DTV International

DTV International সত্য যেখানে আমরা সেখানে

12/06/2025

#এলার্মিং_পোস্ট
যমুনা টিভির ক্রাইম সিন নামক অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে ঢাকা চিটাগাং ট্রেন লাইন নিয়ে। গত কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আখাউড়া ভৈরব কিশোরগঞ্জ কসবা বি-বাড়িয়া হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত।

পুলিশ এই লাশগুলা বেশিরভাগ অজ্ঞাতপরিচয় আত্নহত্যা হিসেবে রেকর্ড করে।তারপর মর্গ হয়ে মাটিচাপা। হিন্দু মুসলিম ব্যাপার নাই, সব মাটিচাপা। ডোম মৃতব্যাক্তির জামাকাপড় রেলওয়ে ডোমঘরের সামনে ঝুলায়ে রাখে।

যদি বছর দুয়েকের ভিতর মা বাবা এসে জামাকাপড় দেখে সনাক্ত করতে পারে তাইলে কবর দেখিয়ে দেওয়া যাবে জামাকাপড় রোদে শুকায়ে বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা সুরত আস্ত থাকেনা।

এই লাশ গুলা বেশিরভাগই মার্ডার কেস। দশ বিশ পাঁচশ টাকা, পকেটে থাকা মোবাইল ফোন, এগুলা ছিনতাই করার জন্য মার্ডারগুলা করা হয়। বিশ টাকার জন্যও তারা মানুষ খুন করছে।

ছিনতাইয়ের নিয়মটা হচ্ছে ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মত থাকে, দুই পাশে দরজা, বাথরুম। রাতের ট্রেনে এসব যায়গায় সুবিধামত লোক পেলে ছিনতাইকারী চক্রের দুইজন পেছন থেকে আক্রমণ করে।

আক্রমণের নিয়ম হচ্ছে গামছাকে পেঁচিয়ে চিকন করা হয় প্রথমে।তারপর দুই মাথা দুইজন ধরে যাকে আক্রমণ করা হবে, তার গলায় পেছন থেকে এক প্যাঁচ দিয়ে দুপাশ থেকে হেছকা টান। ১৫ সেকেন্ডের ভিতরই ঐলোক মারা যাবে। না মরলেও তার জীবন ঐখানেই শেষ।

এরপর তার পকেট থেকে যা নেওয়ার নিয়ে পাশের দরজা দিয়ে ফেলে দিবে।রাতের ট্রেনে সবাই ঘুমায়। তাছাড়া ট্রেনের আওয়াজ থাকে। কেউ কিচ্ছু টের পাবেনা। পুরো কাজটা করতে সময় লাগে সর্বোচ্চ দেড় মিনিট।

এরা ধরা পড়ে, আবার জামিনে বের হয় আদালতের কাছে এভিডেন্স থাকেনা পর্যাপ্ত।এভিডেন্স না থাকলে বিচারও করা সম্ভব হয় না।

তাই সতর্ক থাকুন। নিউজটি সকলে শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।

-এসআই ইমরান
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন

[Collected]

এই পোস্ট টা দেখে মনে হলো সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মতো আমার ঘটনা টাও সবার সাথে শেয়ার করা উচিত।
ওয়েল, আমার সাথেও এই ঘটনা টিই ঘটেছিলো কিন্তু আমার ক্ষেত্রে স্থান ছিলো আলাদা। আমাকে ২০১২ সালের ২রা জানুয়ারি খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় ফেলে দিয়েছিলো ওই গামছা পার্টির হেরোইনখোড় গুলা।
পার্থক্য আমি এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর আসছিলাম ভার্সিটি থেকে তুরাগ ট্রেনে। তুরাগের এক বগি থেকে আরেক বগি তে যাওয়া যায় না (লোকাল ট্রেন) আর ওই বগি তে শুধু এরাই ছিলো।
ট্রেন ছাড়ার পরে আমার মনে হলো সামথিং ইজ রঙ কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে, ওরা চোখের পলকে আমার গলায় গামছার ফাঁস টা ঢুকিয়ে দিলো পিছন থেকে আর আমাকে টেনে সিট থেকে নিচে ফেলে দিলো। আমার এরপরের আর কিছুই মনে নেই, শুধু মনে আছে আমি গামছাবাঁধা গলায় গামছার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকানোর চেষ্টা করছি আর ওরা গালি গালাজ করছে।

আমার কাছ থেকে ওরা বেশি টাকা পায়নি, সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ছিলো ক্লাস করে বাসায় যাচ্ছি কিন্তু ব্যাগ টা বড় ছিলো আর ছিলো প্র‍্যাকটিক্যাল প্যাটার্ন ক্লাসের জিনিসে ঠাসা। মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে গেছিলো, মানিব্যাগ এ আইডি কার্ড ছিলো।
আর হ্যা, কাঙ্গালি গুলা কে আমার যেটা আকৃষ্ট করছিলো বলে আমার ধারণা সেটা হলো কাধে ঝুলানো থাকা কালো লম্বা গোল পেপার হোল্ডার।
যাই হোক এর পরে আমাকে কিছু পথচারী নিকটস্থ ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তারা আমাকে রাখতে অস্বীকৃতি জানায় বলে ইয়াং ছেলে এটা পুলিশ কেস। তাই তারা আমাকে টহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিলো কিছু সময় পরেই।
এই ঘটনার পর চারদিন আমার কোনো খোজখবর পাওয়া যায় নাই
হাসপাতাল গুলোর মর্গে, ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে, রেল স্টেশন এ, রেলের ডোমঘরে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমার বন্ধু বান্ধব, এলাকাবাসী, পরিবারের লোকজন আমাকে খোজেনি (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমার বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ে তে কর্মরত আছেন)। ঢামেকেই আমার আব্বুর কলীগরা আর আমার বন্ধু রা এসে খুজে গিয়েছিলো কিন্তু আমাকে পায়নি অথবা দেখলেও শনাক্ত করতে পারেনি। আমার ভার্সিটির বন্ধু বান্ধবরা আমাকে খুজতে এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেললাইন ধরে হেটেও এসেছিলো। ক্যান্টনমেন্ট ষ্টেশন এর কিছুটা সামনে অথবা পিছনে বন্ধুরা আমার ক্লাসের খাতা, নোট পত্র পরিত্যাক্ত হিসেবে পেলেও আমার কোনো খবর কেউ পাচ্ছিলো না।

পঞ্চম দিন দুপুর বেলা (৬ই জানুয়ারি) আমার মামা আমাকে ঢামেক এর ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের করিডরের লাস্ট বেডে খুজে পায়। আমাকে মামা দেখে চিনতে পারেনি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আমার মাথার স্কাল্প এ একটা বিরল অসুখ আছে যেটার কারণে ওই জায়গার চুল পরে গেছে এবং চামড়া শক্ত হয়ে গেছে ওইটা দেখে আমার মামা আমাকে শনাক্ত করেন।
আমাকে যখন পাওয়া যায় তখন আমার হাত বাধা ছিলো বেডের সাথে, কারণ জিজ্ঞেস করার পরে আমার পরিবার কে বলা হলো আমি যাতে উঠে চলে না যাই তার জন্য। আমার গায়ে আন্ডারওয়্যার ছাড়া ছিলো না আর কোনো কাপড়, সব ছিড়ে গেছিলো, রক্ত ধুলা বালি লেগে ছিলো তাই সিভিয়ার ইনফেকশন যাতে না হয় সে কারণে ওগুলো খুলে রেখেছিলো।

এই ছবিটা আমাকে খুঁজে পাওয়ার ২-৩ দিন পরের রাশমনো হাসপাতাল, মগবাজারে চিকিৎসা চলছে তখনকার।

যাই হোক সবাই সাবধানে রাতের ট্রেন এ চলাফেরা করবেন, লংজার্নি তে উপরের ঘটনাটা খুব ঘন ঘন হয় সুতরাং সিগারেট খেতে গেলেন বা যে কোন সময় একা দরজার কাছে গেলেন তখন চোখ কান খোলা রাখবেন। আর কখনোই বগি তে কম লোক থাকলে সেটায় উঠবেন না।

আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আমাকে আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন, আমিন।
কপি পেষ্ট

07/03/2025

নারীবাদীরা প্রকাশ্যে নু… বলতে পারবে, কিন্তু কোন পুরুষ প্রকাশ্যে দু… উচ্চারণ করলে তাকে হ্যারাসার বলবে। কিন্তু নারীবাদীরা যখন নু… শব্দযুক্ত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাড়ালো, তখন তাদেরকে কেউ হ্যারাসার বললো না !

