DTV International

DTV International সত্য যেখানে আমরা সেখানে

27/09/2025
08/09/2025

একজন কুরআনের পাখি এমন নির্মম হত্যার বিচার চাই

03/09/2025

যখন আপনার মেয়েকে কেউ মানসিকভাবে ধর্ষণ করে, তখন আপনি পাশে থেকে দাঁত কেলিয়ে হাসেন না তো ?

থামুন! এই লেখাটি পড়ার আগে একবার আপনার নিষ্পাপ কন্যা শিশুটির মুখের দিকে তাকান। দেখেছেন? ঐ হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকা সরল বিশ্বাস, ঐ চোখের গভীরে আপনার জন্য জমে থাকা অগাধ আস্থা। আর আপনি, সেই আস্থার কি মর্যাদা রাখছেন? নাকি নিজের অজান্তেই আপনি এক নীরব ষড়যন্ত্রের অংশীদার হচ্ছেন, যা আপনার মেয়ের ভবিষ্যৎকে চিরতরে অন্ধকারে ঠেলে দেবে?

ভয় পাচ্ছেন? অস্বস্তি হচ্ছে? হওয়াই উচিত! কারণ আজ আমি কোনো মিষ্টি উপদেশ দেবো না। আজ আমি আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবো, কীভাবে আপনারই 'ছোট ছোট ভুল', আপনারই 'অতিরিক্ত বিশ্বাস', আপনারই 'আধুনিক সাজার প্রবণতা' আপনার মেয়ের চারপাশে এক অদৃশ্য নরক তৈরি করছে। আপনি কি নিশ্চিত, আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটিই আপনার মেয়ের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি নয়?

প্রতিদিন খবরের কাগজে যে বিকৃত মানসিকতার জানোয়ারদের ছবি দেখেন, তারা আকাশ থেকে পড়ে না। তারা আমাদের মধ্যেই, আপনার আমার মতোই সাধারণ মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। আর আপনি, সেইসব মুখোশধারী নেকড়েদের হাতে আপনার ফুলের মতো সন্তানকে তুলে দেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করছেন না তো?

নিচের প্রতিটি শব্দ আপনার বুকের ভেতরে কাঁটার মতো বিঁধবে। প্রতিটি প্রশ্ন আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেবে। যদি হিম্মত থাকে, তাহলে পড়ুন। এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি একজন অভিভাবক, নাকি নিজের সন্তানের সর্বনাশ ডেকে আনা এক নির্বোধ প্রহরী?

আপনার সন্তান কি দুই বছরের বড়? আর আপনি এখনো তার সামনেই অবলীলায় পোশাক পরিবর্তন করেন? আপনি ভাবেন, "ও তো বাচ্চা, ও কী বোঝে?" এই ভাবনাটাই আপনার প্রথম এবং সবচেয়ে মারাত্মক ভুল। আপনি নিজের হাতে আপনার সন্তানের মন থেকে গোপনীয়তা এবং লজ্জার প্রথম প্রাচীরটি ভেঙে দিচ্ছেন। আপনি তাকে শেখাচ্ছেন যে, শরীরের ব্যক্তিগত অঙ্গগুলো প্রদর্শন করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আজ আপনি করছেন, কাল আপনার দেখাদেখি আপনার আত্মীয় বা বন্ধুরূপী কোনো নরপশু যখন তার সামনে একই কাজ করবে, আপনার সন্তান সেটাকে অস্বাভাবিক ভাববে না। সে প্রতিবাদ করবে না। কারণ তার প্রথম শিক্ষক, অর্থাৎ আপনি, তাকে শিখিয়েছেন—এটাই স্বাভাবিক। আপনি কি বুঝতে পারছেন, আপনি শিকারীর কাজ কতটা সহজ করে দিচ্ছেন?

আপনার কোনো প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু বা আত্মীয় আপনার ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করে বলছে, "ইশ! কী সুন্দর! বড় হলে তোকেই আমি বিয়ে করব। তুমি আমার বউ হবে।" আর আপনি পাশে দাঁড়িয়ে হাসছেন? আপনার এই হাসিই হলো সেই বিষাক্ত রসিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া। এটা কোনো নির্দোষ মজা নয়। এটা এক ধরনের মানসিক ধর্ষণ। একটি শিশুর কচি মনে আপনি সম্পর্কের এক বিকৃত ধারণা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। যে মানুষটিকে তার ‘আঙ্কেল’ বা ‘মামা’ হিসেবে সম্মান করার কথা, তার সাথে 'বউ' হওয়ার সম্পর্ক জুড়ে দিয়ে আপনি তার নিরাপত্তাবোধকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এই ধরনের কথা যে বলে, সে মানসিকভাবে অসুস্থ। আর আপনি যদি এটা শুনেও চুপ থাকেন, তাহলে আপনিও সেই অসুস্থতার নীরব সমর্থক।

আদরের নামে কোলে বসানো: সীমানা লঙ্ঘনের প্রথম ধাপ। "আরে আমার কোলেই তো বসেছে, কী এমন হবে?"—এই চিন্তাটাই ভয়ঙ্কর। আপনার কন্যা সন্তানকে কখনোই, কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তির কোলে বসতে দেবেন না। সে আপনার ভাই হোক, বন্ধু হোক, বা সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিই হোক না কেন। একটি শিশুর শরীর তার নিজের। তার শরীরে কার স্পর্শ পড়বে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার। যখন আপনি তাকে জোর করে বা আবেগের বশে অন্যের কোলে বসিয়ে দেন, আপনি তাকে বার্তা দেন যে, তার শরীরের ওপর তার নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একজন শিকারী ঠিক এই সুযোগটিই খোঁজে। সে প্রথমে কোলে বসিয়েই পরীক্ষা করে নেয়, এই শিশুটির প্রতিরোধ ক্ষমতা বা তার অভিভাবকের সচেতনতা কতটুকু। আপনার একটি ‘না’ আপনার সন্তানকে ভবিষ্যতের হাজারো বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। আপনি কি সেই 'না' বলার সাহস রাখেন?

