Mo Mo মেয়েদের রূপে হাবুডুবু খাই,আমরা মানুষ নাকি ভাই!

৭৬ এর মন্বন্তর এর কথা এত দিন শুনেছি, শুনেছি অনেক বড় দূর্ভিক্ষ হয়েছিল, অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল, ব্যাস এতটুকুই। অনুভব করত...
06/01/2025

৭৬ এর মন্বন্তর এর কথা এত দিন শুনেছি, শুনেছি অনেক বড় দূর্ভিক্ষ হয়েছিল, অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল, ব্যাস এতটুকুই। অনুভব করতে পারিনি কখনো।

বঙ্কিমচন্দ্রের সাথে যখন ১১৭৬ সালের (বাংলা ১১৭৬, ইংরাজি ১৭৭০) বাংলায় ফিরে তাকালাম, এ আমি কি দেখলাম?

আজ আনন্দমঠ পড়তে গিয়ে বারবার থমকে গেছি,

কি বিভৎস সে দৃশ্য।

৩ কোটি মানুষের মধ্যে ১ কোটি মানুষের মৃত্যু।

চোখের সামনে না খেতে পেয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা খুধার যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা গেলেন, মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে গেছে, অভুক্ত নবজাতকের কান্না করার শক্তি এক সময় ফুরিয়ে গেছে, নিস্পাপ অবুঝ শিশুটি একসময় নিস্তব্ধ হয়ে যায়। তাকে বুকে জড়িয়ে মা নিজের মুখে তুলে নেন বিষের ধারা। বাবা ঝুলছেন গাছে গলায় ফাঁস নিয়ে।

জমিদারেরা তখনো রাজস্ব আদায় করতে ছাড়েননি, বুঝে নিয়েছেন কড়ায় গন্ডায়।

রাজপথে লোক নেই, গাছে পাখি নেই, গোয়ালে গরু নেই, কেবল শেয়াল আর কুকুর। ছিড়ে খাচ্ছে মড়া মানুষের দেহ।

22/12/2024

একটা প্রচলিত মারমা খনার বচন, "তেংছবো-নেঃত মামাঃ লব কও-হ্ল"।এর মানে দাঁড়ায় কার্তিক - অগ্রহায়ণ মাস মিলে হেমন্তকাল। এই সময়ে প্রায়ই সবার ধান কাটা শেষ। তবে কাটা শেষেও আরো অনেক কিছু করার থাকে।যেমন: শুকানো, মাড়ানো। তবে যে মহিলারা উক্ত কাজে অবহেলিত। তারা পরে পস্তায়। কারণ এই সময়ে টানা বৃষ্টি নামতে পারে।বৃষ্টি হলেত শুকানো আর যায় না।তখন ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ধান শুকাতে হয়।সেই কথা ধরেই এই বচন শুরু।
কিন্তু বর্তমানে সেই যুগ আর নেই।আপনার কাছে ধান নাই তো কি হয়েছে,টাকা থাকলেই হলো,অর্ডার করবেন, ঘরে চাউলের বস্তা উডে চলে আসবে। ধান শুকাতে পারেন নাই, টানাবৃষ্টি।কোনো সমস্যা নাই।চালের গুদাম আছে।সো,নো প্যারা।এই বর্তমান যুগও আর বর্তমান থাকবে না।অতীত হয়ে যাবে ।ভবিষ্যতের যুগে পা রাখবে মানুষ।
কাল পাল্টাবে। তবে খনার বচন না। অমলিন থাকুক এমন খনার বচন কালের সাক্ষী হয়ে।