অর্নব নামে যে ছেলেটা গতকালকে ঐ আচরণ করলো,
আমি বলবো- এর পুরো দোষ নারীবাদীদের।
এক হাতে তালি বাজে না।
নারীবাদীরা উস্কানি দেয়ায় সমাজে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে আগে উস্কানিদাতা নারীবাদ নিষিদ্ধ করতে হবে,
পুরুষকে হ্যারাসার বানিয়ে দমন করে লাভ নেই।

লক্ষ্য করবেন-
অর্নব নামক ছেলেটার কথায়, সবাই দু…. উচ্চারণটাই দেখছে।
কিন্তু তার আগে সে ঐ মেয়েটার একটা কথা উল্লেখ করছিলো-
‘মাই লাইফ মাই রুলস’- যা নারীবাদীদের প্রিয় শ্লোগান।
অর্থাৎ নারীবাদ দিয়েই কিন্তু অর্নবকে উস্কানি দেয়া হয়েছে।

এজন্য একটা কথা বলি সব সময়,
নারীবাদের রেডিক্যাল আচরণের প্রভাবে পুরুষবাদের উদ্ভব ঘটবে।
আর পুরুষবাদের বৃদ্ধি ঘটলে সমাজে নারী নির্যাতন বাড়বে।
এর জন্য উস্কানিদাতা হিসেবে নারীবাদীরাই দায়ী আগে।

তবে সমাজ একটা জিনিস ভুল করে।
নারীবাদীদের প্রচারণায়- নারী আর নারীবাদীকে গুলিয়ে ফেলে।
সে নারীবাদীদের পক্ষ হয়ে যায়, কিন্তু নারীর পক্ষ নিতে পারে না।
যে যদি সত্যিই নারীর পক্ষ নিতো, তবে নেকাব পরিহিতা ছাত্রীকে যখন হেনস্তা করা হচ্ছে, ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো।
চেহারা না দেখানোর কারণে যে পর্দানশীন নারী ১৬ বছর ধরে নাগরিকত্ব পাচ্ছে না, তার পক্ষে কথা বলতো । কিন্তু সেটা সে করছে না।

সে করছে-
-যখন নারীবাদী লতা সমাদ্দারের টিপ নিয়ে কথা বলছে পুলিশ সদস্য নাজমুল। নাজমুলের চাকুরী খেয়ে দিচ্ছে।
-যখন নর্থ সাউথের বয়ঃবৃদ্ধ শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নোমান ইব্রাহীম নবীর সময়কার টিপ নিয়ে ঘটনা বলছেন, ক্লাসে সেই ঘটনা শুনে এক নারীবাদী ছাত্রী মনে করছে তার টিপ নিয়ে বলা হচ্ছে। বয়ঃবৃদ্ধ শিক্ষকের চাকুরীচ্যুত খেয়ে দিচ্ছে।
-অর্নবের মত এক সামান্য চাকুরে সহকারী বাইন্ডার, সেও নারীবাদীকে নিয়ে কথা বলায় তার চাকুরী খেয়ে দেয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করে জেলে পুড়ছে।

মানে নারীবাদের বিপক্ষে বললেই তাকে সমাজ চরমভাবে নিগৃহ করছে।
এক্ষেত্রে যারা ভাবছেন, আপনি নারীর পক্ষে দাড়াচ্ছে, নিপীড়কের বিরেুদ্ধে দাড়াচ্ছেন,
বিষয়টি আসলে তেমন না।
আপনি দাড়াচ্ছেন মূলত নারীবাদীদের পক্ষে, নারীদের পক্ষে না।
আপনি যদি সত্যিই নারীদের পক্ষে দাড়াতেন,
তবে প্রকৃতপক্ষে যে সমস্ত নারী নির্যাতিত নিপীড়িত হচ্ছে,
তাদের পক্ষে দাড়াতেন, কোন বখাটে নারীবাদীকে কে বিড়ি খেতে বাধা দিলো,
কোন নারীবাদীর টিপ নিয়ে কে কথা বললো, সেটা নিয়ে প্রতিবাদ করতেন না।

হ্যা, আপনার নারীদের প্রতি সিমপ্যাথী আছে, নারীরা প্রিভিলেজ পাবে, সব ঠিক আছে।
কিন্তু নারীর সিমপ্যাথী আর প্রিভিলেজ তো নারীবাদীরা নিয়ে যাচ্ছে, প্রকৃত নারীরা তো পাচ্ছে না।

তবে একটা কথা মনে রাখবেন, সব ভুলের মাসুল দিতে হয়।
যারা আজকে নারীবাদীদের প্রিভিলেজ দিচ্ছেন,
তারা আসলে বানরকে ঘাড়ে তুলছেন।
বানর ঘাড়ে উঠে কী করবে, তা কিন্তু আপনি জানেন না।
এই নারীবাদীরা আপনার ঘরকে অতিষ্ট করে তুলবে।
এমন সব আজগুবি অধিকার চেয়ে বসবে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
যেমন-
তারা বিয়ের পর পরকীয়া করার অধিকার চাইবে।
মেরিটাল রেপ আইন চাইবে।
অভিযুক্ত পুরুষষের বিনাবিচারে পুরু*ষা*ঙ্গ ক*র্তন চাইবে।
এসব দাবীও এক সময় আপনাকেই পূরণ করতে হবে।
তাই নারীবাদীদের প্রিভিলেজ দেয়ার আগে চিন্তা করুন।

06/03/2025

গত সপ্তাহে আমার সহধর্মিণীকে কুয়ালালামপুর এয়াপোর্টে দিয়ে আসি বাংলাদেশে যাবেন বলে।
আমার অফিসের ছুটি কম তাই ক'দিন বাদে আমি যাবো।

এয়ারপোর্টের চেক-ইন কাউন্টারে দায়িত্বরত একজন ভদ্রলোক ছিলেন। বোর্ডিং পাস দেবার আগে তিনি একজন নারী সহকর্মীকে ডেকে পাসপোর্টটি তার হাতে দিয়ে বললেন পাসপোর্টের সাথে চেহারার মিল আছে কিনা চেক করতে। আর ভদ্রলোক নিজে অন্য দিকে ফিরে রইলেন।

তার নারী সহকর্মীও খুব বিনয়ের সাথে পর্দা মেইনটেইন করেই কাজটি অতি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করলেন।

এর দু'দিন আগেই তিনি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগের দিন সাধারণভাবে রিহার্সালে বলে দেয়া হয়েছিলো সার্টিফিকেট গ্রহণের পর চ্যান্সেলরের সাথে হেন্ডশেক করে বিদায় নিতে হবে।

সমাবর্তনে সার্টিফিকেট প্রদানের সময় লক্ষ্য করলাম চ্যান্সেলর, বৃটিশ ভদ্রলোক স্টেজে হিজাব-নিকাব পরিহিতা কারো সাথেই হেন্ডশেকের জন্য হাত বাড়াচ্ছেন না বরং দূর থেকেই হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। ব্যাপারটা খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিলো যে একজন চ্যান্সেলর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও সম্মান দিয়ে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন।

আজ শুনলাম বাংলাদেশের তথাকথিত অক্সফোর্ড খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক এক্সামে নাকি নারী শিক্ষার্থীর নিকাব অনাবৃত করে ফেস রিকগনিশন করতে চেয়েছে একজন পুরুষ শিক্ষক। আর নারী শিক্ষার্থী তাতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার খাতায় সাইন করেননি।

