18/07/2025
বাংলাদেশে দুই শ্রেণির মানুষ সবচেয়ে বাজে সেক্সুয়াল লাইফ কাটায়!!!
প্রথম শ্রেণি হল গার্মেন্টস শ্রমিকরা। অনুমান করে বলা না, এ ব্যাপারে সত্যি সত্যি রিসার্চ হয়েছে।
মুলতঃ গার্মেন্টস শ্রমিকদের থাকার জায়গা আর কাজের রুটিনই এর জন্য দায়ী। অল্প আয়ের এই গার্মেন্টস শ্রমিকরা সাধারণতঃ এক ঘরে ৬-৭ জন করে থাকে। আবার অনেকের গ্রাম থেকে আসা অসুস্থ বা বৃদ্ধ কোনো আত্মীয় তাদের সাথে স্থায়ীভাবে থাকে, যারা কখনোই ঘর ছেড়ে যায় না। ফলে স্বামী-স্ত্রী দিনের পর দিন এক ঘরে থাকলেও দিন কাটাতে হয় পুরোপুরি ব্যাচেলরের মত।
এরপর হলো কাজের রুটিন। ভোরসকালে উঠে যাওয়া, সারাদিন টানা পরিশ্রম, দুপুরে কেবল ভাজি-ভর্তা দিয়ে ভাত - একজন সাধারণ পেশাজীবির চেয়ে তারা অনেক ক্লান্ত। ফলে ব্যপারটা এতই গুরুতর যে, সাধারণ মানুষের চাইতে কম জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও কেবল বাজে সেক্সুয়াল লাইফের কারণে তাদের মধ্যে জন্মহার জাতীয় হারের চেয়ে কম।
বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে ৬২% কাপল বার্থ-কন্ট্রোল নিয়ে থাকে, সেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ৪২ থেকে ৫২%। কিন্তু এত কম নেওয়ার পরেও তাদের জন্মহার জাতীয় হারের চেয়ে ০.০১% কম।
দ্বিতীয় শ্রেনী হলো, বাংলাদেশের পদস্থ কর্মকর্তারা যাদের চাকরি রেপুটেশনের উপর নির্ভর করে। আরো সংক্ষিপ্ত করে বললে উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা।
বাংলাদেশে পয়সাওয়ালা শ্রেনী, যাদের মধ্যে ধর্মের তেমন প্রভাব নেই, তারা লিমিটলেস সেক্সুয়াল অ্যাক্সেস পায়। যেমন বেসরকারি কর্মকর্তা, কন্ট্রাক্টর, ব্যাবসায়ি এবং পলিটিশিয়ান। পুরো দেশ থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও সাপ্লাই যায় তাদের কাছে।
এখানে পলিটিশিয়ানরা রেপুটেশনে প্রভাবিত হলেও তারা স্কান্ডাল সামাল দিতে জানে। আপনি কয়জন রাজনৈতিক নেতাকে দেখেছেন যারা কেবল নারীঘটিত ব্যপারে পুরো পলিটিকাল ক্যারিয়ার শেষ করে ফেলেছে?