05/12/2024

পোলাপাইনেরা নকল না করলে কি করবে বলেন?😮‍💨
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণির কথা বলি।সারাবছর শুধু এসাইনমেন্ট দিতে দেখলাম।ভালো আচরণ দেখাতে পারলেও নাম্বার পাওয়া যাবে।এই বক্তব্যও শুনেছিলাম।অথচ শেষের দিকে এসে,অক্টোবর মাসে, ওদের হাতে একটা মোটা পেইজের গাইড ওভার হ্যান্ড করা হলো।বইয়ের নাম"শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি"। ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা চলছে।তার মানে সময় পেয়েছে ৫০ দিনের মতন। যেখানে একজন ছেলে প্রোপারলি বইটি ক্লিয়ার করে এক বছরের সময় নিয়ে। সেখানে মাত্র দেড় মাস।বিষয়টা হাস্যকর না!তার উপর ইংরেজিতে বেশিরভাগ স্টুডেন্ট দুর্বল। বিশেষ করে Tense এ।vocabulary দুর্বল। গণিতে কাঁচা। সূত্র মনে রাখে না।গাইড দেওয়ার মতন লোক কম।পরিবারের অসচেতনতা। নিজেও বুঝে না,টিউশনও নাই।
এইরকম প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার যুদ্ধে যাওয়া এক প্রকার হেরে যাওয়া।তবে মানুষত সহজে হারতে চাই না।তাই সে নকল করে।নকলের মাধ্যমে হলেও তাকে পাশ করতে হবে।কারণ আমাদের দেশে পাশ হলেই চলে।মেধার দরকার নেই।

তারুণ্যের তরুণ শক্তি বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছে। এগিয়ে যাক আগামীর বাংলাদেশ।ছিনিয়ে আনুক অসংখ্য বিজয়।
30/10/2024

তারুণ্যের তরুণ শক্তি বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছে। এগিয়ে যাক আগামীর বাংলাদেশ।ছিনিয়ে আনুক অসংখ্য বিজয়।

কোদালে জীবন (পর্ব ১) যার জীবনটা কোদালের,সে-ও একজন মানুষ। আর মানুষ ত মানুষ। যার কোনো তফাৎ নেই।তবে আছে!"মানুষ" আর "অমানুষ"...
30/10/2024

