20/06/2024
চ্যাট জিপিটিকে প্রশ্ন করেছিলাম-
প্রশ্ন ছিলো এমন “ আচ্ছা আমাদের সন্তানরা এখন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করছে। কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টের যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে। তাতে কি ভবিষ্যতে তারা সমস্যায় পড়বে না? আমি বুঝাতে চাচ্ছি, তারা এখন যে বিষয়ে স্কিলড হচ্ছে। ২০ বছর পর তা তাদের কোন কাজেই নালাগতে পড়ে। কারণ চ্যাট জিপিটি তো প্রতিনিয়ত তাদের বিষ্ময় দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
উত্তরগুলো একটু লক্ষ্য করুন- এবং ৬ নং উত্তটি প্রতিটি অভিভাবকের খুব ভাবা উচিত।
১. সমন্বিত শিক্ষা
শুধু সমসাময়িক বিষয় নয়, শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের শুধু নির্দিষ্ট বিষয়ের দক্ষতা অর্জনের বদলে ক্রিটিক্যাল থিংকিং, ক্রিয়েটিভিটি, এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা শেখানো গুরুত্বপূর্ণ। এসব গুণাবলী ভবিষ্যতে যে কোনো পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাদের উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করবে।
২. জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান যুগে জ্ঞান এবং প্রযুক্তি এত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে যে কেবলমাত্র একবার শিক্ষা গ্রহণ করে সারা জীবন কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আজীবন শিক্ষার মানসিকতা গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে নতুন স্কিল ও জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
৩. প্রযুক্তি গ্রহণ এবং মানবিক দক্ষতার সংমিশ্রণ
এআই এবং অন্যান্য প্রযুক্তি অনেক কাজকে সহজ এবং দ্রুত করতে পারলেও, সৃজনশীলতা, সহানুভূতি, এবং নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো মানবিক গুণাবলীর বিকল্প নেই। তাই শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহার করার পাশাপাশি এসব মানবিক দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
৪. কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তন
প্রযুক্তির কারণে কিছু চাকরি বিলুপ্ত হতে পারে, কিন্তু নতুন ধরনের চাকরির সৃষ্টি হবে। আমাদের প্রয়োজন নতুন চাকরি ও কাজের ধরন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া।
৫. প্রযুক্তির নৈতিক দিক
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এর নৈতিক দিক নিয়েও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদেরকে এআই এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা উচিত যাতে তারা এর সঠিক ব্যবহার করতে পারে।
৬. পুনঃস্কিলিং এবং আপস্কিলিং
বর্তমান কর্মজীবীরা যাতে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সেজন্য পুনঃস্কিলিং এবং আপস্কিলিং গুরুত্বপূর্ণ। সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানিগুলোর উচিত কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা।