Maynuddin Al Atik

09/09/2025

09/09/2025

দৈনিক আমার দেশ, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, পৃষ্ঠা ১২...

08/09/2025

নিজের চিৎকার নিজে গিলে ফেলার নাম হচ্ছে সহনশীলতা...🥰

#সহনশীলতা #ধৈর্য #মনোবল #নিজেকে_দমনে_শক্তি #জীবনের_পাঠ #সহিষ্ণুতা #নিজেকে_জয়_করা

08/09/2025

বিস্তারিত কমেন্টে...

07/09/2025

চন্দ্রগ্রহণের রাত
মাইনুদ্দিন আল আতিক
---------------------------------------------------------------------------
গ্রামের নাম শালবন। চারদিকে কাশবনের ফাঁক দিয়ে পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছিল সেদিন। সন্ধ্যার পর থেকেই সবাই ফিসফিস করে বলছিল—আজ নাকি চন্দ্রগ্রহণ।

শিশুরা দৌড়ে বেড়াচ্ছিল আঙিনায়, আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ খুঁজছিল। তবে গ্রামের প্রবীণ মানুষরা ভেতরে বসে দোয়া-দরুদ পড়তে শুরু করলেন। কারও মুখে ভয়, কারও মুখে কৌতূহল।

রিফাত নামের এক কিশোর ছিল অন্যরকম। তার চোখে ভয় নয়, ছিল রহস্য জানার আকাঙ্ক্ষা। ছোটবেলা থেকেই সে নক্ষত্র, চাঁদ-সূর্য নিয়ে বই পড়ত। সেদিনও সে উঠোনে মাদুর বিছিয়ে, হাতে বাবার পুরনো দূরবীন নিয়ে বসে গেল।

চাঁদ তখন রূপালি আলো ছড়াচ্ছিল। ধীরে ধীরে তার এক কোণ কালো ছায়ায় ঢেকে গেল। গ্রামের মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে উঠল। কেউ বলল— "বিপদ আসছে", কেউ বলল— "দেবতার রোষ"।

কিন্তু রিফাত চেঁচিয়ে উঠল—“দেখো! পৃথিবী আর চাঁদের মাঝে যখন সূর্য নেই, তখন পৃথিবীর ছায়াই চাঁদের গায়ে পড়ছে। এটা তো প্রকৃতির খেলা!”

সবাই থমকে গেল। তারা অবাক চোখে রিফাতের দিকে তাকাল। ছেলেটার কণ্ঠে ভয় ছিল না, ছিল আত্মবিশ্বাস।

চাঁদ যখন পুরোপুরি ছায়ার আড়ালে গেল, আকাশ যেন লালচে রঙে ভরে উঠল। রিফাত দূরবীনে চোখ রেখে মুগ্ধ হয়ে দেখল। তার মনে হলো—“চাঁদও মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে পড়ে, আবার জেগে ওঠে। ঠিক মানুষের মতোই।”

কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে ছায়া সরে গেল। চাঁদ আবার জ্বলে উঠল আগের মতো। গ্রামের মানুষের বুকের ভয়ও কেটে গেল।

সেই রাতটা শুধু এক খগোলীয় ঘটনা নয়, রিফাতের জন্য ছিল শিক্ষার রাত। সেদিন সে বুঝল—অন্ধকার যত গভীর হোক, আলো একদিন ফিরে আসবেই।

07/09/2025

আধো আলো, আধো ছায়া (শেষ পর্ব)
মাইনুদ্দিন আল আতিক
------------------------------------------------------------------------
বছর পেরিয়ে গেল। রুমানার “আলো-ছায়া শিক্ষা কেন্দ্র” আর ছোট্ট কোনো প্রতিষ্ঠান রইল না—এখন তা গ্রাম ছাড়িয়ে পুরো উপজেলায় আলো ছড়াচ্ছে। পাশের গ্রামগুলো থেকে মেয়েরা, এমনকি ছেলেরাও এসে পড়াশোনা করে।

সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ আর সাংবাদিকরা প্রায়ই আসতে শুরু করলেন কেন্দ্র দেখতে। পত্রিকায় হেডলাইন হলো— “গ্রামের মেয়ের হাতে গ্রাম পাল্টানোর গল্প।”

একদিন জেলা প্রশাসক এসে রুমানাকে সম্মাননা দিলেন। মানুষের ভিড়ে দাঁড়িয়ে রুমানার চোখে পানি এসে গেল। মনে হলো—গ্রামের উঠোনে বসে আকাশের দিকে তাকানো সেই ছোট্ট মেয়েটির স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে।

তবু রুমানা নিজেকে বড় মনে করল না। একদিন কেন্দ্রে বসে মেয়েদের বলল, “তোমরা শুধু বইয়ের আলো খুঁজবে না, নিজের ভেতরের আলোও খুঁজবে। আর কখনো যদি ছায়া আসে, মনে রেখো—আধো আলো আধো ছায়ায়ই জীবন পূর্ণ হয়।” তার কণ্ঠে দৃঢ়তা ছিল, আবার কোমলতা ছিল। মেয়েরা একসঙ্গে হাততালি দিয়ে উঠল।

এবার শুধু গ্রাম নয়, শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে যুক্ত হলো স্বেচ্ছাশিক্ষক হিসেবে। রুমানা অনুভব করল—আলো এখন আর তার হাতে সীমাবদ্ধ নেই, তা ছড়িয়ে পড়ছে অগণিত মানুষের ভেতরে।

একদিন রাতে, ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ির উঠোনে বসে রুমানা আকাশের দিকে তাকাল। অর্ধেক চাঁদ উঠেছে। আধো আলো আধো ছায়ায় ভেসে যাচ্ছে তার গ্রাম।

কিন্তু এবার তার মনে হলো—চাঁদ যেমন অসম্পূর্ণ থেকেও আলোকিত করে পৃথিবীকে, তেমনি জীবনও অসম্পূর্ণ থেকেও মানুষকে আলো দিতে পারে।

সে মৃদু হেসে ফিসফিস করে বলল, “আমি আমার আলো ছড়াতে পেরেছি। এখন ছায়াও আমার আপন।”

•••সমাপ্ত•••

06/09/2025

ব্যাক্তিগত প্রব্লেম হাইড করে মানুষের সাথে হাসি-খুশিভাবে চলতে পারাটাই হয়তো ম্যাচিউরিটি।

#জীবনেরপাঠ #ভালোবাসা_ও_হাসি #হাসিখুশি

06/09/2025

আধো আলো, আধো ছায়া (পর্ব-৬)
মাইনুদ্দিন আল আতিক
-----------------------------------------------------------------------
“আলো-ছায়া শিক্ষা কেন্দ্র”র ছোট্ট কুঁড়েঘর একসময় গ্রামে আলোড়ন তুলল। প্রথমদিকে দশ-পনেরো মেয়ে আসত। কয়েক মাসের মধ্যে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল পঞ্চাশে। এখন ছেলেরাও আসতে চাইছে।

রুমানা বুঝতে পারল—এ শুধু শিক্ষা কেন্দ্র নয়, এটা স্বপ্ন বুননের কারখানা।

কিন্তু পথ আবারও সহজ ছিল না। গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোক বলল, “মেয়েদের এত পড়াশোনা দিয়ে কী হবে? সংসারই তো সামলাতে হবে।”

কেউ কেউ আবার ঈর্ষার দৃষ্টিতে দেখল রুমানাকে। অর্থের অভাব, জায়গার সংকট—সব মিলিয়ে কেন্দ্র চালানো কঠিন হয়ে উঠল।

তবু রুমানা হাল ছাড়ল না। শহরে যাদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, সেই সংগঠনগুলোর কাছে সে সাহায্যের আবেদন করল। ধীরে ধীরে বই, খাতা, কিছু আর্থিক সহায়তাও এল।

একদিন টিভির সাংবাদিক এলেন খবর সংগ্রহ করতে। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে রুমানা বলল, “শিক্ষা শুধু শহরের জন্য নয়, গ্রামের প্রতিটি মেয়ে-ছেলেও তার অধিকার রাখে। আলো-ছায়া মিলেই জীবন, আর সেই জীবনকে আলোকিত করতেই আমাদের এই কেন্দ্র।”

সংবাদ প্রচারের পর চারদিকে আলোচনার ঝড় উঠল। গ্রামের মানুষ যারা আগে সন্দেহ করত, তারাও ধীরে ধীরে পাশে দাঁড়াল।

কয়েক বছরের মধ্যে “আলো-ছায়া শিক্ষা কেন্দ্র”র আঙিনা বড় হলো। একটি এনজিও ভবন নির্মাণে সাহায্য করল। এখন সেখানে কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, এমনকি সেলাই শেখার কোর্সও চালু হলো।

রুমানার স্বপ্ন সীমাবদ্ধ রইল না শুধু লেখাপড়ায়—সে চাইলো মেয়েরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

এক সন্ধ্যায় কাশবনের ধারে দাঁড়িয়ে রুমানা দেখল—ক’জন মেয়ে বই হাতে হাঁটছে। তারা হাসছে, কথা বলছে, স্বপ্ন বুনছে। সেই দৃশ্য দেখে তার বুক ভরে গেল।

রত্না একদিন শহর থেকে এসে বলল, “তুই তো গ্রামটাকে পাল্টে দিলি রে! জানিস, তুই না থাকলে এই আলোটা কেউ দেখত না।”

রুমানা মৃদু হেসে উত্তর দিল, “আমি শুধু আগুনের স্ফুলিঙ্গটা জ্বালিয়েছি। আসল আলো তো ওদের ভেতরেই ছিল।”

সেদিন রাতে চাঁদটা আবার অর্ধেক ছিল। আধো আলো আধো ছায়ায় ভেসে যাচ্ছিল গ্রাম, কিন্তু এবার সেই আলো ছিল অনেক গুণ উজ্জ্বল।

রুমানা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে মনে মনে বলল—“আলো আর ছায়া দুটোই আমার সঙ্গী। কিন্তু এখন আমি জানি, এই ছায়ার ভেতর দিয়েই আলোকে ছড়িয়ে দিতে হয়।”

চলবে....

05/09/2025

মানুষের জীবন অনেকটা ভাসমান সেতুর মতো। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার পথে কখনো দুলে ওঠে, কখনো ভয়ে পা কাঁপে, আবার কখনো দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু সাহস করে এগোলে একসময় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।

#জীবন #ভাসমান_সেতু

05/09/2025

প্রচণ্ড মন খারাপ হলে ফোন দিয়ে দু-চার মিনিট কথা বলার মানুষ যদি আপনার জীবনে না থাকে, তাহলে আপনি সত্যিই অনেক দুঃখি মানুষ!

#মনখারাপ #একাকীত্ব #মনেপ্রাণে_একলা #জীবনেরকথা #একটুকুশান্তি