তুঙ-Tung

  • Home
  • তুঙ-Tung

তুঙ-Tung We want indigenous constitutional recognition.☘️💜

পার্বত্য চট্টগ্রামকে আফ্রিকার সাথে তুলনা করা যায় :আফ্রিকা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মহাদেশ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ১৯৪৫ ...
02/06/2025

পার্বত্য চট্টগ্রামকে আফ্রিকার সাথে তুলনা করা যায় :

আফ্রিকা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মহাদেশ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ গঠনের মধ্যে দিয়ে ড. কোয়ামে নক্রুমার অদম্য প্রচেষ্টায় আফ্রিকার ঘানা অঞ্চলটি ১৯৫৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে ঘানা একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে গৌরব অর্জন করে।যদিও ১৯৬৬ সালে সামরিক শাসন জারি করার পর সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভেঙ্গে যায়। এভাবে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র ধাপে ধাপে স্বাধীনতা লাভ করে।

দ্বিতীয় মহাদেশ হিসেবে বিবেচিত আফ্রিকায় ৫৪ টি দেশ বিদ্যমান। কিন্তু দেশগুলোতে জাতীয় সংহতি নেই।এর কারণ জাতীয়তাবাদী মনোভাবের অভাব। এর পেছনে যে বিষয়টি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে তা হচ্ছে গোত্রতন্ত্র। যা আফ্রিকার রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে।

আফ্রিকা স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এখনো ঐক্যবদ্ধ,সংঘবদ্ধ ও জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হতে পারেনি। তাদের মধ্যে গোত্র বিভাজন এতটাই যে, কেনিয়ায় ১১৯ টি এবং নাইজেরিয়ায় ২৫০ টি ছোট-বড় গোত্রের বিদ্যমান। তাছাড়া মরুভূমির বেদুইন ও যাযাবর শ্রেণি তো আছেই।

এসব গোত্রতন্ত্রকে ব্যবহার করে ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি, জার্মানি ইত্যাদির দেশগুলো উপনিবেশ শাসনের সময় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কলোনি স্থাপনের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রাখতো।আফ্রিকার অনেক গোত্র অন্য গোত্রকে দমন করার জন্য বিদেশি শক্তিগুলোকে সাহায্যে করত, নিজ গোত্রীয় স্বার্থে তারা অন্য গোত্রের জনসাধারণের উপর অত্যাচার ও যুদ্ধ করত। যার ফলে গোত্রীয় সংঘাত ধীরে ধীরে প্রবল হয়।যার প্রভাব বর্তমান সময়েও আফ্রিকার মধ্যে বিরাজমান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম একটা সময় প্রায় স্বাধীন হতে চলেছিল। কিন্তু জুম্মরাই নিজেরায় নিজেদের জুম্ম জাতির মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম.এন লারমা) লারমাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার আলো দেখতে পায়নি। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে জেএসএসের পার্বত্য শান্তি চুক্তি হলে পুনরায় নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের লিপ্ত হয়ে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিরোধী স্বায়ত্তশাসন দাবি কারী ইউপিডিএফ নামক একটি সশস্ত্র রাজনৈতিক দল উত্থান ঘটে।বর্তমান দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি হচ্ছে সরকারের কাছে জিম্মি হওয়া মাত্র, যা অযুক্তিক নিষ্ফল এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবি নামে মাত্র দাবি। কিন্তু দেখা যায়-এটি (স্বায়ত্তশাসন) শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিরোধীতা মাত্র যেখানে সরকারের কাছে এখনো একটি দাবিও দেখা যায়নি।

যেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার খুব নিকটবর্তী হয়ে উঠেছিল, সেখানে পার্বত্য শান্তি চুক্তি আর ইউপিডিএফ গঠন ছিল সবচেয়ে বড় দূর্বলতার। তাছাড়া কয়েক বছর আগে মূল জেএসএস ও মূল ইউপিডিএফের দল থেকে সরে বেশ কয়েকটি সক্রিয় রাজনৈতিক দল (জেএসএস এম.এন (সংস্থার), ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক) উদ্ভব হয়।যেখানে তাদের কোনো লক্ষ্য উদ্দেশ্য নেই। তাছাড়া বান্দরবানে নাথান বমের নেতৃত্বে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ,মগদের মগ পার্টি। শুরু হয় আফ্রিকানদের মত গোত্রতন্ত্রের দ্বন্দ্ব। দীর্ঘ দুই যুগের অধিক ভাতৃসংঘাতের মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর গোষ্ঠীকে শাসন-শোষণের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়া কিছুই হয়নি।যা আফ্রিকার গোত্রতন্ত্ররাই বিদেশিদের দিয়ে অন্য গোত্রদের দমন করার মত। দীর্ঘ রাজনীতিতে দলীয় স্বার্থকে দূরে রেখে, নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এবং কিছু সাধারণ দলীয় কর্মীদের বলির পাঠা বানিয়ে ভাতৃসংঘাতকে মজবুত করে তুলেছে। যার সমাধান কল্পনাতীত।

পার্বত্য চট্টগ্রামে এতগুলো দল উপদল ঠিক যেন আফ্রিকার গোত্রতন্ত্র। আফ্রিকা স্বাধীন কিন্তু জাতীয়তাবাদের চেতনা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম পরাধীন তবুও জাতীয়তাবাদের চেতনা উদ্ভব কল্পনাতীত (সাধারণ জনগণ ব্যতীত)।
আফ্রিকানরা কিছু কিছু অঞ্চল বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে শুরু করেছে। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বৃহত্তর গোষ্ঠীর সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত যেখানে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ জড়িত, দলীয় বা জাতির মুক্তির স্পষ্ট অনুপস্থিত।

মনে রাখা ভালো- দীর্ঘ শাসন-শোষণের জাতি স্বাধীনতা পথ খুঁজে, স্বাধীনতা স্বাদ গ্রহণ করে। যেখানে শান্তি চুক্তি বা স্বায়ত্তশাসনের কোনো মূল্য নেই। সুতরাং একতাবদ্ধ, জাতীয়তাবাদী মনোভাব জাগ্রত করে বৃহত্তর স্বার্থ, জাতির স্বার্থ চিন্তা করে শেষ পর্যায়ে হয় নিজে শেষ, না হয় বৃহত্তর গোষ্ঠীর উচ্ছেদ করার মধ্যে দিয়ে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করা সম্মানের মহত্ত্বের।

আপনাদের (রাজনৈতিক দলীয় নেতা-কর্মীদের) স্পষ্ট সমালোচনা করছি,যেখানে পক্ষপাতিত্ব এক বিন্দুর মনোভাব নেই। অতীত থেকে বর্তমানে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অবস্থা চোখ বন্ধ করে চিন্তা করার কথা বলছি। আমাদের ( জুম্মদের) মুক্তি লাগবে, জাতীয়তাবাদী হতে হবে।

এই পর্যন্ত ভাতৃসংঘাতের মধ্যে যতগুলো সূর্য সন্তান জীবন দিল গভীর হয়ে ভাবুন আর বিবেক দিয়ে চিন্তা করেই আপনাদের কখনো গাঁ শিহরণ হয় না??

আমেরিকা ও চট্টগ্রামের চাকমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস (১৭৭৬ খ্রি:) :বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতাধর ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিগন...
29/05/2025

আমেরিকা ও চট্টগ্রামের চাকমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস (১৭৭৬ খ্রি:) :

বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতাধর ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিগনিত যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকা। ১৪৯২ সালে ১২ অক্টোবর ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন।পরবর্তীতে একশত (১৬০৭ সালে) বছর পর তখনকার ইউরোপীয় শক্তির রাষ্ট্র স্পেন, ফ্রান্স,পর্তুগাল,ইংল্যান্ড প্রভৃতি রাষ্ট্রসমূহ সেখানে উপনিবেশ গড়ে তুলে।

বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড আমেরিকার বুকে তাদের ইচ্ছা মত উপনিবেশ গঠন ও আইন প্রয়োগ করে আধিপত্য বিস্তার লাভ করতে সক্ষম হয়।সেখানকার অধিবাসীদের উপর শাসন-শোষণের "উড়ে এসে জুড়ে বসার রাষ্ট্রগুলো" ক্ষমতার দাপট প্রয়োগের কোনো কমতি রাখেনি।