আরে মশাই, আপনি তো শিক্ষক। আপনার শিক্ষার্থী নিকাব অনাবৃত করতে আপনি কেন চাইবেন। আপনার তো উচিত ছিলো একজন নারী শিক্ষিকাকে ডেকে এনে তাকে দিয়ে আপনার দায়িত্বটি সেরে নেয়া।

06/03/2025

গরীবেরা হা*গতে যায়, মধ্যবিত্তরা টয়লেটে যায় আর বড়লোকেরা ওয়াশরুমে যায়। ইদানিং একটু শিক্ষিত মধ্যবিত্তরা জাতে উঠার জন্য ওয়াশরুমে যায়। আর বড়লোকেরা এটা সহ্য করতে না পেরে এখন রেস্ট রুমে যায়। এই পায়খানা/টয়লেট/ওয়াশরুম/রেস্ট রুম নিয়ে আমার বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে।

আমার লাইফের টাইমলাইন যদি তিনটা ভাগ করি তবে প্রথমভাগ কেটেছে গ্রামে, দ্বিতীয় ভাগ ঢাকায়, তৃতীয় ভাগ দেশের বাইরে। এই তিনভাগে বিভক্ত জীবনে অনেক কিছু দেখার বুঝার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই আলোকে আজ আমি লিখবো প্রবন্ধ,
টয়লেট- এক প্রেম কথা।

একদম শুরুতে গেলে আমি দেখি গ্রামে আমাদের বাড়ির পশ্চিমদিকে বাঁশঝাড়ের পাশে টিনের বেড়া দেয়া ঢালুর উপরে মাচার মতন করা একটা দুর্বল টয়লেট। যার সামনে চটের বস্তার পর্দা দেয়া। ঢালুতে মাচার উপরে বলতে মাটি থেকে একটা বাঁশের সাঁকো গেছে সেই মাচা পর্যন্ত। মাচাটা আপাত শূন্যে ঝুলে আছে মনে হলেও এটি চারটি বাঁশের খুঁটিতে ভর দিয়ে থাকে। যেটাকে বলে ঝুলন্ত টয়লেট।

যেহেতু টয়লেটে কোন দরজা নেই, সেহেতু কেউ আশেপাশে আসলে বা আসছে মনে হলে টিনের বেড়ায় একটু শব্দ করতে হয় নইলে খুক খুক করে একটু কাশতে হয়।

মাচার দুই কাঠের মাঝে একটা বড় ফাঁকা। সেখান দিয়েই মূলত প্রাকৃতিক কর্ম সাঁই করে নেমে গিয়ে নিচে পড়তো। আপনি টাইম কাউন্ট করলে দেখা যাবে নির্গত হওয়া এবং নিচ থেকে শব্দ রিটার্ন আসার মধ্যে পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধান আছে। এই পদ্ধতিতে সাধারণত শব্দ তরঙ্গ দিয়ে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। আমি টয়লেটের গভীরতা মাপছি।

আচ্ছা এই পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধান থেকে আপনারা কি অনুমান করতে পারছেন টয়লেটটির গভীরতা কত ছিলো? আচ্ছা সহজ করে দিচ্ছি, নিচে মাটি থেকে প্রায় বিশ ত্রিশ ফুট উঁচুতে ছিলো টয়লেট। আসলে নিচে মাটি ছিলো না, ছিলো হাজার বছরের এক হলদেটে সমুদ্র।

ভুল বললাম, হাজার বছর না। প্রতিবছর বন্যায় হলদেটে সমুদ্রটা ধুয়ে মুছে যায়। বন্যার সময়টা সুন্দর। দুই কাঠের ঐ ফাঁকটা দিয়ে নিচে তাকালে দেখা যায় পানির স্রোত। আগে কর্মটি নিচে পড়লে যে শব্দ হতো, তেমন শব্দ হয় না। পানিতে টুপ করে একটা শব্দ হয়, তারপর স্রোতে ভেসে যায়। নিচে মাছেরা অপেক্ষা করে কখন আসবে দ্বিতীয় লট। লট আসা মাত্রই মাছেদের কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। আপনি উপরে বসে দিব্যি এই খেলাটি অবলোকন করতে পারবেন।

বন্যার সিজনে প্রতিদিন পানি বাড়ে। পানি কাছাকাছি উঠে আসলে স্রোত বাড়ে। লট পড়া মাত্রই স্রোতে ভেসে যায়, মাছেদের খেলা দেখা যায় না। পানি কাছে থাকায় উলটা ভয় লাগে মাছেরা কখন আবার লট আসতে দেরী হলে ফ্যাক্টরিতে হামলা করে বসে।

পরদিন সকাল বেলায় দেখা যায় টয়লেট ডুবে গেছে পানিতে। সেটা এক দুঃসময়। বাড়ির উঠোনের আশেপাশে অস্থায়ী টয়লেট করা হয়। সেটাও ডুবে গেলে ঘরের পেছনদিকে গিয়ে নীরবে কর্ম সারতে হয়। কেউ কেউ গলা পানিতে নেমেও সেরে ফেলে। তখন কর্মটি নিচে যায় না, টুপ করে ভেসে উঠে।

আমি তখন ছোট। ঐটা ছিলো বড়দের টয়লেট। আমার সেখানে যাবার অনুমতি ছিলো না। দুই কাঠের ফাঁক দিয়ে পড়ে হলদেটে সমুদ্রে ডুবে যাবার সমূহ সম্ভাবনা ছিলো। আমাকে বাড়ির আশেপাশে কোথাও বসিয়ে দেয়া হতো খোলা আকাশের নীচে। কর্ম শেষ হলে দাদা কোদাল দিয়ে চেঁছে কর্মটুক নিয়ে বাড়ির পাশে ঝোপে ফেলে দিতেন।

ঝুলন্ত টয়লেটের আমার তেমন অভিজ্ঞতা নাই। যেটুকু অভিজ্ঞতা গ্রামের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে। আমাদের বাড়িতে আমি ছোট থাকতেই পাকা টয়লেট তৈরী করা হলো। আমাকে খোলা দুনিয়া থেকে জোর করে বদ্ধ ঘরে পাঠানো শুরু হলো।

গ্রামের মানুষের একটু শুচিবাই ছিলো। এরা ঘরের আশেপাশে টয়লেট রাখতো না। শহরে যে ঘরের ভিতরে টয়লেট এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিস্তর হাসাহাসি চলতো। টয়লেট থাকতো বাড়ির শেষ মাথায় ঝোপঝাড়ের দিকে, যেদিকটায় মানুষের আনাগোনা কম। আমাদের পাকা টয়লেটটিও তেমনি বাড়ির পেছনদিকে করা হয়েছিলো।

আমরা রাত হবার আগেই চেষ্টা করতাম কর্ম সাধন করিয়া ফেলিতে। গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলো না। যেদিন রাত্রে দুদ্ধজাত খাবার পেটে পড়তো আর অমানুষিক চাপ অনুভব হইতো সেদিন যেনো মনে হইতো আর রক্ষে নেই। হ্যারিকেন বা কুপি নিয়ে টয়লেটে যাওয়া ছিলো ভয়ানক এক ব্যাপার।

টয়লেটে সাদা চুনকাম করা। দেয়ালে মাকড়সার বাসা করা। তার উপরে থাকতো টিকটিকির উপদ্রব। কর্ম সাধন করিবার মাঝপথে শুনিতাম ঠিকঠিকঠিক। বদমায়েশ এর মধ্যে ঠিক বেঠিক পাইলো কোথায়। তার উপরে ছিলো সাপের ভয়। মনে হইতো এই বুঝি কমোডের পাইপের ভেতর থেকে একটা সাপ এসে ছোবল মেরে দিবে আমার বংশের প্রদীপে।