কোদালে জীবন (পর্ব ১)
যার জীবনটা কোদালের,সে-ও একজন মানুষ। আর মানুষ ত মানুষ। যার কোনো তফাৎ নেই।তবে আছে!"মানুষ" আর "অমানুষ"।এই দুটো শব্দের মধ্যে পার্থক্যটা শুধুমাত্র " অ"। কিন্তু বাস্তবের পার্থক্যটা স্বর্গ থেকে জাহান্নাম।
আজ রবিবার। মেমাচিং অপেক্ষা করছে।কিন্তু গাড়ির যে আসার নামমাত্র নেই।তার আজকে ফাইনাল পরীক্ষা। হঠাৎ একটা ফোনকল এলো তার বাবার কাছ থেকে।
হাঁ, বাবা।বলো।
কিরে ভালো আছিস ত মা?
হ্যাঁ,ভালো। কিন্তু এই সময়ে ফোন কেন? আমাকে যে তাড়াতাড়ি ভার্সিটিতে পৌঁছতে হবে।দেরি করলে চলবে না।বাবা ফোনটা কেটে দিলো। জানিনা, কি বলতে চেয়েছিলো।
মেমাচিং এর বাবা খুব গরীব।নুন আনতে পান্তা ফুরায়। অথচ তার মেয়ে পাবলিক ভার্সিটিতে।কিন্তু অনেকের অঢেল টাকা আছে,তবে ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাই। বাস্তব রূপ নেয় না।এইসব টাকা-পয়সাওয়ালা ছেলে-মেয়েরা মেমাচিং-কে দেখলে কী যে ভাববে,সেটা একমাত্র তারাই জানে।মানুষের প্রকৃতিই হচ্ছে অস্বয়ংসম্পূর্ণ। কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।যার বেশি টাকা আছে তার বড় দুঃখ, যার টাকা কম তার ছোট দুঃখ। দুঃখকে নিয়েই আমাদের সংসার।
সকাল নয়টা।পরিবেশটা গ্রামের।তবে ঘুমটা ভাঙে যান্ত্রিকের শব্দে।বুঝতে হবে, দিস ইজ মডার্ন এইজ।গাড়ির শব্দে ঘুম না ভাঙলে কী,পাখির শব্দে ঘুম ভাঙবে। সবকিছু আধুনিক হতে হবে তো।এলার্মের ডাকে ঘুম ভাঙে মং-এর।মং আর মেমাচিং সম্পর্কে আপন ভাই-বোন।তবে তার বোন থাকে শহরে। মং সবেমাত্র অনার্স প্রথম বছরে।মং রেডি হয়ে কলেজে গেলো।কিন্তু মাঝ রাস্তায় তার বাবার ফোন কলে তাকে বাড়ি ফিরতে হলো।বাসায় এসে বাপ-বেটার আলাপন শুরু হল।
বাবারে!আজ আমি মনে হয় কাজে যেতে পারবো না।আমার অগ্রিম টাকা নেওয়া আছে।তোকে আমার বদলে কাজটা করতে হবে।এমনিতে আমার হাঁপানি শ্বাসকষ্টও আছে।
কতদিন কাজ করতে হবে?বেশি নারে! মাত্র তিন দিন।কী!তিন দিন? কিন্তু বাবা,সামনে যে আমার ইন- কোর্সের পরীক্ষা।
আমাদের সামনে কিন্তু এইরকম হাজারো রকমের পরিস্থিতি আসবে।তবে সামলে যেতে হবে।যদি না-ই বা যেতে পারি মানুষ হলাম কেন তবে। মং কে কাজ করতে হলো। সে বই-পুস্তক বাসায় রেখে কোদাল নিয়ে বের হয়ে গেলো।
এ্যাই মং,এ্যাই।কোথায় যাও?
আসলাম তোমাদের বাড়িতে। কেন?
কেন আবার? কাজ করতে।তোমার বাবার কাছ থেকে আমার বাবা কাজের টাকা অগ্রিম নিয়েছে।কিন্তু তিনি অসুস্থ। কাজে আসতে পারবেন না।তাই আমিই কাজের মাধ্যমে শোধ করতে এসেছি।
বাহ!বাহ! তুমি ত সারাদিন কবিতায় লিখো, কাজ ত করো না।আজ দেখি, ভূতের মুখে রামের নাম করতে এসেছো।করতে পারবে তো? এই বলে,উস্যাং খিলখিল করে হেসে উঠলো।
অপমান করছো?না, না।অপমান করবো কেন।প্রশংসা করছি।আবারো সেই একই তরঙ্গের হাসি।
তবে হাসিটা আমাকে অপমান করার বদলে একটা নতুন আশা আমার উপর দিয়ে বয়ে দিলো। মন নেচে উঠল।আমি সেই হাসিটা অপলক দৃষ্টিতে দর্শন করতে লাগলাম। ভাবলাম,তাকে চিরদিন আমার কাছে পাবো কি-না। হঠাৎ হাসিটা থেমে গেলো। ও লজ্জা পেয়েছিলো।
ইশ!এমনভাবে কেউ তাকায়? লজ্জা করে না বুঝি।
কিন্তু ও জানে না,এই তাকানো মানে দৃষ্টি-তাকানো না - এই তাকানো মানে অবিরামভাবে নানা রং-বেরংং আর তুলি দিয়ে ওর মনে হাজারো ছবি আঁকা। যে ছবির কোনো বাস্তব-চিত্রণ নেই। নেই কোনো আকৃতি।
আচ্ছা, তোমার বাবা কোথায়? ওনি বাজারে গেছেন।কাজের দেখাশোনার দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছেন।
অহ!ভালোই হলো।
কি ভালো হলো?
কাজটা আস্তে আস্তে করার।না,না।আজকে আমি মালিক। সো,নো ফাঁকিবাজি। যান শুরু করেন।মাটি কোপানো। এরপর অন্য কাজ। তবে কথাটা শুধুমাত্র মুখেই বলা। অন্তর দিয়ে নই। অন্তরে যে সেটার ভার অনেক। সহ্য করার মতন না। তাই নিরবে সে অশ্রুবর্ষণ করে গাছের ছায়াতলে।আর দুপুরের খাঁ-খাঁ তীব্র রোদে মাটি কুপায় এক গর্ব-প্রেমিক।

দুর্বল সেতুর উপর ভারি যানবাহন নিষিদ্ধ করা হউক,মহামান্য আদালত।
30/10/2024

দুর্বল সেতুর উপর ভারি যানবাহন নিষিদ্ধ করা হউক,মহামান্য আদালত।

22/10/2024
রমণীর রূপ ধর্ষণ করে ( কবিতা) জ্ঞান গ্রাস করে মস্তিষ্কেকে,আলো গ্রাস করে অন্ধকারকে;মাতাল করে মদকে,ধর্ষক করে যৌনতাকে;অর্থ গ...
22/10/2024

রমণীর রূপ ধর্ষণ করে ( কবিতা)
জ্ঞান গ্রাস করে মস্তিষ্কেকে,
আলো গ্রাস করে অন্ধকারকে;
মাতাল করে মদকে,
ধর্ষক করে যৌনতাকে;
অর্থ গ্রাস করে বুদ্ধিকে,
ধনবান গরীবকে;
রমণীর রূপ ধর্ষণ করে পুরুষকে
একশ টাকায় এক রাত,নারীকে।
ধর্ম গ্রাস করে আমাদের নীতিকে,
নীতি গ্রাস করে আমাদের চাঞ্চল্যেকে
পশ্চিম আকাশ, সূর্যকে।
চাঁদের বৃড়ি,চাঁদকে।
দিনকে রাত,রাতকে দিন;
তাহলে গ্রাসকে গ্রাস করে কে?
লেখক : মংমং

22/10/2024

রমণীর রূপ ধর্ষণ করে পুরুষের চিত্তকে কিন্তু পতিতালয়ে পাওয়া যাবে এমন অসংখ্য রূপকে।

পাহাড়ি মেয়ে বলছিকতটুকু করার পরে তোমাদের বাসনা থামবে;আমার এই মাংস-টুকু খেয়ে কি তোমদের পেট ভরবে?আমার মত কত নারী গেল নষ্ট হ...
18/10/2024

পাহাড়ি মেয়ে বলছি
কতটুকু করার পরে তোমাদের বাসনা থামবে;
আমার এই মাংস-টুকু খেয়ে কি তোমদের পেট ভরবে?
আমার মত কত নারী গেল নষ্ট হয়ে;
তোমাদের পুরুষাঙ্গ ধরে,ছিড়ে ফেলতে চেয়েছিলাম,করিনি ভয়ে।
কত মেয়ে ধর্ষণ করলি,বিচার করেছে কে?
আমি পাহাড়ি মেয়ে বলছি,আমাকে আর ধর্ষণ করিস নে।
লেখক : মংমং

বিজ্ঞান ছুটছে তারা আকাশ ভরা।আমার নাম বল্টু ন্যাড়া।দেখছি আমি রকেট উড়া।স্যাটেলাইটে আকাশ ভরা।বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করা,নতুন ক...
18/10/2024

বিজ্ঞান
ছুটছে তারা আকাশ ভরা।
আমার নাম বল্টু ন্যাড়া।
দেখছি আমি রকেট উড়া।
স্যাটেলাইটে আকাশ ভরা।
বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করা,
নতুন কিছু আবিষ্কার করা।
লেখক: মংমং

17/10/2024

২০২৪ এর প্রবারণা নুন ছাড়া তরকারি।

Address

Khagrachari

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mo Mo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other Khagrachari media companies

Show All