

🕯️
রাত ১টা ৪৪ মিনিট।
নাভিদের চোখ আচমকা খুলে গেল।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো—ঘুম ভাঙার কোনো কারণ ছিল না। ঘর নিস্তব্ধ। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি।
শুধু একটা জিনিস টের পেল—ঘড়ির কাঁটা চলছে না।

দেয়ালে ঝুলে থাকা সেই পুরনো ঘড়িটা, যেটা তার দাদার আমলের, সবসময় “টিকটিক” করত।
আজ হঠাৎ করে, নিঃশব্দ।

নাভিদ মোবাইল স্ক্রিনে সময় দেখলো—১:৪৪।
দেখে মনে হলো ঘড়িটা থেমে গিয়েছে ঠিক ওই সময়ে।

আবার চোখ বন্ধ করলো।
তখনই ঘরের কোণ থেকে এক মৃদু আওয়াজ—
“টিক… টিক… টিক…”
কিন্তু ঘড়ির দিক থেকে আসছে না। বরং ঠিক পাশের ওয়ারড্রোবের ভিতর থেকে।

তার বুক ধক করে উঠলো। ওটা তো একেবারে বন্ধ! কে থাকবে ভেতরে?

সে উঠে ওয়ারড্রোবের সামনে গেল। হাত বাড়িয়ে দরজার হাতল ধরতেই এক ঠান্ডা হাওয়া কানে ফিসফিস করে বলল—
“তুমি ঠিক সময়েই এসেছো…”

নাভিদ পেছনে তাকালো। কেউ নেই।
আবার আওয়াজটা—
“টিক… টিক… টিক…”
এবার যেন সেটা হাড়ের শব্দ। কার যেন হাড়গোড় ঠোকাঠুকির আওয়াজ।

সে ধীরে ধীরে ওয়ারড্রোব খুললো।

ভেতরে অন্ধকার।
কিন্তু নিচে মেঝেতে একটা পুরনো পকেট ঘড়ি পড়ে আছে।
চলছে না। কাঁটা থেমে আছে—ঠিক ১:৪৪ এ।

আর তখনই ঘরের বাতি নিভে গেল।

একটা ঠান্ডা নিঃশ্বাস তার গলার পাশে।
একটা চাপা হাসির আওয়াজ কানে এল—
“এবার তোর সময়ও থেমে যাবে…”

নাভিদের চিৎকার গিলে ফেললো অন্ধকার।

পরদিন সকালে, ঘরের মধ্যে কেউ ছিল না।
শুধু ঘড়ির কাঁটা আবার চলতে শুরু করেছে।

১ঃ৪৫…

😱 শেষ? না, সময় এখনো থেমে যায়... কখনো কখনো।

"ঠান্ডা হাওয়া"রাত তখন ঠিক তিনটা। শহরের প্রান্তে পুরনো এক দোতলা বাংলোয় জ্বলে শুধু একটিমাত্র বাতি। মেঘলা আকাশের ফাঁক গলে ...
28/06/2025

"ঠান্ডা হাওয়া"

রাত তখন ঠিক তিনটা। শহরের প্রান্তে পুরনো এক দোতলা বাংলোয় জ্বলে শুধু একটিমাত্র বাতি। মেঘলা আকাশের ফাঁক গলে চাঁদের আলো মাঝে মাঝে পড়ছে জানালায়। এই বাড়িটা গত বিশ বছর ধরে ফাঁকা। কেউ থাকতো না, কেউ থাকতে চাইতোও না।

তবে এবার একজন সাহস করে উঠেছে—নাম তার রাফি। ভূতের গল্পে বিশ্বাস করে না সে। ভাবলো, "এক রাত থাকলেই প্রমাণ হয়ে যাবে, সব গুজব।" ছেলেটি সাংবাদিক, শহরের পুরনো কাহিনিগুলো নিয়ে লিখে।

রাফি তার সাথে একটা ক্যামেরা, একটা টর্চ, আর গরম কোট নিয়ে ঢুকেছিল বাড়িটায়। চারদিকে ধুলো, জাল, আর পচা কাঠের গন্ধ। কিন্তু অদ্ভুতভাবে, ভিতরে ছিল একরকম ঠান্ডা—যেন ঘরটা শীতল হিমবাহের মাঝখানে দাঁড়িয়ে।

হঠাৎ একটা দরজা আপনা আপনি খুঁইইইই করে খুলে গেল। রাফি ভাবলো, “বাতাস।” কিন্তু তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো—কারণ জানালাগুলো সব বন্ধ।

সে সাহস করে সিঁড়ি বেয়ে উঠলো দোতলায়। প্রতিটা ধাপে কাঠের চিড়চিড় শব্দ আর তার নিজের নিঃশ্বাসের আওয়াজ ছাড়া কিছু শোনা যাচ্ছিল না।

উপরের ঘরের একটায় হালকা আলো। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে একটা মেয়ের অবয়ব—সাদা শাড়ি, কাঁধে ভেজা চুল। সে ঠান্ডা গলায় বললো,
“তুমি এসেছো… অনেকদিন পর…”

রাফি পিছিয়ে যেতে গেল, কিন্তু পা সরছে না। শরীর জমে গেছে যেন। মেয়েটি ঘুরে দাঁড়াল—কিন্তু তার মুখ নেই। শুধু দুটো ফাঁকা গহ্বর আর কালো ছায়া।

ঘরের ভেতরটা মুহূর্তেই বরফে ভরে উঠলো, দেয়াল থেকে জমে বরফ ঝরতে লাগলো। বাতাসে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। রাফি চিৎকার করতে গিয়েও পারলো না—শব্দ বের হচ্ছিল না গলা থেকে।

সেই রাতের পর আর কেউ রাফিকে খুঁজে পায়নি।

শুধু তার ক্যামেরাটা পড়েছিল বারান্দায়। ছবির মধ্যে শেষ মুহূর্তের একটি ফ্রেমে ধরা পড়েছিল মেয়েটির মুখহীন অবয়ব আর জমে যাওয়া একটা নিঃশ্বাস।

শেষ।

ছায়ামূর্তির হাসিরাত দশটা। বিদ্যুৎ চলে গেছে। গ্রামের এক কোণে বুড়ো আমগাছটার নিচে দাঁড়িয়ে আছে রিয়া। তার হাতে একটি মোমব...
19/06/2025

ছায়ামূর্তির হাসি
রাত দশটা। বিদ্যুৎ চলে গেছে। গ্রামের এক কোণে বুড়ো আমগাছটার নিচে দাঁড়িয়ে আছে রিয়া। তার হাতে একটি মোমবাতি। আজ প্রথমবার মামাবাড়ি এসেছে, অচেনা চারপাশটা যেন আরও রহস্যময় মনে হচ্ছে।

হঠাৎ পেছন থেকে শোনা গেল চাপা হাসি—
"হিহিহি..."

রিয়া থমকে গেল। চারপাশে কেউ নেই। বাতাসও নেই, অথচ গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।

আস্তে আস্তে আমগাছটার দিকে তাকাল সে। গাছের কাণ্ডে যেন একটা ছায়া নড়ছে। মোমবাতির আলোটা কাঁপছে। ছায়ামূর্তিটা ধীরে ধীরে রিয়ার দিকে এগিয়ে আসছে।

সে বলল, "তুমি... আমায় দেখছ?"

রিয়া মাথা নাড়ল।

ছায়ামূর্তির ঠোঁটে একটা ঠাণ্ডা হাসি ফুটে উঠল। তারপর ফিসফিস করে বলল—

"তোমরা চলে গেলে আলো আসে, কিন্তু আমি আলোতেই থেকে যাই..."

মোমবাতিটা নিভে গেল।

11/02/2025

Argentina vs Poland

Real Football 2012

ইবলিশ শয়তান যেহেতু একজন জ্বীন। তাহলে অন্যান্য জ্বীনেরা কি ইবলিশকে দেখতে পায়?সকল দেশের টাকার উপরে, বিভিন্ন ভাষায় এই কথাটি...
25/11/2024

ইবলিশ শয়তান যেহেতু একজন জ্বীন। তাহলে অন্যান্য জ্বীনেরা কি ইবলিশকে দেখতে পায়?

