04/05/2025
বহুমুখী শিক্ষা কী?✍️🧠
বনের কতিপয় জন্তু একটি স্কুল খুলতে মনস্থ করল। স্কুলে ছাত্র হিসেবে এলো একটি পাখি, একটি কাঠবেড়ালি, একটি কুকুর, একটি খরগোস এবং একটি মানসিক প্রতিবন্ধী বানমাছ। স্কুলের পরিচালকবর্গ ঠিক করল যে স্কুলের শিক্ষাসূচি হবে বহুমুখী এবং সব ছাত্রকেই সব বিষয় নিতে হবে। শিক্ষাসূচীর মধ্যে ছিল আকাশে ওড়া, গাছে চড়া, সাতার কাটা, মাটি খোড়া ইত্যাদি। সব ছাত্রকেই সব বিষয় নিতে হবে।
পাখি ভালো উড়তে পারে বলে ওড়াতে সে প্রথম; কিন্তু মাটি খুঁড়তে গিয়ে তার ঠোঁট গেল ভেঙে, ডানা গেল মুচড়ে। ফলে ওড়াতেও তার দক্ষতা কমে গেল। সব মিলিয়ে সে পেল তৃতীয় শ্রেণি। কাঠবেড়ালি গাছে চড়াতে সব সময়েই প্রথম, কিন্তু সাঁতারে ফেল। কুকুর স্কুলে ভর্তি হলো না স্কুলের জন্য চাঁদাও দিল না। উল্টো 'ঘেউ ঘেউ করা' কে পাঠ্যতালিকায় স্থান দেওয়ার দাবিতে পরিচালক মণ্ডলীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করল। মাটি খোঁড়াতে খরগোস প্রথম, কিন্তু গাছে চড়া তার কাছে সমস্যা। কয়েকবার চড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার ফলে সে মাটি খোড়াও ভালো করে করতে পারছিল না। ফলে সব মিলে সে পেল তৃতীয় শ্রেণি। এদিকে মানসিক প্রতিবন্ধী বানমাছ সব বিষয়েই মাঝারি। ফলে সব বিষয় মিলিয়ে সেই হলো প্রথম। পরিচালক মণ্ডলী খুশি কারণ একটি বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় প্রত্যেক ছাত্র ব্যাপক বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা পেয়েছে। কিন্তু বহুমুখী শিক্ষার প্রকৃত অর্থ হলো ছাত্রদের যে যে বিষয়ে দক্ষতা আছে এবং স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করার প্রবণতা আছে তাকে ক্ষুন্ন না করে সেই বিষয়ের দক্ষতাকে আরও উন্নত করে জীবন, সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করা।