হেদায়েতের আলো

হেদায়েতের আলো I Love Quran�
(6)

12/04/2025

ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজন ই, হযরত ইবরাহীম(আঃ)।
ইবরাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, ইসহাক(আঃ) আর ইসমাইল(আঃ)।

হয়রত ইসহাক(আঃ) এর পুত্র ছিলেন হযরত ইয়াকুব(আঃ), উনার আরেক নাম ইস/রা/ইল। এই ইয়াকুব(আঃ) এর বংশকে আল্লাহ্ তা'আলা বনি-ই/সরা/ইল নামে সম্বোধন করেছেন।

হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১জনের নাম ছিলো ইয়াহুদা। এই ইয়াহুদা এর বংশই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে।
তাই, বনি-ই/সরা/ইল এর আরেক নাম ই/হু/দী।

ই/হু/দী ধর্ম আর বংশ দুটো আলাদা।
সব ইহুদী বংশের লোক ইহুদী ধর্মের হলেও সব ইহুদী ধর্মের লোক ই ইয়াহুদার বংশ নয়।
এই ইয়াহুদা ই কিন্তু তার আপন ভাই ইউসুফ(আঃ) কে কূপে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল!

৪ হাজার বছর আগে ইসহাক(আঃ) এর মৃত্যুর পর ইয়াকুব(আঃ) আল্লাহ্‌'র নির্দেশে শামনগরী (সিরিয়া) থেকে কেনানে হিজরত করেন। এই কেনান ই বর্তমানের ফিলিস্তিন।

এরপর কেনানে (ফিলিস্তিন) দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইয়াহুদা তার সব ভাই এর সাথে মিশরে চলে যায় এবং মিশরে বসবাস শুরু করে।

মিশরের তখনকার রাজা ছিলেন ইউসুফ(আঃ), যিনি ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১১তম। সেই কারণে ইয়াহুদা ও তার বংশ মিশরে অনেক দাপটের সাথে থাকতে শুরু করে।

তারপর কালের পরিক্রমায় ক্ষমতা যায় ফারাও রাজাদের হাতে। ফেরাউন এসে বনি-ই/সরা/ইলদের এত অত্যাচার শুরু করে যে এরা সারাদিন 'ইয়া নাফসী' 'ইয়া নফসী' করতো।
তখন আল্লাহ্ তাদের কাছে পাঠালেন মূসা(আঃ) আর তাওরাত কিতাব। মুসা(আঃ) ফেরাউনকে নীলনদে ডুবানোর মাধ্যমে বনি-ই/সরা/ইল মুক্তি পায়।

তারপর মূসা(আঃ) সবাইকে নিয়ে কেনানে (ফিলিস্তিন) ফিরে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে আল্লাহ্‌'র অশেষ রহমত পাওয়া সত্ত্বেও মুসা(আঃ) এর ওফাতের পর আবার আল্লাহ্‌ কে ভুলে যায়, গরুপূজা সহ নানা রকম অনাচার শুরু করে।

তারপর তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভে নিজেদের একতা ভেঙ্গে যায়, ভিনদেশীরা তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের আবার গোলাম বানিয়ে অত্যাচার করতে থাকে।
এর ১০০বছর পরে দাউদ(আঃ) আর উনার ছেলে সুলাইমান(আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আবারও এই অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন।

কিন্তু সুলাইমান(আঃ) এর মৃত্যুর পর ই/হু/দীরা আবার শয়তানের পূজা শুরু করে। তাদের ভিতরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাওরাত কিতাবের মধ্যে নিজেদের সুবিধামত সংযোজন-বিয়োজন করার মতন ধৃষ্টতা দেখায়।
তারা তাওরাতে সংযোজন করে যে, "আল্লাহ্ তায়ালা ইসহাক(আঃ) এর স্বপ্নে কেনানকে ইহুদীদের জন্য প্রমিজ ল্যান্ড হিসেবে দিয়েছেন, এটা তাদের জয় করে নিতে হবে।"
এটাকে তারা 'জেকব লেডার ড্রিম' বলে।

তাদের এমন নির্লজ্জতা ও ধৃষ্টতার কারণে তারা বারবার আল্লাহ্‌'র শা/স্তির মুখে পড়েছে। যেমনঃ
কখনো গৃহহীন হয়ে যাযাবরের মতো ঘুরেছে,
ব্যবিলনীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা গণহ/ত্যার শিকার হয়েছে,
রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা সিরিয়া থেকে আরব দেশে বিতাড়িত হয়েছে।
মহানবী(সাঃ) এর সময় তারা আরব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে চলে যায় ইউরোপে।
আর উমার(রা:) ফিলিস্তিন ও আল-আকসা বিজয় করেন।
আজ ইস/রা/য়েলের এতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউরোপও তখন তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি।

বনি-ইস/রা/ইলের এমন পরিণতির কারণ আল্লাহ তায়ালা এর শা/স্তির পাশাপাশি তাদের ব্যবহার!
তখনকার লোকদের ভাষ্যমতে, তারা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল।
তাদেরকে যে জায়গায় আশ্রয় দেয়া হতো সেই জায়গাতেই তারা তাদের প্রতিবেশীর জমি দখল করতো!

