Hill Documentary

Hill Documentary ভুবন দৃষ্টিতে আমাদের চোখ,
দৃষ্টিগোচরে যা প্রকাশ করছি তা। সত্য সমাগত, মিথ্যা পরাভূত।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়- লংগদু পাকুয়াখালী ট্রাজেডি।বাংলাদেশের ইতিহাসে পার্বত্য চট্টগ্রাম সবসময়ই ছিল...
09/09/2025

পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়- লংগদু পাকুয়াখালী ট্রাজেডি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে পার্বত্য চট্টগ্রাম সবসময়ই ছিলো সংঘাত, রক্তপাত ও ষড়যন্ত্রের আঁতুড়ঘর। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এখানকার একটি অংশ বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড শুরু করে। যার ভয়ঙ্কর রূপ প্রকাশ পায় বারবার বাঙালি জনগোষ্ঠীর উপর হত্যা, লুটপাট ও নির্বিচার গণহত্যার মধ্য দিয়ে। তারই এক ভয়াল দৃষ্টান্ত হলো রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালী ট্রাজেডি, যা আজও ইতিহাসের কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে বাঙালি জাতিকে শোকাহত করে রেখেছে।

১৯৯৬ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর, শান্তিবাহিনী তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্ত্রাসীরা চরম নৃশংসতার নজির গড়ে তোলে। সেদিন লংগদুর ৩৬ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে ব্যবসায়িক লেনদেনের প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী অরণ্যে ডেকে নেয়া হয়। সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ছোট ছোট দলে ভাগ করে হাতে দা, কিরিচ ও ভারতীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে একে হত্যা করে।
সেদিন মৃত্যুর দুয়ার থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ইউনুস আলী নামের এক কাঠুরিয়া। তার বর্ণনায় উঠে আসে ভয়াল হত্যাযজ্ঞের বিবরণ। তিনি জানান, প্রতিটি বাঙালি কাঠুরিয়াকে দা ও ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়। নিহতদের লাশের অবস্থা ছিল এতটাই করুণ যে, উদ্ধারকালে তাদের চেনাই যাচ্ছিল না।
গ্রামবাসী সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় ৯ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাকুয়াখালীর গহীন খাদ থেকে ২৮টি লাশ উদ্ধার করে। বাকী ৭ জনের কোনো খোঁজ মেলেনি আজও। এভাবেই ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়া নিছক বাঙালি হওয়ার অপরাধে জীবন হারান।

১৯৯৬ সালের এই ভয়াবহ ট্রাজেডি পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জ্বলন্ত প্রমাণ হলেও, আজ পর্যন্ত এর কোনো বিচার হয়নি। তৎকালীন সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টোটা। একই বছরের শেষে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শান্তিবাহিনীর সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় মাফ করে দেওয়া হয়। ফলে পাকুয়াখালী হত্যাযজ্ঞসহ অসংখ্য হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই বন্ধ হয়ে যায়।
এই দায়মুক্তির কারণে আজও স্বজনহারারা শুধু কান্না বুকের ভেতর চেপে রেখে প্রতিবছর এই দিনটিকে পালন করেন। তারা করব জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে নিহত আত্মীয়দের স্মরণ করেন। কিন্তু তাদের আর্তনাদ পৌঁছায়নি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী মহলে। ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন কিংবা বিচার-কিছুই পায়নি ভুক্তভোগীরা।

লংগদু উপজেলা ও আশপাশের অঞ্চল বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এটি শুধু ভোটের বাক্স। কিন্তু জনগণের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করা হলেও, কোনো দলই পাকুয়াখালী ট্রাজেডি নিয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান নেয়নি। ইতিহাসের এই ভয়াবহতম হত্যাযজ্ঞ রাজনৈতিক বক্তৃতা কিংবা সংসদীয় আলোচনায় স্থান পায়নি। বরং ট্রাজেডি দিনের স্মরণোৎসবকে সীমিত আকারে পালনে বাধ্য করা হয়েছে।
শুধু পাকুয়াখালী নয়, শান্তিবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় একের পর এক বাঙালি নিধন, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন-সবই ঘটেছে। কিন্তু এ সব হত্যাযজ্ঞের কোনোটিরই বিচার হয়নি। ফলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়েছে এবং পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দমননীতি জারি রেখেছে।

১৯৯৬ থেকে ২০২৫ দীর্ঘ ৩ দশক পার হলেও পাকুয়াখালী হত্যাযজ্ঞের বিচার শুরু হয়নি। নিহতদের পরিবার এখনও অপেক্ষায় আছে ন্যায়বিচারের। কিন্তু রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা ও রাজনৈতিক সমঝোতার কারণে এই অপেক্ষা যেন অনন্তকাল পর্যন্ত স্থায়ী হতে চলেছে।

স্বজনহারাদের একটাই দাবি-তথাকথিত শান্তিবাহিনী ও তার মদদদাতা সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। গণহত্যার দায় থেকে কাউকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না। দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও বাঙালি জাতিসত্তার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই পাকুয়াখালী হত্যাকাণ্ডসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

লংগদু পাকুয়াখালী ট্রাজেডি শুধু ৩৫টি পরিবার নয়, সমগ্র জাতির জন্য এক অবিনাশী ক্ষত। এই হত্যাযজ্ঞ পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে আছে। সময়ের প্রলেপে হয়তো স্মৃতির ক্ষত ফিকে হয়, কিন্তু রক্তের ঋণ ভুলে যাওয়া যায় না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভেঙে পাকুয়াখালী হত্যাযজ্ঞের বিচার নিশ্চিত করাই হোক জাতির প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা।

কোনো মব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নে...
08/09/2025

কোনো মব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

08/09/2025

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমার অহংকার

07/09/2025
ডাকসু নির্বাচনে রাষ্ট্রবিরোধী ‘আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারকারীদের প্রার্থীতা ও ছাত্রত্ব বাতিল এবং তাদেরকে শাস্তির আওত...
07/09/2025

ডাকসু নির্বাচনে রাষ্ট্রবিরোধী ‘আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারকারীদের প্রার্থীতা ও ছাত্রত্ব বাতিল এবং তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে 'সার্বভৌমত্ব সচেতন ছাত্রসমাজ'।

আজ রোববার বিকেল ৪’টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে থোয়াই চিং মং চাক ও পাইশিখই মারমা বলেন-

"আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্নের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশী এনজিও ও ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে ঢাবিতে ‘আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারণা ও কায়েম করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ‘আদিবাসী’ প্রচারণার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ কিংবা ভারতের সাথে যুক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র বিদ্যমান।

যেসব ক্যান্ডিডেট ঢাবিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী আদিবাসী প্রচারণা চালাচ্ছে তাদেরকে ডাকসু নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত করে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী শব্দ প্রচারণার অভিযোগে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা করতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। কিন্তু এই ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরবতা আমাদেরকে হতাশ করেছে। আদিবাসী প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের অখণ্ডতা নিয়ে যে ঝুঁকি তৈরী হবে এর জন্য ঢাবি প্রশাসনও দায়ী থাকবে।

বাংলাদেশের প্রায় ৯৯. শতাংশের বেশি মানুষ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী। এর বাইরে আনুমানিক ০.৫০ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। এখানে কেউ চাক, কেউ মারমা, কেউ চাকমা ইত্যাদি। এগুলো আমাদের জাতিগত পরিচয়। সামষ্টিকভাবে বাঙ্গালি-অবাঙ্গালি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আমরা সবাই বাংলাদেশী। কিন্তু নিজ জাতি ও বাংলাদেশী পরিচয় বাদ দিয়ে বিদেশী এনজিও ও ভারতীয় চাহিদায় বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আদিবাসী’ প্রচারণা রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড। এদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

গত আওয়ামী সৈরাচার আমলে ঢাবির ছাত্রলীগ ও বামপন্থী ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো যে, ঢাবি ক্যাম্পাসে কে বেশি ভারতীয় হেজিমনি (আধিপত্য) তৈরী করতে পারে। এটা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি পযন্ত হয়েছে। ভারতীয় হেজিমনির পোদবালক ঢাবির জগন্নাথ হলের মেঘমল্লার বসু। সৈরাচার পতনের পরেও তারা ঢাবিতে ভারতীয় হেজিমনি ‘আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদ’ পুনরায় নিয়ে আসার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে- দশম বর্ষী আদু ভাই ওরফে ভারতীয় রুপি মেঘমল্লার ও তার রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যকে সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা।

ডাকসু নির্বাচনে পাহাড়ের সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউপিডিএফ এর ফান্ডিং ও কানেকশনের ছড়াছড়িও দেখা যাচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনই উক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত। এই ব্যাপারগুলোতে ঢাবি প্রোসনের যাচাইহীনতা ও নিষ্কৃীয়তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র কিংবা শিক্ষক যারাই রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রচারণা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।"

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী-বাঙালীর সম্প্রীতির প্রধান বাধা সন্ত্রাসীদলগুলো,,,প্রায় ১৩,১৮৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পার্বত্য ...
07/09/2025

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী-বাঙালীর সম্প্রীতির প্রধান বাধা সন্ত্রাসীদলগুলো,,,

প্রায় ১৩,১৮৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-দশমাংশ। এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রয়েছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান-দেশের তিনটি পার্বত্য জেলা। ভৌগোলিক বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এ অঞ্চলটি বহু জাতিগোষ্ঠীর সহাবস্থানের এক অনন্য ক্ষেত্র। দীর্ঘ পাঁচশত বছর আগে থেকে বাঙালিরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে, অপরদিকে চাকমা, মারমা, মগ, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, লুসাই, মিজো, পাংখো, বম,চাক, মুরং (ম্রো) প্রভৃতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে এসে প্রায় দুইশত বছর আগে এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে। বর্তমানে পাহাড়ি ও বাঙালির সংখ্যা প্রায় সমান সমান হলেও বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, আনুমানিক ৫২ শতাংশ। এ কারণে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাঙালি ও পাহাড়িদের একসাথে বসবাস করা ছাড়া বিকল্প নেই। বিরোধ নয়, বরং সম্প্রীতির সেতু নির্মাণ করাই আজকের সময়ের দাবি।

কিন্তু দুঃখজনক হলো, এ অঞ্চলের শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়ন বারবার ব্যাহত হচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডে।
স্বাধীনতার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এসব সংগঠন দাবি করেছে রাজনৈতিক স্বার্থ কিংবা জাতিগত অধিকার, কিন্তু বাস্তবে তারা সাধারণ পাহাড়ী-বাঙালীর সম্প্রীতি বিনষ্ট করে কেবল রক্তপাত, হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে চেয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময়ের শান্তিচুক্তি সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে এখানকার সাধারণ মানুষ- হোক পাহাড়ী বা বাঙালী- কেউ-ই নিরাপদ নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নিয়মিত চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তারা একদিকে স্থানীয় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করছে, অন্যদিকে বাঙালী বসতিগুলোকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এতে করে পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য নষ্ট হচ্ছে, পাহাড়ী-বাঙালীর মধ্যে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম বিভাজন।
অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পাহাড়ী ও বাঙালী জনগোষ্ঠী একসাথে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেছে বহু যুগ। তারা পরস্পরের সামাজিক অনুষ্ঠান, উৎসব, বাজার-ঘাট, ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশ নিয়েছে। এই সম্প্রীতির বন্ধনই আজ বারবার ভেঙে দিচ্ছে সন্ত্রাসী চক্র।