টয়লেটে যাবার আগেই পড়তো একটা গাবগাছ। গ্রামে কথিত ছিলো গাবগাছে ভূত থাকে। শুনশান নীরব সেই গাব গাছ পার হবার সময় তওবা পড়তে পড়তে যাইতাম। একটা পাতা ঝড়ার আওয়াজ শুনে কলিজা কেঁপে উঠতো। ভয়ে অমানুষিক চাপ উধাও হয়ে যেতো। দেখা গেলো আধাঘন্টা বসে আছি, চাপ আর আসেনা। পরে একপেট কষ্ট নিয়ে উঠে চলে আসলাম। আধাঘন্টা পর সেই গায়েবী চাপ এসে ঠিকই হাজির।

শহরে আসার পরে ভূতের ভয় ছিলো না। তবে তখনও সাপের ভয় ছিলো মনে। বংশ প্রদীপটি আগলে রাখতাম। পরে বুঝতে পারলাম সাপের ভয় নেই আর। তবে বিপত্তি ঘটতো রাত্রে। টয়লেটের পেছনদিকে ভেন্টিলেশনের জানালা ছিলো। মনে হতো কোন একটা কালো পশমী হাত এসে এক্ষুণি ঘাড়ে সুড়সুড়ি দিবে। কর্ম শেষে দৌড়ে বের হলে মনে হইতো যেন বহু বছর নির্বাসনে থাকিবার পরে আমি সভ্যতায় এসে পৌঁছেছি।

বড় লোকের এক আজিব টয়লেট ছিলো। যেটাকে হাই কমোড বলে। বিশ্বাস করবেন না প্রথমবার হাইকমোড ওয়ালা টয়লেটে যে আমার কি এক অবস্থা হয়েছিলো। ঢাকার অভিজাত এলাকায় এক বড়লোক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে গেছি। বয়স তখন নয় কি দশ। সেখানে গিয়ে টয়লেটে ঢুকে আমি তো অবাক। টয়লেট এতো সুন্দর হয় আমার ধারণা ছিলো না এর আগে।

আমাদের ঢাকা শহরে মধ্যবিত্তের ঘরে গোসলখানা আর টয়লেট একসাথে। গোসলখানার শেষ মাথায় একটু উঁচুতে কমোড। পাশে একটা কল। নতুন বাড়িতে স্টিলের কল, একটু বয়স্ক বাড়িতে স্টিলেরটা নষ্ট হলে প্লাস্টিকেরটা লাগায়। সেটা বছরের পর বছর বদল হয়ে প্লাস্টিকই লাগানো হয়। তার নিচে থাকে সরু নল ওয়ালা বদনা। আর একদম পেছনের দেয়ালে আরামে হেলান দিয়ে থাকে টয়লেট পরিষ্কার করার একটা ব্রাশ।

বড়লোকের টয়লেটে প্রথমবার গিয়ে দেখি মিষ্টি মিষ্টি ঘ্রাণ। পানি নিতে যেয়ে দেখি কোন বদনা নাই। বড়লোকেরা কি তবে শুটকি ধোয় না?
পড়লাম মহাচিন্তায়। টিস্যু আছে যদিও। কি এক মেহেরবানি ঠিক এমনি সময়ে আমার চোখে পড়লো একটা সরু নলের মতো পাইপ। তার মাথায় একটা কলের মত বসানো। চাপ দিতেই দেখি পানি বের হয়। খুশিতে আমি গদগদ হয়ে গেলাম।

এবার পড়লাম আরেক মহা মুশকিলে। এই হাই কমোডে আসলে কেমনে কি করে? তার উপরে আবার দুইটা ঢাকনা। একটা উঠাইলে আরেকটা ফ্রেমের মত। আমি চিন্তায় পড়ে গেলান এই ফ্রেমের উপরে বসে নাকি ফ্রেম উঠায় বসে নাকি এখানে বসে না?
কূল কিনারা না পেয়ে আমি উঠে দেশী স্টাইলে উঠে গেলাম কমোডের উপরে। ভেবে দেখুন তো, একটা লোক হাই কমোডে দেশী স্টাইলে উঠে বসে আছে।

কোন এক পন্ডিত লিখিয়াছিলেন,“ওহে মহাজ্ঞানী, কর্ম করিয়া ঢালিও পানি।” কর্ম শেষে আমি পানি ঢালিবার উপায় পাই না। এইযে হলদেটে আহাম্মকটি ভাসিতেছে, কেহ যদি আসিয়া তাহাকে দেখিয়া ফেলে এবং হাসিতে হাসিতে সবাইকে বলিয়া দেয় আমার ইজ্জত বলিতে কি কিছু রহিবে?

মাথায় আসলো নিশ্চয়ই কোন ব্যবস্থা আছে। ফ্ল্যাশের বাটন দেখি, কিন্তু চাপতে ভয় লাগে। কিছু একটা হইয়া যায় যদি! বড়লোক আত্মীয় কি আমার ক্ষমা করিবে?
আমি ভয়ে ভয়ে ফ্ল্যাশের হ্যান্ডের চাপি। আস্তে চাপ দেয়ায় ফোঁসফোঁস করে হাওয়া বের হয়। আমি ভয় পাইয়া যাই। পানির কানেকশনের লাইনটা ঘুরাই, কাজ হয় না। এরপরে চোখ বন্ধ করে ফ্ল্যাশে একটু জোড়ে চাপ দিতেই ভুরভুর করে পানি এসে সব নিয়ে গেলো। আমার মুখে সে কী অমলিন হাসি!

এরপরে কত প্রযুক্তির টয়লেট দেখা হলো জীবনে। প্লেনের টয়লেটগুলা যেমন একটা আজব জিনিস। কাজ শেষে সুইচ চাপলে কয়েকসেকেন্ড পরে ভুস করে বাতাস এসে সব নিয়ে যায়। কোন পানির কারবার নাই। এখন আবার নতুন ফ্ল্যাশ আসছে উন্নত দেশগুলায়। সুইচ চাপতে হয় না। সেন্সর করা, কর্ম শেষে সেন্সরে টাচ করলে অটোমেটিক ফ্ল্যাশ হয়ে যায়।

আবার এএখানে (বিদেশে) রাস্তায় বুথের মত পাবলিক টয়লেটগুলায় সুইচ চাপলে দরজা খুলে। অটোমেটিক আটকায়। কাজ করবেন। সুচ চেপে দরজা খুলে বেড়িয়ে যাবেন। এরপরে দরজা লাগবে। সমস্ত টয়লেটটা পানি ছেড়ে পরিষ্কার হবে অটোমেটিক। কত মানুষ দেখলাম অপেক্ষা না করে একজন বের হবার সাথে সাথেই ঢুকে যায়। টয়লেট পরিষ্কার হবার টাইম দেয় না। বেকুবেরা গোসল করে বের হয়।

প্রযুক্তি এখন আরও এক কাঠি সরেস। গুগলে Toilet near me লিখে সার্চ করলে আশেপাশের লোকেশনে পাবলিক টয়লেট শো করে। আমার শো করে টয়লেটে যেতে কতটুক পথ, কত মিনিট সময় লাগবে। যুগে যুগে পালটে যাচ্ছে মানুষের ধ্যান ধারণা। উন্নতির ছোঁয়া লাগছে শহর বন্দর গ্রাম সবখানে।

অথচ এখনো আমার একটা শখ আছে। বর্ষাকালে ঝুলন্ত টয়লেটে যাবার শখ। মাছেদের সাথে খেলার শখ। দুর্ভাগ্য আমাদের গ্রামে এখন আর কোন ঝুলন্ত টয়লেট নাই। আশা করি কোন এক বর্ষায় এমন একটা সুযোগ আসবে, স্বপ্ন পূরণ হবে। নইলে আমি হেলানো কোন গাছের ডালে উঠে যাবো। তারপর আমি মাছেদের সাথে খেলবো।

 াসের_বেওয়া_১-১- মাওঃ হুসাম ফুলতলি।আমার সরাসরি উস্তাদ।ফুলতলি পীর সাহেব(রঃ)র ছোটছেলে।ভদ্রলোকের মাঝে এমপি হবার খায়েশ শুরু ...
23/02/2025

