14/09/2022
কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক Sadman Nahian Sezan এর পেইজ থেকে নেওয়া।
ইদানিং কালে কয়েকটি মিডিয়ার টার্গেটেই থাকে ছাত্রলীগ। এর একটা অন্যতম বড় কারণ অবশ্যই যেমন টিআরপি, আরেকটি কারণ হতে পারে লন্ডন থেকে পাঠানো এসাইনমেন্ট। আর সরাসরি শিবির এর প্রচারণা তো আছেই৷
সমস্যা হচ্ছে, অতীতের মতই অতি-উৎসাহী হয়ে আগে ভাগেই ছাত্রলীগকে জড়াতে গিয়ে তারা মূল ঘটনার মধ্যেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। জাহিদুর রহমান যাকে বলা হচ্ছে, তিনি সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী না, তিনি ইসিই বিভাগ এবং ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
একই সাথে তার নিজের স্বীকারোক্তিতেই তিনি উপস্থিত শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক সহ সকলের সামনেই বলেছেন যে, তিনি শিবির করেন না। তিনি খেলাফতে বিশ্বাস করেন এবং দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ এমন কিছু সংগঠন এর সদস্যদের সাথে টেলিগ্রামে তার যোগাযোগ আছে। যেখানে তিনি অন্য সকলের সাথে মিশে তাদের উপর দেওয়া এসাইনমেন্ট গুলা বাস্তবায়ন করেন। ইতিমধ্যে তাদের "লিডার শিপ" ট্রেনিংও হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন!
সব চাইতে বড় মিথ্যাচার হচ্ছে, এই ঘটনার সাথে ছাত্রলীগকে জড়ানো। মিথ্যাচার এজন্য বলছি কারণ, এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ড.এম.এ রশীদ হলের শিক্ষার্থীরাই বিক্ষোভ করেছেন, এই হলের সকল পর্যায়ের সচেতন শিক্ষার্থীরাই হলের প্রভোস্ট মহোদয় এর সাথে কথা বলেছেন, তাদের সন্দেহের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন। কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমি সেখানে সকলের (ছাত্রকল্যাণ এর পরিচালক, হলের প্রভোস্ট, সহকারি প্রভোস্ট, সিকিউরিটি অফিসার) পরে উপস্থিত হই এবং উপস্থিত সকলের থেকে ঘটনার বিবরণ জানতে পারি এবং পরবর্তী তে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেই পুলিশে সোপার্দ করা হয়। এমনকি, তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে যে মামলা করা হয়েছে, সেটাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকেই করেছে। অথচ, এত কিছুর পরও যারা ছাত্রলীগ কে টার্গেট করে নিউজ করছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে কারো বেগ পাওয়ার কথা না।
একটা কথা পরিষ্কার করি, যতই লেখালেখি করেন, যতই প্রোপাগান্ডা ছড়ান, বঙ্গবন্ধু আর তাঁর কন্যার প্রশ্নে এই প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী তরুণ-তরূণীরা তাদের আপোষহীন মনোভাব অব্যাহত রাখবেই!
(বিভিন্ন গ্রুপে অভিযুক্তের কথপোকথন এর পড়ার অযোগ্য কিছু ছবি সমুহ দেওয়া হলো, যার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। 🙏)