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে হলে প্রথমেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর দমন জরুরি। তাদের অর্থের উৎস -বিশেষ করে অবৈধ চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সীমান্ত পারাপারের অস্ত্র চোরাচালান -বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই। একই সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যাতে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভাজনের রাজনীতি করে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করতে না পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি শান্তিপূর্ণ, উন্নত ও সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে হলে পাহাড়ী-বাঙালীর সম্প্রীতির পথে প্রধান অন্তরায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রীয় শক্তি ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কেবলমাত্র এ অঞ্চলের চিরায়ত সৌহার্দ্য ও শান্তি ফিরিয়ে আনাতে পাহাড়ি-বাঙ্গালি একসাথে কাজ করতে হবে। এছাড়া

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত হলো পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে আন্তরিক সম্প্রীতি গড়ে তোলা। প্রয়োজন সৌহার্দ্য, আস্থা, বিনিময় ও সহমর্মিতা বাড়ানো। পাশাপাশি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অবৈধ কার্যক্রম, চাঁদাবাজি ও নাশকতা প্রতিরোধ করা অপরিহার্য। সাম্প্রদায়িক বিরোধ কত ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে তার সাম্প্রতিক উদাহরণ ভারতের মণিপুর। তাই এখনই সময়, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের দিকে অগ্রসর হওয়ার।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ব্রিটিশ আমলে বাঙালি ব্যবসায়ী ভাস্যান্যা বেপারীরা লবণ ও কেরোসিনভর্তি নৌকা নিয়ে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতেন এবং পাহাড়িরা বাণিজ্যের জন্য তাদের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। বাঙালি শিক্ষকরা দুর্গম এলাকায় গিয়ে শিশুদের শিক্ষা দিতেন, বসবাসরত বাঙালি কৃষকরা পাহাড়িদের হালচাষের কৌশল শিখিয়েছিলেন। অন্যদিকে পাহাড়িদের জুমচাষও সমতলের মানুষের সাথে বাঙালিদের যোগাযোগ এর ফলে নতুন জ্ঞান দিয়েছে। ফলে উভয় সম্প্রদায় একে অপরকে গ্রহণ করে উন্নত হয়েছিল। অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা লিখেছেন“পুরো ব্রিটিশ আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্তঃনৃগোষ্ঠী ও পাহাড়ি-অপাহাড়িদের সামাজিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ।” পাকিস্তান আমলেও শিল্পায়ন ও অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরও সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়নি। বরং মৌলিক গণতন্ত্রের যুগে (১৯৬০ সালে) রাঙামাটি ইউনিয়ন কাউন্সিলে চেয়ারম্যান পদে একজন বাঙালি মুসলিম প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় নিজেই প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় নীতি এবং পাহাড়িদের রাজনৈতিক সংকটের কারণে ও সন্ত্রাসীদের উত্থান এর ফলে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতিতে টানাপড়া শুরু হয়।
এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে হবে সম্প্রীতির বন্ধন?

প্রথমত, পাহাড়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংলাপ আয়োজন করা জরুরি।

দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় নেতা ইমাম, ভান্তে, আলেম ও ফাদাররা উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

তৃতীয়ত, স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেওয়া দরকার, যেখানে শিক্ষকরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।

একই সঙ্গে উভয় সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। গুজব, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে সতর্ক থাকতে হবে। গণমাধ্যম, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, স্থানীয় ও প্রথাগত নেতৃত্ব সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অযথা অপপ্রচার না চালিয়ে বরং সহযোগিতা করতে হবে। সর্বোপরি, সকল নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার সমানভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা পাহাড়ি-বাঙালি সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও উন্নয়নের স্বার্থে সংঘাত নয়, সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জরুরি। এখন সময় পাহাড়ে বিরোধের দেয়াল ভেঙে সম্প্রীতির সুবর্ণ সেতু নির্মাণের। শান্তি নেমে আসুক সবুজ পাহাড়ে, পার্বত্য চট্টগ্রাম হোক সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার অনন্য দৃষ্টান্ত।

