
03/07/2025
স্বামীকে বাঁচাতে নিজের কি*ডনি দিলেন স্ত্রী, সুস্থ হয়েই পরকীয়ায় জড়িয়ে তাকেই করলেন নির্যাতন
সাভারের মোহাম্মদ তারেককে বাঁচাতে নিজের কি*ডনি দেন স্ত্রী টুনি। অথচ সাত বছর পর সুস্থ হয়ে ওঠার পর সেই তারেকই আজ তার জীবনসঙ্গিনী টুনিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি এক ডিভোর্সি নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে সংসার করছেন।
বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় টুনি জানতে পারেন, তার স্বামীর দুটি কি*ডনিই অচল হয়ে গেছে। বাঁচতে হলে তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হবে। এ সময় তাদের ঘর আলো করে এসেছে এক সন্তান। কঠিন এই সময়ে ভেঙে না পড়ে স্বামীর পাশে শক্তভাবে দাঁড়ান টুনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিয়ে যান, নিজে বুটিকে চাকরি করেন, বিয়ের স্বর্ণ বিক্রি করেন, মায়ের পেনশনের টাকা কাজে লাগান। সবশেষে নিজের একটি কি*ডনি স্বামীকে দান করেন। কি*ডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তারেক নতুন জীবন ফিরে পান।
টুনি ভেবেছিলেন, তাদের কষ্টের দিন শেষ হলো। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর তারেক বদলে যেতে থাকেন। এক সময় জড়িয়ে পড়েন এক তালাকপ্রাপ্ত নারীর সঙ্গে পরকীয়ায়। এরপর শুরু হয় টুনির ওপর নির্যাতন। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন তারেক।
বেদনার বিষয় হলো, চিকিৎসার সময় তারেকের পরিবারের সদস্যদের কি*ডনি ম্যাচ করলেও কেউ কি*ডনি দিতে রাজি হননি। একমাত্র স্ত্রী টুনিই নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে তাকে বাঁচান। অথচ সেই টুনির সাথেই এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করলেন তারেক। মানুষ এতো জঘন্য হয় কি করে?