27/09/2025
বুকে টানানো কিউআর কোডে কী আছে, জানালেন নেতানিয়াহু
খুলনা প্রতিদিন ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রায় ফাঁকা হলে এক চ্যালেঞ্জিং ভাষণ দেন। গাজায় যুদ্ধ পরিচালনায় ইসরায়েলের অবস্থান তিনি জোরালোভাবে রক্ষা করেন এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জেরুজালেমকে সমালোচনা করা ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া বিশ্বনেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন।
দখলদার রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৭ অক্টোবরের পর জেরুজালেম থেকে এক মাইল দূরে ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র দেওয়া মানে হলো—১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর নিউইয়র্ক শহর থেকে এক মাইল দূরে আল-কায়েদাকে একটি রাষ্ট্র দেওয়া। এটি নিছক উন্মাদনা। এটি পাগলামি, আর আমরা তা কখনোই মেনে নেব না।”
প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তব্যে নেতানিয়াহু নানা নাটকীয় কৌশল ব্যবহার করেন, যা প্রতি বছর তাঁর স্বাভাবিক প্রদর্শনের চেয়েও বেশি ছিল। যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত কূটনীতিক ইসরায়েলের নজিরবিহীন কূটনৈতিক একঘরে অবস্থাকে স্পষ্ট করতে সভাকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন, তখন নেতানিয়াহু মঞ্চে আসেন। এ সময় তাঁর কোটের বুকপকেটে একটি কিউআর কোড টাঙানো ছিল। তিনি দাবি করেন, সেই কিউআর কোড স্ক্যান করলে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যাবে—যাতে সবাই “দেখতে পারে কেন আমরা লড়াই করি এবং কেন আমাদের জয়ী হতেই হবে।”
নিজের বক্তব্যের শুরুতে তিনি সভাকক্ষে উপস্থিত অল্প কয়েকজন বন্দির পরিবারের কথা উল্লেখ করেন এবং হিব্রু ভাষায় সরাসরি বন্দিদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন। নেতানিয়াহু দাবি করেন, এই বার্তা গাজার ভেতরে বিশাল লাউডস্পিকারের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে, যা তিনি নিজেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে বসাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এছাড়া তাঁর কার্যালয় দাবি করেছে, ইসরায়েলি সেনারা গাজার ফিলিস্তিনিদের মোবাইল ফোনের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয় এবং সেই ফোনগুলো দিয়ে সরাসরি জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর বক্তব্য সম্প্রচার করা হয়। যদিও গাজাবাসীর কাছে নেতানিয়াহুর ভাষণের লিংকসহ টেক্সট বার্তা পৌঁছেছিল বলে জানা গেছে, তবে ফোন নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল