CHT BIJAG

CHT BIJAG Highlighting the culture and customs of the Chittagong Hill Tracts

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ, 'কান্না ছাড়া উপায় নাই' বলছেন বাবাকালকে ওসি সাব আইসা বলছে, তোমাদে...
02/10/2025

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ, 'কান্না ছাড়া উপায় নাই' বলছেন বাবা

কালকে ওসি সাব আইসা বলছে, তোমাদের রিপোর্টটা তো নেগেটিভ। তখন ওসি সাব বললো কোর্টে আপিল করে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারো। কিন্তু আমরাতো বিচার চাইতেছি," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন খাগড়াছড়ির গুঁইমারায় ধর্ষণের অভিযোগ তোলা স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা।

ওই স্কুল শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, পুলিশের কাছ থেকে এই প্রতিবেদনের খবর পান তারা।

ধর্ষণের 'আলামত না পাওয়ার' বিষয়টি পুলিশই তাদের জানিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এখন আইন- আদালত করেও সঠিক প্রতিবেদন পাবেন না মনে করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। তিনি বলেন, "এখন আমি যদি কোর্টে আপিল করি, ওখানে গেলেও রিপোর্টটা পাবো না তো।"

"এতোগুলা টাকা খরচ করে ওখানে যদি নেগেটিভ পাই, তাই ওখানে যাইয়া আর কি করবো, কোনো লাভও নাই," বলেন তিনি।

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ, 'কান্না ছাড়া উপায় নাই' বলছেন বাবা
এখন তাহলে কী করবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "এখন কী ভাববো, এখন খালি বাড়িতে বইসা বইসা কান্না-কাটি। চোখের ঘুম নাই, এমন অবস্থায় আছি আর কি!"

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বিবিসি বাংলাকে জানান, মেডিকেল রিপোর্টের বিষয়ে কিশোরীর পরিবারকে জানানো হয়েছে। যদি এ ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য থাকে বা তারা আবারো পরীক্ষা করাতে চায়, সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব তারা যাতে আদালতে আবেদন করেন সেটা বলেছেন তিনি।
এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে বিচার দাবি করে কর্মসূচি পালন করা পাহাড়িদের প্ল্যাটফর্ম 'জুম্ম ছাত্র জনতা' এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে। এর কারণ উল্লেখ করে প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র কৃপায়ন ত্রিপুরা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ধর্ষণের আলামত মুছে ফেলার অতীত নজির রয়েছে।"

এ ঘটনায়ও এমন কিছু হয়েছে কি না সে বিষয়ে তারা প্রশাসনের সাথে গতকাল বুধবার বৈঠক করেছেন। আগামী রোববার পরবর্তী বৈঠকের পর অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, ধর্ষণের আলামত সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না–– এই প্রশ্ন করলে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের।

ধর্ষণের অভিযোগে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে 'জুম্ম ছাত্র জনতা'র ডাকা অবরোধ গতকাল বুধবার প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় খাগড়াছড়ি শহরের সড়কগুলোয় এখনো মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অবরোধ এবং হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগও রয়েছে।

মামলা তিনটির মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি সদর থানায় এবং অন্য দুইটি গুঁইমারা থানায় দায়ের করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বিবিসি বাংলাকে জানান, "সদর থানায় ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগে গতকালকে একটা মামলা হয়েছে। আর ওখানে গুঁইমারা থানায় দুইটা মামলা হয়েছে। ৩০২ ধারায় একটা মামলা, যেহেতু ওইখানে তিন জন খুন হয়েছে।
বিচার চান ভুক্তভোগীর বাবা
ধর্ষণের অভিযোগকারী কিশোরীর বাবা বিবিসি বাংলাকে জানান, ধর্ষণ সংক্রান্ত শারীরিক পরীক্ষার মেডিকেল রিপোর্টের বিষয়ে আদালতে যাবেন না তারা। এর কারণ হিসেবে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি।

"আমাদের এতো টাকা-পয়সার সাধ্য নাই। অনেক দূরে যাওয়া। আমরা গরীব। খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ না করলে পেটে ভাত নাই। ওই খানে যাইয়া আমরা কী করবো? ওখানে গেলেও আমাদেরকে কোনো সঠিক রিপোর্ট দিবে না। এজন্য কিছু বলারও নাই," বলেন তিনি।

গুঁইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনের বিষয়ে গতকাল বুধবার তাকে অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহায্য পেতে পুলিশ তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জানিয়ে কিশোরীর বাবা বলেন, "উন্নত চিকিৎসার জন্য গেলে তো আমাদের আর্থিক অনেক .... প্রয়োজন। তো ওখানে এতোগুলা টাকা খরচ করেও যদি নেগেটিভ পাই তো ওখানে যাইয়া আমরা কী করবো? কোনো লাভও নাই।"

সিভিল সার্জনের বক্তব্য

ধর্ষণের আলামত সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না, প্রশ্ন করা হলে সরাসরি উত্তর দেননি খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের। তিনি পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়ার একটা বর্ণনা দেন।

মি. ছাবের বিবিসি বাংলাকে বলেন, "জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স সেক্সুয়াল অ্যাসল্টের সারভাইভার যখন হাসপাতালে আসেন, আসার পরে আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গাইনি ওয়ার্ডে যারা কাজ করেন, তাদের একটা টিমের সমন্বয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।"

তিনি জানান, শারীরিক পরীক্ষা ও একইসাথে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর কিছু নমুনা পরবর্তী পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

"পরীক্ষার রিপোর্ট অ্যাপ্রুভ.... ডক্টরদের বাহ্যিক এক্সামিনেশনের ভিত্তিতে টিমের যে সকল সদস্যরা আছে, তারা একটা জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্সের রিপোর্ট দিয়ে থাকেন " বলেন মি. ছাবির।

পরে এই প্রতিবেদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

সেখান থেকে ইতোমধ্যেই গতরাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

এই সিভিল সার্জন জানান, পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া এবং সকল কিছু সম্পন্ন করা হয়।
খাগড়াছড়ির সর্বশেষ পরিস্থিতি
গত সপ্তাহে খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত শনিবার খাগড়াছড়ি সদরে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। পরে রোববার গুইমারায় একাধিক স্থানে সহিংসতার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়।

এ সময় সেনাবাহিনীর ১৩ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলো।

গত সোমবার থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে 'জুম্ম ছাত্র জনতা'। পরে গতকাল থেকে তা পাঁচই অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি সদর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক। মানুষের জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

সদরের সড়কে বেড়েছে ব্যস্ত মানুষের সমাগম। বসেছে হাট-বাজার, খুলেছে মার্কেট। ক্রেতা সমাগমও বেড়েছে। মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে। গত তিনদিনের তুলনায় আজ দূরপাল্লার যান চলাচল কিছুটা বেড়েছে।

'জুম্ম ছাত্র জনতা' সড়ক অবরোধ স্থগিত করায় যান চলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

তবে, নিরাপত্তা রক্ষায় শহরের সড়কে এখনো সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এখনো যেহেতু ১৪৪ ধারা বহালআছে, সে কারণে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভয় বা আতঙ্ক রয়েছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

"১৪৪ প্রত্যাহার করলে হয়তো জীবনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। গতকালকে অবরোধ প্রত্যাহার হয়েছে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা আজ সিদ্ধান্ত নেব," বলেন মি. জুয়েল।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগের যৌথ বৈঠকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মামলা ও ১৪৪ ধারা নিয়ে যা বলছে পুলিশ

গতকাল বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর ও গুঁইমারা থানায় যে তিনটি মামলা করা হয়েছে, পুলিশই বাদী হয়ে করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

গুঁইমারা থানার দুই মামলায় হত্যা, ভাঙচুর, লুটপাট, দাঙ্গা সৃষ্টি, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, দোকানপাট ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

কয়েক'শ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া গতকালই ছয়দিনের রিমান্ড শেষে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হয়। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মি. জুয়েল বিবিসি বাংলাকে জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা হত্যা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।

তিনজন কীভাবে নিহত হয়েছেন সেটি পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে, তবে এখনো সেই প্রতিবেদন আসেনি, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন দাবি করে পুলিশ সুপার জানান, এখন এই প্রতিবেদন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সেটা আদালতে জমা দেবে।

একইসাথে মামলার বাদী প্রতিবেদন দেখতে চাইলে আদালতে আবেদন করলে তা দেওয়া হবে, যুক্ত করেন তিনি।

মেডিকেল প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান

'জুম্ম ছাত্র জনতা'- এই প্ল্যাটফর্মটির আহ্বানেই ধর্ষণের বিচার চেয়ে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল।

প্ল্যাটফর্মটির মুখপাত্র কৃপায়ন ত্রিপুরা বিবিসি বাংলাকে জানান, যে মেডিকেল টিম মারমা কিশোরীর শরীরিক পরীক্ষা করেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন তারা।

এর আগেও ধর্ষণের আলামত মুছে ফেলার নজির রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিলাইছড়িতে দুইজন মারমা কিশোরীর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর "আলামত মুছে বা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল"।

"কোনো ধর্ষণের ঘটনা যখন বিভিন্ন মিডিয়ায়, পুরো দেশে-বিদেশে প্রচার হয়, তখন প্রশাসনের মাধ্যমেই এই আলামতগুলা মুছে ফেলা হয়। মিথ্যা একটা রিপোর্ট দেওয়া হয়," বলেন তিনি।

এরই মধ্যে দুইবার বুধবার ও মঙ্গলবার প্রশাসনের সাথে এই প্ল্যাটফর্মের নেতারা বৈঠক করেছেন বলে উল্লেখ করে মি. ত্রিপুরা বলেন, "কাল মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরও সিভিল প্রশাসনের সাথে বসছি আমরা। তাদের আমরা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছি যে এই রিপোর্ট কতটুকু গোপনীয়ভাবে প্রকাশ হয়েছে, এটা তো আপনাদের থেকে প্রকাশ হওয়ার কথা।"

তবে এই প্রশ্নের "সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি" এবং আগামী রোববার আবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠক আছে বলে জানান মি. ত্রিপুরা।

ওই বৈঠকের পরই পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলেন মি. ত্রিপুরা।

এইচআরএফবি'র উদ্বেগ

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)- এর একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে সাক্ষাত করে খাগড়াছড়ির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

"খাগড়াছড়ি জেলায় ওই মারমা কিশোরীর গণধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্তদের গ্রেফতার, বিচার ও শাস্তির দাবিতে স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বলপ্রয়োগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ও এই ঘটনায় তিনজন আদিবাসী তরুণ নিহত এবং স্থানীয় আদিবাসী নাগরিকদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়" এইচআরএফবি-এর উদ্বেগের বিষয়টি উপদেষ্টা বলা হয়েছে বলে জোটের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এইচআরএফবি প্রতিনিধি দল ওই এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ ও পদক্ষেপ দাবি করেছে এবং প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়ার জন্য একটি স্মারকলিপিও হস্তান্তর করেছে।

প্রতিনিধি দলে এইচআরএফবি-এর স্টিয়ারিং কমিটি সদস্য শাহীন আনাম, সারা হোসেন, সদস্য খুশী কবির ও ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ ছয় জন উপস্থিত ছিলেন।

াংলা

খাগড়াছড়ি সদরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় খাগড়াছড়ি পৌর ও সদর এলাকায় আজ দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধ...
27/09/2025

খাগড়াছড়ি সদরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় খাগড়াছড়ি পৌর ও সদর এলাকায় আজ দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

25/09/2025
রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক পাহাড়ে বিপ্লবী নারী আপোষহীন সংগ্রামী আদিবাসী নেত্রী "কল্পনা চাকমার" অপহরণের আজ ২৯ বছর!!"কল্পনা চ...
12/06/2025

রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক পাহাড়ে বিপ্লবী নারী আপোষহীন সংগ্রামী আদিবাসী নেত্রী "কল্পনা চাকমার" অপহরণের আজ ২৯ বছর!!

"কল্পনা চাকমা" তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের আরেক নাম। অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীই কল্পনাকে মেরেছিল, কিন্তু তাঁর চেতনাকে মেরে ফেলতে পারেনি। কল্পনা চাকমা চেতনার কোনদিন মৃত্যু নেই! পাহাড়ের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার এক প্রতিবাদী বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। কল্পনা চাকমার নামের সাথে জড়িয়ে আছে পাহাড়ের একটি অধ্যায়, পাহাড়ে প্রতিটি জুম্ম জনগণ আজো চেয়ে থাকে কল্পনা চাকমাকে ফিরে পাবে বলে। আজ তার অপহরণের ২৯বছর হয়ে গেলো সেই স্বৈরশাসক ফ্যসিবাদী সরকার আজো সন্ধান দিতে পারে নি।

বাংলার ইতিহাসে বেগম রোকেয়া,কল্পনা দত্ত,বীণা দাশ,রসীমনি হাজংসহ যেসব নারীরা আজো তাদের কর্মকান্ডের জন্য বাংলা মানুষের কাছে চিরঅমর হয়ে বেঁচে আছে, ঠিক পার্বত্য চট্টগ্রামের তথা জুম্ম জনগণের মাঝে ও অমর হয়ে বেঁচে থাকবে কল্পনা চাকমা।
পাহাড়ে জুম্মদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠা সংগ্রামে যখন শান্তিবাহিনী তরুন দামাল ছেলেররা যখন সশস্ত্র সংগ্রামে, ঠিক তখন কলেজে পড়ুয়া তরুণী কল্পনা চাকমাও নিজ জন্মভূমি ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার প্রযোজনে যোগদেন তৎকালীন "হিল ইউমেন্স ফেডারেশন" (HWF) এ, একসময় সংগঠনে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পদ লাভ করে। তিনি শুধু পাহাড়ি মানুষের অধিকার আদায়ের নিজেকে সেপ দেননি। তিনি অন্ধকারে নিমজ্জিত নারী সমাজে এগিয়ে আসার কথা বলতেন নারী নির্যাতন,নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ঘুমন্ত জুম্ম আদিবাসী নারী সমাজকে জাগিয়ে তোলার কথা বলতেন। বলা যায় তিনি জুম্ম সমাজের বেগম রোকেয়া, তিনি জুম্ম সমাজের প্রীতিলতা।
যে প্রীতিলতা অস্ত্র কাঁধে নিয়ে এদেশে শাসকশ্রেণীর অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই কররা স্বপ্ন বুনেছিল, ঠিক পার্বত্য চট্টগ্রামকেও হায়েনা মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় করেছিলো কল্পনা চাকমা। তিনি পাহাড়ের মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলে পাহাড়ের মানুষ আজো তাকে ভোলেনি জুম্ম জাতির ইতিহাসের পাতায় যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে।

জুম্মদের মুক্তির কথা,নারীদের মুক্তির কথা, শাসকের দমন-পীড়নের অত্যাচারের কথা বলেছিলো বলে তাকে ১৯৯৬সালে ১১ই জুন মধ্যে রাতে রাঙ্গামাটি,বাঘাইছড়ি,নিউ লাইল্যেঘোনা নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন। যার নেতৃত্বে ছিলেন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস,
কায়ছার খান, ভিডিপি'র পিসি নুরুল হক ও ভিডিপি সদস্য সালেহ আহমেদ'র নেতৃত্বে ১০-১২জনের পরিচিত-অপরিচিত সশস্ত্র সেনা-ভিডিপি'র জওয়ান ২৩ বছর বয়সী নারী নেত্রী কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

রাষ্ট্র ২৯ বছরেও আদিবাসী নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণকারী চিন্হীত অপরাধী লৈ:ফেরদৌস ও তার সহযোগী দোসরদের শাস্তি দিতে পারেনি।
তবুও আমার সাহসী বোন 'কল্পনা চাকমা'র সন্ধান চাই!

কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৯ বছর
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, নিম্ন আদালতে কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা খারিজের প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবীতে-

প্রতিবাদ সভা

১২ জুন ২০২৫, সকাল || খাগড়াছড়ি সদর।

#আদিবাসী_নেত্রী_কল্পনা_চাকমা
#অপহরণের_২৯_বছর!!

?

সর্বসাধারনের জন্য সতর্ক বার্তা।। COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই সকলকে...
08/06/2025

সর্বসাধারনের জন্য সতর্ক বার্তা।।

COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

১। নতুন COVID-Omicron XBB এর লক্ষণগুলি হল:

i). কাশি নেই।
ii). জ্বর নেই।
বেশিরভাগ লক্ষণগুলি নিম্নরূপ।

iii). জয়েন্টে ব্যথা।
iv). মাথাব্যথা।

v). গলা ব্যথা।
vi). পিঠে ব্যথা।

vii). নিউমোনিয়া।
viii). ক্নাটকীয়ভাবে ক্ষুধা হ্রাস পেয়েছে।

২। এছাড়াও, COVID-Omicron XBB ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫ গুণবেশি বিষাক্ত এবং এর মৃত্যুর হারও বেশি।

৩। অতি অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলি অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠবে এবং স্পষ্ট লক্ষণগুলির অনুপস্থিতিতেও পরিবর্তন ঘটবে।

৪। তাই আপনাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

* এই রূপটি তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এটি সরাসরি ফুসফুসের "জানালা" প্রভাবিত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।

৫। COVID-Omicron XBB-তে সংক্রামিত অল্প সংখ্যক রোগীকে জ্বর-মুক্ত এবং ব্যথা-মুক্ত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, তবে এক্স-রে তে হালকা নিউমোনিয়া দেখা যায়।
এছাড়াও, নাকের গহ্বরের মধ্য দিয়ে তুলার সোয়াব পরীক্ষা করে COVID-Omicron XBB নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল পরীক্ষার সময় মিথ্যা নেতিবাচক পরীক্ষার উদাহরণ বাড়ছে।
তাই এই ভাইরাসটি খুবই ধূর্ত। এর ফলে, ভাইরাসটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। সরাসরি মানুষের ফুসফুসকে সংক্রামিত করে, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে।
এটি ব্যাখ্যা করে যেকোন COVID -Omicron XBB এত সংক্রামক এবং মারাত্মক হয়ে উঠেছে*

৬। যতটা সম্ভব জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গায় এমনকি ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, মাস্কের উপযুক্ত স্তর পরুন এবং লক্ষণ ছাড়া কাশি বা হাঁচি না দিলে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।

এই COVID-Omicron XBB "WAVE" প্রথম COVID-19 মহামারীর চেয়েও মারাত্মক।

* অতএব, বিচক্ষণ, বৈচিত্র্যময় এবং নিবিড় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

অনুগ্রহ করে আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের যতটা সম্ভব বলুন।

নিরাপদ থাকার জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না।

কেএনএফ সন্দেহে আটক ৫৫ বছর বয়সী সাংময় বম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ...
01/06/2025

কেএনএফ সন্দেহে আটক ৫৫ বছর বয়সী সাংময় বম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আলসারে ভূগে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

প্রথমে লাল থ্লেং বম এরপর সাংময় বমকে জামিন না দিয়ে অনেকটা বিনা চিকিৎসায় জেলে আটকে রাখায় এই মৃত্যুর দায় রাষ্ট্রের, বলছেন পাহাড়ের সচেতন এবং মানবাধিকার কর্মীরা।
এই মৃত্যুর দায়ভার রাষ্ট্র কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেনা।
অবিলম্বে আটককৃত বম ও নারী শিশুদের বিনাশর্তে মুক্তি দেয়া হোক।



01/06/2025

স্লুইস গেইট আজকের ভয়ঙ্কর রুপ।
মধুপুর, খাগড়াছড়ি সদর।

বাংলাদেশে এত জাতিগোষ্ঠী ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ থাকতে শুধু বাঙালি মুসলিমদের দ্বারা ধর্ষণই কেন সবচেয়ে বেশি ঘটে?বাংলাদেশ এম...
30/05/2025

বাংলাদেশে এত জাতিগোষ্ঠী ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ থাকতে শুধু বাঙালি মুসলিমদের দ্বারা ধর্ষণই কেন সবচেয়ে বেশি ঘটে?

বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে বহু জাতিগোষ্ঠী, বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে সহাবস্থান করে আসছে। পাহাড়, সমতল, শহর কিংবা গ্রামে – দেশের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে আছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম ও অর্ধশতাধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী। এই বৈচিত্র্য আমাদের সম্পদ হওয়ার কথা ছিল, অথচ আজ আমরা দেখছি এই সমাজেই সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন নারীরা, বিশেষত আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীরা। ভয়ঙ্কর সত্য হচ্ছে, এদের অধিকাংশ ধর্ষণের নেপথ্যে থাকছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি মুসলিম পুরুষেরা।

প্রশ্নটা বড় ও স্পষ্ট—বাংলাদেশে এত ধর্ম ও জাতি থাকা সত্ত্বেও ধর্ষণের ঘটনায় কেন সবচেয়ে বেশি নাম আসে বাঙালি মুসলিমদের? এটা কি শুধু তাদের সংখ্যার কারণে? নাকি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তাদের ভেতর কোনো ক্ষমতার লালসা জন্মেছে, যা নারীকে মানুষ নয়, সম্পদ বা বস্তু মনে করে?

তিন পার্বত্য জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান—এখন আর কেবল পাহাড় নয়, তা যেন রক্ত আর লজ্জার ভূমি হয়ে উঠেছে। আদিবাসী নারীদের ওপর যে বর্বর নির্যাতন, বিশেষ করে ধর্ষণ, সেখানে চলছে, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা এক নিরব দমননীতির ফল। ১৯৭৯ সাল থেকে রাষ্ট্রের ইন্ধনে লাখ লাখ বহিরাগত বাঙালি মুসলিম সেটলারকে পাহাড়ে বসবাস করানো হয়। এর মাধ্যমে শুধু জনসংখ্যার ভারসাম্যই পাল্টানো হয়নি, আদিবাসীদের ভূমি, সংস্কৃতি ও নারীর ওপর চালানো হয়েছে সংঘবদ্ধ আগ্রাসন। এসব ধর্ষণের মাধ্যমে যেন সেটলার বাঙালি মুসলিম পুরুষেরা ঘোষণা করছে—“এই ভূমি আমাদের, তোমাদের নয়।” ধর্ষণ এখানে অস্ত্র, যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় একটি জাতিকে চিরতরে দমিয়ে দিতে।

আর যখন ধর্ষণ ঘটে, তখন রাষ্ট্র কিছুদিন নাটক করে। মিডিয়ার সামনে এক বা দুই দিন ধরে চিৎকার, গ্রেফতার দেখানো হয়, কিন্তু ক’দিন পরই ধর্ষক ছেড়ে দেওয়া হয়। আবারও তার বুকে সাহস জমে—“আমার কিছু হবে না।” কারণ সে জানে, সে সংখ্যাগরিষ্ঠ, বাঙালি মুসলমান, এবং রাষ্ট্র তার পাশে।

আজ বাংলাদেশে এমন এক চেহারা দাঁড়িয়েছে যেখানে ধর্ষকের ধর্ম বা জাতিগত পরিচয় বিচারকে প্রভাবিত করে। বিচার যদি হয়ও, তা হয় চাপে পড়ে, কিংবা জনমত ঠেকাতে। কিন্তু আদিবাসী, সংখ্যালঘু বা দরিদ্র নারীদের ধর্ষণ করলে রাষ্ট্রযন্ত্র যেন নীরব হয়ে যায়। সমাজ তখনও চুপ করে থাকে। কেউ কেউ উল্টো ধর্ষিতার পোশাক, আচরণ বা জাতিগোষ্ঠী নিয়ে প্রশ্ন তোলে—“সে পাহাড়ি ছিল”, “সে একটু সাহসী ছিল”, “সে বাইরে বেরিয়েছিল”—কোনো কথায় তারা ধর্ষকের বিকৃত মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না।

বাংলাদেশের সমাজে আজ বাঙালি মুসলিম পুরুষদের এক ধরনের ‘অন্তর্নিহিত অধিকারবোধ’ জন্মেছে—যেখানে তারা ভাবছে, নারী মানেই তাদের অধীন, নারী মানেই দমনযোগ্য। পাহাড়ে বসবাসকারী সেটলার মুসলিম বাঙালিদের ভেতর এই প্রবণতা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, কারণ রাষ্ট্রীয় মদদ তাদের মনে করেছে—“আমরাই আসল মালিক, বাকিরা অতিথি বা অবাঞ্ছিত।”

আজকাল কেউ ধর্ষণের প্রতিবাদ করলে তাকে “রাষ্ট্রবিরোধী”, “সংখ্যালঘুপন্থী” বা “উস্কানিদাতা” বলা হয়। অথচ সত্য হলো—এটি কোনো জাতি বা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি ও ক্ষমতাধর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যারা নিজেদের সংখ্যার জোরে নির্যাতন চালায়। রাষ্ট্র ও সমাজ যদি সত্যিই ন্যায়বিচার চায়, তাহলে ধর্ষকের পরিচয় নয়—তার অপরাধকেই মুখ্য করে দেখতে হবে।

বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা এতটাই দুর্বল, এতটাই পক্ষপাতদুষ্ট যে, ধর্ষকের পরিচয় ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকলেই সে রক্ষা পেয়ে যায়। এই বিচারহীনতা ধর্ষকদের সাহস দেয়। বিশেষ করে আদিবাসী, সংখ্যালঘু বা দরিদ্র নারীদের ধর্ষণ করলে তো রীতিমতো “অপরাধই নয়” হিসেবে বিবেচিত হয়। ধর্ষণ এখানে কেবল শরীরের ওপর সহিংসতা নয়—এটি রাষ্ট্র, সমাজ ও নৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতা।

আমি আজ বলছি—ধর্ষকের কোনো ধর্ম নেই। কিন্তু যখন রাষ্ট্র তার পরিচয়ের ভিত্তিতে তাকে আড়াল করে, তখন সেই পরিচয় প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বাঙালি মুসলিম সমাজ যদি চায় নিজেদের সম্মান রক্ষা করতে, তবে আগে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। যারা নারীকে দমন করে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।

আমার এই লেখাটি হয়তো অনেকের কানে লাগবে। অনেকেই বলবে, “তুমি মুসলমান হয়ে এসব কথা কিভাবে বলো?” আমি তাদের বলি—কারণ আমি মানুষ, একজন নারী, একজন সচেতন নাগরিক। নির্যাতিতদের পক্ষে দাঁড়ানোই ন্যায়, আর চুপ থাকাটাই অপরাধ।

আমার এই লেখাটি যদি আপনার মনে সত্য বলে ধরা দেয়, তাহলে প্লিজ এটিকে পড়েই থেমে যাবেন না। শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন। পাহাড়ের আদিবাসী মা-বোনদের, সমতলের সংখ্যালঘু নারীদের, গ্রামের সেই কিশোরীর কণ্ঠস্বর হোন যাকে নির্যাতন করেও বলা হয়েছে—“চুপ থাকো, সমাজ তোমাকেই দোষ দেবে।”

আমরা আর চুপ থাকবো না। ধর্ষণের বিরুদ্ধে ধর্ম, রাষ্ট্র, সমাজ—সব জায়গায় জবাবদিহি চাই। কেবল আইনের নয়, নৈতিকতারও বিচার চাই।

আমাদের মেয়েরা কবে নিরাপদ হবে? সমাজ কবে তাদের মানুষ হিসেবে দেখতে শিখবে? বদল চাই—এখুনি, এখান থেকেই।

---

Nafisa Khanom
প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ সংগ্রাম পরিষদ

20/05/2025

শিক্ষা সংহতি সাম্য প্রগতি

পার্বত্য পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের গৌরবোজ্জ্বল লড়াই-সংগ্রামের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী -২০২৫

“পার্বত্য চট্টগ্রামে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলন জোরদারসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নে সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান”

ছাত্র সমাবেশ

২০শে মে ২০২৫খ্রি.
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ

#২০মে #৩৬তমপ্রতিষ্ঠাবার্ষিকী২০২৫
#পার্বত্যচট্টগ্রামপাহাড়ীছাত্রপরিষদ

আদিবাসী বম জনগোষ্ঠী লাল য়েং কিম বম এর মৃত্যুর সংবাদ রাষ্ট্র কি শুনতে পাও?চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে লাল য়েং কিম বম (...
16/05/2025