আমেরিকার অধিবাসীরা ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের উপর প্রতিবাদ করলে ঔপনিবেশিক সরকার আমেরিকানদের সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চুক্তি করতে থাকলে, আমেরিকানরা বুঝতে পারে তাদের অধিকারের কথা,ন্যায্য কথা। শুরুতেই ফ্রান্স আমেরিকার উপর প্রধান আধিপত্য কায়েম করলেও পরবর্তীতে সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ইংল্যান্ড ফ্রান্সের সাথে জয় লাভ করলে ইংরেজরা আমেরিকার উপর পূর্ণ আধিপত্য লাভ করতে সক্ষম হয়। ইংরেজরা আমেরিকার উপর ১৩ টির অঙ্গরাজ্যর উপর উপনিবেশ গড়ে তুলে।একসময় আমেরিকার মানুষ নিজ নিজ অঙ্গরাজ্য থেকে স্বায়ত্তশাসনের দাবি করলে- ঔপনিবেশিক সরকাররা কিছু কিছু অঞ্চল স্বায়ত্তশাসন দিতে বাধ্য হয়।কিন্তু এতেও তারা সম্পূর্ণ মুক্তি পায়নি,বরং ঔপনিবেশিক শাসকরা আমেরিকানদের সাথে কঠোর দূর্ব্যবহার এবং শাসন-শোষণের পদ্ধতিটা ভিন্ন পথে অবলম্বন করেছিল।

দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের অবসান ঘটিয়ে আমেরিকানরা ইংরেজদের থেকে ১৭৭৬ সালে ৪ জুলাই স্বাধীনতা লাভ করে।এই স্বাধীনতার লাভ আমেরিকানদের পক্ষে সহজ ছিল না। তাদের মধ্যে ছিল মতানৈক্য,দালাল,সুবিধাবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠী। তবুও সবকিছুর শেষ অবসান ঘটিয়ে সমস্ত আমেরিকার (বিচ্ছিন্ন আমেরিকানরা ১৩ টি উপনিবেশ রাজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠন করে) মানুষ জাতীয়তাবাদী চেতনায় তারা একত্রিত হতে পেরেছিল।

তার ঠিক একই সময়ে ১৭৭৬-৭৭ সাল এবং ১৭৮২ সালে চট্টগ্রামে ইংরেজদের সাথে চাকমাদের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিলে চাকমারা দুটো বিদ্রোহে বীরত্বের সাথে জয় লাভ করে এবং ইংরেজরা চাকমাদের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় (তখনকার সময়ে চাকমাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ নিহিত ছিল খুব দৃঢ়)।

আমেরিকান ও চাকমাদের স্বাধীনতার মধ্যে পার্থক্য কি তবে? - আমেরিকা স্বাধীনতা আর চাকমাদের চট্টগ্রাম স্বাধীনতা একই সময়ে হয়েও- আমেরিকানরা দীর্ঘ প্রায় দুইশত (১৬০৭-১৭৭৬) বছর শাসন-শোষণের অবসান ঘটায় আর চাকমারা মাত্র বাইশ (১৭৬০-১৭৮২) বছরের মধ্যে ইংরেজদের শাসনের শুরুতেই অবসান ঘটায়।
আমেরিকানরা বর্তমান বিশ্ব রাজত্ব করছে আর চাকমারা নিজের স্বজাতির উপর রাজত্ব করে চলেছে।
আমেরিকানরা সভ্য সমাজ আধুনিক শক্তিশালী রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে আর চাকমারা এখনো সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের সময় প্রহর গুনছে।
আমেরিকানরা স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে ৮২,৭৮,০০০ বর্গমাইল আমেরিকার আয়তন নির্ধারণ করে আর চাকমরা স্বাধীনতার পর বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাত্র ৬৫০০ বর্গমাইল আয়তন নিয়ে তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি,বান্দরবান) গঠন করতে বাধ্য হয়।
আমেরিকানদের নির্ভর করে বর্তমান বিশ্ব পরিচালিত হয় সেখানে চাকমারা পার্বত্য শান্তি চুক্তি আর স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধের লিপ্ত।