াসের_বেওয়া_১-

১- মাওঃ হুসাম ফুলতলি।আমার সরাসরি উস্তাদ।ফুলতলি পীর সাহেব(রঃ)র ছোটছেলে।ভদ্রলোকের মাঝে এমপি হবার খায়েশ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই।অভিবক্ত বড়লেখা-কুলাউড়া আসনে তিনি নির্বাচন করে জামানত খুইয়েছেন।এরপর থেকে তার লোভ ছিল যেকোন উপায়ে সাংসদ হতেই হবে।ফুলতলি(রঃ)র জীবনের শেষ সময়ে যখন উনার বার্ধক্যের কাছে উনি অসহায় তখন এই হুজুর তাদের আঞ্চলিক ধর্মীয় সংগঠন যা কোন রাজনৈতিক দল নয় সেই আল ইসলাহকে নৌকায় তুলেন।সিলেটের প্রিন্সিপাল হাবিবসহ অনেক হুজুররা নৌকায় চড়ে সেবার সংসদে যেতে চেয়েছিলেন।এই ভদ্রলোকও বাতিল হওয়া ২০০৬র নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন।নির্বাচন বাতিল হলে আর সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন পুরন হয়নি।

২০০৮ সালের নির্বাচনে হাসিনা মজলিসসহ কোন হুজুরদের মনোনয়ন দেয়নি।ভারতের সহায়তায় আগেই সরকার গঠনের কনফারমেশন পাওয়ায় সে মজলিসের সাথে করা চুক্তি বাতিল করে দেয়।হুসামসহ বিকে যাওয়া হুজুররা মনোয়ন পায়নি।সবাই দমে গিয়ে হাসিনার বিরুদ্বে চলে গেলেও তিনি ধৈর্য্যের সাথে এমপি হবার জন্যে লেগে থাকেন।২০০৮র নির্বাচনে তিনি নৌকা না পেয়ে মহাজোটের হয়ে লাঙল নিয়ে নির্বাচন করতে এরশাদের সাথে দেখা করেন।জাপা নেতা সাব্বির আহমদ ও আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী তাকে এই ব্যাবস্থা করে দেন।কিন্তু হাসিনা যেহেতু মোল্লা চাননা কাজে তার ভাগ্যে লাঙলও মেলেনি।নৌকার মজুমদার এমপি হন আর তিনি ধ্যানে জ্ঞ্যানে হাসিনা তুষ্টিতে লেগে থাকেন যদি থাকে নসিবে এই ভরসায়।

২০১৪র নির্বাচন ছিল বিনাভোটের নির্বাচন।সেবার তিনি স্বতন্ত্র বা অন্যকোন উপায়ে এমপি হতে পারতেন কিন্তু অন্য এলাকার সেলিম উদ্দিন তখন রওশনকে ৩ কোটি হাতে দেন জকিগন্জ থেকে সাংসদ হিসেবে নাম তালিকাভুক্তির জন্যে।হাসিনা তখন রওশনকে হাতে রাখতে তার মনোনীত সব বলদগুলোকে সংসদে নিয়ে আসে।
এবারও তার ভাগ্যাকাশ বিধিত হয়নি।কিন্তু ইতিমধ্যে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনা শাহবাগ,নারীনীতি,শিক্ষা সংস্কার,উত্তরাধীকার আইনসব নানা বিষয়ে হাসিনা দেশের সব ইসলামপন্থীদের সাথে চরম শত্রুতা চলে আসে।ফাসি,গুম,জেল ও চরিত্রহনন ইত্যাদি হয়ে ওঠে সবমহলের ধর্মীয় দল ও নেতাদের নিত্যসঙ্গী।একে একে সবাই লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে আন্দোলনের ময়দানে ছিলেন।মৌ-লোভী ফরিদ মাসুদ, রুহুল আমিন,কফিল সরকার ও হুসামরা হাসিনার সাথে লেকেই থাকেন।মাসুদরে শোলাকিয়ার ইমাম ও ইফার গভর্নর করে হাসিনা।কফিলকেও সেইম পদ দেয়।আর কওমী জননী উপাধী দেয়া দালাল মোল্লা রুহুল আমিনকে করে জাতীয় মসজিদের খতিব।মাওলানা হুসামকেও ইফার গভর্নরের প্রস্তাব দেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।তিনি তা নেননি বরং সাংসদ হবার খায়েশের কথা বলেন।ইতিমধ্যে যেহেতু আর কেউ হাসিনার সাথে নেই তখন একমাত্র হুসামই ছিলেন উল্লেখযোগ্য।

২০১৮র নির্বাচনে বিএনপি জোট থেকে মাওঃ ফারুক ও নৌকা থেকে দলীয় নেতা মজুমদারকে প্রার্থী করা হয়।স্বতন্ত্র করলে নিশ্চয়তা থাকবেনা বিধায় হুসাম কোন রিস্ক নেননি।দ্বীর্ঘ সাধনার পর তার কপাল খুলে এই বছরে।কেউ নির্বাচনে যায়নি।এমনকি জাপারও ওজনদার কেউ নির্বাচন করতে রাজি হয়নি।ডামি নির্বাচন আয়োজনে হাসিনা প্রার্থী খরিদ করতে থাকে।খরিদদার হিসেবে হুসাম হাসিনার সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।তাদের মুরিদ মন্ত্রী শফিকের মাধ্যমে তিনি নৌকার প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে তান যাতে নির্বাচন দেখাতে পারেন।ভদ্র ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত সিলেট আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা মাসুক উদ্দিনকে নৌকা দিয়ে পাঠান হাসিনা।নির্বাচনে নামার আগে পাঠ্যপুস্তকের নাম করে তার কাছে গিয়ে তিনি দোয়া নিয়ে এসে ঘোষনা দেন আমি নির্বাচন করব।তাকে পাশ করাতে কানাইঘাট এলাকা থেকে ডিজিএফআই ভুল তথ্য দিয়ে প্রার্থী করায় ডঃ কবিরকে।কারন কওমী এ জামাতী অধ্যুষিত ঐ এলাকার ভোট হুসাম পাওয়ার কথা না।এদিকে মাসুকের পাল্লা ভারী হয়ে ওঠায় হুসামের জন্যে হাসিনার নির্দেশে ডিজিএফআই পুরো সক্রিয় হয়।মাসুকের আপন ছোটভাই ও সিনিয়র নেতা আসাদকে ডিজিএফআই ডেকে নেয় নির্বাচনের ৩ দিন আগে।তাকে থ্রেট করে যাতে মাসুককে পাশ করানো হবেনা।হতবিহবল আসাদ তার পরিবারের সম্মান বিবেচনায় তার ভাই সরে যাবেন এটা বললে বলা হয় উপরের নির্দেশ নির্বাচনে থাকতে হবে।আসাদ বিবৃতি দিয়ে দেন ডিজিএফআইয়ের বিপক্ষে।ভেবেছেন তারমত ত্যাগীনেতার সাথে এমন আচরনের প্রতিবাদ করা উচিত।দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডিজিএফআই আসাদকে একপ্রকার ধরে নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখে।আসাদ যা বুঝার বুঝে নেন।নির্বাচনী মাঠ থেকে তিনি সিলেটে চলে আসেন।প্রার্থী মাসুকের ছেলে তামিম পিতার সম্মান বিবেচনায় সরাসরি হাসিনার সাথে দেখা করেন।আকুল আবেদন করে তামিম বলেন “চিহ্নিত রাজাকার” পরিবারের কাছে আমাদের ছোট করবেননা।হাসিনা স্বভাবসুলভ প্রতারনার হাসি দিয়ে বলেন “নির্বাচন কর।বাকিটা আমি দেখছি”।তামিম খুশি হয়ে বেরিয়ে পোস্ট করে নেত্রীর কথা জানান।ছলেবলে মাসুককে ডামি বানিয়ে রাখা হয়।নির্বাচনের একদিন আগে জকিগন্জ-কানাইঘাটের সব জনপ্রতিনিধিদের সিলেটে ডাকে ডিজিএফআই।বলে দেয়া হয় মাসুক যদিও সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী।কিন্তু এখানে হাসিনার নির্দেশ হুসামকে সংসদে দিতে হবে।দুয়েকজন কট্রর লীগার তা মানতে চাননি বিধায় তাদের আটক রাখা হয়।এতকিছুর পরও যখন হুসামের বিজয়ের নিশ্চয়তা ছিলনা তখন সরাসরি উপজেলা ছাত্রলীগকে নামায় ডিজিএফআই।কেটলির সমর্থনে ছাত্রলীগ মিছিল করে।দলের স্বয়ং মহানগর সভাপতির বিপক্ষে তাদের নামিয়ে হুসামের মাঠ গরম করা হয় এবং তাকে নির্বাচিত করে আনা হয়।অর্থ্যাৎ এটি কোন নির্বাচন নয়, ছিল প্রতারনার চুড়ান্ত স্থর।