আদিবাসী বম জনগোষ্ঠী লাল য়েং কিম বম এর মৃত্যুর সংবাদ রাষ্ট্র কি শুনতে পাও?
চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে লাল য়েং কিম বম (৩০)-এর মৃত্যুর সংবাদ হৃদয়বিদারক ও গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এই মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়, বরং এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি—যেখানে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারব্যবস্থার নির্লজ্জ নিষ্ক্রিয়তা এবং দমননীতির ভয়াবহতা প্রকাশ পেয়েছে। লাল য়েং কিম বমকে গত বছর কেএনএফের তথাকথিত ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কোনো প্রমাণ ছাড়াই, শুধুমাত্র তার জাতিসত্তা—বম জনগোষ্ঠী—ও তার অবস্থানগত পরিচয়ের কারণেই তাকে বন্দি করা হয়। তিনি ছিলেন রুমা উপজেলার বেথেল পাড়ার একজন সাধারণ মানুষ, যে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

এক বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রেখে একজন নিরপরাধ নাগরিককে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এই মৃত্যু চিকিৎসাহীনতা, মানসিক চাপ এবং রাষ্ট্রীয় অবহেলার ফল। এই মৃত্যু শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জীবন শেষ করে দেয়নি, বরং তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উপর চলমান দমন-পীড়নের ভয়ানক বাস্তবতাকেও নগ্নভাবে প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্র এই মৃত্যুর দায় কখনোই এড়াতে পারে না। এটা একটি সিস্টেমিক ক্রাইম, যার জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতিটি স্তর দায়ী।

অতএব, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। সেইসাথে, আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি—এক বছরেরও অধিক সময় ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে অন্যায়ভাবে আটক রাখা বম নারী ও শিশুদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। একজন শিশুও যেন রাষ্ট্রীয় জুলুমের বলি না হয়। ড. ইউনুসের উন্নয়নের নামে গড়া রাষ্ট্র কি জেলের ভিতর শিশুদের মেরে ফেলবে? যদি না হয়, তাহলে আজই তাদের মুক্তি দিতে হবে। এখনই এর বিচার চাই!


06/05/2025

#সর্তকতা পোস্ট #

লিখেছেন -হেবাং এর মালিক বিপলি চাকমা দিদি

মরন থেকে ফিরলাম😭কি ভয়ংকর ঘটনা!
🙏দয়া করে কাজীপাড়া থেকে বিজয়সরনি রাস্তায় পর্যন্ত বিশেষ করে মেয়ে রা একা একা রিকশা যোগে যাতায়াত করতে সর্তকতা ও সাবধানে চলাফেরা করবেন🙏

🙏ভগবানের আশীর্বাদে শুধু আগে থেকে বুঝতে পেরেছি বিধায় আজ অল্পের জন্যবেঁচে ফিরলাম😭

👉আজ রাত ৭.৩০ টায় মিরপুর কাজীপাড়া থেকে মোহাম্মদপুর যাবো, কিন্তু একা যেতে রাস্তায় ভয় লাগে তাই ভাবছি দিদি ও ডাকতেছে আগে ইন্দিরারোড গিয়ে তারপর মোহাম্মদপুর যাবো। এই উদ্দেশ্যে কেন জানি মেট্রোরেলে না উঠে রিকশা করে ইন্দিরারোডে রওনা দিই। ফেরার পথে শেওড়াপাড়া ক্রস করার পর.....
👉রিকশাওয়ালা নতুন করে আমাকে জিজ্ঞেস করে আপা কোথায় জানি যাবেন?
=আমি বললাম ইন্দিরা রোড, খামার বাড়ির সামনে, লেগুনা স্টেশনের সামনে। আবার বলে ফার্মগেটের আগে তাই না? আমি বললাম হ্যাঁ অনেক আগেই এবার যান। আমি আবার বললাম আপনি শুনেই রওনা দিয়েছেন আবার নতুন করে জিজ্ঞেস করেছেন কেন? আমাকে বলে আপা ৮০ টাকা কম হয়ে যায় একটু বাড়ায় দিয়েন। আমি বললাম যা ভাড়া তা দিবো বেশি দিবো কেন? এটা ছিলো তার প্রথম আমাকে অন্য মনস্ক করার বুদ্ধি।

