10/03/2025
মাইয়া আমার ভয় পায়। বিয়া দিয়া দিছি আজ চার মাস হইলো। শ্বশুরবাড়ি যাইতে চায় না। কয়— "মা, রাতে কেউ আলো নিভাইয়া দেয়, পেছন থেইকা জড়াইয়া ধরে!"
আমি বুঝাইলাম, "ভয়ের কী আছে? জামাই আছিল হয়তো!"
(note: জামাই হলে মেয়ে চিনবে না?)
কিন্তু ভয় কাটে না মাইয়ার। তাই আমি ছোট মাইয়াটারে সাথে দিয়া দিলাম, আট বছরের ছোট মাইয়া, যাতে ভয় না লাগে বড়জনের।
দুই দিন পর বিয়াইনের ফোন—
"আপনার ছোট মাইয়া অসুস্থ, তাড়াতাড়ি আসেন হাসপাতালে!"
গিয়া দেখি, এই অবস্থা! (গলা কা%টা দাগ, ধ*র্ষ*ণ হয়েছে)
আমি বড় মাইয়ারে জিজ্ঞাস করলাম, "কী হইছে? কেমনে হইলো?"
বড় মাইয়া কয়, "মা, আমি জানি না। আমার পাশেই ঘুমাইছিল, আড়াইটার দিকে দেখি নিচে পড়া, এই অবস্থা!"
সাংবাদিক জিগাইলো, "আপনার কী মনে হয়, এইডা কে করতে পারে?"
"যে কাছে আছিল, হেয়! বহোনাই। দুলাভাই সজীব।'
শ্বশুরের ওপরও সন্দেহ আছে!"
"বাবারে, আমরা গরিব মানুষ! বড় মাইয়াডারে ১৪ বছর বয়সেই বিয়া দিয়া দিছি, অভাবের তাড়নায়। স্বামীর মাথায় সমস্যা আছিল, তাই মাইয়াডারে বিয়া দিছি। কিন্তু ছোটমনিরে এভাবে শেয়াল-কুকুরের ______ ক্যামনে?!"
আমার বুক ফাইটা যাইতেছে... সারাদিন রোজা রাইখা, আমার কলিজার টুকরা মাইয়াডারে এই অবস্থায় দেখতাছি। "আপনারাও তো মা-বাপ, বলেন, কেমনে সহ্য করুম?!"
মাগুরায় সেই শিশুটির মা এভাবেই যন্ত্রনা ভরা কন্ঠে আহাজারি করতেছিলেন।
ইউনিসেফের মতে, প্রায় ৯০% শিশু যৌ*ন নি*র্যা*তনের ঘটনায় অপরাধী শিশুর পরিচিত ব্যক্তি হয়ে থাকে, যা প্রায়শই পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হয়ে থাকে।
আপনার মেয়ে সন্তান কোথাও নিরাপদ না। যতই আপন, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, বন্ধু হোক না কেন! চোখে চোখে রাখুন৷
সচেতন হউন।