অনেক সময় সরকারকে দোষ চাপানো হয় সরকার কেন কিছুই করছে না বা বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীরা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও ন্যায় বিচার দিয়ে কেন সমাধান করছে না? বলা হয়, ভাতৃসংঘাতের মূল কারণ হলো সেনাবাহিনী।
সরকার বা বহিরাগত সেটলাররা পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল করে চলেছে আর পর্যটনের নামে একর একর জমি ক্ষীণ মানসিকতার স্বার্থবাদী অসাধু ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জমি ইচ্ছা মত বেদখল করছে,সেনাবাহিনীরা অবৈধ সেনা ক্যাম্প এখনো প্রত্যাহার করছে না কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি।

ধরুন,প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করল বা পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিয়ে দিল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বহিরাগত সেটলার বাঙালিদের নিজ নিজ জেলায় ফিরিয়ে নিল,অবৈধ সব সেনা ক্যাম্পগুলো তুলে নিল। তবে কি পার্বত্যবাসীদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে?
সাধারণত সরকার সর্বোচ্চ হয় পার্বত্য শান্তি চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে না হয় স্বায়ত্তশাসন দিবে। দুটো থেকে যেকোন একটা কোন একসময় সরকারকে বাধ্য হয়ে দিতে হবে।

বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি সক্রিয় রাজনৈতিক দল বিরাজমান। বিশেষ করে পিসিজেএসএস আর ইউপিডিএফ। তাদের দলীয় সংখ্যাও প্রায় সমান সমান।যদি পিসিজেএসএসের পার্বত্য শান্তি চুক্তি সরকার বাস্তবায়ন করে ইউপিএফ কি করবে? এবং তার বিপরীতে সরকার যদি ইউপিডিএফের স্বায়ত্তশাসনের দাবি বাস্তবায়ন করে তবে পিসিজেএসএস কি করবে? তাছাড়া তাদের বিপক্ষ অন্যান্য দলগুলোর অবস্থান কি হবে?

নাকি পিসিজেএসএস শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পরে ইউপিডিএফ তথা অন্যান্য দলগুলোকে নির্মূল করতে ব্যস্ত হবে বা ইউপিডিএফ তথা অন্যান্য দলগুলো সসম্মানে পিসিজেএসএসের কাছে আত্মসমর্পণ করবে?
তার ঠিক বিপরীতে ইউপিডিএফ যদি স্বায়ত্তশাসনের দাবি লাভ করে পিসিজেএসএস তথা অন্যান্য দলগুলোকে পিসিজেএসএস পার্বত্য শান্তি চুক্তি পাওয়ার মত করবে?

যেটা সত্য আমি যদি বর্তমান বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী হতাম দুটো থেকে যেকোনো একটা বাস্তবায়ন করতাম।দেখতাম পার্বত্য চট্টগ্রামে হাল কেমন হয়!

প্রকৃতপক্ষে, সরকার ও সেনাবাহিনীদের এখানে কোনো দোষ নেই বরং ভাতৃসংঘাতের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের দূর্বলতাগুলো তাদের কাছে স্পষ্ট করে পেলেছি,করছি। যেখানে আমরা আমরা ঠিক নেই সেখানে বহিরাগতরা আমাদের উপর রাজত্ব করবে না তো কি করবে?

আগে নিজের দোষ খুঁজুন, তারপর না হয় অন্যকে দোষ দিতে শিখুন।

আপনাদের মতামত কি?

দেঝকূল' মানুচ্ আহ্ এ দেঝর মানুচ্ এক লগে এক সমারে সাজেক ছড়াত গঙা মার উদিচে ফুল গোজানিত মিলনী।☘️এ সুবিবো কয় জাদর চিন মাজার...
13/04/2025

দেঝকূল' মানুচ্ আহ্ এ দেঝর মানুচ্ এক লগে এক সমারে সাজেক ছড়াত গঙা মার উদিচে ফুল গোজানিত মিলনী।☘️
এ সুবিবো কয় জাদর চিন মাজারা ধরি রাগেবার কধা -এক সমার অহ্না।হিলোত যুনি ন্যুঅ্ আভা ফিরিবার গরচ্ মনে গরন -দেঝ কূল মানুচ্ সং অই মুজুঙোত উজে এবাক।✊🏵️
সিঝি বিঝুর রংঢং ভালেদি কোচপানা। 💚
Highlight

27/03/2025

নতুন ঘর তৈরি করে প্রিয় জনকে নতুন ঘর দেখার জন্য আমন্ত্রণে অধীর আগ্রহের প্রকাশ।🫶
সুন্দর একটি চাকমা গান🌼☘️