04/09/2025

I got over 500 reactions on one of my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

রুমায় কেএনএর প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে সেনা অভিযান, অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার।।
03/09/2025

রুমায় কেএনএর প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে সেনা অভিযান, অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার।

Big shout out to my newest top fans! 💎 Tumpa Chowdhury, Nawrin Subah, MD Shahen Mia, Taslima Akter, Sham Idrees, মিনহাজু...
03/09/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎 Tumpa Chowdhury, Nawrin Subah, MD Shahen Mia, Taslima Akter, Sham Idrees, মিনহাজুর রহমান মিজান

Drop a comment to welcome them to our community,

02/09/2025

যারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারাই দেশদ্রোহী অভিবাসিত জনগোষ্ঠি তারা তাদের বাংলাদেশি পরিচয় দিতে লজ্জা পায়।

02/09/2025

আমাদের সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী।
চাবি উপচার্য।

রাঙামাটি পর্যটন শহরে চাঁদাবাজি, জনমতে আতঙ্ক।পার্বত্য চট্টগ্রাম এক অদৃশ্য আতঙ্কের দখলে। পাহাড়ের বুকে লালচে ক্ষত তৈরি করেছ...
02/09/2025

রাঙামাটি পর্যটন শহরে চাঁদাবাজি, জনমতে আতঙ্ক।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এক অদৃশ্য আতঙ্কের দখলে। পাহাড়ের বুকে লালচে ক্ষত তৈরি করেছে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি। গ্রাম থেকে শহর, ব্যবসা থেকে উন্নয়ন প্রকল্প, এমনকি সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতিটি কোণায় আজ নেমে এসেছে এক ভয়ংকর শ্বাসরোধী অন্ধকার। পাহাড়ের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবন এক নির্মম রক্তচোষা চক্রের হাতে জিম্মি।

চাঁদাবাজির ধরন এত বহুমুখী যে তালিকা করলেও শেষ হয় না, গণচাঁদা, মাসিক চাঁদা, বাৎসরিক চাঁদা, ব্যবসায়িক চাঁদা, অবৈধ কাঠ চাঁদা, বাঁশ চাঁদা, যানবাহন চলাচল চাঁদা, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় চাঁদা, উন্নয়ন প্রকল্পের চাঁদা। এমন কোনো খাত নেই যেখানে প্রসীত গ্রুপের ইউপিডিএফ, সন্তু গ্রুপের জেএসএস, সংস্কারবাদী জেএসএস, কিংবা তথাকথিত গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ নিজেদের লম্বা হাত প্রসারিত করেনি।

সম্প্রতি রাঙামাটি শহরে মাথা তুলেছে এক নতুন চাঁদাবাজ চক্র। ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নেমে এসেছে কোটি টাকার চাঁদার খড়্গ। কখনো জেএসএস, কখনো ইউপিডিএফ, আবার কখনো সংস্কার কিংবা গণতান্ত্রিক পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। মোবাইল ফোনে হুমকি, দূত পাঠিয়ে দাবি, কিংবা সশস্ত্র প্রভাব, সবকিছুই চলছে একসাথে।

শহরের দোয়েল চত্বরেই সম্প্রতি বিদেশি অর্থায়নে নির্মাণাধীন একটি প্রকল্পে এসে মাইক্রোযোগে সন্ত্রাসীরা দাবি করেছে ২০ লাখ টাকা। প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে যদি টাকা না দেওয়া হয়। এই ঘটনার সাক্ষী অনেকেই, কিন্তু মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে পড়েছেন "টাকা না দিলে ব্যবসা চালানো যাবে না", এটাই এখন তাদের রোজনামচা।

অভিযোগ করলেই প্রতিশোধের শিকার হতে হবে এ ভয় ব্যবসায়ীদের কণ্ঠরোধ করেছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তাদের কাছে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ নেই। কোতয়ালী থানার ওসি বলছেন, “অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু প্রশ্ন হলো, যখন আতঙ্কই ব্যবসায়ীর শিরায় শিরায় ঢুকে গেছে, তখন কে আর এগোবে প্রশাসনের দ্বারে?

