কাহিনী

কাহিনী আপনি যা খুঁজছেন তা এখানেই❤️🥀

15/11/2024

পোস্টটি যেহুতে পড়েছেন
তার মানে আপনি আমার সম্মানিত একজন এক্টিভ ফলোয়ার।জানতে পারি আপনি কোথায় থেকে আমার সাথে যুক্ত আছেন?
🥀🥀🥀🥀

নিউজপ্রিন্ট ছিল ৫ টাকা দিস্তা। দূরের দোকান থেকে পায়ে হেঁটে ৪ টাকায় কিনতে যেতাম। হোয়াইটপ্রিন্ট ছিল ৭/৮ টাকা দিস্তা। বাসায়...
03/09/2024

নিউজপ্রিন্ট ছিল ৫ টাকা দিস্তা।

দূরের দোকান থেকে পায়ে হেঁটে ৪ টাকায় কিনতে যেতাম।

হোয়াইটপ্রিন্ট ছিল ৭/৮ টাকা দিস্তা।

বাসায় নিউজপ্রিন্টে লেখা, স্কুলে হোয়াইটপ্রিন্ট।

খাকি ঠোংগা, সিমেন্টের কাগজের বস্তা, শক্ত যেকোন কাগজ, ক্যালেন্ডারের পাতা কভার দিয়ে রঙ্গিন সূতায় বাঁধাই করতাম নিউজপ্রিন্ট খাতাগুলো ।

দোকান থেকে বাঁধাই করা খাতা কেনাটা নব্বই দশকের মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বিলাসিতা ছিল। কালে ভদ্রে কিনে দিতো মাতা পিতারা। অল্প ক'টা খাতার কথা মনে আছে, তাতে ম্যাকগাইভার, মেরাডোনা, সিন্দবাদ, টিপু সুলতানের ফটো ছাপা ছিল।

ক'দিন পর দিস্তা কাগজের জন্য টাকা চাইতে গেলেই, শুনতে হতো - এইত সেইদিন না কিনে দিলাম !

গ্লাসের পানি ফেলে কতবার নিউজপ্রিন্ট খাতা ফুলিয়ে ঢোল করে ফেলেছিলাম ! খুব অনুশোচনায় ভুগতাম ! কেন এমন করলাম ? এখন নতুন খাতার জন্য টাকা চাইবো কিভাবে ? নিজের কাছেই প্রচন্ড লজ্জা লাগতো ! ভেজা খাতা তারে ঝুলিয়ে চুলার উপর শুকিয়ে ব্যবহার করতেও হতো।

ক'দিন পরপর খাতা কলম পেন্সিলের টাকা আব্বার কাছে চাইতে গেলে মুখটা মলিন হয়ে যেতো ! তখনকার পিতাদের উপার্জনের অংকটা এসময়ের সন্তানদের রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের নিয়ে উড়িয়ে দেয়া ভোজন বিলাসিতার সমান। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের পেছনে দামী গিফট ক্রয়ের সমতূল্য।

খাতা, কলম, পেনসিল, শার্পনার, রবার, স্কেল হারিয়ে গেলে আম্মা আব্বা বকাঝকা, বেতের মাইর দিতেন, খুব রাগ করতেন। সৎ উপার্জনের স্বল্প আয়ে পুরো সংসার চালাতে হতো তাদের। যার ফলে হরহামেশাই টানাপোড়েন লেগে থাকতো ! এখনকার কোটিপতি মধ্যবিত্ত তখন কল্পনাই করা যেতো না।

আরও ছোটবেলায় চলে যাই। কাটায় কাটায় নব্বই কি একানব্বই। তখন নিউজপ্রিন্ট ছিল ৩ টাকা দিস্তা আর হোয়াইটপ্রিন্ট ৫ টাকা দিস্তা।

বাংলা এবং ইংরেজী লেখা সোজা করে লেখার জন্য রঙ্গিন রুলটানা খাতা পাওয়া ছিল ; চাঁদ হাতে পাবার মত দু:সাধ্য ব্যাপার ! আব্বা রাতে অফিস থেকে ফিরে স্কেল দিয়ে রুলটানা খাতা বানাতো।

৯৪/৯৫ দিকে নিউজপ্রিন্ট এলো হোয়াইটপ্রিন্টের মত দেখতে, লিখতেও ছিল বেশ মসৃণ। এক দুই টাকার পার্থ্যক্যের জন্য দোকানে হাত দিয়ে দেখতাম শুধু। বেশ ক'বছর পরে কিনতে পেরেছিলাম।

দোকান ঘুরে ঘুরে কমমূল্যের নিউজপ্রিন্ট দিস্তার ১টাকা বাচিয়ে এনে আম্মার হাতে তুলে দিতাম। মনে হতো যেন উপার্জনের টাকা হাতে তুলে দিচ্ছি ! বেশ খুশি হতেন।

আব্বা আম্মারা বই খাতা বাঁধাই করা নিজের হাতে শিখিয়ে দিতেন। ক্যালেন্ডারের পাতা কভার হিসেবে ব্যবহার করতেন । লাল সাদা মোটা সূতায় খাতাগুলো আড়াআড়ি বা উপরনিচে সেলাই বাঁধাই হতো।

নিজের সেলাই করা খাতা, বইয়ের মলাট জ্যামিতি বক্সের সাথে পাওয়া প্লাস্টিকের ছাঁচের অক্ষর দিয়ে নাম, ক্লাস আর রোল লিখতাম। বড় বড় হরফে নিজের নাম, শ্রেনী, বিভাগ, রোল নং এবং নীচে একপাশে সাইনের মতো অটোগ্রাফে নিজেদের সেলিব্রিটি মনে হতো...

একটা কলম দিয়ে সারা মাস পার করে দিতাম আর পরীক্ষার সময় দুইটা কলম একটা পেন্সিল একটা কাঠের স্কেল আর বোর্ড ১০ টাকা দামের। অতিরিক্ত কোনো কিছু পাইতাম না। সন্ধার সময় পড়তে বসতে হবে,নামাজ না পড়লে ভাত দিতো না নামাজ পড়ে ভাত রাত ১০/১১ টার মধ্যে ঘুম। টিফিনের জন্য ২ টাকা পাইতাম। ২ টা স্কুল শার্ট দিয়ে পুরা বছর চলে যাইতো। অভাবে ছিলাম না কখনো সুশাসনে ছিলাম...

মনে পড়ে গেল সেই সব দিন গুলোর কথা😞। আহা কত সুন্দরই না ছিল আমাদের শৈশব। আমার এখনও মনে পড়ে আমাদের সময় মিমি চকলেট ছিল ১০টাকা করে স্কুলে যাওয়া আসার সময় দোকানে দেখতাম কিন্তু কখনও আব্বুকে বলতে পারিনি লজ্জায় এত দাম দিয়ে মিমি চকলেট খাব
. বাবাদের কষ্টকে খুব ভালভাবে বুঝতে পারতাম।

আহারে শৈশব😔কত কিছু মনে পড়ে গেল 😢

তবুও ভালো ছিলো সেই..... শৈশবকাল....!

If you disrespect the martyrs who brought us independence then why our next generation will respect today's martyrs??🙂😒ও...
06/08/2024

If you disrespect the martyrs who brought us independence then why our next generation will respect today's martyrs??🙂😒

ওনাদের কি দোষ? ওনারা তো বীরশ্রেষ্ঠ তাই না আবু সাইদ, মুগ্ধ এই ভাইদের মতো ওনারাও তো দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন।আসলেই এখন ছাএরা অতি খুশিতে মূর্খতার পরিচয় দিচ্ছে 🥺🙂😒

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুবুদ্ধি দান করুক আমিন 🤲

06/08/2024

ধরে নিলাম লোকটা খারাপ ছিলো তার মেয়ে খারাপ ছিলো,কিন্তু এই লোকটার বাঁকে মুক্তিযোদ্ধা দের আওয়াজেই নয়টা মাস যুদ্ধ হইসিলো, আরো মানুষের অবদান অবশ্যই ছিলো কিন্তু উনার আওয়াজটা তখন অনেক জরুরি ছিলো, কি দিলাম তারে আমরা??আজ উনার অবদান যদি আপনারা ভুলে যান।
তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের ছেলে মেয়েরাও আপনাদের আজকের এই অবদান ভুলে যাবে।
সাথে সাথে আরেকটা কাজ করবেন যে টাকাটা আজকে আপনাদের পকেটে আছে, যে টাকা আপনার বাসায় আছে, যে টাকা দিয়ে আপনি চলছেন, সেই টাকা ও কেউ ছিড়ে ফেলে দেন.....

মাফ করবেন দেশ স্বাধীন হয়নি, দেশ ধ্বংস হচ্ছ মনে করছি....

রাতারাতি একটা জেনারেশন কেমনে পাল্টে গেলো, তাইনা! প্রায় এক মাস থেকে কেউ মিমস শেয়ার দেয়না, কেউ গান বাজনা পোস্ট করেনা, কেউ ...
03/08/2024

রাতারাতি একটা জেনারেশন কেমনে পাল্টে গেলো, তাইনা!

প্রায় এক মাস থেকে কেউ মিমস শেয়ার দেয়না, কেউ গান বাজনা পোস্ট করেনা, কেউ খেলাধুলা নিয়ে ভাবেনা, প্রিয়জনের ছবি স্টোরি দেয়না, কেউ ছেঁকা খাওয়া পোস্ট দেয়না, বিকেলে খেলতে যায়না, কেউ পড়তে বসে না, ঠিক মত ঘুমায় না!

সবার কেবল একটাই চিন্তা
নিজের দেশ,আমার দেশ,বাংলাদেশ ❤️❤️❤️

17/07/2024

I gained 41 followers, created 27 posts and received 859 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

🤣🤣🤣
15/07/2024

🤣🤣🤣

12/06/2024

ছেলেদের জীবন বড়ই অদ্ভুত,
১৬ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়ে দের পাশে যখন শত প্রেমের অফার আসে তখন ছেলেদের জাস্ট বন্ধু হবার মতোও কেউ জুটে না,
১৮ বছরে ক্লাস মেট মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হলেও ছেলেরা বাল্যকালের উপাধি পায়,
২০ বছর বয়সে একটা রিলেশনশিপের জন্য কি অধীর আকুলতা অথচ ক্লাসমেট মেয়েরা হাসতে হাসতে তার সামনেই ৫ বছরের সিনিয়র ভাইয়ের প্রশংসা করে।
২২ বছর বয়সে যখন বান্ধবীদের বিয়ের সিরিয়াল চলতে থাকে তখনো সমাজ ছেলেদের বলে অনার্স এর " বাচ্চা ছেলে"।
২৪ বছরে মেয়েরা যখন পড়াশোনা প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন ছেলেটার যেন যুদ্ধ শুরু।
নেশাগ্রস্ত হতাশ গস্ত যাই হোক না কেন,যে ছেলেটার নিজেরই চালচুলা নেই তাঁকেও যেন বহুবার ভাবতে হয় ইনকাম না করলে বিয়ে হবে না,তাকেও দায়িত্ব নিতে হবে," সংসার, বউ,বাচ্চা " র
নীরব কান্নায় কাউকে খুঁজে না পেলেও একটা কথা সমাজ, আত্মীয়, স্বজন,পরিবার ঠিকই মনে করিয়ে দিবে" ছেলে কি করে?"
অনার্স- মাস্টার্স শেষ মেয়েটার জন্য শত বিয়ের অপশন দিলেও,ছেলেটার সামনে একটাই অপশন, " কিরে আর কবে চাকরি পাবি!"
বিশ্ববিদ্যালয়ের আগুন ঝরা দিন গুলোতে প্রফেসর লেকচারে বলতেন " রিযিক আল্লাহ র" হাতে, এটা নিয়ে দুঃচিন্তা করবে না,অথচ, তিনি ও মেয়ের জন্য সরকারি চাকরিওয়ালা ছেলে চান,
চাকরি করে ভাইবোনদের সেটেল করতে বা বাবার হাতকে শক্তিশালী করে বাসা- বাড়ি একটু সাজাতে বয়স পেরিয়ে যায় ছেলেটার খেয়াল থাকে না
এতোদিন পরে একটু সচ্ছল! সুন্দরী মেয়ে খুঁজলেও যেন অনেকেই বলে এই বুইড়া ব্যাটা সম্পদ লোভী আবার অল্প বয়স্ক মাইয়া ও খুঁজে!
বিয়ের পর পরিবার আর বাচ্চাদের কথা ভেবেই পাড়ি দেয় বিদেশে একা!
কিংবা সন্তানের শহরের " স্কুল কলেজের " কথা ভেবে নিজেই একা মেসে থাকে, হয়তো পরিবার থেকে চাকরিস্হল অনেক দুরে।
কাজের বুয়ার রান্না, একাকী বিষন্নতা আর কোন জেলা/ উপজেলায় সারা মাসের জার্নি করতে করতে কখন যে,একাধিক অসুখ বাঁধে খেয়ালও থাকে না,
বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে যে ছেলেটার ছোট বেলার সপ্ন শুরু, সংগ্রামের, যৌবনকাল আর শেষ বয়সে এসেও সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে যুদ্ধ যেন আর শেষ হয় না,
তবু্ও এই সমাজ বলে আহ! ছেলেরা কত স্বাধীন এতো কিছু করার পরও মেয়েরা বলে ছেলেরা ভালোবাসতে জানে না।
বিঃদ্রঃ এই লেখা টা সব ছেলেদের জন্য প্রযোজ্য নয়,

সংগ্রহিত

একজন গরু বেপারী পটানো চাইতে ৭ টা মেয়ে পটানো অনেক সহজ আমি মনে করি😂
10/06/2024

একজন গরু বেপারী পটানো চাইতে ৭ টা মেয়ে পটানো অনেক সহজ আমি মনে করি😂

01/06/2024

কবরের আযাব আসলে কেমন হয় অনুমান করুন😥😥

সৌন্দর্যের আরেক নাম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ❤️কুমিল্লার এই অংশে খুব মন কাড়ে। #বীর_চট্টগ্রাম
29/05/2024

সৌন্দর্যের আরেক নাম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ❤️
কুমিল্লার এই অংশে খুব মন কাড়ে।

#বীর_চট্টগ্রাম

Address

Khilgaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কাহিনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কাহিনী:

Share

Category