সকল দেশের টাকার উপরে, বিভিন্ন ভাষায় এই কথাটি লেখা থাকে - (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কি দিতে বাধ্য থাকিবে? কেন দিতে বাধ্য থাকিবে? এই বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন আছে - অন্য কোনকিছু ছিঁড়ে গেলে বা নস্ট হয়ে গেলে, নতুন আরেকটা পাওয়া যায় না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছেঁড়া টাকার পরিবর্তে নতুন টাকা দেয় কেন?

টাকা বিষয়ক এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর হলো - কাগজের টাকাটা একটি সার্টিফিকেট। হ্যাঁ, ওই সার্টিফিকেট প্রমান করে, আপনি ১০০০ টাকার (সম্পদের) মালিক। ওই সার্টিফিকেট (টাকার নোট) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে নিয়ে গেলে, ওরা আপনাকে ১০০০ টাকা দিতে বাধ্য থাকবে। তার মানে, আপনি ১০০০ টাকার সম্পদের মালিক, সেটা প্রমান করার জন্য, আপনার কাছে সার্টিফিকেট আছে। ওই সার্টিফিকেট (টাকার নোট) ছিড়ে গেলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আরেকটা নতুন সার্টিফিকেট দেয়।

বিষয়টা চিন্তা করে দেখুন - আপনার কাছে সার্টিফিকেট আছে। তাহলে সম্পদটা কোথায়? সম্পদ আছে ব্যাংকে।

এটাই হলো ব্যাংক, এটাই হলো কাগজের নোট এর পদ্ধতি। আপনাকে শুধুমাত্র কাগজের সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে, আপনার মুল সম্পদ ব্যাংক নিয়ে নিয়েছে। ব্যাংক আবিস্কার হবার আগে, কাগজের নোট ছিলো না। তখন ধাতুর মুদ্রা ছিলো। ধাতব মুদ্রার মূল্যমান ঐ ধাতুর ভেতরেই ছিলো। ধাতব মুদ্রা হলে, আপনার কাছেই আপনার সম্পদ থাকতো।

ব্যাংক বানিয়ে, কাগজের মুদ্রা বানিয়ে, কৌশলে সকল সম্পদ হাতিয়ে নেবার এই পদ্ধতি কোন ভীনগ্রহবাসীর আবিস্কার নয়। এটা মানুষেরই আবিস্কার, মানুষ এই পদ্ধতি বানিয়েছে। তাদেরকে কি আপনারা চেনেন? তারা কি অদৃশ্য?

ওখানেই শেষ নয় - ক্রেডিট কার্ড বানিয়ে, বাকী কেনার ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। বাকী কেনার সুযোগ পেয়ে, সাধারন মানুষ অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ঋনের বোঝা ভারী করে। সেই ঋন সুদে-আসলে পরিশোধ করতে গিয়ে, প্রতিমাসের আয়, প্রায় পুরোটাই চলে যায়। এভাবে ক্রেডিট কার্ডের ফাদে, সারা বিশ্বের মানুষের সম্পদ চলে যাচ্ছে গুটিকয়েক মানুষের কাছে। এই পদ্ধতিও কোন ভীনগ্রহবাসীর আবিস্কার নয়। এই পদ্ধতি মানুষের আবিস্কার। তাদেরকে কি আপনারা চেনেন? তারা কি অদৃশ্য?

না, এরা কেউই অদৃশ্য নয় ; তাদের সাথে আপনার পরিচয় বা দেখা-সাক্ষাৎ নেই। তবুও, আপনি এদের ফাঁদে পড়ে রয়েছেন। ঠিক একইভাবে - ইবলিশ জ্বীনদের কাছে অদৃশ্য নয় ; জ্বিনদের সাথে ইবলিশের পরিচয় বা দেখা-সাক্ষাৎ নেই। তবুও, জ্বীনরা ইবলিশের ফাঁদে পড়ে আছে।

18/10/2024

Bhoot Fm E-mail Story
ভূত এফ এম ই-মেইল স্টোরি

17/10/2024

🙂

12/10/2024

Ind vs Ban
Ajker Khela ভারত বনাম বাংলাদেশ ৩য় টি-টুয়েন্টি Ban vs Ind

Address

Kalabaga

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when লোমহর্ষক ভূতের গল্প posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to লোমহর্ষক ভূতের গল্প:

Share