Reels By Mom & Baby's

26/09/2025

হেসে কথা বলা আমার নিজের স্বভাব,
আর হঠাৎ রেগে যাওয়া এটা আমার জন্মগত স্বভাব!

26/09/2025

26/09/2025

রুমমেট টিউশনীতে। পুরো রুমে আমি একা। পাকিস্তান বাংলাদেশ খেলা দেখবো বলে খুব আমেজ নিয়ে ফোন নিয়ে বসছি। হঠাৎ দরজায় শব্দ,দরজা খুলে দেখি রুমমেট আসছে। তবে কেমন যেন বিধ্বস্ত লাগছে আজকে ওকে।

কিছু না বলে শারমিন আমার সাথে খেলা দেখা শুরু করলো। আমার ফোনে হঠাৎ দেখি রুমমেটের আইডি থেকে মেসেজ-

"শাহিনা আজকে আসতে একটু দেরী হবে। তুমি খেয়ে শুয়ে পইড়ো।"

এটা দেখে আমি রীতিমতো অবাক। শারমিন তো আমার পাশেই শুয়ে আছে,তাহলে এ মেসেজ কার?
মেসেজ যদিও বা শারমিন করে থাকে তাহলে আমার পাশে কে শুয়ে আছে?

নজরটা ফোন থেকে সরিয়ে পাশে যে শুয়ে আছে ওর সেই ভয়ংকর রুপ দেখে আমি প্রচন্ড ভয়ে জিজ্ঞাসা করি - তুমি কে??

আমি কণ্ঠ কটু চেঁচিয়ে বলতে পারলাম না, শুধু ধীরে ধীরে হাঁটতে লাগলাম। আমার পাশে যে ছায়া—চোখ মেলে দেখলাম শারমিনের চুল, জামা—সবই একই; কিন্তু মুখটা—মুখটা অচেনা, ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত এক হালকা হাসি। সে ধীর সুরে বলল, “তোমার নামটা ঠিকই বলেছে ও—শাহিনা। কিন্তু আমি শারমিন না।”
হৃদয়টা পাগলের মতো দোল খেতে লাগল। আমি ফোন বের করে দেখি—রুমমেটের আইডি থেকে পাঠানো সেই মেসেজের উপরে আরেকটা মেসেজ এসেছে: “ভাগ্যেশ—তারাই যা তোমার পাশেই থাকে।”

এরপরে সেই ছায়াটা বলতে লাগলো--

"আমিও তোমার মতো আগে বাংলাদেশের খেলা দেখতাম। কিন্তু এই মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম আমার জীবনটাই কেড়ে নিলো। একবার খেলা দেখতে গিয়ে ১০ বলে ১ রান লাগবে। সবাই ভাবছে বাংলাদেশ জিতে যাবে।

কিন্তু! কিন্তু এই ছাগল গুলো সেই এক রানেই হেরে গেলো। আমি ছিলাম হার্টের রোগী,এই হার মেনে নিতে পারিনি। সেই রাতেই হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেলাম। আমিতো আত্মা,আমাদের ফোন থাকেনা। তাই তোমার রুমমেটের রুপ ধরে খেলা দেখতে আসছি। প্লিজ ভয় পেয়ো না।"

আমি আর কিছু না বলে,ওই ভূতের গলা জড়ায় ধরে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করলাম। তারপর দুজনে মিলে খেলা দেখতে আরম্ভ করলাম। ভূত বলে কি ওদের শখ আহ্লাদ থাকবে না?

©

26/09/2025

বাচ্চার ধৈর্য ও স'হন'শীলতা বাড়াতে নিয়মিত বাংলাদেশের খে'লা দেখান🥹

26/09/2025

না বলাটা কোন অন‍্যায় না, না বলাটা একটা স্কিল। না বলতে শিখুন। সব কিছু তে সম্মতি জানিয়ে আপনি যে expectation তৈরী করছেন, তা পূর্ণ করতে গেলে নিজে ড্রেইন হয়ে যাবেন আর না করতে পারলে হবেন খারাপ।

11/09/2025

মায়ের জীবনে সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোর একটি হলো যখন তার সন্তান টডলার হয়।
হাঁটা শিখে গেছে, কথা বলতে শিখছে, কৌতূহল যেন আকাশ ছুঁই ছুঁই
তবে একইসাথে জেদ, কান্না, চিৎকার, খাবার না খাওয়া আর অকারণ রাগ…
এসব মিলিয়ে যেন প্রতিটা দিনই হয়ে ওঠে একেকটা যুদ্ধ।

হয়তো মা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাই লড়াই করছেন—
বাচ্চাকে খাওয়াতে গিয়ে নিজে খেতে ভুলে যান
রাতের পর রাত ঘুম বঞ্চিত হয়ে থেকেও সকালে আবার নতুন করে শুরু করেন
সামান্য চুপ করে বসার সময়টুকুও পান না

মাঝে মাঝে সেই ক্লান্তি, হতাশা আর চাপ সামলাতে গিয়ে মা দিশেহারা হয়ে পড়েন।
নিজেকে প্রশ্ন করেন—
“আমি কি ঠিকভাবে সামলাতে পারছি?
নাকি আমি ব্যর্থ মা?”

সত্যি কথা হলো—কোনো মা-ই ব্যর্থ নন।
প্রত্যেক মা-ই নিজের সর্বোচ্চটা দিচ্ছেন, নিজের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছেন সন্তানের জন্য।
আপনার চোখের সেই অশ্রু, আপনার ক্লান্ত দেহ, আপনার নিঃশব্দ নিঃশ্বাস—
সবই প্রমাণ করে আপনি কতটা অসাধারণ।

প্রিয় মা, আপনার সন্তানের কাছে আপনিই-ই তার নিরাপদ আশ্রয়, আপনিই-ই তার পৃথিবীর সেরা মানুষ।
আজকের এই দৌড়ঝাঁপ, কান্নাকাটি, জেদ—একদিন সুন্দর স্মৃতি হয়ে আপনার হৃদয়ে জায়গা করে নেবে।
তাই হাল ছেড়ে দিয়েন না। একটু সময় দিন নিজেকেও। নিঃশ্বাস নিন গভীর করে। মনে রাখবেন-

আপনি একজন অসাধারণ মা।
আপনি একা নন।
আপনি যথেষ্টেরও বেশি করছেন।