22/05/2024
🙏 জয় নৃসিংহদেব 🙏
আগামী ২২ মে,২০২৪ইং রোজ বুধবার, নৃসিংহ চতুর্দশী (গোধূলী পর্যন্ত নির্জলা উপবাস)
গোধূলি পর্যন্ত নির্জলা উপবাস, অভিষেকের পরে অনুকল্প প্রসাদ পেতে পারেন এবং পরের দিন সকালে সূর্যোদয়ের পরে পারন করবেন।
নির্জলা উপবাস থাকতে না পারলে ফল,জল,সবজি প্রসাদ পেতে পারেন। তবে অবশ্যই নৃসিংহদেবকে প্রসাদ "পনকম্ " নিবেদন করুন। "পনকম্" হলো শীতল জল, তাল-মিছরি, লেবুর রস এবং আদা দিয়ে তৈরি একরকম পানীয় যা নৃসিংহদেবের অত্যন্ত প্রিয়।
🙏 শ্রীশ্রী নৃসিংহ চর্তুদশীর বিশেষ প্রতিবেদন 🙏
১০০০ টা ব্রত পালন করলে যে পূণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতুর্দশী কেউ ভক্তি ভরে করলে তার সেই পূণ্য হয় ।।
হিরণ্যকশিপুর কঠোর তপস্যা করে ব্রহ্মা তাকে দর্শন দেই ও তার কাছে বর চাইলেন, অমরত্ব বর। কিন্তু ব্রহ্মা বললেন হে হিরণ্যকশিপুর তুমি যে বর চেয়েছ সেটা অামি দিতে পারব না। কারণ অামি নিজেই অমরত্ব না, তাই তুমি এমন বর চাও যা অামি দিতে পারব ।।
তখন হিরণ্যকশিপুর চিন্তা করল অামি এমন বর চাইব যা অামাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, তখন হিরণ্যকশিপুর বর চাইতে লাগলেন যে,, হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা, অাপনি যদি অামার অভীষ্ট বরই দান করতে চান, তবে এই বর দেন যাতে অাপনার কোন সৃষ্টির কোনও প্রাণী বা পথে, ঘাটে,দিনের বেলা,রাতের বেলা, ঘরে, বাইরে, জল, ভূমি,বা অাকাশে, কোনও পশু,বা কোনও অস্ত্রের দ্বারা এসবের দ্বারা অামাকে বধ করতে না পারে,, বা ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই। ব্রহ্মা বলল তথাস্তু ।।
তারপর শুরু হল হিরণ্যকশিপুরের অত্যাচার দেবতাদের ওপর। তখন ভগবানের লীলা শুরু হল তার শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে প্রহল্লাদ মহারাজ। তাই ভগবানের ভক্ত অাবির্ভূত হয়ে প্রহল্লাদ মহারাজ বিষ্ণুদেবের অারাধনা করছিল, তখন তার পিতা তাকে বলত লাগে তোমার ভগবান, কে??
সে বলত অামার ভগবান বিষ্ণুদেব, তখন হিরণ্যকশিপুর ক্ষীপত হয়ে বলতে লাগল যে অামি তোমার জন্মদাতা পিতা তাই অামি তোমার ভগবান,, কিন্তু প্রহল্লাদ বলল না তুমি অামার ভগবান না, অামার ভগবান বিষ্ণুদেব তিনি জগতপালক শ্রীহরি তিনি জগতের পিতা ও বিধাতা তুমি, ত কেবল অামার এই জড়জগতের পিতা, অার বিষ্ণুদেব অামার নিত্য পিতা ।।
তখন হিরণ্যকশিপুর তার ছেলেকে পাহাড় থেকে ফেলে দেই, হাতির পায়ের নিচে দেই, জলন্ত অগ্নিতে নিহ্মেপ করে অার প্রহল্লাদ শুধু তার প্রভু বিষ্ণুদেবকে শরণ করতে থাকে ।।
কথায় অাছে না,(যে মারে কৃষ্ণ রাখেকে, রাখে কৃষ্ণ মারেকে) ভগবান যদি চাই তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে হত্যা করতে পারবে?? না। তাই যখন কোন কিছুর দ্বারা সম্ভব হল না তখন প্রহল্লাদকে কারাগারে নিহ্মেপ করল শিকল দিয়ে বেধে রাখল অার মারতে লাগল অার প্রহল্লাদ শুধু শ্রীহরিকে ডাকতে লাগল ।।
তখন হিরণ্যকশিপুর এসে বলল অাজ তকে কে বাচাই দেখী তর ভগবান কোথায়,, তখন বৈকুণ্ঠধামে মা লহ্মীদেবী বলল হে প্রভু এখন কি হবে প্রহল্লাদকে কে রহ্মা করবে হিরণ্যকশিপুর, ত অমরত্ব মত বর লাভ করেছে তাকে কে হত্যা করবে?