গাবুরি যেই বেড়ে অইইই...
ম' ঘরান চেবাত্তে
মুই এক্কান ঘর বানেয়োং তরে লবাত্তেই

গাবুয্যা যেই বেড়ে অইইই...
ত' ঘরান চেবাত্তে
তুই এক্কান ঘর বানেয়োচ্ মরে লবাত্তেই।



ছবি : Suponkar Chakma da💚

25/02/2025

আমাদের চিন্তা ভাবনাগুলো সবসময় টাকা ওয়ালা, প্রভাবশালীদের,শাসকশ্রেণীদের উপর থাকবে।সাজেক পুড়ে গেল সেখানে বিলাসবহুল কতগুলো রিসোর্ট পুড়ে গেছে সে নিউজ পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু সেখানে থাকা নিরীহ মানুষদের কতটা ক্ষতি হলো খেয়াল নেই।😥🥺

সম্মানিত মানবতাবাদী, গতকাল যেসব নিরীহ মানুষদের ঘর বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের খবর নিতে সাজেক ঘুরে আসুন,ত্রাণের ব্যবস্থা করুন।🙏😥

#সাজেক

বাংলাদেশ ফুটবল নারীদের একুশের পদক প্রদান করা হয় আজ ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখ বেলা এগার টা।তাঁদের মধ্যে আদিবাসী তিন নার...
20/02/2025

বাংলাদেশ ফুটবল নারীদের একুশের পদক প্রদান করা হয় আজ ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখ বেলা এগার টা।তাঁদের মধ্যে আদিবাসী তিন নারী ফুটবলাররা এই পদক লাভ করেন।তারা হলেন মনিকা চাকমা,ঋতুপর্ণা চাকমা আর রূপনা চাকমা।এটি আদিবাসী চাকমা সম্প্রদায় তথা পার্বত্য আদিবাসীদের গর্বের অনুপ্রেরণার আনন্দের।আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনীরা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অনেক এগিয়ে নিয়ছিলেন।তাঁদের অবদান কখনো কোনো দিন বাংলাদেশ নারী ফুটবল ভূলতে পারবে না।আজকে একুশের পদক প্রদানে তাঁদের নাম নেই সত্যি ব্যথিত করেছে।যেন কি এক অপূর্ণতার চাপ।🥺

-২০২২ সালে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী দল। এরপর ২০২৪ সালে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে সাবিনারা। সাফজয়ী সেই দলে ছিলেন রূপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছিলেন রূপনা চাকমা, আর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা চাকমা।💚☘️

দেশে আদিবাসী ম্রো সম্প্রদায়ের- ম্রো ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ক্লোবং ম্লা’ - যার বাংলা অর্থ 'গিরিকুসুম`।💚‘ক্লোবং ম্লা’র কাহ...
11/02/2025

দেশে আদিবাসী ম্রো সম্প্রদায়ের- ম্রো ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ক্লোবং ম্লা’ - যার বাংলা অর্থ 'গিরিকুসুম`।💚

‘ক্লোবং ম্লা’র কাহিনি লিখেছেন ম্রো ভাষার লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রো,পরিচালক ডা. মং উষা থোয়াই এবং নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ।
ফিল্মের মূল আকর্ষণ ক্লোবং নামে একটি কন্যাশিশুকে নিয়ে।শৈশবে ক্লোবংয়ের মা-বাবা কলেরায় মারা যায়।তার বড়ভাই তাকে আদর,যত্ন-স্নেহ দিয়ে বড় করলেও পরবর্তীতে বৌদি ক্লোবংকে নানান অত্যাচার করে এবং নানা ঘাত-প্রতিঘাতে ফিল্মটি সমাপ্তি হয়।সম্পূর্ণ ছবিটি মোট ১৮ মিনিট, ১৫ জন ম্রো সম্প্রদায়ের লোক অভিনয় করেছেন তারমধ্যে লেখক নিজেও।☘️

-এইভাবে পরবর্তীতে সকল আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীববৈচিত্র্য নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হোক এই প্রত্যাশা ও শুভকামনা। 💚💜

#ম্রো

ছবি দুটি আদিবাসী "চাকমা সম্প্রদায়ের" বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মুহুর্ত। দুটো কাপলকে দেখতে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ও সুন্দর লাগছে...
08/02/2025