ই/হু/দীরা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ছিল আর তাদের ব্যবসা অন্যদের থেকে কৌশলগতভাবে আলাদা ছিলো, যার কারণে যাযাবরের মতো ঘুরলেও তাদের অর্থ-সম্পদ ভালোই ছিল। সেই অর্থ-সম্পদ এর দাপট দেখিয়ে তারা সেইসব এলাকার স্থানীয় লোকদের উপরই ছড়ি ঘুরাতো।
তাই তারা সেইসব এলাকার রাজা ও বাসিন্দাদের দ্বারা বার বার বিতাড়িত হতো।

বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পর তারা একসময় বুঝতে পারে যে, যেকোনো সমাজকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে শিক্ষা ও অর্থের বিকল্প নেই।
তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও অর্থ উপার্জনের উপর গুরুত্ব দেয়।
তারা বিশ্বাস করে, কেনান তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমি।
তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, একসময় তাদের একজন মসিয়াহ্‌(দাজ্জাল) এসে তাদের এই ভূমিকে উদ্ধার করে দিবে।

১৮ শতাব্দীতে ই/হু/দীরা তাদের ধর্ম-পরিচয় গোপন করে ইউরোপে বসবাস শুরু করে।
তখন থিওডোর হার্জেল নামে তাদেরই একজন ব্যবসায়ী ফিলিস্তিনকে নিজেদের দখলে আনার লক্ষ্যে ১৮৯৭ সালে জিওনিজম আন্দোলন শুরু করে ই/হু/দীদেরকে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখানো শুরু করে।
এই আন্দোলনকে যারা সমর্থন করে, তাদেরকে জিওনিস্ট বলে।

যেহেতু ই/হু/দীরা অনেক শিক্ষা অর্জন আর অর্থ উপার্জন করেছিলো, তাই তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ ইউরোপে ধর্ম গোপন করে থাকলেও কেউ কেউ মেধার জোরে ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে, বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করে।
তখন তারা শুধুমাত্র পদ দখল করেই থেমে থাকেনি, সেই সাথে নিজেদের একটা রাষ্ট্র গঠনেও প্রচুর সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে থাকে।

তখন ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, তাদেরকে আফ্রিকার উগান্ডায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
ঠিক এমন সময় শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যুক্তরাজ্য নিজেদের অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য এক ধরনের গ্লিসারিন ইউজ করতো, যেটা আসতো জার্মানি থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের সময় জার্মানি যুক্তরাজ্যের বিপক্ষে থাকায় গ্লিসারিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

তখন যুক্তরাজ্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে চাইম ওয়াইজম্যান নামক একজন ই/হু/দী গবেষক ও ব্যবসায়ী। তিনি গ্লিসারিন এর বদলে এসিটোন দিয়ে অস্ত্র সংরক্ষণের পদ্ধতি শিখিয়ে দেন এবং যুদ্ধে প্রচুর অর্থ সহায়তা দেন।
তার এমন অভুতপূর্ব অবদানের জন্য যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্য যখন তাকে পুরস্কৃত করতে চায়, তখন সে জানায় যে তার একমাত্র পুরস্কার হবে তাদের প্রমিজল্যান্ড মানে ফিলিস্তিনে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়া!
এখানে উল্লেখ্য, চাইম ছিলেন জিওনিজম আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

ফিলিস্তিন তখন ছিল উসমানী সালতানাতের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর তুরস্কের ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ধাপে ধাপে ই/হু/দীরা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে থাকে।
প্রথমে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে, তারপর বেশি দামের লোভ দেখিয়ে সেগুলো কিনতে থাকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজয়ের পর পুরো বিশ্বের ক্ষমতা ইউরোপের হাতে চলে যায়।
ই/হু/দীরা তখন স্থানীয় ফিলিস্তিনিদেরকে অত্যাচার-জোর-জবরদস্তি করা শুরু করলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে।

তখনই ইউরোপ থেকে ঘোষণা আসে, পুরো ফিলিস্তিনের ৫৫ ভাগ থাকবে ফিলিস্তিনিদের দখলে আর বাকি ৪৫ ভাগ হবে ই/হু/দীদের।
৬লাখ ই/হু/দীর জন্য ৪৫% আর ১২কোটি ফিলিস্তিনির জন্য ৫৫% জায়গা!

জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ই/হু/দীরা ইজ/রা/য়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।নবগঠিত এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয় চাইম ওয়াইজম্যান।

ইজ/রায়ে/ল রাষ্ট্র গঠন হওয়ার ঠিক ৬ মিনিটের মধ্যে আমেরিকা তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়!

আর এভাবেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে তারা ইয়াকুব(আঃ) এর সাথে কেনানে আসা যাযাবর থেকে আজকে গাজাকে ধ্বংসকারী দানবে পরিণত হয়েছে!

আর বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে বসে আছেন আর চোখে ঠুঁলি পরে সবকিছুকে না দেখার ভান করছেন!

02/11/2024

আল্লাহ্ তাকে বড় হাফেজ আলেম বানিয়ে দিক আমিন😭😭

11/10/2024

এ অন্তর অন্ধকারে ছেঁয়ে যাবে,
আপনার মহব্বত ছাড়া ইয়া রাসুল আল্লাহ
(ﷺ)

❛❛আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া'সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ❜❜ (ﷺ)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ
صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ

07/10/2024

কুরআনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
📗১। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:৪২]

📗২। সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা ২:৪৪]

📗৩। পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:৬০]

📗৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:১১৪]

📗৫। কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭০]

📗৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭৭]

📗৭। ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা ২:১৮৮]

📗৮। যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা ২:১৯০]

📗৯। লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা ২:১৯১]

📗১০। অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা ২:২২০]

📗১১। রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা ২:২২২]

📗১২। শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা ২:২৩৩]

📗১৩। সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা ২:২৪৭]

📗১৪। দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা ২:২৫৬]

📗১৫। প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা ২:২৬৪]

📗১৬। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা ২:২৭৩]

📗১৭। সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা ২:২৭৫]

📗১৮। যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা ২:২৮০]

📗১৯। ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা ২:২৮২]

📗২০। আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]

📗২১। গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]

📗২২। সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৫]

📗২৩। সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:২৮৬]

📗২৪। তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১০৩]

📗২৫। ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৩৪]

📗২৬। রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৫৯]

📗২৭। এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯১]

📗২৮। পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯৫]

📗২৯। মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা ৪:৭]

📗৩০। উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা ৪:৭]

📗৩১। এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা ৪১০]

06/10/2024

⭕দোযখ:
যারা আল্লাহর দুনিয়ায় বাস করে ;আল্লাহ তায়া’লার অসংখ্য নিয়ামত ভাগ করার পরও
আল্লাহরই অবাধ্য হয়;
আল্লাহ্ তা'আলা যেসব কাজ করার হুকুম দিয়েছেন তা না করে এবং যা যা করতে নিষেধ করেছেন সেসব কাজ করতে খুব তৎপর থাকে;
যারা আল্লাহর কথা অমান্য করে এবং আল্লাহর মাফরমান শয়তান ও অন্যান্য আল্লাহদ্রোহী মানুষের কথামত জীবনযাপন করে,
তাদেরই শাস্তির জন্য দোযখ তৈরি করা হয়েছে।
দোযখের শাস্তি ও কষ্ট কি পরিমাণ যন্ত্রণাদায়ক হবে,তা আমাদের পক্ষে সম্যক বুঝে উঠা সম্ভব নয়।

⭕মানুষ এবং পাথর হবে দোজখের আগুম:
দোজখের আগুনকে ভয় কর।ঐ আগুনের ইন্ধন হচ্ছে মানুষ ও পাথর আর তা কাফেরদের জন্য প্রজ্বলিত করা হয়েছে। (সূরা বাক্বারা, আয়াত:২৪)

⭕শরীরের চামড়া আগুনে জ্বলবে:
যারা আমার আয়াতগুলোকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে,তাদের আমি অবশ্যই আগুনে নিক্ষেপ করব।তাদের গায়ের চামড়া আগুনে বিগলিত হয়ে যাবার পর আমি নতুন চামড়া পয়দা করে দেব যেন তারা খুব বেশি করে আযাবের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে।
আল্লাহ্ পরাক্রমশালী এবং তিনি তার সিদ্ধান্ত কে কার্যকরী করার উত্তম পন্থা জানেন।(সূরা নিসা,আয়াত:৫৬)
⭕মৃত্যুর পর মানুষের ৯টি আকাঙ্খা /আফসোস :