অভিযোগ যখন তীব্র, তখনই ইউপিডিএফ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দায় এড়াতে চেয়েছে। তারা বলছে, কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা ও 'অর্কিড' নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করছে। ০১৮৬৩৯১০২১, ০১৮৪৬৮৯৪৫০৮, ০১৫৭৫৬৪৬১৩৩, ০১৮৫৮০৩৯৬১৩, ০১৮৮৮২৩২৫৯১ ও ০১৮৬৭৫৭০৩২৩ এই মোবাইল নম্বরও প্রকাশ করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ জানে নাম পাল্টানো, অস্বীকার করা, বিভ্রান্তি ছড়ানোই এই সন্ত্রাসী দলগুলোর পুরোনো কৌশল। নিজেরা চাঁদাবাজি করেও দায় চাপিয়ে দেয় "অসাধু ব্যক্তি" বা "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্র"-এর ঘাড়ে। এভাবেই পাহাড়ের রক্তচোষা গোষ্ঠীগুলো বারবার বেঁচে যায়।

অর্থনীতির গলা চেপে ধরা: চাঁদাবাজির ভয়ংকর প্রভাব পড়ছে সরাসরি পাহাড়ের অর্থনীতিতে। বিনিয়োগকারীরা পিছু হটছে। ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে যাচ্ছে।
নির্মাণ কাজ থমকে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন দিশেহারা আতঙ্কে বেঁচে আছে।

যদি দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে পাহাড়ে অর্থনৈতিক মৃত্যু নিশ্চিত।

ইউপিডিএফ প্রসীত, জেএসএস সন্তু, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক, জেএসএস সংস্কার, সবাই একই সন্ত্রাসী মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। অধিকারের আড়ালে, জাতিগত পরিচয়ের ঢাল ব্যবহার করে, চুক্তির আলোচনার আড়াল নিয়ে তারা পাহাড়ের বুক রক্তাক্ত করছে। একদিকে অস্ত্র, অন্যদিকে চাঁদাবাজি এমন দ্বিমুখী খেলা পাহাড়ের মানুষকে পরিণত করেছে জিম্মিতে।

রাঙামাটির মানুষ আজ এক সুরে বলছে "আর নয়"। সচেতন সমাজ মনে করে, এখনই যদি এই চাঁদাবাজ চক্র দমন না করা হয়, তাহলে স্বাভাবিক জীবনযাপনের পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। পর্যটন শহর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। সবচেয়ে বড় বিপদ, পাহাড়ে আবারও অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।

পাহাড়ের আঞ্চলিক সন্ত্রাসীরা আজ "রাজনীতি" নয়, "মাফিয়া সিন্ডিকেটে" পরিণত হয়েছে। এরা মুক্তির আন্দোলন নয়, মুক্তিপণের আন্দোলন চালাচ্ছে। এরা জনগণের রক্ষক নয়, জনগণের রক্তচোষা। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর না হয়, তবে পাহাড়ের প্রতিটি বাজার, প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প হয়ে উঠবে চাঁদাবাজির জিম্মিখানা।

আজ সময় এসেছে ভয় ভেঙে দাঁড়াবার। পাহাড়ের মানুষকে মুক্ত করতে হলে এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে নামতে হবে সর্বশক্তি নিয়ে। অন্যথায় আগামী প্রজন্ম শুধু পাহাড় নয়, পুরো দেশকেই হারাবে চাঁদাবাজি নামক কালো অন্ধকারে।

Address

Khagrachhari

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hill Documentary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hill Documentary:

Share