মাওঃ হুসাম এমপি হয়ে সংসদে যান।বক্তৃতায় বলেন “হাসিনার মত ন্যায় পরায়ন ও ইসলামের প্রকৃত খাদেম আর কোন শাসক আসেনি”।সরকার ও হাসিনাকে ইসলামের ধারক বানাতে তিনি এম্বেসেডর হয়ে ওঠেন।সর্বশেষ চলমান আন্দোলনের সময়ও তিনি ঢাকায় ৪ ঘন্টাব্যাপী বৈটকে হাসিনা রক্ষায় সর্বাত্তক চেষ্টার জন্যে হুজুরদের চেষ্টা চালান।যদিও চালাকি করে তিনি বৈটকে ছবি ওঠাননি এবং তার ভক্তরা প্রথমে ছবি নাই অজুহাতে তার উপস্থিতি অস্বীকার করেন।কিন্তু যুগান্তর ও ইনকিলাব সংবাদ করলে পরে যেনতেন বিবৃতি দিয়ে তার বক্তৃতার উল্টা বলে মুখ রক্ষার চেষ্টা করা হয়।

সিলেটের বিখ্যাত আলিম ছিলেন তার মরহুম পিতা।খুব জানতে ইচ্ছে করে, কি পেলেন তিনি এই কয়মাসের সাংসদ হয়ে? এতলোভ না করলে কি হতনা? তিনি নিজেকে ভক্তদের কাছে ওলি হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে “আমি নিজের চর্মচোখে আমার বাবাকে শাহজালালের সাথে হাত মিলাতে দেখেছি” বলে শ্রদ্বেয় সাহেব কিবলাকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন।আমি তার অসংখ্য মিথ্যাচারের খন্ডন করতে পারব।সে দিকে যাচ্ছিনা।শুধু আফসোস লাগছে, পবিত্র কোরানের যেই খেদমতের কারনে তার মরহুম পিতার আলাদা স্থান ছিল সিলেটের সর্বমহলে সেই স্থানকে তিনি নৌকায় তুলে কি খুব ফায়দা করলেন ব্যাক্তিগত বা পরিবারের জন্যে।
বিঃদ্রঃ- আমি যা লেখেছি দায়িত্ব নিয়ে লেখেছি।কোন অন্ধভক্ত কেউ আমি অসত্য লিখলে প্রমানসহ তা বলতে পারেন।অযথা বিতর্ক না করে মনে রাখবেন “লোভ এবং ভুল মানুষই করে।মাওঃ হুসামও একজন মানুষ”।
(সাংবাদিক মাহবুবুল করিম,লন্ডন)

আমার অফিস বিজয়নগর হওয়ার সুবাদে বিএনপির অনেক নেতাকে বিজয়নগর টু নয়াপল্টনের রাস্তায় দেখেছি। আমার অফিস গলিতে বেশি দেখতাম দুদ...
21/02/2025

আমার অফিস বিজয়নগর হওয়ার সুবাদে বিএনপির অনেক নেতাকে বিজয়নগর টু নয়াপল্টনের রাস্তায় দেখেছি। আমার অফিস গলিতে বেশি দেখতাম দুদুকে।

বিএনপির ঢাকার আন্দোলন ছিল নাইটিংগেল টু নয়াপল্টন অফিস পর্যন্ত। এ জায়গা ছাড়া গত ১৬ বছরে কোথাও ঠিক মতো দাঁড়াতেও পারেনি। নয়াপল্টনে দাঁড়ানো ডিপেন্ড করতো হাসিনার মর্জির উপর!

মজার ব্যাপার হলো দুদু সাহেব একজন কর্মীকে দিয়ে একটা মোটর সাইকেল রেডি রাখতেন। পুলিশ সামান্য তেড়ে আসলেই দুদু সাহেবের মোটরসাইকেল স্টার্ট দিতো রাজপথের সাহসী দুদু সাহেব পিছনে উঠলেই হোন্ডা স্যাঁ করে এলাকা ছাড়া।

এ গোপন কাজটি আমি প্রায়শই দেখতাম। ভাবতাম কত অসহায় ভদ্রলোক! এভাবে কী দানব খেদানো সম্ভব?

ইসলামপন্থীরা ১৩ সালেই দানবকে কাত করে ফেলছিলেন! সারাদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! পুরানা পল্টনে বুক পেতে ঠেকিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী হায়েনাদের। বিজয়নগর মোড়, কাকারাঈল মোড়ে সারদিন সেকি বারুদের সাথে খেলা।

একমাত্র খালেদা জিয়া ডাক দিয়েছিলেন তার দলের লোকদের হেফাজতের পাশে দাঁড়াত! আমি তো সন্ধ্যায় ভেবেছিলাম রাতে বিএনপির লাখ লাখ লোক নেমে আসবে! কিন্তু ভীরু কাপুরষ চিরকালই ভয়েই মরে। দিনের ক্লান্তি যখন আমাদের উপর ভর করে তখনই গর্জে উঠে বেনজিরের গ্রেনেড! শাপলা চত্ত্বর আমাদের ইসলাম পন্থীদের র/ক্তে লাল হয়েছিল! দুদুরা মটর সাইকেলে হয়তেো ছিলেন!

২১ শে মোদীকে ঠেকানোর দুর্বার আন্দোলনে ইসলাম পন্থীদের ত্যাগ ও কুরবানী ইতিহাস মনে রাখবে। একদিনে ২১ জন শহীদ! হাজার হাজার আলেম গ্রেফতার! বিশ্বাস করুন ঐ বছর আমরা কেউ ঠিকভাবে ইফতার করতে পারি নি!

আমাদের আন্দোলন শুধু বিজয় নগর ও নয়াপল্টনে হয় নি। বাংলার প্রতিটি আনাচে কানাচে আছে আলেমদের রক্তের দাগ! প্রতিটি জেলখানায় ছিল ইসলামপন্থীদের তারাবী নামাজের জামাত ও রোনাজারি!

সর্বশেষ ১৭ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল ইসলাম পন্থী সংগঠনের লাখ লাখ কর্মী ছাত্রদের সাথে মিশে হয়ে যায় একাকার! হেলিকপ্টারের গুলি উপেক্ষা করে টুপি পাঞ্জাবি রেখে শার্ট পড়ে নেমে আসে দ্বীনের অকুতোভয় সৈনিকেরা।

বারণ সত্ত্বেও বিপ্লবের গগণবিদারী শ্লোগান তুলে হাজার হাজার শিহাবউদ্দিন! ডাংগুলি খেলা নয়! গুলির সাথে খেলা করে! গুলির মুখে ৫ তাং যাত্রাবাড়ী ও আশেপাশের কর্মীরা লা/শের স্তুপ মাড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পিছন ফিরে কাউকে খুঁজে নি শিহাবরা!

মটর সাইকেলে চড়ে স্টেশন লীভ করে এ ফ্যাসিস্ট তাড়ানো ছিল এক দুঃস্বপ্ন। এখন সে ফ্যাসিস্টের মতো করে কথা বলছে লিডার দুদু। আমি তো বিষ্ময়ে বাকরূদ্ধ! টকশোতে ভদ্রলোকের মতো কথা বলতো!
আমি বলতাম আন্দোলন না পারলেও ওরা ভদ্রলোক!

আরে আমার চিন্তা তো একেবারে ভুল!

30/01/2025

সিরিয়াতে সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছে।

আসাদের দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

সিরিয়ার সরকারকে আর কখনও এসব নিয়ে এক মিনিটও সময় নষ্ট করতে হবে না।

ওদিকে আমাদের সরকার এখন বসে বসে চিন্তা করতেছে আওয়ামীলীগের ডাকা হরতাল তারা কেমনে প্রতিহত করবে।

এটাই পার্থক্য আসলে।

৭১ এ আমরাও স্বাধীন হলাম। ভিয়েতনাম স্বাধীন হলো ৭৫ এ। সেই ভিয়েতনাম দেখে আমাদের এখন আফসোস করা লাগে।

সিরিয়া স্বৈরাচার মুক্ত হলো আমাদের ৪ মাস পরে।অথচ আমাদের যা করার কথা ছিলো, ওরা সেইটা করতেছে। আর আমরা বসে বসে আন্দোলনের হিসাব দিচ্ছি, চেতনার নিয়ে মারামারি করতেছি।

আজ থেকে ৫০ বছর পর সিরিয়া দেখেও হয়তো আমাদের সন্তানরা আফসোস করবে, আর আমাদের অভিশাপ দেবে।

একটা দেশের রাজনীতিবিদরা কতটা নীচ, জঘন্য আর জানোয়ার হলে বারবার রক্ত দেওয়ার পরেও সেই রক্তের সাথে এরা বারবার প্রতারণা করে?

৭১ এর শহীদদের অভিশাপ আমাদের উপর হাসিনা হয়ে নেমে এসেছিলো।

২৪ এর শহীদদের অভিশাপ নিতে আমরা প্রস্তুত আছি তো?

28/01/2025

বিড়াল প্রেম!!!
ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি হল—কুকুর বিড়াল খাদেম, মানুষ মাখদুম। এই পজিশন এর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে এসব প্রাণী প্রতিপালন করা ঠিক নয়।

পশ্চিমা বিশ্বে অনেক কুকুর মানুষের খাদেম হিসেবে প্রতিপালন হয় না, মানুষের মাখদুম হিসাবে হয়। কিন্তু ইসলামী শরীয়তে এটা সম্পূর্ণ হারাম।
ফলে মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমাদের মত কুত্তা-প্রেম ব্যাপক করা যায়নি।

মনে হয়, ইদানিং কুত্তা-প্রেমের জায়গায় বিলাই-প্রেম রিপ্লেস করা হচ্ছে এবং মানুষের ভিতর জনপ্রিয় করা হচ্ছে।

যুক্তি হলো, কুত্তার মত বিলাই ইসলামী শরীয়তে অতটা ঘৃণিত বা নাপাক নয়। --আসল কথা হল, কুত্তার মতো বিলাই নাপাক ও ঘৃণিত হোক বা না হোক, একে মাখদুম বানানো দ্বীনি রুচি প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

আজকাল অলিতে গলিতে অনেকের কোলে মাখদুম বিলাই চোখে পড়ে। খাদেম যুবক-যুবতীরা সে বিড়ালগুলোকে নিয়ে লুতুপুতু করতে থাকে।

একজন দ্বীনদার মধ্যবিত্তের বাসায় গিয়ে জানতে পারলাম, বিড়ালের চুল কাটাতে হয় দুই মাসের মাথায়। একবার চুল কাটাতে ২২ শত টাকা লাগে। মাসে মাসে ভ্যাকসিন দিতে হয়। নখ কেটে দিতে হয়। অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাতে হয়। প্রতি তিন দিন পর পর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হয়। অতি যত্নের সাথে খাদ্য ক্রয় করে খাওয়াতে হয়, সে কাঁটা-এঁটো খাবার খায় না। --বিলাই কে এই মাখদুম পজিশন দেওয়া বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়।

আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।

20/01/2025

১৮ হাজার টাকা বেতনে নিজে কি খাবে আর বউ চালাবে কি করে? প্রতিদিন সবজি, ভর্তা তোমার গলা দিয়ে নামে কিভাবে?
এই কথাগুলি বলতে বলতে আমার বন্ধুকে ডিভোর্স দেয় তার বউ।

খুব ক্লোজ এক ক্লাসমেটের হবু বউ বলছিল তার খালাতো ভাই ইঞ্জিনিয়ার, বেতন ৮০ হাজার, ওর তখন ২০ হাজার। ঐ বউটি প্রায় বুঝাতো তার ভাই উচ্চ মানের আর তার হবু স্বামীটি নিন্মমানের ইঞ্জিনিয়ার।

এক জুনিয়রের চাকরির মাস থেকেই বাবা,মা, বোন, আত্মীয় সবাই এমন আচরন করছে যেন সে আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেছে, মাস গেলে বেচারির ধার করে চলতে হয়েছিল।

এখন আমার সেই বন্ধুর নিজস্ব ফ্ল্যাট আছে, আইফোন ইউজ করে, মাছ মাংসের অভাব পরে না। সেই ক্লাসমেট এখন বড় ইঞ্জিনিয়ার। সেই ছোট ভাইটি এখন অনেককে টাকা পয়সা ধার দেয়।

পড়াশুনা শেষে চাকরি পাওয়া এবং সেই চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জনের সময়টুকু মানুষের বেশ টাফ টাইম। সদ্য পাস করা ডক্টর যেমন বড় ডক্টরের সহায়ক হন, নতুন ইঞ্জিনিয়ার হন পুরাতন ইঞ্জিনিয়ারের এসিস্ট্যান্ট। মালিক পক্ষ যে বেতন দেয় তা অনেক সেক্টরে দয়া বলা যায়, কারন এতে মালিকেরও বেশি লাভ হয় না। সেক্টর ভেদে অভিজ্ঞ হতে ২ থেকে ৫ বছর লাগে। এই সময়টুকুতে পরিবার, সমাজ, কাছের মানুষজনের তিতা ব্যবহার সেই মানুষটাকে একা করে ফেলে।

যদি কেউ প্রথম চাকরি পায় তাকে মিষ্টি খাওয়ান, তার কাছে বিরিয়ানি চেয়ে খাওয়ার অনেক মানুষ আছে। তার সেলারি জানাটা আহামরি দরকারি জিনিস না, পারলে তাকে একটা পোশাক গিফট করুন, একই জামা পরে তাকে আর প্রতিদিন চাকরিতে যেতে হবে না।

সবাই অমানুষ হলে আপনি হন প্রথম মানুষ। আপনাকে দেখে যেন ওদের মানুষ হওয়ার সখ জাগে।
- tawsif

19/01/2025

✍️ গণঅভ্যুত্থান দুর্বল হওয়ার কারণ সমূহ।

১/ মুখোশের অন্তরালে দেশদ্রোহী প্রক্সি সুশীল বুদ্ধিজীবীদের কথা ধরে সরকার পদে পদে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

২/ দলীয়করণ প্রক্সি সুশীলদের কথা ধরে বিতর্কিত স্বৈরাচারী দোসর ফারুকীকে উপদেষ্টা বানানো এবং উপদেষ্টাদের অযৌক্তিক কথাবার্তার কারণে।