★ "হায়! আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।" (সূরাহ নাবা, আয়াত : ৪০)

★"হায়! যদি পরকালের জন্য কিছু করতাম।" (সূরাহ ফজর, আয়াত : ২৪)

★ "হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেওয়া হতো।" (সূরাহ আল-হাক্কা, আয়াত : ২৫)

★ "হায়! আমি যদি ওকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।" (সূরাহ ফুরকান, আয়াত : ২৮)

★ "হায়! আমরা যদি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল ﷺ এর আনুগত্য করতাম।" (সূরা আহযাব, আয়াত : ৬৬)

★"হায়! আমি যদি রাসূল ﷺ এর পথ অবলম্বন করতাম।" (সূরাহ ফুরকান, আয়াত : ২৭)

★ "হায়! আমিও যদি তাদের সঙ্গে থাকতাম, তা হলে বিরাট সফলতা লাভ করতে পারতাম।" (সূরাহ আন-নিসা, আয়াত : ৭৩)

★"হায়! আমি যদি আমার রবের সঙ্গে কাউকে শরীক না করতাম।" (সূরা কাহফ, আয়াত : ৪২)

★ "হায়! এমন যদি কোনো সুরত হতো ― আমাদেরকে আবার দুনিয়াতে পাঠানো হতো, আমরা আমাদের প্রভুকে মিথ্যা প্রতিপন্ন না করতাম আর আমরা হতাম ঈমানদারদের শামিল।" (সূরাহ আনআম, আয়াত : ২৭)

' হে আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তৌফিক দান করুন আমিন।

03/10/2024

আল্লাহ তাআলা নারীকে একথা বলেননি :
‘তুমি হিজাব করো’!
‘তুমি বোরকা পরো’!
‘তুমি স্কার্ফ পরো’!

আল্লাহ তাআলা বলেছেন :
১. মুমিন নারীগণ যেন বে-গা-না পুরুষের কাছে সৌন্দর্য প্রকাশ না করে!
وَلَا یُبۡدِینَ زِینَتَهُنَّ
(সূরা নুর : ৩১)

২. তোমরা আদি জা-হে-লি যুগের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না!
وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَـٰهِلِیَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ
(সূরা আহযাব : ৩৩)

৩. মূল নিষেধাজ্ঞা সৌন্দর্য প্রকাশ করার বিষয়ে। যে বোরকা-হিজাবের মাধ্যমে সৌন্দর্য প্রকাশ পায়, বলাবাহুল্য সেটাও নি-ষি-দ্ধ। বোরকা-হিজাব এমন হওয়া জরুরী, যাতে সৌন্দর্য প্রকাশ না পায়।

বলাবাহুল্য চেহারাতেই সমস্ত সৌন্দর্য কেন্দ্রীভূত থাকে। কখনো চোখেও। এজন্য দৃষ্টিও অবনত রাখতে বলা হয়েছে।

~

02/10/2024

তামকিন মানে?
আল্লাহর হেকমত ও তাদবিরের প্রতি পরিপূর্ণ একিন রাখা।
আল্লাহর আহকাম বা বিধানের সাথে তাকওয়াপূর্ণ অবস্থান নেয়া।
আল্লাহ তাআলা যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী বিচার ও শাসন কায়েমে অনঢ় অবস্থান নেয়া।
তামকিন: দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠা।
হেকমত: প্রজ্ঞা, কর্মকুশলতা।
তাদবির: পরিচালনা। ব্যবস্থাপনা।

29/09/2024

কুরআনে বারবার মৃত্যুর আলোচনা করা হয়েছে কেন?
জীবনের প্রতি যত্নবান করে তোলার জন্য। মৃত্যুর কথা বলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
কুরআনে ‍আখেরাতকেই প্রকৃত ‘জীবন’ বলা হয়েছে। মৃত্যুর কথা বারবার বলে, সেই প্রকৃত জীবনের জন্য তুমুল কর্মমুখর জীবন কাটাতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
কুরআনে মৃত্যুর কথা বলে জীবনের প্রতি নিরাশ নয়, প্রচণ্ড আশাবাদী করে তোলা হয়েছে। মৃত্যুর কথা বলে বান্দাকে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে নিবিড় অনুশীলনে মশগুল হয়ে পড়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

21/04/2024

বিষয়ঃ
ভালো কাজের আদেশ
এবং অন্যায় কাজের নিষেধ।

(তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে, তারাই সফলকাম)
(সুরা আলে ইমরন: ১০৪)

