02/05/2025
কোথাও একসাথে ঘুরতে গেলে, আড্ডা দিতে গেলে আমরা ছবি তুলি । যার ফোনে ছবি তোলা হয় - তা'রে সবাই বলে , বাসায় গেলে ছবি দিয়ে দিস ।
আজ এরকম একজন বাসায় যাওয়ার পর ছবি দিবে বলে সে কথা আর রাখতে পারে নি । ছবি তুলতে গিয়েই ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ছবি আর দেওয়া হয় নি ।
আমাদের জীবনে মানুষের চেয়ে কথার আয়ু বেশি হয়। কথা থেকে যায়, মানুষ থাকে না...
যে ছেলেটা মারা গেছে তার নাম ইসতিয়াক আহমেদ ।
নিজের বায়োতে লেখা 'একজন সুখী আলোকচিত্র শিল্পী । '
আর কপালে লেখা , " সুখী মানুষ দুনিয়ায় বেশিদিন বাঁচে না । "
বেঁচে থাকে যারা বেশি দুঃখ পায় আর মরতে চায় ।
এরকমি আরেকজন গতকাল মারা গেলো মেঘনা নদীতে । বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া নদীতে । দুপুর দুইটায় ট্রলারে দারুণ সব স্টাইলিশ ছবি , সে ছবি রাতে ফেসবুকে আপলোড হবে ।
কিন্তু বিকেল পাঁচটায় আপলোড হইলো তার সাদা কাফনে ঢেকে থাকা ছবি ।
অনেক আগে কোথাও যেনো পড়েছিলাম , প্রশ্নবোধক চিহ্নের নিচে একটা ফোঁটা আছে । জীবন তারচেয়ে ও ছোটো ।
তুমি কতদিন বাঁচবা?
এটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ।
তোমার জীবনে আগামীকাল কি ঘটবে?
এটাও প্রশ্নবোধক চিহ্ন ।
আর তাইতো ৪১ ও ৪৩ তম বিসিএসে ক্যাডার হওয়া এক ভাই হাসপাতালে শুয়ে পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সাথে।
এক্সপেকটেশন লেভেল অনুযায়ী আপনার বর্তমান জীবন কি আমি তা জানি না , হইতে পারে টসের কয়েনের হেড অথবা টেল । ফিফটি ফিফটি ।
কিন্তু আমি যে তিনজনের কথা বললাম, এই তিনজনের কাছে জীবন ধরা দিয়ে গেছে হঠাৎ আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়ে।
একদম হান্ড্রেড থেকে আচমকা জিরো !
মৃত্যু বোধহয় এমনি আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়ে পরিচিত হতে আসে জীবনের কাছে।
লেখাঃ ' আলোকশূন্য নক্ষত্র "