তোমার ভক্তকে রহ্মা করবে কে?, তখন ভগবান বলেন যে অমরত্ব মত বর পেয়েছে কিন্তু অমর না অার প্রহল্লাদকে রহ্মা করবে তার ভক্তি, তার ভক্তি তাকে হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে রহ্মা করবে,,তখন হিরণ্যকশিপুর বলল তর ভগবান কি এখানে অাছে প্রহল্লাদ বলল হা অামার প্রভু সর্বতই বিরাজমান এখানেও অাছে, এই বলে হিরণ্যকশিপুর সে ঘরের চৌকাঠে পিলারে অাঘাত করতে লাগে ।।
তখন হঠাৎ সে স্তম্ভ থেকে বের হয়ে অাসে ভক্তের ভগবান শ্রীহরি ভগবান বিষ্ণুদেব তখন হিরণ্যকশিপুর বর অনুসারে তাকে বধ করতে লাগলেন,, যে ঘরেও না বাইরেও না ঘরের চৌকাঠে কোন নর না পশুও না কিন্তু অর্ধেক পশু ও মানুষ নরসিংহ, কোন অস্ত্রের দ্বারা না, কিন্তু নখের দ্বারা বধ করা হয়েছে, সকালে না রাতেও না, কিন্তু গোধূলি লগ্নে অর্ধেক দিনও রাত মানে সন্ধায়, জলেও না মাটিতে না অাকাশেও না ।।
কিন্তু হাটুতে রেখে নখের দ্বারা বধ করে তাহলে চিন্তা করে দেখেন প্রভুর লীলা জগতেকে বোঝতে পারে যে ভক্তের ডাকে ভগবান তার ভক্তকে যেকোন উপায়ে রহ্মা করে এমন কি ভগবানের এই রুপ দেখে দেবতারা ও ব্রহ্মাণ্ড কেপে ওঠে এ কি রুপ হঠাৎ এই রুপের অাবির্ভাব কেউ বোঝতে পারেনি ।।
ভগবানের এই রুপকে দেবতারাও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেনি তখন দেবতারা বলল একমাত্র একজন পারে সে তার ভক্ত প্রহল্লাদ তখন প্রহল্লাদ প্রভুর কাছে স্তব, প্রার্থনা করতে লাগে তখন প্রভু ভক্তের প্রার্থনাই শান্ত হয় ও তাকে কোলে তোলে নেই ও প্রভু বলে হে ভক্ত প্রহল্লাদ অামি তোমাকে দর্শন দিয়েছি এখন তুমি কি বর চাও প্রার্থনা কর অামার কাছে অামি তোমাকে বর দেব ।।
তখন ভক্ত কি অার কিছু চাওয়ার অাছে যে জগতের প্রভু তার সামনে তবুও ভগবান বলল তুমি একটা বর চাও যেহুতো অামি তোমার সামনে প্রকট হয়েছি তখন ভক্ত প্রহল্লাদ বলতে লাগল প্রভু তুমি অামার পিতাকে মুক্তি দাও যেহুতো তিনি অামার জড়জগতে পিতা ।।
তখন ভগবান বলল হে ভক্ত প্রহল্লাদ তথাস্তু কিন্তু তোমার শুধু এই পিতা মুক্তি লাভ করবে না যে গৃহে তোমার মত শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্ত হবে তার, ২১/কোল অাপনা থেকে উদ্ধার হবে, পিতৃকুল ১০/কোল,মাতৃকুল ১০/কোল, ও নিজের এক কোল মুক্তি লাভ করবে ।।হরিবল।।
