
12/06/2025
কথায় নয়, ব্যথায় নয়—ভালোবাসায় গড়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী সন্তান!
একটি শিশুকে যখন রাগ, ভয় বা বকাঝকার মাধ্যমে শাসন করা হয়, তখন তার মনে জন্ম নেয় ভয়, সংশয় আর আত্মগ্লানির বীজ।
কিন্তু যখন তাকে ধৈর্য, ভালোবাসা আর বোঝাপড়ার মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন সে হয়ে ওঠে সাহসী, আত্মবিশ্বাসী এবং দয়ালু মানুষ।
🔹 শিশুর ভুল শুধরে দিন কোমল কথায়।
🔹 ভালো ব্যবহার দিয়ে শেখান সঠিক পথ।
🔹 বুঝিয়ে বলুন, কারণ শিশুরাও মানুষ—তাদের অনুভূতি আছে।
🧠 কেন শিশুকে বকাঝকা না করে বোঝানো জরুরি?
১. ভয়ের বদলে বোঝাপড়া:
যখন শিশুকে বকাঝকা বা রাগ করে কিছু শেখানো হয়, তখন সে শেখে ভয় থেকে—not understanding. সে কারণেই হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে কথা শুনে, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তার মনে জমে থাকে ভয় ও আত্মবিশ্বাসের অভাব।
২. মস্তিষ্কের বিকাশে প্রভাব
বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা বলছে, বারবার বকা বা মানসিক চাপ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি তার problem-solving ability, creativity, ও emotional intelligence কে দমিয়ে দিতে পারে।
💡 তাহলে কীভাবে বোঝানো যায়?
১. শান্তভাবে কথা বলা:
আপনার কণ্ঠস্বর যদি শান্ত ও দৃঢ় হয়, শিশুও আপনার কথায় মনোযোগ দেয়। কড়া গলায় বললে সে ভয় পায়, কিন্তু আসল বার্তাটা বুঝে না।
২. তার চোখে চোখ রেখে বোঝান:
শিশু বোঝে ‘ভালোবাসার ভাষা’। যখন আপনি তার চোখে চোখ রেখে নরম গলায় বলেন:
“তুমি এটা ভুল করেছো, তবে তুমি ঠিক কীভাবে করলে ভালো হতো, সেটা আমরা একসাথে শিখি,”—তখন সে শেখে।
৩. তার অনুভূতিকে স্বীকৃতি দিন:
“তুমি মন খারাপ করেছো, আমি বুঝতে পারছি”—এই কথাটা শিশুকে শেখায় যে তার অনুভূতি মূল্যবান। এতে সে আত্মবিশ্বাসী হয়।
🌱 এর ফলাফল কী?
১. আত্মবিশ্বাসী শিশু – সে জানে, ভুল হলেও তাকে ভালোভাবে সাহায্য করা হবে। তাই সে চেষ্টা করে শেখার।
২. দয়ালু ও সহানুভূতিশীল মানুষ – নিজে ভালো আচরণ পেলে সে অন্যদের সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করতে শেখে।
৩. মানসিকভাবে দৃঢ় – জীবনের চ্যালেঞ্জে ভয় না পেয়ে ধৈর্য ও যুক্তিবোধ দিয়ে মোকাবিলা করতে শেখে।
“একটি শিশু যেমন আচরণ পায়, সে তেমন মানুষে পরিণত হয়।”
শিশুকে ভয়ে নয়, ভালোবাসায় গড়ুন। বকা নয়—বুঝিয়ে বলুন। এতে সে শুধু কথা শুনবেই না, বরং মানুষের মতো মানুষ হবে ইনশাআল্লাহ।