আপনার সন্তান বাইরে খেলতে গেছে। আপনি নিশ্চিন্ত। কিন্তু আপনি কি জানেন, তারা কী খেলছে? ‘ডাক্তার-ডাক্তার’ খেলার নামে একে অপরের শরীর স্পর্শ করা হচ্ছে না তো? ‘বর-বউ’ খেলার নামে এমন কিছু ঘটছে না তো, যা তার বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়? অনেক সময় বড় বাচ্চারা ছোটদের ওপর যৌন তথ্য বা কার্যকলাপ চাপিয়ে দেয়। আপনার সন্তান সেখান থেকে বিকৃত ধারণা নিয়ে ফিরতে পারে। অথবা সে নিজেই কোনো নিগ্রহের শিকার হতে পারে। আপনার দায়িত্ব শুধু তাকে খেলতে পাঠানো নয়, সে কাদের সাথে মিশছে এবং কী ধরনের খেলায় অংশ নিচ্ছে, তার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা। আপনার উদাসীনতাই হতে পারে আপনার সন্তানের মানসিক বিকৃতির কারণ।

আপনি আধুনিক অভিভাবক। সন্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন স্মার্টফোন। কিন্তু সেই ফোনের ব্রাউজিং হিস্ট্রি শেষ কবে চেক করেছেন? গুগলে, ইউটিউবে সে কী সার্চ করছে, তার খবর কি রাখেন? আপনার সন্তান হয়তো ভুল করে এমন কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ছে, যা তার কচি মনকে চিরদিনের জন্য বিষাক্ত করে দিতে পারে। পর্নোগ্রাফি, ভায়োলেন্স—এই ডিজিটাল দানবগুলো আপনার সন্তানের বিছানায়, আপনার ছাদের নিচেই ওঁৎ পেতে বসে আছে। আপনি তাকে ফোন দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ ভাবলে, একদিন দেখবেন এই ফোনই আপনার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

টিভি বা মোবাইলে কোনো অ্যাডাল্ট কনটেন্ট, ভায়োলেন্স বা অশ্রাব্য ভাষার সিনেমা-সিরিজ চলছে আর আপনার সন্তান পাশে বসে দেখছে—এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছু হতে পারে না। আপনি ভাবছেন সে বুঝছে না, কিন্তু প্রতিটি দৃশ্য, প্রতিটি শব্দ তার অবচেতন মনে গেঁথে যাচ্ছে। যা তার চরিত্র গঠনকে বাধাগ্রস্ত করছে, তাকে সময়ের আগেই ‘বড়’ করে তুলছে এক বিকৃত উপায়ে।

আপনার নেশা, আপনার সন্তানের সর্বনাশ।
আপনি কি সন্তানের সামনে ধূমপান বা অন্য কোনো নেশা করেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনি শুধু নিজের শরীর নয়, আপনার সন্তানের চরিত্রকেও ধ্বংস করছেন। আপনি তার চোখে ‘হিরো’। আপনার হিরো যখন নেশা করে, তখন সেও এটাকে ‘কুল’ বা ‘স্বাভাবিক’ বলে ধরে নেয়। ভবিষ্যতে তারও এই পথে পা বাড়ানোর সম্ভাবনা আপনিই তৈরি করে দিচ্ছেন।

আপনার সন্তান যদি কোনো ব্যক্তির সাথে যেতে বা মিশতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করে, তাকে কখনোই জোর করবেন না। শিশুদের একটি সহজাত প্রবৃত্তি (instinct) থাকে, যা তাদের বিপদ চিনতে সাহায্য করে। সে হয়তো মুখে বলতে পারছে না, কিন্তু তার আচরণই বলছে ওই ব্যক্তি নিরাপদ নয়। তার অস্বস্তিকে সম্মান করুন। আপনার সামাজিকতা রক্ষা করার চেয়ে আপনার সন্তানের নিরাপত্তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

লক্ষ্য রাখুন, আপনার সন্তান কি বিশেষ কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে? তার কথাই কি সারাক্ষণ বলছে? সেই ব্যক্তি কি তাকে অন্যদের চেয়ে বেশি দামী উপহার বা আলাদা মনোযোগ দিচ্ছে? এটি একটি ক্লাসিক গ্রুমিং কৌশল হতে পারে। ওই ব্যক্তি হয়তো আপনার সন্তানের বিশ্বাস অর্জন করে তার সর্বনাশ করার ছক কষছে। सावधान!

আপনার সন্তানের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন? আপনি কি তার বন্ধু হতে পেরেছেন? সে কি তার মনের সব কথা, তার ভয়, তার প্রশ্ন আপনাকে নিঃসংকোচে বলতে পারে? যদি না পারে, তাহলে বিপদ ঘটলে সে আপনাকেই প্রথম ভয় পাবে। আপনার শাসনের ভয়ে সে হয়তো ভয়ঙ্কর কোনো সত্যি নিজের ভেতরেই চেপে রাখবে, যা তাকে ভেতর থেকে কুরে কুরে খাবে। তার বন্ধু হোন, তাকে বিশ্বাস জোগান যে, পৃথিবী ওলটপালট হয়ে গেলেও আপনি তার পাশে থাকবেন।

যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনার সন্তানকে সাথে নিয়ে যান। তাকে একা কারো ভরসায়, এমনকি গৃহকর্মীর কাছেও রেখে যাবেন না। অনুষ্ঠানে সে নতুন মানুষের সাথে মিশবে, সামাজিকতা শিখবে। এতে তার মানসিক বিকাশ ঘটবে এবং সে আত্মবিশ্বাসী হবে। একজন আত্মবিশ্বাসী শিশুকে টার্গেট করা শিকারীর জন্য কঠিন।

এই লেখাটি পড়ার পর যদি আপনার হৃদপিণ্ড কেঁপে ওঠে, যদি নিজেকে অপরাধী মনে হয়, তাহলে বুঝবেন—এখনো সময় আছে। আপনার ঘুম ভাঙার জন্যই এই কঠোর শব্দগুলোর প্রয়োজন ছিল।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি কি এই নীতিগুলোকে আপনার রক্তে মিশিয়ে নিয়ে আপনার মেয়ের জন্য একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ তৈরি করবেন, নাকি তাকে অরক্ষিত অবস্থায় হায়েনাদের সমাজে ছেড়ে দেবেন? মনে রাখবেন, একটি ভুল, শুধু একটি ভুলের জন্য আপনাকে সারাজীবন অনুশোচনার আগুনে পুড়তে হতে পারে। জাগুন, অভিভাবক, জাগুন!

26/08/2025

সফলতা কামনা করি

https://www.facebook.com/healthmaxdp?mibextid=ZbWKwL

স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ ঠিকানা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চিকিৎসা ও ঔষধ সবই এখানে।

26/08/2025

Awlad Hussain স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানীরা,, এই দেশের সাধারণ নিরীহ মানুষ উপর,, শাসন নামে শোষন করত। স্বাধীনতার লাভ করার পর ও গত ৫৩ বছর ধরে শাসন নামে শোষন করতেছে,বিভিন্ন দলের বিভিন্ন নেতা কর্মী রা,, সাধারণ জনগন উপর। ১০% জালিমরা অথবা ১০% নিকৃষ্ট নেতা কর্মীরা,।৯০% নিরীহ সাধারণ জনগন উপর, গনতন্ত্র নামক অভিশাপ শব্দটি প্রয়োগ করিয়া, শাসন নামে শোষন করতেছে। আমরা ৯০% নিরীহ সাধারণ জনগন,, ১০% নিকৃষ্ট জালিমদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে আছি। সঠিক কথা বা ন্যায়ের পক্ষে থাকলে হতে হয়,, মৌলবাদ,, রাজাকার, জঙ্গি। আর অন্যায় কে সমর্থন করলে,, বা চুপ থাকলে তুমি হবে,মুক্তি যোদ্ধা পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে,, দেশপ্রেমিক। তুমি অন্যায় প্রতিবাদ করো ও,, বা ন্যায়ের পক্ষে বা সঠিক কথা বলো, তারা তোমাকে মৌলবাদ, রাজাকার,, জঙ্গি ট্যাগ দিবে। এটা হলো,,বর্তমান গনতন্ত্র , শাসন নামক শোষন সমাজ ব্যবস্থা। গত ৫৩ বছর ধরে,, যারা বুদ্ধিজীবী দাবি করে, আর মুক্তি যোদ্ধা দাবি করে,, টিভিতে টকশোতে বসে বড় বড় কথা বলে,।, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীরা, তারা দেশ কে ভালোবাসে,তা প্রমান হিসাবে একটা টকশোতে, গত ৫৩ বছর ধরে, বিভিন্ন নেতা রা,ও আমলারা,, দেশের সাধারণ জনগন টাকা , যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো বীর মুক্তি যোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবী দের কে দেশে খুজে পাওয়া যায় না।যারা বিদেশে টাকা পাচার করছে,তাদের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার শাসন ব্যবস্থা কথা বলতে দেখি নাই,, কোনো বুদ্ধিজীবীদের,, ও কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা দের কে। দেশের ভিতরে, বিভিন্ন জায়গায়,, চাদাবাজি, সন্ত্রাসী, দখলবাজি, পাথর লুটপাটকারী,দূর্নীতিবাজ, হইতাছে। ইসলাম বিদ্বেষী কথা বার্তা বলতেছে, ইসলাম বিদ্বেষী আইন হইতাছে,,তার বিরুদ্ধে,, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোনো বুদ্ধিজীবী দের প্রতিবাদ করতে দেখি নেই। তারা বলে দেশ কে ভালোবাসাে। ন্যায় বিচার,, সঠিক বিচার শাসন ব্যবস্থার, প্রতিষ্ঠা করা ক্ষেত্রে, বীর মুক্তিযোদ্ধা দের, ও বুদ্ধিজীবী দের কে খুজে পাওয়া যায় না। যে দল ক্ষমতা আসে,সেই দল ই ক্ষমতার প্রয়োগ করে, খুনের মামলার রায় মৃত্যুদন্ড হলে ও ,, তা খালাস করে দেয়। এটা ও হলো ক্ষমতা অপপ্রয়োগ। আর অন্য মামলা ত যেমন বিদেশে টাকা পাচারকারী,,চাঁদাবাজি,ইত্যাদি, ইত্যাদি মামলা, এমনি খালাস হয়ে যায়,, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা দের,, বুদ্ধিজীবীদের খুজে পাওয়া যায় না। তারা বলে, দেশ প্রেমিক দাবি করে। আলেমরা,, ও সাধারণ মানুষরা প্রতিবাদ করলে, তাদের কে মৌলবাদ,, রাজাকারের ট্যাগ লাগাই।তখন বীর মুক্তিযোদ্ধা রা ও বুদ্ধিজীবীরা কোথায়। কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করতে দেখি নাই। এরা নামে সুশীল সমাজ,,কাজে শূন্য, ।এই শাসন নামে শোষন ব্যবস্থা পরিবর্তন দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সবাই কে হেদায়েত দান করেন আমিন।

23/08/2025

কতটা হৃদয় বিদারক ঘটনা।

“ঘরে ঘরে এমন অজস্র আবু জাহেল আছে”

ছেলে ইমুতে মেসেজ পাঠিয়েছে-
“বাবা আপনার নামে ২০ হাজার টাকা ছেড়েছি, এ টাকা দিয়ে আপনি ডাক্তার দেখাবেন, ফল কিনে খাবেন। গোপন নাম্বারে পাঠিয়েছি, আপনি আইডি কার্ড নিয়ে জনতা ব‍্যাংকে গেলেই টাকা পেয়ে যাবেন”।
(গোপনীয়তার স্বার্থে পিন নাম্বারটি দিলাম না)।

ছেলের কথা মতো বাবা আজ জনতা ব‍্যাংক গৌরীপুর শাখায় এসেছেন টাকা তোলার জন‍্য। বেশ অসুস্থ শরীর তাঁর। কোনমতে লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করেন। বললাম- এই শরীর নিয়ে একা একা আসা ঠিক হয়নি আপনার।
তিনি জানালেন- সাথে আসার মতো কাউকে পাননি বলে কষ্ট করে একাই এসেছেন। টাকা তুলে ডাক্তার দেখিয়ে তারপর বাড়ি ফিরবেন।

মুরুব্বিকে আমার রুমে বসিয়ে সহকর্মীকে বললাম ওনার টাকাটা পে-আউট করে দেয়ার জন‍্য। কিছুক্ষণ পর আমার সহকর্মী জানালো, এই টাকার বেনিফিসিয়ারী তিনি নন, অন‍্য আরেকজন। পরবর্তীতে গোপন পিন নাম্বারটি আমি নিজে কয়েক বার মিলিয়ে দেখলাম, সহকর্মীর কথাই সত‍্যি। পরে ভদ্রলোকের কাছে জানতে চাইলাম উল্লেখিত ব‍্যাক্তিকে আপনি চিনেন কিনা। নাম শোনতেই তাঁর দু’চোখে জলের তান্ডব দেখলাম!
অভাগা বাবা কাঁদতে কাঁদতে লাঠিতে ভর দিয়ে চলে গেলেন।

তখন নায়ক রাজ্জাকের “বাবা কেনো চাকর” সিনেমাটির কথা মনে পড়ে গেল। হৃদয়ে বাজতে লাগলো- আমার মতো এমন সুখী নেইতো কারো জীবন…..

বুঝতে পারলাম, ছেলে তার শ্বশুরকে পাঠানো মেসেজটি ভুলক্রমে বাবার মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ঘন্টা দেড়েক পর একজন তড়তাজা ভদ্রলোক এসে সে টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। তারঁ সাথেও কথা হল। জানতে চাইলাম কে টাকা পাঠিয়েছেন।
মাঝ বয়োসী ভদ্রলোক জানালো - “আমার জামাই, নবীর দেশে থাকে। খুব ভালো ছেলে, কয়েক মাস পর পর শরীর চেকআপের জন‍্য টাকা পাঠায়। পাগল একটা জামাই!, দোয়া করবেন স‍্যার।

আমি কিছুক্ষণের জন‍্য স্তব্দ হয়ে গেলাম। ভাবলাম বাবা ছেলেকে বড় করে নবীর দেশে পাঠিয়েছিলেন ঠিকই, এখন সে আবু জাহেলের দেশে বাস করে……

মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন
ব‍্যবস্থাপক,জনতা ব‍্যাংক পিএলসি.গৌরীপুর শাখা।

17/08/2025

আসিফ মাহমুদকে আমি পছন্দ করি আর না করি, আমি তার পূর্বেকার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে ক'টা'ক্ষ করতে পারি না।

আমি তার কাজ নিয়ে ট্র'ল করবো।
আমি তার দায়িত্বহীনতা নিয়ে সমালোচনা করবো।
আমি তার অপরাধে শা'স্তি চাইবো।

সে এখন একজন উপদেষ্টা, সে ওয়েস্টিনে যেতেই পারে। ওয়েস্টিনে যাওয়াও কোনও আহামরি বিষয় না।

কিন্তু আন্দালিব রহমান পার্থ যেভাবে আসিফ মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

'এক সময় ভাত খুজতো ক্যান্টিনে
এখন হাঁস খুজে ওয়েস্টিনে'
তা রীতিমতো শিষ্টাচার বহির্ভূত।

এখন পার্থকে যদি কেউ মনে করিয়ে দেয়, একবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী তাকে বলেছিলেন, ‘তোমার বাবার পরিচয় কী? তোমার মায়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করো, তোমার বাবার আয় ইনকাম কী ছিলো?
লাখ টাকার স্যুট পরো, কার টাকায় তুমি ব্যারিস্টারি পড়েছো?’

নিজেকে কেউ দেখে না।
বাসার আয়নার যে কত ব্যবহার আছে, আমরা বুঝি না...

13/08/2025

সাদা পাথর আর পর্যটন বলে বলে যারা কান্না করতেছেন তাদের কাছে জানতে চাই যে ৭/৮ বছর আগে এই পর্যটন এলাকা কোথায় ছিলো?
যারা মুল তথ্য জানেন না তাদের জন্য নিচের লেখাটি।

ভোলাগঞ্জের পাথর নিয়ে কিছু একটা লিখতে চেয়েও অনেকে বারবার থেমে যাচ্ছে ভয়ে। হুজুগে মাতা আবেগি জনতার রোষানলে পড়ার ভয়ে।

আমার পরিচিত যতজনকেই গতকাল ভোলাগঞ্জের পাথর নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে দেখেছি আমি শিউর তারা ভোলাগঞ্জ যাওয়ার পুরো রাস্তায় চোখ বন্ধ করে থেকে সাদা পাথরে পৌঁছে তবেই চোখ খুলেছিলেন।

কোম্পানিগঞ্জের পথে পথে অগনিত পাথর কোয়ারির কঙ্কাল দাঁড়িয়ে আছে, একসময়ের প্রাণচঞ্চল জনপথের প্রতিটা বাজার একাকীত্ব নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে, এলাকা কর্মক্ষম পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। একটা অর্থনৈতিক কর্মাঞ্চল যে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে তা তারা দেখতে পাননি।

২০১৬ সালের পূর্বে এসব কোয়ারিতে পাথর ক্রাশ করা হত। বাংলাদেশ থেকে সেই পাথরই তামাবিল হয়ে মেঘালয় আসাম ত্রিপুরাতে রপ্তানি হত।

ভারতের জন্যে ঐতিহাসিক দুর্ভাগ্য ছিল এই ভোলাগঞ্জ জাফলং হাতছাড়া হওয়া। মেঘালয়ের পাহাড় থেকে স্রোতের সাথে গড়িয়ে আসা পাথর সারি ও ডাউকি নদী হয়ে এসে থামতো এই ভোলাগঞ্জ জাফলংয়ে।

এই অঞ্চলে সেই পাথর উত্তোলনের ফলে ভারত তার অংশে পাথর জমা রাখতে পারতো না। যার কারনে তার পাহাড়ের পাথরই তাকে আবার বাংলাদেশ থেকে কিনে নিতে হত।

ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির র মেটারিয়ালস ছিলো এই পাথর।। অনেকে হয়তো জানে না সিলেটের এই সিমেন্ট ফেক্টরিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা সিমেন্ট উৎপাদন হতো।। পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়ে এই কারখানাটাকেই অচল বানিয়ে দেয়া হইছে।

পরিবেশ রক্ষার নামে পাথর উত্তোলন বন্ধ করার পর ভারত তার অংশে পাথর জমা করার সুযোগ পায়। সেখানে সে শত শত কোয়ারি স্থাপন করে। বাংলাদেশের কোয়ারি বন্ধ করিয়ে ভারত বছরে গড়ে ৫০০-৭০০ মিলিয়ন ডলারের ক্রাশড স্টোন বাংলাদেশের কাছেই বিক্রি করে।

দেশের চাহিদা মিটিয়ে যে পাথর আমরা তাদের কাছে বিক্রি করতাম সেই পাথরই পরিবেশ রক্ষার আড়ালে তারা আমাদের কাছে বিক্রি করছে। আমরা ফ্রী পাওয়া পাথর বিপুল ডলারের বিনিময়ে কিনে নিচ্ছি।

বিনিময়ে আমাদের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, অর্থশত কোয়ারি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। আর এর ফাঁকে কপালে ডেকে এনেছি বন্যা নামক ভয়ংকর আশীর্বাদ।

২০২২ এবং ২৪ সালে সিলেট অঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার আগমন ঘটে। ২২ সালের জুনে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ১৪৫২ মিমি আর ২৪ এর জুনে ২১৫৫ মিমি। মেঘালয় চেরিপুঞ্জির বৃষ্টির পানি পাহাড়ি ঢল হয়ে ডাউকি নদী ও সারি নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

পাথর উত্তোলন বন্ধের ফলে এই নদীগুলোর নাব্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। পরিবেশ রক্ষার প্রতিদানে আমরা ডেকে নিয়ে আসি ভয়াল বন্যার করাল গ্রাসকে।

এই অঞ্চলের পাথর ছিল আমাদের জন্যে আশীর্বাদ, প্রকৃতির অন্যন্য অর্থনৈতিক উপহার। রাষ্ট্র এই পাথর শিল্পকে চালু রাখলেই আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হত, নির্মাণ শিল্পের আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে আমরা রপ্তানিতে এগিয়ে যেতাম।

আপনার পাথরের আবেগকে পুঁজি করেই ভারত আমাদের পকেট কেটে নিয়েছে। আপনি সাদা পাথরের ঝলকানিতে অন্ধ হয়ে বানের পানিতে হাবুডুবু খেয়েছেন।

22/07/2025

জন্মের (১৯৮৮) পর থেকে কখনও শুনিনি দেশের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুহাম্মদ ইউনুস কোনো ত্রাণতহবিলে চার আনা দান করেছেন। দান দূরে থাক, কোনো দুর্যোগে ইউনুসকে কখনও একটা সান্ত্বনাবাণীও উচ্চারণ করতে শুনিনি বা দেখিনি। দেশ-বিদেশে ভদ্রলোক অনেক পদক পেয়েছেন, অসংখ্য ডিগ্রি অর্জন করেছেন, ক্ষুধঋণব্যবসার মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কিন্তু দেশের কোনো সংকটকালে তাকে কিছুই খুলতে দেখিনি— মুখও না, হাতও না, ফতুয়াও না। এই আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের জন্য বাংলাদেশ বরাবরই ছিল ব্যবসাক্ষেত্র। ইউনুসকে তৎপর হতে দেখেছি কেবল ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে। ক্ষমতার জন্য তখন তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগ নিয়ে আবার পাততাড়ি গুটিয়ে চলেও গিয়েছিলেন। এগুলো সবার জানা কথা। কিন্তু জানার আরও বাকি ছিল। সোনালি ব্যাংকের একটা অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে ফেসবুক পেজে আজ তিনি লিখেছেন— ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যারা অর্থসাহায্য করতে চান, তারা উপরোক্ত ত্রাণ ও কল্যাণতহবিলের উল্লেখিত নম্বরে তা জমা দিতে পারেন।’ ঘটনার জন্য দায়ী বিমানবাহিনী, বিমানবাহিনী প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের অধীনে, প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ইউনুস নিজে। ঘটনার দায়ভার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (এবং সরকারপ্রধান) হিশেবে ইউনুসের নিজের, ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার দায়ভার সরকারের। এমন না যে, সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে, সেজন্য জনগণের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। কিন্তু তিনি করলেনটা কী? অর্থসাহায্য চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দিলেন। দেশে কোনো অঘটন দেখা দিলেই ফেসবুকের কিছু সুযোগসন্ধানী দুর্যোগব্যবসায়ী যেভাবে চাঁদা তোলা শুরু করে, ইউনুস ঠিক সেই কাজই করে বসলেন। ইউনুস প্রমাণ রাখলেন যে, তিনি এনজিওরই লোক। এনজিওর লোক না-হলে একজন সরকারপ্রধানের পক্ষে কোনোভাবেই এই কাজ করা সম্ভব না। এমন ক্রান্তিকালেও ইউনুসের মাথা থেকে ব্যবসার অভিসন্ধিটা গেল না।

এক ভিখারিকে জিজ্ঞেস করা হলো দশ কোটি টাকা পেলে সে কী করবে। জবাব দিল, একটা ট্রেন কিনব। ট্রেনই কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ভিখারি বলল— ‘ট্রেনের এ-মাথা থেকে ও-মাথা পর্যন্ত ভিক্ষা করব। একাই ভিক্ষা করব। আর কোনো ভিখারিকে ট্রেনে উঠতে দেব না।’ এখন দেখা যাচ্ছে এনজিওর লোকরাও ঐ একই ধরনের। ভিখারি আস্ত একটা ট্রেনের মালিক হলেও মাথা থেকে ভিক্ষার ধান্দা যায় না, মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেওয়া হলেও যেকোনো দুর্যোগে এনজিওর লোকজনের মাথা থেকে ব্যবসার চিন্তা যায় না।.

এখানে কি কি মিথ্যা তথ্য আছে বলেন তো কেউ আমাকে
AB Zubair

12/06/2025

#এলার্মিং_পোস্ট
যমুনা টিভির ক্রাইম সিন নামক অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে ঢাকা চিটাগাং ট্রেন লাইন নিয়ে। গত কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আখাউড়া ভৈরব কিশোরগঞ্জ কসবা বি-বাড়িয়া হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত।

পুলিশ এই লাশগুলা বেশিরভাগ অজ্ঞাতপরিচয় আত্নহত্যা হিসেবে রেকর্ড করে।তারপর মর্গ হয়ে মাটিচাপা। হিন্দু মুসলিম ব্যাপার নাই, সব মাটিচাপা। ডোম মৃতব্যাক্তির জামাকাপড় রেলওয়ে ডোমঘরের সামনে ঝুলায়ে রাখে।

যদি বছর দুয়েকের ভিতর মা বাবা এসে জামাকাপড় দেখে সনাক্ত করতে পারে তাইলে কবর দেখিয়ে দেওয়া যাবে জামাকাপড় রোদে শুকায়ে বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা সুরত আস্ত থাকেনা।

এই লাশ গুলা বেশিরভাগই মার্ডার কেস। দশ বিশ পাঁচশ টাকা, পকেটে থাকা মোবাইল ফোন, এগুলা ছিনতাই করার জন্য মার্ডারগুলা করা হয়। বিশ টাকার জন্যও তারা মানুষ খুন করছে।

ছিনতাইয়ের নিয়মটা হচ্ছে ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মত থাকে, দুই পাশে দরজা, বাথরুম। রাতের ট্রেনে এসব যায়গায় সুবিধামত লোক পেলে ছিনতাইকারী চক্রের দুইজন পেছন থেকে আক্রমণ করে।

আক্রমণের নিয়ম হচ্ছে গামছাকে পেঁচিয়ে চিকন করা হয় প্রথমে।তারপর দুই মাথা দুইজন ধরে যাকে আক্রমণ করা হবে, তার গলায় পেছন থেকে এক প্যাঁচ দিয়ে দুপাশ থেকে হেছকা টান। ১৫ সেকেন্ডের ভিতরই ঐলোক মারা যাবে। না মরলেও তার জীবন ঐখানেই শেষ।

এরপর তার পকেট থেকে যা নেওয়ার নিয়ে পাশের দরজা দিয়ে ফেলে দিবে।রাতের ট্রেনে সবাই ঘুমায়। তাছাড়া ট্রেনের আওয়াজ থাকে। কেউ কিচ্ছু টের পাবেনা। পুরো কাজটা করতে সময় লাগে সর্বোচ্চ দেড় মিনিট।

এরা ধরা পড়ে, আবার জামিনে বের হয় আদালতের কাছে এভিডেন্স থাকেনা পর্যাপ্ত।এভিডেন্স না থাকলে বিচারও করা সম্ভব হয় না।

তাই সতর্ক থাকুন। নিউজটি সকলে শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।

-এসআই ইমরান
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন

[Collected]

এই পোস্ট টা দেখে মনে হলো সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মতো আমার ঘটনা টাও সবার সাথে শেয়ার করা উচিত।
ওয়েল, আমার সাথেও এই ঘটনা টিই ঘটেছিলো কিন্তু আমার ক্ষেত্রে স্থান ছিলো আলাদা। আমাকে ২০১২ সালের ২রা জানুয়ারি খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় ফেলে দিয়েছিলো ওই গামছা পার্টির হেরোইনখোড় গুলা।
পার্থক্য আমি এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর আসছিলাম ভার্সিটি থেকে তুরাগ ট্রেনে। তুরাগের এক বগি থেকে আরেক বগি তে যাওয়া যায় না (লোকাল ট্রেন) আর ওই বগি তে শুধু এরাই ছিলো।
ট্রেন ছাড়ার পরে আমার মনে হলো সামথিং ইজ রঙ কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে, ওরা চোখের পলকে আমার গলায় গামছার ফাঁস টা ঢুকিয়ে দিলো পিছন থেকে আর আমাকে টেনে সিট থেকে নিচে ফেলে দিলো। আমার এরপরের আর কিছুই মনে নেই, শুধু মনে আছে আমি গামছাবাঁধা গলায় গামছার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকানোর চেষ্টা করছি আর ওরা গালি গালাজ করছে।

আমার কাছ থেকে ওরা বেশি টাকা পায়নি, সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ছিলো ক্লাস করে বাসায় যাচ্ছি কিন্তু ব্যাগ টা বড় ছিলো আর ছিলো প্র‍্যাকটিক্যাল প্যাটার্ন ক্লাসের জিনিসে ঠাসা। মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে গেছিলো, মানিব্যাগ এ আইডি কার্ড ছিলো।
আর হ্যা, কাঙ্গালি গুলা কে আমার যেটা আকৃষ্ট করছিলো বলে আমার ধারণা সেটা হলো কাধে ঝুলানো থাকা কালো লম্বা গোল পেপার হোল্ডার।
যাই হোক এর পরে আমাকে কিছু পথচারী নিকটস্থ ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তারা আমাকে রাখতে অস্বীকৃতি জানায় বলে ইয়াং ছেলে এটা পুলিশ কেস। তাই তারা আমাকে টহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিলো কিছু সময় পরেই।
এই ঘটনার পর চারদিন আমার কোনো খোজখবর পাওয়া যায় নাই
হাসপাতাল গুলোর মর্গে, ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে, রেল স্টেশন এ, রেলের ডোমঘরে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমার বন্ধু বান্ধব, এলাকাবাসী, পরিবারের লোকজন আমাকে খোজেনি (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমার বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ে তে কর্মরত আছেন)। ঢামেকেই আমার আব্বুর কলীগরা আর আমার বন্ধু রা এসে খুজে গিয়েছিলো কিন্তু আমাকে পায়নি অথবা দেখলেও শনাক্ত করতে পারেনি। আমার ভার্সিটির বন্ধু বান্ধবরা আমাকে খুজতে এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেললাইন ধরে হেটেও এসেছিলো। ক্যান্টনমেন্ট ষ্টেশন এর কিছুটা সামনে অথবা পিছনে বন্ধুরা আমার ক্লাসের খাতা, নোট পত্র পরিত্যাক্ত হিসেবে পেলেও আমার কোনো খবর কেউ পাচ্ছিলো না।

পঞ্চম দিন দুপুর বেলা (৬ই জানুয়ারি) আমার মামা আমাকে ঢামেক এর ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের করিডরের লাস্ট বেডে খুজে পায়। আমাকে মামা দেখে চিনতে পারেনি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আমার মাথার স্কাল্প এ একটা বিরল অসুখ আছে যেটার কারণে ওই জায়গার চুল পরে গেছে এবং চামড়া শক্ত হয়ে গেছে ওইটা দেখে আমার মামা আমাকে শনাক্ত করেন।
আমাকে যখন পাওয়া যায় তখন আমার হাত বাধা ছিলো বেডের সাথে, কারণ জিজ্ঞেস করার পরে আমার পরিবার কে বলা হলো আমি যাতে উঠে চলে না যাই তার জন্য। আমার গায়ে আন্ডারওয়্যার ছাড়া ছিলো না আর কোনো কাপড়, সব ছিড়ে গেছিলো, রক্ত ধুলা বালি লেগে ছিলো তাই সিভিয়ার ইনফেকশন যাতে না হয় সে কারণে ওগুলো খুলে রেখেছিলো।

এই ছবিটা আমাকে খুঁজে পাওয়ার ২-৩ দিন পরের রাশমনো হাসপাতাল, মগবাজারে চিকিৎসা চলছে তখনকার।

যাই হোক সবাই সাবধানে রাতের ট্রেন এ চলাফেরা করবেন, লংজার্নি তে উপরের ঘটনাটা খুব ঘন ঘন হয় সুতরাং সিগারেট খেতে গেলেন বা যে কোন সময় একা দরজার কাছে গেলেন তখন চোখ কান খোলা রাখবেন। আর কখনোই বগি তে কম লোক থাকলে সেটায় উঠবেন না।

আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আমাকে আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন, আমিন।
কপি পেষ্ট

07/03/2025

নারীবাদীরা প্রকাশ্যে নু… বলতে পারবে, কিন্তু কোন পুরুষ প্রকাশ্যে দু… উচ্চারণ করলে তাকে হ্যারাসার বলবে। কিন্তু নারীবাদীরা যখন নু… শব্দযুক্ত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাড়ালো, তখন তাদেরকে কেউ হ্যারাসার বললো না !

অর্নব নামে যে ছেলেটা গতকালকে ঐ আচরণ করলো,
আমি বলবো- এর পুরো দোষ নারীবাদীদের।
এক হাতে তালি বাজে না।
নারীবাদীরা উস্কানি দেয়ায় সমাজে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে আগে উস্কানিদাতা নারীবাদ নিষিদ্ধ করতে হবে,
পুরুষকে হ্যারাসার বানিয়ে দমন করে লাভ নেই।

লক্ষ্য করবেন-
অর্নব নামক ছেলেটার কথায়, সবাই দু…. উচ্চারণটাই দেখছে।
কিন্তু তার আগে সে ঐ মেয়েটার একটা কথা উল্লেখ করছিলো-
‘মাই লাইফ মাই রুলস’- যা নারীবাদীদের প্রিয় শ্লোগান।
অর্থাৎ নারীবাদ দিয়েই কিন্তু অর্নবকে উস্কানি দেয়া হয়েছে।

এজন্য একটা কথা বলি সব সময়,
নারীবাদের রেডিক্যাল আচরণের প্রভাবে পুরুষবাদের উদ্ভব ঘটবে।
আর পুরুষবাদের বৃদ্ধি ঘটলে সমাজে নারী নির্যাতন বাড়বে।
এর জন্য উস্কানিদাতা হিসেবে নারীবাদীরাই দায়ী আগে।

তবে সমাজ একটা জিনিস ভুল করে।
নারীবাদীদের প্রচারণায়- নারী আর নারীবাদীকে গুলিয়ে ফেলে।
সে নারীবাদীদের পক্ষ হয়ে যায়, কিন্তু নারীর পক্ষ নিতে পারে না।
যে যদি সত্যিই নারীর পক্ষ নিতো, তবে নেকাব পরিহিতা ছাত্রীকে যখন হেনস্তা করা হচ্ছে, ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো।
চেহারা না দেখানোর কারণে যে পর্দানশীন নারী ১৬ বছর ধরে নাগরিকত্ব পাচ্ছে না, তার পক্ষে কথা বলতো । কিন্তু সেটা সে করছে না।

সে করছে-
-যখন নারীবাদী লতা সমাদ্দারের টিপ নিয়ে কথা বলছে পুলিশ সদস্য নাজমুল। নাজমুলের চাকুরী খেয়ে দিচ্ছে।
-যখন নর্থ সাউথের বয়ঃবৃদ্ধ শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নোমান ইব্রাহীম নবীর সময়কার টিপ নিয়ে ঘটনা বলছেন, ক্লাসে সেই ঘটনা শুনে এক নারীবাদী ছাত্রী মনে করছে তার টিপ নিয়ে বলা হচ্ছে। বয়ঃবৃদ্ধ শিক্ষকের চাকুরীচ্যুত খেয়ে দিচ্ছে।
-অর্নবের মত এক সামান্য চাকুরে সহকারী বাইন্ডার, সেও নারীবাদীকে নিয়ে কথা বলায় তার চাকুরী খেয়ে দেয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করে জেলে পুড়ছে।

মানে নারীবাদের বিপক্ষে বললেই তাকে সমাজ চরমভাবে নিগৃহ করছে।
এক্ষেত্রে যারা ভাবছেন, আপনি নারীর পক্ষে দাড়াচ্ছে, নিপীড়কের বিরেুদ্ধে দাড়াচ্ছেন,
বিষয়টি আসলে তেমন না।
আপনি দাড়াচ্ছেন মূলত নারীবাদীদের পক্ষে, নারীদের পক্ষে না।
আপনি যদি সত্যিই নারীদের পক্ষে দাড়াতেন,
তবে প্রকৃতপক্ষে যে সমস্ত নারী নির্যাতিত নিপীড়িত হচ্ছে,
তাদের পক্ষে দাড়াতেন, কোন বখাটে নারীবাদীকে কে বিড়ি খেতে বাধা দিলো,
কোন নারীবাদীর টিপ নিয়ে কে কথা বললো, সেটা নিয়ে প্রতিবাদ করতেন না।

হ্যা, আপনার নারীদের প্রতি সিমপ্যাথী আছে, নারীরা প্রিভিলেজ পাবে, সব ঠিক আছে।
কিন্তু নারীর সিমপ্যাথী আর প্রিভিলেজ তো নারীবাদীরা নিয়ে যাচ্ছে, প্রকৃত নারীরা তো পাচ্ছে না।

তবে একটা কথা মনে রাখবেন, সব ভুলের মাসুল দিতে হয়।
যারা আজকে নারীবাদীদের প্রিভিলেজ দিচ্ছেন,
তারা আসলে বানরকে ঘাড়ে তুলছেন।
বানর ঘাড়ে উঠে কী করবে, তা কিন্তু আপনি জানেন না।
এই নারীবাদীরা আপনার ঘরকে অতিষ্ট করে তুলবে।
এমন সব আজগুবি অধিকার চেয়ে বসবে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
যেমন-
তারা বিয়ের পর পরকীয়া করার অধিকার চাইবে।
মেরিটাল রেপ আইন চাইবে।
অভিযুক্ত পুরুষষের বিনাবিচারে পুরু*ষা*ঙ্গ ক*র্তন চাইবে।
এসব দাবীও এক সময় আপনাকেই পূরণ করতে হবে।
তাই নারীবাদীদের প্রিভিলেজ দেয়ার আগে চিন্তা করুন।

06/03/2025

গত সপ্তাহে আমার সহধর্মিণীকে কুয়ালালামপুর এয়াপোর্টে দিয়ে আসি বাংলাদেশে যাবেন বলে।
আমার অফিসের ছুটি কম তাই ক'দিন বাদে আমি যাবো।

এয়ারপোর্টের চেক-ইন কাউন্টারে দায়িত্বরত একজন ভদ্রলোক ছিলেন। বোর্ডিং পাস দেবার আগে তিনি একজন নারী সহকর্মীকে ডেকে পাসপোর্টটি তার হাতে দিয়ে বললেন পাসপোর্টের সাথে চেহারার মিল আছে কিনা চেক করতে। আর ভদ্রলোক নিজে অন্য দিকে ফিরে রইলেন।

তার নারী সহকর্মীও খুব বিনয়ের সাথে পর্দা মেইনটেইন করেই কাজটি অতি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করলেন।

এর দু'দিন আগেই তিনি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগের দিন সাধারণভাবে রিহার্সালে বলে দেয়া হয়েছিলো সার্টিফিকেট গ্রহণের পর চ্যান্সেলরের সাথে হেন্ডশেক করে বিদায় নিতে হবে।

সমাবর্তনে সার্টিফিকেট প্রদানের সময় লক্ষ্য করলাম চ্যান্সেলর, বৃটিশ ভদ্রলোক স্টেজে হিজাব-নিকাব পরিহিতা কারো সাথেই হেন্ডশেকের জন্য হাত বাড়াচ্ছেন না বরং দূর থেকেই হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। ব্যাপারটা খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিলো যে একজন চ্যান্সেলর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও সম্মান দিয়ে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন।

আজ শুনলাম বাংলাদেশের তথাকথিত অক্সফোর্ড খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক এক্সামে নাকি নারী শিক্ষার্থীর নিকাব অনাবৃত করে ফেস রিকগনিশন করতে চেয়েছে একজন পুরুষ শিক্ষক। আর নারী শিক্ষার্থী তাতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার খাতায় সাইন করেননি।

আরে মশাই, আপনি তো শিক্ষক। আপনার শিক্ষার্থী নিকাব অনাবৃত করতে আপনি কেন চাইবেন। আপনার তো উচিত ছিলো একজন নারী শিক্ষিকাকে ডেকে এনে তাকে দিয়ে আপনার দায়িত্বটি সেরে নেয়া।

Address

Kazipara

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DTV International posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to DTV International:

Share

Category

DTV International

সত্য যেখানে আমরা সেখানে।