05/07/2025
হ'স্ত'মৈ'থু'নে'র শেষ পরিণতি
একটি গ্রামের যুবক ছিল, নাম তার কাসিম। দেখতে
সুদর্শন, মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়ত না, তবে মাঝে মাঝে জুমার দিনে
মসজিদে যেত। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, হাসি-ঠাট্টা আর
মোবাইল-ইন্টারনেটে অ'শ্লী'ল ভিডিও দেখা ছিলো তার
নে'শা।
শয়'তান আস্তে আস্তে তার মনকে দুর্বল করে দেয়।
হস্ত'মৈ'থু'নে'র আসক্তি এমনভাবে গ্রাস করে নেয় যে, দিনে ২-৩ বারও করতে ছাড়ত না।
নিজের জানের ক্ষ'তি করছে... এটা বুঝত, কিন্তু নফসের দাসত্ব আর শ'য়'তা'নে'র ধোঁকায় আটকে গিয়েছিল।
এক রাতে, যখন সবার ঘুম, কাসিম নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে অ'শ্লী'ল ছবি দেখে নিজের নাপাক কাজ করছিল।
হঠাৎ সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। দম বন্ধ হয়ে
আসে। তখন সে হাত মুখ ধুয়ে নামাজের নিয়ত করে, কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে গেছে।
কেউ জানলো না, সে রাতে তার জান কবজ হয়ে গেছে। সকালে তার লা'শ পাওয়া গেলো বিছানার উপর, মুখ বিকৃত হয়ে গেছে, চোখ উপরের দিকে উঠে আছে, আর তার ডান হাতটি নিজের শরীরে এমনভাবে পড়েছিল যা দেখে সবাই আঁ'ত'কে উঠে।
.. হুজুর ডেকে এনে গোসল করানোর সময় দেখা গেল তার শরীর থেকে অদ্ভুত গন্ধ বের হচ্ছে। কাফন পরানোর সময় তার মুখ শক্ত করে আটকে ছিল, চোখ বন্ধ করা যাচ্ছিল না।
হুজুর বললেন, "যে ব্যক্তি দিনের পর দিন হা'রা'ম কাজে লিপ্ত হয়, আল্লাহ তায়ালা তার মৃত্যুকে অপমানজনক করেন। তার কবরে এমন ভ'য়া'ব'হ আযাব হবে, যা চোখে দেখা সম্ভব নয়।"
কবরে নামানোর পর দেখা গেল মাটি এমনভাবে ডেবে
গেল, যেন সে ভিতর থেকে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে।
অনেকেই বুঝে গেল – সে আল্লাহর গ'জ'বে'র শিকার
হয়েছে।
রাসূল বলেছেন: "যে ব্যক্তি নিজের হ'স্ত'মৈ'থু'ন করে, কি'য়া'ম'তে'র দিন তার হাত গর্হিত অবস্থায় সাক্ষী দেবে এবং সেই হাতকে আ'গু'নে'র শা'স্তি দে'য়া হবে।
শিক্ষা:
এই দুনিয়া ক্ষ'ণ'স্থা'য়ী। নফসের খেয়াল ও শ'য়'তা'নে'র ধোঁকায় পড়ে এমন হা'রা'ম কাজ করলে মৃ'ত্যু'র পর ভ'য়া'ন'ক আ'যা'ব অপেক্ষা করছে। এখনই তওবা করে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শুরু করো। হা'রা'ম কাজ থেকে ফিরে আসো। কবরের ভেতর হাত-পা বাঁ'ধা অবস্থায় আ'গু'নে'র খাঁচায় পুড়'তে হবে না, যদি এখনই আল্লাহর দিকে ফিরে আসো।
(সচেতনতার জন্য শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে)