12/06/2024
ছেলেদের জীবন বড়ই অদ্ভুত,
১৬ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়ে দের পাশে যখন শত প্রেমের অফার আসে তখন ছেলেদের জাস্ট বন্ধু হবার মতোও কেউ জুটে না,
১৮ বছরে ক্লাস মেট মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হলেও ছেলেরা বাল্যকালের উপাধি পায়,
২০ বছর বয়সে একটা রিলেশনশিপের জন্য কি অধীর আকুলতা অথচ ক্লাসমেট মেয়েরা হাসতে হাসতে তার সামনেই ৫ বছরের সিনিয়র ভাইয়ের প্রশংসা করে।
২২ বছর বয়সে যখন বান্ধবীদের বিয়ের সিরিয়াল চলতে থাকে তখনো সমাজ ছেলেদের বলে অনার্স এর " বাচ্চা ছেলে"।
২৪ বছরে মেয়েরা যখন পড়াশোনা প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন ছেলেটার যেন যুদ্ধ শুরু।
নেশাগ্রস্ত হতাশ গস্ত যাই হোক না কেন,যে ছেলেটার নিজেরই চালচুলা নেই তাঁকেও যেন বহুবার ভাবতে হয় ইনকাম না করলে বিয়ে হবে না,তাকেও দায়িত্ব নিতে হবে," সংসার, বউ,বাচ্চা " র
নীরব কান্নায় কাউকে খুঁজে না পেলেও একটা কথা সমাজ, আত্মীয়, স্বজন,পরিবার ঠিকই মনে করিয়ে দিবে" ছেলে কি করে?"
অনার্স- মাস্টার্স শেষ মেয়েটার জন্য শত বিয়ের অপশন দিলেও,ছেলেটার সামনে একটাই অপশন, " কিরে আর কবে চাকরি পাবি!"
বিশ্ববিদ্যালয়ের আগুন ঝরা দিন গুলোতে প্রফেসর লেকচারে বলতেন " রিযিক আল্লাহ র" হাতে, এটা নিয়ে দুঃচিন্তা করবে না,অথচ, তিনি ও মেয়ের জন্য সরকারি চাকরিওয়ালা ছেলে চান,
চাকরি করে ভাইবোনদের সেটেল করতে বা বাবার হাতকে শক্তিশালী করে বাসা- বাড়ি একটু সাজাতে বয়স পেরিয়ে যায় ছেলেটার খেয়াল থাকে না
এতোদিন পরে একটু সচ্ছল! সুন্দরী মেয়ে খুঁজলেও যেন অনেকেই বলে এই বুইড়া ব্যাটা সম্পদ লোভী আবার অল্প বয়স্ক মাইয়া ও খুঁজে!
বিয়ের পর পরিবার আর বাচ্চাদের কথা ভেবেই পাড়ি দেয় বিদেশে একা!
কিংবা সন্তানের শহরের " স্কুল কলেজের " কথা ভেবে নিজেই একা মেসে থাকে, হয়তো পরিবার থেকে চাকরিস্হল অনেক দুরে।
কাজের বুয়ার রান্না, একাকী বিষন্নতা আর কোন জেলা/ উপজেলায় সারা মাসের জার্নি করতে করতে কখন যে,একাধিক অসুখ বাঁধে খেয়ালও থাকে না,
বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে যে ছেলেটার ছোট বেলার সপ্ন শুরু, সংগ্রামের, যৌবনকাল আর শেষ বয়সে এসেও সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে যুদ্ধ যেন আর শেষ হয় না,
তবু্ও এই সমাজ বলে আহ! ছেলেরা কত স্বাধীন এতো কিছু করার পরও মেয়েরা বলে ছেলেরা ভালোবাসতে জানে না।
বিঃদ্রঃ এই লেখা টা সব ছেলেদের জন্য প্রযোজ্য নয়,
সংগ্রহিত