এখানেই ব্যতিক্রম সরকারী কর্মকর্তারা। তাদের লাইফ কেবল তাদের ওই পদ দ্বারাই ডিফাইন করা হয়।
অনেকদিন আগে প্রিয় ডটকমে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম, বাংলাদেশি নারীদের সেক্সকে ব্যাবহার করা নিয়ে। ধর্মীয় প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে বহুগামীতা স্বীকৃত না। সেটা বৈধ দুই বিয়ে হোক বা বেশ্যালয়ে যাওয়া হোক। ফলে একজন স্ত্রী যখন জেনে যাচ্ছে, সেই পুরুষের সেক্সুয়াল অ্যাক্সেস কেবল এক জায়গাতেই পাবে, তখনই সে ব্লাকমেইল করা শুরু করে। অবশ্য সব নারীদের কথা বলা হচ্ছে না।
এক জায়গায় লিখেছিল কিছু কমন ঘটনার কথা। যেমন, স্বামীর কাছে অনেক দিন ধরে একটা জুয়েলারি চাচ্ছে, কিন্তু স্বামী দিচ্ছে না। এখন স্ত্রী তো অল্পদিনেই স্বামীকে চিনে যায়, কখন দুর্বল, কখন ব্লাকমেইলে কাজ হবে। এবার স্বামী যখন বুকের উপরে, সে বলে বসল, সেই জুয়েলারির ব্যবস্থা না করে দিলে আর এগোতে দেবে না। স্বামী তো তখন অর্ধবেহুশ - তার আর উপায় নেই। এভাবেই নানান স্বার্থ হাসিল আর ব্লাকমেইল চলতে থাকে। কারণ স্ত্রী নিশ্চিন্ত হয়ে গেছে, এর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, এদিক-ওদিক করলে চাকরি হারাবে, ক্যারিয়ার যাবে।
ব্যাপারটা আরো ভয়ানক মধ্যবয়েসীদের বেলায়। যারা পুরুষের মিড-লাইফ ক্রাইসিসের ব্যাপারে জানেন তারা বুঝতে পারবেন ব্যাপারটা কত সিরিয়াস। সে ছটফট করছে, আর ঘরে মাঝবয়সী মেক্সি পরা বৌ। তার উপর মেনোপজের পরে তাদের সেক্সুয়াল ড্রাইভ একেবারে কমে যায়, মানসিকভাবে তো বটেও, ফিজিকালিও। আর বাঙ্গালী নারীদের তো ঘরে বুয়ার চেয়েও খারাপ গেটআপে থাকার রেপুটেশন আছে।
একটা বড় অংশ হয়ে যায় অনেক মোটা। বাংলাদেশে ফিজিকাল এক্সারসাইজ করে মাত্র ২০-২৫ শতাংশ নারী, যাদের অধিকাংশই হলো মডেল, কর্পোরেট আর স্পোর্টস গার্ল ।
ফলে সেই বৌয়ের সাথে সেক্স পুরো বিনিময় টাইপের হয়ে যায়। বৌ এটা-সেটা আদায় করে নেয়। আর মেনোপজের ফলে আগের মত আর উপভোগ্যও থাকে না।
এক বিসিএস ক্যাডারের লেখা দেখছিলাম, অনেক কষ্ট করে ক্যাডার হবার পর বিয়ে করলো। এদিকে তিন চার-মাস পর বৌ প্রেগন্যান্ট। তারপর থেকে টানা ৯ মাস কাছে যেতে দেয়নি। তারপর বাচ্চা হবার পর থেকে সেই বাচ্চাই সব-স্বামীর দিকে খেয়ালই নেই। আর সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ, কিছুদিন পর ধরা পড়লো ফিস্টুলা, সিজারের সময় হয়েছে। ব্যাস, সারাজীবনের মত সেক্সুয়াল লাইফ গেলো।
উনি লিখেছিলেন, আমারও বয়েস হয়ে যাচ্ছে, ঘরে বেঢপ সাইজের অনাগ্রহি বউ, আর বাড়ির পাশে স্কুল আর কোচিং সেন্টার - শত শত মেয়েরা যাওয়া আসা করে। দ্বিতীয় বিয়ে করতে দেবে না , ভদ্রলোক বলে বেশ্যার কাছেও যেতে পারবো না। আর অ্যাফেয়ারের চেষ্টা করলে বৌ চাকরি খেয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে। দিনরাত সুইসাইডের কথা ভাবেন।
এবার আসি আসল কথায়। সাইকোলজিতে Misophonia আর Misokenisia নামে দুটো টার্ম আছে। এই কন্ডিশনগুলোর একটার ব্যাপার এরকম, এক ব্যাক্তি যার নিজের সেক্সুয়াল অ্যাক্সেস নেই, সে অন্য কারো সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটি সহ্য করতে পারে না। মানে আরেকজন সেক্স করছে, ইভেন কিস করছে এটাও সে মানতে পারে না।
বাংলাদেশে কর্মকর্তাদের নিয়ে এরকম গবেষণা হয়নি। কিন্তু আমার এক পরিচিতের মতে, বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশ এরকম সাইকোলোজিকাল কন্ডিশন ডেভেলপ করেছে। নিজের সেক্সুয়াল লাইফের বারোটা বেজে গেছে, ফলে সে যে বয়সে সেক্স করতে পারেনি, সেই বয়সে আরেকজন কেন করবে - এটা মানতে পারে না।
হ্যাঁ, বাল্যবিয়ে বন্ধের অনেক কারণ আছে, মিডিয়ায় কাভারেজ পাওয়া যায়, প্রথম আলো ফিচার করে, ইয়ারলি পারফরম্যান্সে যোগ হলো, বিদেশী এনজিওরা বাহবা দেয়।
এর সাথে ব্যাক্তিগত বড় ইস্যুটাও জুড়ে গেল - ফলে আমাদের এসিল্যান্ড সাহেব রাত বারোটায়ও হাজির হন দরিদ্র দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে। যে হয়ত লাস্ট ছয়মাস রোদে পুড়েছে এই বিয়ের খরচ এক জায়গায় করতে।
বলে রাখা ভালো, এর আগে মধ্যবিত্তরাও যৌথ বা বড় পরিবারের কারণে একটা ক্রাইসিসে ভুগত। কিন্তু এখন সবদিকে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি আর এক ফ্লাটের বাসার কারণে সে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। মধ্যবিত্ত ছেলেরা বিয়ে করে বৌ নিয়ে শহরে চলে যাচ্ছে, অনেক ভালো সেক্সুয়াল লাইফ এখন।
সবশেষ ব্যাপারটা নারী কর্মকর্তাদের নিয়ে। আমি গত ৬/৭ বছর ধরে অনেকগুলো ফেমিনিস্ট কমিউনিটি নিয়মিত ভিজিট করি। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি, ফেমিনিস্টদের এমন একটা ব্যাপার এত রাগিয়ে দেয়, যা আর কোনো ব্যপার পারে না।
সেটা হলো, কোন পুরুষ একটা অল্পবয়েসি মেয়ের সাথে রিলেশন বা বিয়ে করছে, এটা তারা কোনোভাবেই মানতে চায় না। ইভেন নারীদের খুন-হবার ব্যাপারেও এত কড়া রিঅ্যাকশন দেখায় না যতটা এই ব্যপারে দেখায়। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও একটা উদাহরণ।
যে যত যাই বলুক, মেয়েদের প্রাইম বয়স ১৬-১৭-১৮, এই বয়সের মত এত সমৃদ্ধ তারা কখনোই আর হয় না। 'সুইট সিক্সটিন' টার্মটা এমনি এমনি আসেনি, পশ্চিমারাই দিয়েছে। তো এই ফেমিনিস্টগুলো সব তাদের প্রাইম বয়স পার করে ফেলেছে, তাদেরকে আগলি দেখায়। সুতরাং তার চেয়ে কম বয়েসি কেউ তার চেয়ে বেশি অ্যাটেনশন পাচ্ছে এটা মানতেই পারে না, হাত কেটে যাওয়াও তার জন্য সহজ।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিয়ে বন্ধ করেছে মাদারীপুরের মাহমুদা আক্তার কণা নামের এক মহিলা, হাজারেরও বেশি। তার ওজন ৩ মণের কাছাকাছি হবে। আমার পছন্দের কমেডিয়ান জর্জ কার্লিনের ভাষায়, "টেকনিকালি তো মনে হয় না এই মহিলা সেক্স করতে পারে"।
আমার মেসেজটা পেয়েছেন আশাকরি।
_____________
আহমাদ খান