এই নৃসিংহ ব্রত যে পালন করবে, তার জন্ম-মৃত্যুময় সংসারে থেকে রহ্মা পাবে, অার যিনি ব্রতদিন ব্রত লঙ্ঘন করে,চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন নরক যাতনা ভোগ করবে। অামার এই ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্তপুত্র লাভ করে, দরিদ্র ধনশালী হয়,তেজস্কামী তেজঃলাভ করে, রাজ্যকামী রাজ্য পায়, অায়ুষ্কামী দীর্ঘায়ু পাই। ভক্তিতে বিশ্বাস এই মাত্র চাই সংসার যোনিতে নাহি কোন অার বস্তু তাহার উপর ।।
(ফেসবুক পেজ. 🙏
ভক্তদের অবগতির জন্য শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব ও প্রণাম মন্ত্র নিচে প্রদত্ত হলো---
স্তবঃ-
জয় নৃসিংহ শ্রীনৃসিংহ।
জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ।।
উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং
জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণম ভদ্রং
মৃত্যুর্মৃত্যুং নমাম্যহম্।।
শ্রীনৃসিংহ, জয় নৃসিংহ, জয় জয় নৃসিং।
প্রহ্লাদেশ জয় পদ্মমুখ পদ্মভৃঙ্গ ।।
প্রণাম মন্ত্রঃ
নমস্তে নরসিংহায় প্রহ্লাদাহ্লাদ দায়িনে।
হিরণ্যকশিপো র্বক্ষঃ শিখাটঙ্ক নখালয়ে।।
ইতো নৃসিংহঃ পরতো নৃসিংহ
যতো যতো যামি ততো নৃসিংহো।
বহির্নৃসিংহো হৃদয়ে নৃসিংহো
নৃসিংহমাদিং শরণং প্রপদ্যে।।
তব কর কমলবরে নখমদ্ভূতশৃঙ্গম্
দলিতহিরণ্যকশিপু তনুভৃঙ্গম।
কেশব ধৃত-নরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে।।
🙏🙏🙏
ভগবান শ্রীনৃসিংহ দেবের অষ্টোত্তরশত নাম
যে যত বার পারেন পাঠ করুণ হরে কৃষ্ণ..
🙏🙏🙏
"শ্রীনৃসিংহ অষ্টোত্তরশত নাম"
১.ওঁ নরসিংহায় নমঃ
২.ওঁ মহাসিংহায় নমঃ
৩.ওঁ দিব্যসিংহায় নমঃ
৪.ওঁ মহাবলায় নমঃ
৫.ওঁ উগ্রসিংহ্যায় নমঃ
৬.ওঁ মহাদেবায় নমঃ
৭.ওঁ স্তম্ভজায় নমঃ
৮.ওঁ উগ্রলোচনায় নমঃ
৯.ওঁ রৌদ্রায় নমঃ
১০.ওঁ সর্বাদ্ভুতায় নমঃ
১১.ওঁ শ্রীমতে নমঃ
১২.ওঁ যোগানন্দায় নমঃ
১৩.ওঁ ত্রিবিক্রমায় নমঃ
১৪.ওঁ হরয়ে নমঃ
১৫.ওঁ কোলাহলায় নমঃ
১৬.ওঁ চক্রিনে নমঃ
১৭.ওঁ বিজয়ায় নমঃ
১৮.ওঁ জয়বর্ধনায় নমঃ
১৯.ওঁ মহানন্দায় নমঃ
২০.ওঁ পঞ্চকাননায় নমঃ
২১.ওঁ পরব্রহ্মণে নমঃ
২২.ওঁ অঘোরায় নমঃ
২৩.ওঁ ঘোরবিক্রমায় নমঃ
২৪.ওঁ জ্বলন্মুখায় নমঃ
২৫.ওঁ মহোজ্বলায় নমঃ
২৬.ওঁ জ্বলমালিনে নমঃ
২৭.ওঁ মহাপ্রভবে নমঃ
২৮.ওঁ নীতলাক্ষায় নমঃ
২৯.ওঁ সহস্রাক্ষায় নমঃ
৩০.ওঁ দুর্নিরীক্ষায় নমঃ
৩১.ওঁ প্রতাপনায় নমঃ
৩২.ওঁ মহাদংষ্ট্রায়ুধায় নমঃ
৩৩.ওঁ প্রজ্ঞায় নমঃ
৩৪.ওঁ চন্ডকোপিনে নমঃ
৩৫.ওঁ সদাশিবায় নমঃ
৩৬.ওঁ হিরণ্যকশিপুধ্বংসিনে নমঃ
৩৭.ওঁ দৈত্যদানবভঞ্জনায় নমঃ
৩৮.ওঁ গুণভদ্রায় নমঃ
৩৯.ওঁ মহাভদ্রায় নমঃ
৪০.ওঁ বলভদ্রায় নমঃ
৪১.ওঁ করালায় নমঃ
৪২.ওঁ বিকরালায় নমঃ
৪৩.ওঁ বিকর্তে নমঃ
৪৪.ওঁ সর্বকর্তৃকায় নমঃ
৪৫.ওঁ শিশুমারায় নমঃ
৪৬.ওঁ ত্রিলোকাত্মনে নমঃ
৪৭.ওঁ ঈশায় নমঃ
৪৮.ওঁ সর্বেশ্বরায় নমঃ
৪৯.ওঁ বিভবে নমঃ
৫০.ওঁ ভৈরবডম্বরায় নমঃ
৫১.ওঁ দিব্যায় নমঃ
৫২.ওঁ অচ্যুতায় নমঃ
৫৩.ওঁ মাধবায় নমঃ
৫৪.ওঁ অধোক্ষজায় নমঃ
৫৫.ওঁ অক্ষরায় নমঃ
৫৬.ওঁ সর্বায় নমঃ
৫৭.ওঁ বনমালিনে নমঃ
৫৮.ওঁ বরপ্রদায় নমঃ
৫৯.ওঁ বিশ্বম্ভরায় নমঃ
৬০.ওঁ অদ্ভুতায় নমঃ
৬১.ওঁ ভব্যায় নমঃ
৬২.ওঁ পুরুষোত্তমায় নমঃ
৬৩.ওঁ অনঘাস্ত্রনম নমঃ
৬৪.ওঁ নখাস্ত্রনম নমঃ
৬৫.ওঁ সূর্যজ্যোতিষে নমঃ
৬৬.ওঁ সুরেশ্বরায় নমঃ
৬৭.ওঁ সহস্রবাহবে নমঃ
৬৮.ওঁ সর্বজ্ঞায় নমঃ
৬৯.ওঁ সর্বসিন্ধিপ্রদায়কায় নমঃ
৭০.ওঁ বজ্রদংষ্টায় নমঃ
৭১.ওঁ বজ্রনখায় নমঃ
৭২.ওঁ পরন্তপায় নমঃ
৭৪.ওঁ সর্বমন্ত্রৈকরূপায় নমঃ
৭৫.ওঁ সর্বযন্ত্রাত্মকায় নমঃ
৭৬.ওঁ সর্বযন্ত্রবিদারকায় নমঃ
৭৭.ওঁ অব্যক্তায় নমঃ
৭৮.ওঁ সুব্যক্তায় নমঃ
৭৯.ওঁ ভক্তবৎসলায় নমঃ
৮০.ওঁ বৈশাখশুক্লোদ্ভুত্যায় নমঃ
৮১.ওঁ শরণাগত বৎসলায় নমঃ
৮২.ওঁ উদারকীর্তয়ে নমঃ
৮৩.ওঁ পূন্যাত্মনে নমঃ
৮৪.ওঁ মহাত্মনে নমঃ
৮৫.ওঁ চন্ডবিক্রমায় নমঃ
৮৬.ওঁ বেদত্রয় প্রপূজ্যায় নমঃ
৮৭.ওঁ ভগবতে নমঃ
৮৮.ওঁ পরমেশ্বরায় নমঃ
৮৯.ওঁ শ্রীবৎসাঙ্কায় নমঃ
৯০.ওঁ শ্রীনিবাসায় নমঃ
৯১.ওঁ জগদ্ ব্যাপিনে নমঃ
৯২.ওঁ জগন্মায় নমঃ
৯৩.ওঁ জগতপালায় নমঃ
৯৪.ওঁ জগন্নাাথায় নমঃ
৯৫.ওঁ মহাকায়ায় নমঃ
৯৬.ওঁ দ্বিরূপভৃতে নমঃ
৯৭.ওঁ পরমাত্মনে নমঃ
৯৮.ওঁ পরংজ্যোতিষে নমঃ
৯৯.ওঁ নির্গুনায় নমঃ
১০০.ওঁ নৃকেশরীনে নমঃ
১০১.ওঁ পরমাত্মনে নমঃ
১০২.ওঁ পরতত্ত্বায় নমঃ
১০৩.ওঁ পরমধান্মে নমঃ
১০৪.ওঁ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহায় নমঃ
১০৫.ওঁ সর্বাত্মনে নমঃ
১০৬.ওঁ ধীরায় নমঃ
১০৭.ওঁ প্রহ্লাদপালকায় নমঃ
১০৮.ওঁ লক্ষ্মীনৃসিংহায় নমঃ
🙏🙏🙏
যদি কেউ এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের কাছে অনুরোধ করবো, কৃপা করে পোস্টটি শেয়ার করবেন, যাতে আরও অনেকেই পড়তে ও জানতে পারেন ।