ছবি দুটি আদিবাসী "চাকমা সম্প্রদায়ের" বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মুহুর্ত। দুটো কাপলকে দেখতে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ও সুন্দর লাগছে।তাদের দাম্পত্য জীবন সুন্দর হোক এই শুভকামনা ও প্রত্যাশা রইল। 💜🌹

১ম ছবি- তাদের রিলেশন ছয় বছরের। বিয়েটা হয় কেক কেটে ও খুব সিম্পল করে। বর্তমান সময়ে বিলাসবহুল বিয়ে দেখে বিয়ে করে নেওয়াটা দোটানায় পড়ে গেছে অনেকে।আত্মীয় স্বজন,বন্ধুবান্ধব বিয়ের জন্য সোনাদানা,খাবার দাবার ইত্যাদি খরচ নিয়ে বিয়ে করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।সত্যি বলতে মানুষ লজ্জায় পড়ে গেছে।এই অবস্থায় তাদের সিম্পল বিয়ে হওয়াটা বেশ প্রসংশনীয়।আমিও ব্যক্তিগতভাবে তাদের এমন বিয়ে হওয়াটা দেখে সত্যি মুগ্ধ। 💙☘️

২য় ছবি- তাদের দেখে মনে হচ্ছে যেন রাজপুত্র আর রাজকন্যার বিয়ে হচ্ছে। বেশ সুখী লাগছে তাদের।যারা মনে করে বিলাসবহুল বিয়ে কেন হবে?-তাদের জন্য যার সামর্থ্য আছে তারা বিলাসবহুল বিয়ে করবে।বিয়ে করাটা জীবনে মাত্র একবার। এই একটি বার বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সামর্থ্য অনুযায়ী আয়োজন করুন। এখানে বিলাসবহুলতা বলতে কিছু নেই।💚☘️

সমালোচনা কেন করব? আমরা সমালোচনা তখনি করব -যখন নিজস্ব সংস্কৃতি পেলে অপর সংস্কৃতি ও জাতির প্রশ্নের হবে তখন।আমরা শুধুমাত্র সমালোচনা করব তা নয় প্রতিবাদও করব। প্রয়োজনে আমাদের রীতিগত প্রথা অনুযায়ী তাদের জন্য শাস্তি বিধান করব।প্রশ্ন থাকবে যেভাবে বিলাসবহুল বিয়ে করতেছে সেটা কি অপর সংস্কৃতি নয়?-সদুত্তর হলো আগেকার সময়ে বর্তমান সময়ের মতো আধুনিক নয়, এত উন্নত প্রযুক্তিও ছিল না। সেজন্য তখনকার সময়ে খুব সাদামাটা ভাবে বিয়ে হত।যাদের সামর্থ্য ছিল তারা দু-চারটি পাঁচ মুঠি শুকর জবাই করে আর নানান আয়োজনে ও অসংখ্য মানুষের দাওয়াত দিয়ে বিয়ে করত।যাদের সামর্থ্য ছিল না তারা খুব সাধারণভাবে বিয়ে করত।

সুতরাং আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি বিয়ে করুন।এতে কে কি বলল দেখার বিষয় নয়।বিয়েটা আপনি করবেন অন্য কেউ না।সংস্কৃতি, অস্তিত্ব ও স্বকীয়তা যেন ঠিক থাকে সেটা মাথায় রাখলে চলবে।💙☘️💛

আমার বিয়েটা আমি খুব সাধারণভাবে করব। সবাইকে বিয়ের সময় অগ্রীম দাওয়াত রইল।😊

তুঙ, তর মর যদনর পর মোন জুম ছাবত নিরিবিলি গরি থেবঙোই। ইরুক অক্তত যে দগ দেঘা যার হিলোত ন্যুঅ্ আভাহ্ ফিরিবার আঝা নেই।🙄থুমেদ...
29/01/2025

তুঙ,
তর মর যদনর পর মোন জুম ছাবত নিরিবিলি গরি থেবঙোই। ইরুক অক্তত যে দগ দেঘা যার হিলোত ন্যুঅ্ আভাহ্ ফিরিবার আঝা নেই।🙄

থুমেদি,
তুঙ-Tung 💚

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তুঙ-Tung posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share