৩/ সুশীলদের কথা ধরে ছাত্ররা জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক দল তৈরিতে কনসার্ট বিনোদনের আয়োজন করা, বর্তমান দেশের জনগণ বিনোদনে বিশ্বাসী নয়। জনকল্যাণমুখী কাজ-কর্মে বিশ্বাসী। তাই, আপনারা যত বুদ্ধিবৃত্তিক ও গঠনমূলকভাবে কাজ করে যাবেন ততই আপনাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে। আপনাদের জনপ্রিয়তা এখন বুঝবেন না যখন অন্য কেউ আসবে তখন বুঝবেন। এবং এই দেশ বিপদে পড়লে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে দেশ প্রেমিক জনগণ ও আলেম সমাজ কিন্তু সুশীলরা না একটু চিন্তা করে দেখুন বিপ্লবের পর থেকে তারা আপনাদেরকে কতটুকু বিপদে ফেলে দিয়েছে। তাই, হক্কানী আলেম সমাজ ও ধার্মিক দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

৪/ গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে সাংগঠনিক কাঠামো সুশৃঙ্খল করে তোলা এবং গঠনপদ্ধতি মজবুত করা। দেশ ও সরকারের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে, সমাধানের জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়া।

18/01/2025

আদিবাসী একটি জোট শব্দ, যার ভেতরে লুকিয়ে আছে বাঙালী বি*দ্বেষ

অনেকেই হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। বলেন-এখানে মুসলমান গেলো কোথায় ? আসলে ঐ জোটটি করাই হয়েছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে।

ঠিক একইভাবে আদিবাসী বলতে প্রায় ৫০টি জাতিগোষ্ঠীর জোটকে বোঝায়। যেমন-চাকমা, মারমা, বম, হাজং, কোচ, গাড়ো, ত্রিপুরা, মণিপুরি ইত্যাদি। তাদের হিসেব মতে বাংলাদেশে ৫১টি জাতিগোষ্ঠী আছে। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালীদের বাদ দিয়ে বাকি ৫০টি জাতিগোষ্ঠীকে একত্র করে তারা নাম দিয়েছে আদিবাসী।

কথা হচ্ছে, ৫০টি জাতিগোষ্ঠীকে যদি আদিবাসী বলা হয়, তাহলে বাকি ১টি জাতিগোষ্ঠী মানে বাঙালীকে কী বলা হবে?

এক্ষেত্রে তাদের ভাষ্য হচ্ছে- বাঙালীকে বলা হবে সেটে৳লার। সে৳টেলার শব্দের অর্থ দখলদার। ফি #লিস্তিনের ক্ষেত্রে আমরা ইস৥রাই #লীদের জন্য এ সে৳টেলার শব্দ ব্যবহার করি। বলি ইস৥রাই #লী দখলদার, যারা ইউরোপ থেকে এসে ফি৥৥লিস্তিনের ভূমি দখল করেছে। ঠিক তেমনি কথিত আদিবাসীরাও আমাদেরকে ইস৥রাই #লীদের মত দ৳খলদার মনে করে। তারমানে আপনি যদি বাংলাদেশে তাদেরকে আদিবাসী বলে মেনে নেন, তবে সাথে সাথে আপনার নিজ নামের সাথে দ৳খলদার শব্দ যুক্ত করে নিলেন।

বাংলাদেশের হয়ত অধিকাংশ মানুষ হয়ত জানে না, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ৬১ জেলার জন্য এক ধরনের আইন, এবং বাকি ৩ জেলা মানে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দারবান জেলার জন্য ভিন্ন আইন চলে। মূলত ব্রিটিশরা ১৮৭০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মং সার্কেল, চাকমা সার্কেল ও বোমাং সার্কেল নামে ৩টি পৃথক রাজা প্রথার সূচনা করেছিলো। বর্তমানেও ঐ তিন জেলায় পৃথক ৩ রাজার অফিসিয়াল শাসন চলে। মানে ঐ তিন জেলার বসবাসকারীদের ঐ রাজাদের অফিসিয়ালী খাজনা দিতে হয়।

লক্ষণীয়, ব্রিটিশরা তাদের খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে পার্বত্য জেলায় রাজা শাসন চালু করে, অপরদিকে বাংলার অন্য অংশে জমিদারী শাসন চালু করে। এর মধ্যে অধিকাংশ জমিদার ছিলো হি৥ন্দু। সম্প্রতি হি!!ন্দু জাগরনী জোট যে ৮ দফা দাবী নিয়ে চট্টগ্রামে আন্দোলন করলো, অতঃপর বাংলাদেশের পতাকার উপর গে৥রুয়া পতাকা বাধলো, অতঃপর ই৥৥সকনের বিরুদ্ধে মামলা, চিন্ময় গ্রেফতার, অতঃপর চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যা, এগুলো আসলে কেন ? এর মূল কারণ ঐ ৮ দফা দাবীর মধ্যে আছে, সেটা হলো- ব্রিটিশরা হি!!ন্দুদের যে জমিদারী ছিলো, সেই ভূমিগুলো তারা ফেরত চায়। এক্ষেত্রে তারা অর্পিত সম্পত্তি টার্মটা ব্যবহার করে। ভারতে ময়ুখ নামে এক টিভি চ্যানেল উপস্থাপক কিন্তু বার বার সে কথাটা বলে। বলে- অমুখ জেলা, তমুক জেলা হি #৥ন্দুদের, সেগুলো ফেরত দিক, নয়ত টাকা দিক। তার কথা বলার ভঙ্গিতে জোকারি আছে, কিন্তু কথাগুলো তারা হিসেব করেই বলে।

কথা হচ্ছে, সংবিধানে যদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে আদিবাসী স্বীকৃতি দিয়ে দেয়া হয়, তবে বাঙালীরা কিন্তু এমনিতেই সেটে!৥লর বা দখলদার উপাধি পেয়ে যাবে। তখন যদি ভারত থেকে আসা হি!!ন্দু জমিদারদের পরপুরুষ এসে বলে, আমরাও এই এলাকার আদিবাসী। দলিল- ব্রিটিশদের থেকে প্রাপ্ত জমিদারী। তখন কী বলবেন ?

গত কয়েকদিন ধরে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির এনসিটিবির সামনে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সবাই আটকে গেছে, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মাথার র!ক্ত আর বাঙালীদের ভায়োডিন মাখা ব্যান্ডেজের মধ্যে। কিন্তু পুরো জিনিসটা কেউ চিন্তা করছে না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সেই দিনের দাবী কী ছিলো ? তাদের দাবী ছিলো- বইয়ে আদিবাসী শব্দ ফিরিয়ে আনা এবং তাদের সাংবিধানিক আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়া। সেক্ষেত্রে বাঙালীরা যদি তাদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়, তবে তো ঠিকই করেছে। তারা তো দেশের স্বার্থেই কাজ করেছে, এখানে ভুলটা কোথায় ? তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য তো ভালো।

আজকে সীমান্তে কৃষকের হাতে যখন ধারালো কাঁচি থাকে, তখন কেন সবাই বাহবা দেন ? তখন তো বলেন না, কৃষি কাজে ব্যবহৃত জিনিস মানুষ মারার জন্য নিয়ে আসছে কেন ? কিন্তু স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির হাতে স্টাম্পে বাধা পতাকা থাকলে কেন ঘৃণা করেন ? আজকে কেউ যদি আপনার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে আসে, তখন ঠিকই লাঠি শোটা নিয়ে মারামারি করতে যান, সেটাকে কেউ খারাপ বলে না। কিন্তু কেউ দেশের ভূমি দখল করতে আসে, তখন যারা লাঠি-কাচি হাতে দৌড়ে যায়, তাদেরকে আপনি খারাপ বলতে পারবেন না। তারাই তো প্রকৃত দেশপ্রেমিক। কাচি হাতের সেই কৃষককে যেভাবে স্যেলুট জানিয়েছিলেন, ঠিক তেমনি স্টাম্পে পতাকা বাধা যুবককেও তেমনি স্যেলুট জানান। দেশের স্বার্থে সঠিক সময়ে এগিয়ে গিয়েছে সেই মহৎ এটা মেনে নিন।

Address

Kazipara

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DTV International posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to DTV International:

Share

Category

DTV International

সত্য যেখানে আমরা সেখানে।