👉 এর পর পর বিমান যাদুঘরের পরে একটা নির্জন জায়গায় কয়েকটি খালি রিকশা দেখে রিকশা চালানো আস্তে করে এদিক ওদিক তাকিয়ে কাকে জানি খুঁজতে থাকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কাকে খোঁজেন? উওর দিলো আমার একজন বন্ধুর থেকে টাকা পায় তাকে খুজতেছি। ওমা! এখন এই নীরব জায়গায় কই আপনার বন্ধু? আপনি গেলে সোজা যান তো বললাম। যাচ্ছি যাচ্ছি আপা বলেই জোড়ে রিকশা চালাতে থাকে আর এদিক ওদিক তাকায়। আমার সন্দেহ লাগলো কিছুটা সতর্ক ও হলাম। ভাবছি আগারগাঁও সিগনালতো পড়ে গেছে যেহেতু এখন সিগনালে থামবে। আগারগাঁও মেট্রোরেলের স্টেশনে নেমে যাবো। ভাবতে ভাবতে দেখি বামে নতুন রাস্তা যাবার সাইডে করে ট্রাফিক পুলিশকে ফাঁকি দিয়েই সিগনাল পাড় হয়ে গেছে। আর শার্টের বতাম খুলে ফেললো কয়েকটা।
👉আমি আরও ভয় পাচ্ছি আরও সর্তক হলাম। সিগনাল পার হয়ে দেখি একদম শেরে-বাংলা পর্যন্ত রাস্তা নীরব ও ফাঁকা কোন গাড়ি নেই। রিক্সাওয়ালা প্রথমে একটা খালি রিকশা পেয়ে সেই রিকশাওয়ালাকে চোখে ইচারা দিতে চাই আমি তার চোখ পিছনে আনলে চোখের দিকে তাকায় তাই পারে নি। প্রথম রিকশাওয়ালাকে সংগী করতে ফেইল হলো। এরপরে আরেকটা খালি রিকশা পায়, রিকশাওয়ালা সিগারেট খাচ্ছে আর আস্তে আস্তে রিকশা চালাচ্ছে, তখন আমার রিকশাওয়ালা দেরি না করে সেই রিকশাওয়ালাকে চোখের ইচারা দিলো আমাকে ধরতে আসার জন্য, সেই ইচারা আমি দেখতে পেয়ে আমার রিকশাওয়াকে রিক্সা থামানোর জন্য চিল্লাতে থাকি, রিকশা থামিয়ে আমাকে ধরার আগে আমি চলন্ত রিকশা থেকে লাফ দিয়ে দৌড়াতে থাকি। দৌড়াতে গিয়ে দেখি দুই দিকে নীরব ফাকা, কারন তখনও আগারগাঁও এর সিগনাল ছাড়ে নাই। দুই রাস্তায় অন্ধকার, দুই পাশে নার্সারি। হঠাৎ মাথায় কাজ করলো পুরান বিমানবন্দরে নতুন রাস্তায় গাড়ি আসতেছে, জীবন বাজি রেখে দৌড়াতে দৌড়াতে নতুন রাস্তায় পার হলাম। পার হয়েই রাস্তায় দাঁড়িয়ে চলন্ত হোন্ডাওয়ালাদেরকে সাহায্যের জন্য হাতের ইচারা দিই, ৪ টা হোন্ডায় ৮ জন ভদ্রলোক থামিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে দিদি? ঘটনা বললাম। রিকসাওয়ালার সাহস কত! আমার পিছে পিছে ওনাদের সামনে উল্টো এসে বলে ভাড়া না দিয়ে আপা চলে যাচ্ছেন কেন? আবার বলে আপা আমার ভুল হয়েছে আমাকে মাপ করে দেন, আমি শুধু সেই রিকশাওয়ালা থেকে গাজা খাওয়ার জন্য তাকে ডেকে ছিলাম। আসেন আপনি যেখানে যাবেন নিয়ে যাবো আমাকে মাপ করে দেন। আমি বললাম ভাইয়া উনি ছিনটাইকারী, আমি চলন্ত রিকশা থেকে দৌড়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে এদিকে এসেছি। ওনারা বুঝতে পেরে আমাকে বললেন আপনি চলে যান দিদি, যান তাড়াতাড়ি, আমরা ওকে দেখতেছি এরপর মারতে থাকে, আমি হাটতে হাটতে আগারগাঁও সিগনালে কোন মতে হাত পা কাপটে কাপটে চলে এসে আবার মেট্রোরেলে উঠে ফার্মগেটে চলে যায়। তারপর ছোট ভাইয়ের সাহায্যে ইন্দিরা রোড থেকে মোহাম্মদপুরে ফিরি।

এখন শুধু চিন্তা করতেছি এতক্ষণে আমার লাশ থাকতো বিজয় সরনী আর আগারগাঁও এর মাঝপথের কোন জংগলে😭
কি জানি, হয়তো কোন পূন্যের ফলে আজ বুদ্ধির জোড়ে বেচে ফিরলাম🙏

25/04/2025

বৈসু-সাংগ্রাই - চাংক্রান- বিজু- বিহু- বিষু-পাতা ২০২৫ ইং উপলক্ষ্যে

ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা

তারিখঃ ২৫ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি.

স্থানঃ স্লুইস গেইট ও নিউজিল্যান্ড সংযোগ সড়ক সংলগ্ন মাঠ, খাগড়াছড়ি সদর।

Address

Khagrachari
4400

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when CHT BIJAG posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share