23/11/2024
যে বৈষম্য বিরোধী র ক্ত ক্ষ য়ী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম সেই দেশে এখনো পতিত ফ্যা সি স্ট সরকা রের বীজ রয়ে গেছে সর্বত্র।
ছবিটির (কমেন্টে ছবি - ১ ) দিকে তাকান, জুলাই আগষ্ট আন্দো লনের সময়ের ছবি। ছবির লাল কলার জর্জেট পরিহিত তিনজন সা ম রি ক বা হি নী র প্রেষণে আগত কর্মকর্তা।
এরমধ্যে লাল তীর চিহ্ন ক র্নেল তস লিম এর হাতে এস এ ম জি। চলমান ছাত্র আন্দোলন দমনে অ স্ত্র হাতে উদ্যত এই দা ম্ভিক কর্মকর্তা এখনো আ ন সা র সদর দপ্তরে উপ মহাপরি চালক (প্রশাসন) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। ছবিতে হলুদ মার্কিং করা নিরস্ত্র ২১ বিসিএস ব্যাচের উপ মহাপরিচালক (অপারেশন্স) ফখ রুল কে বরখাস্ত করা হয়েছে নাশকতার দায়ে।
এরূপ আরো দুজন বিসিএস কর্মকর্তা দের বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাকি দুইজন এর একজন ব্রি নাজি ম কুমিল্লা ক্যান্ট নমেন্ট ও সাবেক ডি জি (কমেন্টে ছবি - ২ ) বহাল তবিয়তে চাকুরী রত রয়েছেন, আর সেনা কর্মকর্তারা বাহিনী লুট করে খাচ্ছে। এরপর ও কি আপনারা দালালি করবেন? যেভাবে গত ১৬ বছর পতিত ফ্যা সি স্ট সরকারের দালালি করেছেন?
আনসার এর সংস্কার দেশের কোন মহল থেকেই চায়নি। কারণ আনসার কাউকে নির্বিচারে হত্যা করে নি। তবুও প্রতিনিয়ত জোর করে সংস্কার সংস্কার বলে চিল্লাচ্ছে বর্তমান মহাপরিচালক ও তার দল যেই সংস্কার এর কমিটি করা হয়েছে সে না বা হি নী থেকে আনা কিছু কর্মকর্তা কে দিয়ে। যার কোন আইনগত ভিত্তি নেই, একটি সংস্কার করার কথা বলা বলছে তারা যেখানে মন্ত্রণালয়ের কোন প্রতিনিধি নেই, অবসরপ্রাপ্ত আ ন সা র ক র্ম কর্তা ও সৈ নি ক দের প্রতিনিধি নেই, ছাত্র জনতার কোন প্রতিনিধি নেই। জানেন কি এই সংস্কার এর মূল উদ্দেশ্য কি? তবে শুনুন হে দালালের দল, এই সংস্কার এর মাধ্যমে আজীবনের জন্য কোন বিসিএস কর্মকর্তা যাতে বাহিনীর মহাপরি চালক হতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিদ্যমান কাঠামো অনুযায়ী ১১ জন বিসিএস কর্মকর্তা গ্রেড ২ পদোন্নতি পাবার যোগ্য কিন্তু সেই পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। এরা শুষে খাবে এই বাহিনীকে। বাহিনীর ১০ম গ্রেড এ পিএসসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত সার্কেল এডজুটেন্ট পদটিকে ৯ম গ্রেড উন্নীত করার প্রস্তাব কে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। উপজেলা প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষিকা দের ১৫ তম গ্রেড কে ১০ম গ্রেড উন্নীত করার প্রস্তাবনা কেও বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
বাহিনীর প্রতিটি স্তরে চরম পর্যায়ের অসন্তোষ ও ক্ষোভ জমা হচ্ছে। সত্যিকারের সংস্কার যদি হতেই হয় তবে এখন এই মুহূর্তে তারা বাহিনী থেকে করে যাক। পুলিশ যেভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ঠিক তেমনি আ ন সা র ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘুরে দাঁড়াবে। প্রতিটি সদস্য বাহিনীতে তাদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাবে।
তাই আর দল কানা না হয়ে আসুন সবাই মিলে সে না কর্ম কর্তাদের অনুরোধ জানাই, আনসার বাহিনীকে আনসার কর্মকর্তাদের হাতে ছেড়ে দেয়া হোক। গত ৫০ বছর ধরে তো অনেক শোষণ করলেন। এবার না হয় নতুন বাংলাদেশে নতুন ভাবে আ ন সা র কে বাঁচতে দিলেন?