রসুল (সা.) বিভিন্ন প্রসঙ্গে কিছু বিশেষ গুণের অধিকারী মানুষকে উত্তম মানুষ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন -

১। মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো আমার যুগের লোকজন। এরপর তাদের পরবর্তী লোকজন এবং তারপর ওদের পরবর্তী লোকজন।
(মুসলিম: ২৫৩৩)

২। তোমাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে ভালো; যে কোরআন শিখে এবং শেখায়।
(বুখারি: ৪৭৩৯)

৩। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক উত্তম, যে তার পরিবারের নিকট ভালো। বস্তুত তোমাদের মধ্যে আমি আমার পরিবারের জন্য সবচেয়ে ভালো।
(সুনানে তিরমিজি: ১৯৭৭)

৪। সঙ্গী হিসেবে আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই উত্তম; যে নিজ সঙ্গীদের কাছে ভালো এবং প্রতিবেশী হিসেবে আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই শ্রেষ্ঠ; যে আপন প্রতিবেশীর কাছে ভালো।
(সুনানে তিরমিজি: ১৯৪৪)

৫। ইসলামের বিবেচনায় তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক উত্তম ব্যক্তি সেই যে সুন্দর চরিত্রের অধিকারী। যখন তাদের মাঝে দ্বীনের জ্ঞান বিদ্যমান থাকে।
(আল আদাবুল মুফরাদ; ইমাম বোখারি: ২৮৫)

৬। সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ হলো যে দীর্ঘ জীবন লাভ করে এবং পুণ্যকাজ করে। আর সবচেয়ে খারাপ মানুষ সেইলোক যে দীর্ঘ জীবন পায়, আর মন্দকাজ করে যায়।
(সুনানে তিরমিজি: ২৩২৯)

৭। জনৈক বেদুইন এসে নবীজিকে বলল, আপনি আমার পাওনা উটের ঋণ পরিশোধ করুন! রাসুল (সা.) তাকে প্রাপ্তবয়স্ক একটি উট (যার মূল্যমান বেশি) দিয়ে দিলেন। লোকটি বলে উঠলো, আমি তো আপনাকে কমবয়সী উট (যার মূল্যমান কম) দিয়েছিলাম! প্রতিউত্তরে রাসুল (সা.) বলেন, লোকদের মধ্যে সেই সবচেয়ে ভালো; যে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ভালো। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২২৮৬)

হে আল্লাহ!
আমাদেরকে সেইসব গুণাবলি দান করো
যা তুমি পছন্দ করো।
আমাদেরকে ক্ষমা করো,
আমাদের প্রতি রহম করো
আর বিচার দিবসে আমাদেরকে লজ্জিত, অপমানিত হতে দিও না।
আমীন।

21/04/2024

তীব্র গরম নাকি জা হা ন্নামের নিঃশ্বাস,,,

শায়খ আহমাদুল্লাহ

29/03/2024

আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা।
তারাও আমাকে চিনবেনা।
কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবরবাসি হয়ে যাব।
আর ততদিন মুছে যাবে আমার নাম নিশানা।
কবরটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে!
কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না।
হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে।
কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবেনা।
প্রায় ২০০ বছর আগে মারা গেছে আমার দাদার দাদা।
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একিই বাড়ি, একিই জায়গা জমি আমরা এখন ভোগ করছি।
কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানিনা।
হয়ত আমার দাদার পিতা জানতেন।
কিন্তু দাদার পিতা তো বেঁচে নেই, দাদাও বেঁচে নেই।
তবে সাত পাঁচ করে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেটা কবরে নিয়ে যেতে পারবেন না।
আর যাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন তারা ও আপনাকে মনে রাখবে না এটা নিশ্চিত!
অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
সুদ, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
তাহলে আপনি আস্ত একটা বোকা !
এই শব্দটা ব্যবহার করার জন্য স্যরি!
ক্ষমা করবেন।
আমাদের সময় খুব কম! তাই এই সুদ, ঘুষ ,দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার,সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ইত্যাদি, কোন লাভ নেই ভাইজান।
সময় থাকা কালীন ভালো হয়ে কবরের খোরাক সংগ্রহ করুন ঐটাই বুদ্ধিমানের কাজ।। আসুন নিজেকে সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি করি পরকালের জন্য নিজেকে প্রস্তুতি করি।
নেক আমলেই আপনার আমার জন্য প্রকৃত সম্পদ।।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দাও। আমিন

Address

Khagrachhari

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হেদায়েতের আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share